কোনটি বাংলা সাহিত্যের প্রথম পত্রোপন্যাস?
A
বাঁধনহারা
B
মৃত্যুক্ষুধা
C
কুহেলিকা
D
কোনোটিই নয়
উত্তরের বিবরণ
‘বাঁধনহারা’ হলো কাজী নজরুল ইসলামের প্রথম উপন্যাস (১৯২৭)।
-
এটি বাংলা সাহিত্যের প্রথম পত্রোপন্যাস, যাতে ১৮টি পত্র অন্তর্ভুক্ত।
-
কাজী নজরুল ইসলাম করাচীতে অবস্থানকালে এই উপন্যাস রচনা শুরু করেন।
-
উপন্যাসটি মুসলিম ভারত পত্রিকায় ধারাবাহিকভাবে প্রকাশিত হয়।
-
নায়ক: নুরুল হুদা
-
অন্যান্য চরিত্র: রবিউল, রাবেয়া, সােফিয়া, মাহবুবা প্রমুখ
-
এছাড়াও কাজী নজরুল ইসলাম মৃত্যুক্ষুধা ও কুহেলিকা নামে আরও দুটি উপন্যাস রচনা করেছেন।
0
Updated: 1 month ago
বিহারীলাল চক্রবর্তীর সর্বশ্রেষ্ঠ কাব্যগ্রন্থ কোনটি?
Created: 2 months ago
A
সারদামঙ্গল
B
বঙ্গসুন্দরী
C
বন্ধু বিয়োগ
D
স্বপ্নদর্শন
‘সারদামঙ্গল’ কাব্য
-
‘সারদামঙ্গল’ (১৮৭৯) কবি বিহারীলাল চক্রবর্তীর সর্বশ্রেষ্ঠ কাব্যগ্রন্থ।
-
এটি প্রথম প্রকাশিত হয়েছিল আর্যদর্শন পত্রিকায়।
-
আখ্যানকাব্য হলেও এর আখ্যানবস্তু খুব সামান্য; মূলত এটি একটি গীতিকবিতাধর্মী কাব্য।
-
কাব্যগ্রন্থটি মোট পাঁচটি সর্গে বিভক্ত।
-
‘ভোরের পাখি’ খ্যাত রোমান্টিক কবি বিহারীলাল এই কাব্যে প্রিয়তমার রূপে দেবী সারদার অনুসন্ধান করেছেন।
-
গ্রন্থটি আধুনিক বাংলা সাহিত্যের একটি গুরুত্বপূর্ণ স্তম্ভ হিসেবে স্বীকৃত।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের মূল্যায়ন
রবীন্দ্রনাথ লিখেছিলেন—
"সূর্যাস্ত কালের সুবর্ণমণ্ডিত মেঘমালার মত সারদামঙ্গলের সোনার শ্লোকগুলি বিবিধরূপের আভাস দেয়। কিন্তু কোন রূপকে স্থায়ীভাবে ধারণ করিয়া রাখে না। অথচ সুদূর সৌন্দর্য স্বর্গ হইতে একটি অপূর্ণ পূরবী রাগিণী প্রবাহিত হইয়া অন্তরাত্মাকে ব্যাকুল করিয়া তুলিতে থাকে।"
বিহারীলাল চক্রবর্তীর অন্যান্য কাব্যগ্রন্থ
-
স্বপ্নদর্শন
-
সঙ্গীতশতক
-
বঙ্গসুন্দরী
-
নিসর্গ সন্দর্শন
-
বন্ধু বিয়োগ
-
সারদামঙ্গল
উৎস: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা এবং ‘সারদামঙ্গল’ কাব্য
0
Updated: 2 months ago
হোমারের রচনার বঙ্গানুবাদ কোনটি?
Created: 2 months ago
A
ব্রজাঙ্গনা
B
হেক্টরবধ
C
মেঘনাদবধ
D
বীরঙ্গনা
‘হেক্টরবধ’
-
‘হেক্টরবধ’ (১৮৭১) হোমারের ইলিয়াড মহাকাব্যের প্রথম কয়েকটি সর্গের গদ্যে রচিত বঙ্গানুবাদ।
-
মাইকেল মধুসূদন দত্ত রচনাটি ১৮৬৭ সালে শুরু করেছিলেন, তবে অসমাপ্ত অবস্থায়ই এটি ১৮৭১ সালের ১লা সেপ্টেম্বর প্রকাশিত হয়।
-
হোমারের কোনো রচনা মূল গ্রিক ভাষা থেকে বাংলায় অনুবাদের এটিই ছিল প্রথম প্রয়াস।
-
গ্রন্থটি ভূদেব মুখোপাধ্যায়কে উৎসর্গ করা হয়েছিল।
মাইকেল মধুসূদন দত্তের অন্যান্য উল্লেখযোগ্য কাব্য
১. মেঘনাদবধ কাব্য (১৮৬১)
-
সংস্কৃত মহাকাব্য রামায়ণ এর ক্ষুদ্র ভগ্নাংশ কাহিনিকে অবলম্বন করে রচিত।
-
১৮৫৭ সালের সিপাহি বিদ্রোহের স্বাধীনতার মন্ত্রে অনুপ্রাণিত হয়ে কবি রাবণকে নায়ক ও রামকে খলনায়ক রূপে উপস্থাপন করেন।
২. ব্রজাঙ্গনা (১৮৬১)
-
রাধাকৃষ্ণ বিষয়ক একটি গীতিকাব্য।
-
কাব্যের কবিতাগুলো ওড্ জাতীয় গীতিকবিতা।
-
এটি দুই খণ্ডে (বিরহ ও মিলন) রচনার পরিকল্পনা করেছিলেন কবি, তবে ‘মিলন’ খণ্ডটি লেখা হয়নি।
৩. বীরাঙ্গনা কাব্য
-
বাংলা সাহিত্যের প্রথম পত্রকাব্য।
-
পৌরাণিক নারীদের আধুনিক দৃষ্টিকোণ থেকে উপস্থাপন করা হয়েছে।
-
এখানে তাঁরা নিজেদের প্রণয় ও কামনা প্রকাশ করেছেন এক নবজাগরণধর্মী ভঙ্গিতে।
উৎস: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা এবং বাংলাপিডিয়া
0
Updated: 2 months ago
বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের প্রাচীন নিদর্শন কোনটি?
Created: 4 days ago
A
চর্যাপদ
B
মহাভারত
C
রামায়ণ
D
জঙ্গনামা
চর্যাপদ বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের প্রাচীনতম নিদর্শন হিসেবে পরিচিত। এটি বৌদ্ধধর্ম সম্পর্কিত গান এবং দোহা সমৃদ্ধ একটি গ্রন্থ।
-
১৯০৭ খ্রিস্টাব্দে মহামহোপাধ্যায় হরপ্রসাদ শাস্ত্রী নেপাল রাজদরবারের গ্রন্থাগার থেকে চর্যাপদের পুথি আবিষ্কার করেন।
-
তাঁরই সম্পাদনায় ৪৭টি পদ বিশিষ্ট পুথিখানি ১৯১৬ সালে বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষৎ কর্তৃক প্রকাশিত হয়।
-
প্রকাশিত গ্রন্থের শিরোনাম ছিল "হাজার বছরের পুরাণ বাঙ্গালা ভাষায় বৌদ্ধগান ও দোহা"।
-
এই পুথি বাংলা ভাষা ও সাহিত্য গবেষণায় এক গুরুত্বপূর্ণ ঐতিহাসিক উৎস হিসেবে বিবেচিত।
0
Updated: 4 days ago