'রোহিণী’ বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের কোন উপন্যাসের চরিত্র?
A
দুর্গেশনন্দিনী
B
চন্দ্রশেখর
C
কৃষ্ণকান্তের উইল
D
রজনী
উত্তরের বিবরণ
‘কৃষ্ণকান্তের উইল’ উপন্যাস (১৮৭৮) বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের অন্যতম শ্রেষ্ঠ এবং সমকালে বিতর্কিত রচনা।
-
উপন্যাসের কেন্দ্রীয় চরিত্র হলো বিধবা নারী রোহিণী, যার মাধ্যমে লেখক নিজেই শিল্পবোধ ও নৈতিক আদর্শের দ্বন্দ্বে জড়িয়ে পড়েন।
-
ঔপন্যাসিকের জীবদ্দশায় এই গ্রন্থের চারটি সংস্করণ প্রকাশিত হয়।
-
প্রধান চরিত্র: রোহিণী, গোবিন্দলাল, ভ্রমর ইত্যাদি।
বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের অন্যান্য উপন্যাস:
-
কপালকুণ্ডলা
-
মৃণালিনী
-
বিষবৃক্ষ
-
ইন্দিরা
-
যুগলাঙ্গুরীয়
-
চন্দ্রশেখর
-
রাধারানী
-
রজনী
-
কৃষ্ণকান্তের উইল
-
রাজসিংহ
0
Updated: 1 month ago
'বঙ্গদর্শন' - পত্রিকার প্রথম সম্পাদক কে?
Created: 1 month ago
A
অক্ষয়কুমার দত্ত
B
বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়
C
জোশুয়া মার্শম্যান
D
দোম আন্তোনিও
‘বঙ্গদর্শন’ হলো একটি মাসিক সাহিত্যপত্রিকা, যা ১৮৭২ সালে বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় কর্তৃক প্রথম প্রকাশিত হয়। এটি উনিশ শতকের বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে বিশেষ প্রভাব ফেলেছে, বিশেষত বাংলা গদ্যের গঠনে। পত্রিকাটি ১৮৭৬ পর্যন্ত মাত্র চার বছর প্রকাশিত হয়েছিল।
-
ভাষা ও বিষয়বস্তু:
-
খুব উন্নত মানের সাধু বাংলা
-
সাহিত্য, সমাজ, বিজ্ঞান, রাজনীতি, ধর্মতত্ত্ব ও দর্শন সম্পর্কিত প্রবন্ধ
-
বিভিন্ন উপন্যাস প্রকাশিত হতো
-
-
সম্পাদনা ও নেতৃত্ব:
-
প্রতিষ্ঠার পর থেকে ১৮৭৬ সালের এপ্রিল পর্যন্ত বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় ছিলেন সম্পাদক ও প্রধান লেখক।
-
উল্লেখযোগ্য:
-
অক্ষয়কুমার দত্ত সম্পাদিত পত্রিকা: তত্ত্ববোধিনী
উৎস:
0
Updated: 1 month ago
বঙ্কিমচন্দ্রের কোন উপন্যাসকে আধুনিক ছোটগল্প রচনার প্রথম পরীক্ষা বলা যায়?
Created: 3 weeks ago
A
যুগালাঙ্গারী
B
রাঁধারাণী
C
মৃণালিণী
D
ইন্দিরা
বঙ্কিমচন্দ্রকালের সময় ছোটগল্প শিল্পমাধ্যম হিসেবে প্রতিষ্ঠিত ছিল না, তাই তিনি কোনো গল্পের বিষয়কে উপন্যাসে রূপান্তরিত করেছিলেন। তাঁর রচনা 'ইন্দিরা' বাংলা ছোট গল্পের ইঙ্গিত ও সূচনার বার্তা বহন করে।
0
Updated: 3 weeks ago
ভীষ্মদেব খোশনবীশ বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের কোন গ্রন্থের চরিত্র?
Created: 2 weeks ago
A
কমলাকান্ত
B
লোকরহস্য মু
C
চিরাম গুড়ের জীবনচরিত
D
যুগলাঙ্গুরীয়
বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের "কমলাকান্তের দপ্তর" একটি ব্যতিক্রমধর্মী রম্যরচনা, যেখানে তিনি সমাজের নানা দিক ও মানুষের অস্বাভাবিক আচরণ নিয়ে হাস্যরসাত্মক ও ব্যঙ্গাত্মক মন্তব্য করেছেন। এই গ্রন্থটি মূলত তিনটি অংশে বিভক্ত:
১. কমলাকান্তের দপ্তর,
২. কমলাকান্ত পত্র,
৩. কমলাকান্তের জবানবন্দি।
"কমলাকান্তের দপ্তর" বঙ্কিমচন্দ্রের একটি হাস্যরসাত্মক প্রবন্ধ সংগ্রহ, যেখানে কমলাকান্ত নামের চরিত্রটি বিভিন্ন অসংগতি ও বিচিত্র মানুষদের নিয়ে তীব্র সোজাসাপ্টা মন্তব্য করেছেন। গ্রন্থটির রচনায় বঙ্কিমচন্দ্র ইংরেজ সাহিত্যিক ডি-কুইনসির Confession of an English Opium Eater থেকে অনুপ্রাণিত হয়েছিলেন। ১৮৭৫ সালে রচিত এই প্রবন্ধগুলো কমলাকান্ত চরিত্রের জবানিতে উপস্থাপিত।
বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের অন্যান্য প্রবন্ধগুলোও তার গভীর দর্শন ও সমাজের বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করেছে, যেমন:
-
লোকরহস্য,
-
বিবিধ সমালোচনা,
-
সাম্য,
-
কৃষ্ণচরিত্র,
-
ধর্মতত্ত্ব অনুশীলন, ইত্যাদি।
তাঁর কিছু বিখ্যাত উপন্যাসের মধ্যে রয়েছে:
-
কপালকুণ্ডলা,
-
মৃণালিনী,
-
বিষবৃক্ষ,
-
ইন্দিরা,
-
চন্দ্রশেখর,
-
রাজসিংহ,
এছাড়া আরও অনেক উল্লেখযোগ্য কাজ রয়েছে, যা বাংলা সাহিত্যের অমূল্য রত্ন হিসেবে বিবেচিত।
0
Updated: 2 weeks ago