'উভয়কূল রক্ষা' অর্থে ব্যবহৃত প্রবচন কোনটি?
A
কারো পৌষ মাস, কারো সর্বনাশ
B
চাল না চুলো, ঢেঁকী না কুলো
C
সাপও মরে, লাঠিও না ভাঙ্গে
D
বোঝার উপর, শাকের আঁটি
উত্তরের বিবরণ
• ‘সাপও মরে, লাঠিও না ভাঙ্গে’ প্রবাদটির অর্থ - উভয়কূল রক্ষা।
অন্যদিকে,
• ‘কারো পৌষ মাস, কারো সর্বনাশ’ প্রবাদটির অর্থ - কারও সুদিন কারও খারাপ দিন
• ‘চাল না চুলো, ঢেঁকী না কুলো’ প্রবাদটির অর্থ - অত্যন্ত গরীব
• ‘বোঝার উপর, শাকের আঁটি’ প্রবাদটির অর্থ -অতিরিক্তের অতিরিক্ত
উৎস: ভাষা-শিক্ষা, ড. হায়াৎ মামুদ।
0
Updated: 5 months ago
'তামার বিষ' বাগধারাটির অর্থ কি?
Created: 1 week ago
A
ক্ষণস্থায়ী বস্তু
B
অর্থের কুপ্রভাব
C
তীব্রজ্বালা
D
অসম্ভব বস্তু
0
Updated: 1 week ago
'তুমি অধম, তাই বলে আমি উত্তম হব না কেন?' এই প্রবাদটির রচয়িতা কে?
Created: 2 months ago
A
মীর মশাররফ হোসেন
B
কাজী নজরুল ইসলাম
C
বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়
D
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
কপালকুণ্ডলা ও বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়
উল্লেখযোগ্য সংলাপ:
-
“তুমি অধম তাই বলিয়া আমি উত্তম হইব না কেন?” – এটি বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের একটি খ্যাতনামা সংলাপ।
কপালকুণ্ডলা উপন্যাস:
-
প্রকাশকাল: ১৮৬৬
-
লেখক: বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়
-
এটি তার দ্বিতীয় উপন্যাস।
-
কাহিনি কেন্দ্রিত কপালকুণ্ডলা নামের এক নিগূঢ় নারী চরিত্রের উপর।
-
উপন্যাসে তার সমাজবদ্ধতা, নবকুমারের সঙ্গে বিয়ে, এবং সমাজের সঙ্গে দ্বন্দ্ব দেখানো হয়েছে।
-
মূল থিম: কপালকুণ্ডলার রহস্য উদঘাটন।
-
উল্লেখযোগ্য সংলাপ:
-
“পথিক তুমি পথ হারাইয়াছ” – বাংলা সাহিত্যের প্রথম রোমান্টিক সংলাপ হিসেবে গণ্য।
-
“তুমি অধম তাই বলিয়া আমি উত্তম হইব না কেন?”
-
-
বিশেষত্ব: প্রকৃতির সৌন্দর্য, চরিত্রের রহস্যময়তা, এবং কাহিনির ট্র্যাজিক সমাপ্তি।
-
সংস্করণ: বঙ্কিমচন্দ্র জীবদ্দশায় ৮টি সংস্করণ প্রকাশিত।
-
নাট্য ও উপসংহার রূপান্তর:
-
গিরিশচন্দ্র ঘোষ নাট্যরূপে রূপান্তর (১৮৭৩)।
-
দামোদর মুখোপাধ্যায় উপন্যাসের উপসংহার লিখে ‘মৃন্ময়ী’ নামে প্রকাশ করেন।
-
উল্লেখযোগ্য চরিত্র:
-
কপালকুণ্ডলা
-
নবকুমার
-
কাপালিক
বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়: সংক্ষিপ্ত পরিচয়
-
জন্ম: ১৮৩৮, কাঁঠালপাড়া, চব্বিশ পরগনা জেলা
-
পেশা: ঔপন্যাসিক, সাংবাদিক, নবজাগরণের গুরুত্বপূর্ণ পুরুষ
-
বাংলা উপন্যাসের জনক হিসেবে পরিচিত
-
প্রথম কাব্যগ্রন্থ: ‘ললিতা তথা মানস’ (১৮৫৬)
-
প্রথম উপন্যাস: ‘রাজমোহনস ওয়াইফ’ (ইংরেজিতে)
-
বাংলা সাহিত্যের প্রথম সার্থক উপন্যাস: ‘দুর্গেশনন্দিনী’ (১৮৬৫)
-
প্রখ্যাত ত্রয়ী উপন্যাস: আনন্দমঠ, দেবী চৌধুরানী, সীতারাম
-
মৃত্যু: ১৮৯৪
অন্যান্য উপন্যাস:
-
কপালকুণ্ডলা, মৃণালিনী, বিষবৃক্ষ, ইন্দিরা, যুগলাঙ্গুরীয়, চন্দ্রশেখর, রাধারানী, রজনী, কৃষ্ণকান্তের উইল, রাজসিংহ
প্রবন্ধ রচনা:
-
লোকরহস্য, কমলাকান্তের দপ্তর, বিবিধ সমালোচনা, সাম্য, কৃষ্ণচরিত্র, ধর্মতত্ত্ব অনুশীলন ইত্যাদি
উৎস: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা, ড. সৌমিত্র শেখর, বাংলাপিডিয়া।
0
Updated: 2 months ago
Time and tide wait for none — এর অর্থ কী?
Created: 2 weeks ago
A
সময় ও জলস্রোত সব সময় অপেক্ষা করে
B
সময় ও জলস্রোত কাউকে ভয় পায় না
C
সময় ও জলস্রোত কারও জন্য অপেক্ষা করে না
D
সময় ও জলস্রোত ধীরে চলে
এই প্রবাদটি আমাদের সময়ের মূল্য বোঝায়। “Time and tide wait for none” অর্থাৎ সময় ও জলস্রোত কারও জন্য থেমে থাকে না। যেমন নদীর স্রোত একবার বয়ে গেলে আর ফিরে আসে না, তেমনি সময়ও একবার চলে গেলে আর ফিরে পাওয়া যায় না।
জীবনের প্রতিটি মুহূর্ত মূল্যবান, কারণ হারানো সময় অর্থ বা শক্তি দিয়েও ফিরিয়ে আনা সম্ভব নয়। তাই আমাদের উচিত সময়কে সঠিকভাবে ব্যবহার করা এবং কোনো কাজ কালক্ষেপ না করা।
মানুষের জীবনে সাফল্য অনেকাংশে নির্ভর করে সময় ব্যবহারের ওপর। যে ব্যক্তি সময়ের মূল্য বোঝে, সে জীবনে উন্নতি লাভ করে।
ছাত্রজীবনে যদি সময় নষ্ট করা হয়, পরবর্তীতে তার ফলাফল ভোগ করতে হয়। একজন শ্রমিক, ব্যবসায়ী বা কৃষক—সবাই যদি সময়মতো কাজ না করে, তাহলে সফলতা আসে না। তাই সময়কে সম্মান করা মানে নিজের ভবিষ্যৎকে সুন্দর করা।
সময়ের মতো জোয়ার-ভাটাও একবার এলে আর ফিরে আসে না। যদি জোয়ারের সময় নৌকা না চালানো হয়, তাহলে পরবর্তীতে সুযোগ মেলে না। এই উদাহরণ থেকেই প্রবাদটি এসেছে। সময়ের সঠিক ব্যবহার আমাদের জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে উন্নতির পথ দেখায়—পড়াশোনা, কাজ, সম্পর্ক বা সমাজসেবায়।
অন্যদিকে যারা সময় নষ্ট করে, তারা পিছিয়ে পড়ে এবং পরে আফসোস করে। সময় এক অমূল্য সম্পদ, যা টাকা-পয়সার মতো জমিয়ে রাখা যায় না। তাই প্রত্যেক মুহূর্তের সদ্ব্যবহার করাই আমাদের কর্তব্য।
সবশেষে বলা যায়, সময় ও জলস্রোত কারও জন্য অপেক্ষা করে না—এটি শুধু একটি প্রবাদ নয়, জীবনের কঠিন বাস্তবতা। যে এই সত্য বুঝে কাজ করে, সে কখনও ব্যর্থ হয় না। সময়ের মূল্য অনুধাবনই জীবনের সাফল্যের চাবিকাঠি।
0
Updated: 2 weeks ago