"হে দারিদ্র্য তুমি মোরে করেছো মহান
তুমি মোরে দানিয়াছ খ্রিস্টের সম্মান" - পঙ্ক্তিটি কোন কাব্যগ্রন্থের অন্তর্গত?
A
সাম্যবাদী
B
সর্বহারা
C
অগ্নি-বীণা
D
সিন্ধু হিন্দোল
উত্তরের বিবরণ
‘দারিদ্র্য’ কবিতার পঙ্ক্তি –
"হে দারিদ্র্য তুমি মোরে করেছো মহান, তুমি মোরে দানিয়াছ খ্রিস্টের সম্মান" – কাজী নজরুল ইসলামের ‘সিন্ধু হিন্দোল’ কাব্যগ্রন্থের অন্তর্গত।
‘সিন্ধু হিন্দোল’ কাব্যগ্রন্থ:
-
এটি কাজী নজরুল ইসলামের প্রেমের কাব্যগ্রন্থ।
-
উল্লেখযোগ্য কিছু কবিতা:
-
গোপন প্রিয়া
-
অনামিকা
-
বিদায়-স্মরণে
-
পথের স্মৃতি
-
উন্মনা
-
দারিদ্র্য
-
বাসন্তী
-
ফাল্গুনী
-
বধূ-বরণ
-
রাখী-বন্ধন
-
চাঁদনী রাতে
-
মাধবী-প্রলাপ
-
0
Updated: 1 month ago
কোনটি কাব্যগ্রন্থ?
Created: 4 months ago
A
শেষ প্রশ্ন
B
শেষ লেখা
C
শেষের কবিতা
D
শেষের পরিচয়
‘শেষলেখা’ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের শেষজীবনের এক গভীর আত্মস্মরণ ও দার্শনিক বোধের কাব্যগ্রন্থ। এই গ্রন্থটি প্রকাশিত হয় ১৯৪১ সালে, কবির মৃত্যুর পর। জীবনের অন্তিম প্রহরে রচিত এই কবিতাগুলি যেন তাঁর অন্তরের নীরব প্রতিধ্বনি।
বিষয়টি বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ এই কারণে যে, এই গ্রন্থের নাম ‘শেষলেখা’ কবি নিজে নির্ধারণ করে যেতে পারেননি। তাঁর মৃত্যুর পর এই নামকরণ করা হয়।
এখানে অন্তর্ভুক্ত অধিকাংশ কবিতা তিনি লিখেছেন মৃত্যুর মাত্র কয়েকদিন আগে, আর কিছু কবিতা রচিত হয়েছিল মুখে মুখে—যার সাক্ষী ছিলেন তাঁর সেবক ও সঙ্গীরা।
এই কাব্যগ্রন্থে রবীন্দ্রনাথ লিখেছিলেন:
"রূপ-নারায়ণের কূলে,
জেগে উঠিলাম;
জানিলাম এ জগৎ
স্বপ্ন নয়।"
এই কয়েকটি চরণ যেন তাঁর চেতন ও অবচেতন জগতের মিলনবিন্দু, যা তাঁকে জীবনের শেষ মুহূর্তেও আলোর পথে এগিয়ে রাখে।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সাহিত্যকর্মে 'শেষ' শব্দটি বহুভাবে ব্যবহৃত হয়েছে। যেমন:
-
‘শেষ কথা’ — একটি প্রখ্যাত ছোটগল্প, যেখানে সম্পর্ক, সমাজ ও মানবিক দ্বন্দ্ব চিত্রিত হয়েছে।
-
‘শেষের কবিতা’ — একটি দর্শনভিত্তিক উপন্যাস, যেখানে প্রেম, বুদ্ধিবৃত্তি ও আত্মনিরীক্ষার মোহজাল তুলে ধরা হয়েছে।
অন্যদিকে, শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় ‘শেষ’ শব্দ ব্যবহার করে লিখেছেন দুটি বিখ্যাত উপন্যাস:
-
‘শেষ প্রশ্ন’ — যেখানে ব্যক্তিগত ও সামাজিক প্রশ্নে টানাপোড়েন তুলে ধরা হয়েছে।
-
‘শেষের পরিচয়’ — একটি সম্পর্কের শেষ ধাপে গঠিত জটিলতার প্রতিচ্ছবি।
উৎস: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা, ড. সৌমিত্র শেখর
0
Updated: 4 months ago
'চন্দ্রাবতী' কী?
Created: 2 months ago
A
নাটক
B
কাব্য
C
পদাবলী
D
পালাগান
চন্দ্রাবতী কাব্য:
-
রচয়িতা: কোরেশী মাগন ঠাকুর।
-
কাল ও প্রেক্ষাপট: মধ্যযুগে আরাকান রাজসভায় বাংলা সাহিত্যচর্চা শুরু হয়।
-
কোরেশী মাগন ঠাকুর ছিলেন আরাকান রাজসভার প্রধান উজির। তার পৃষ্ঠপোষকতায় রাজসভায় বাংলা সাহিত্যের বিকাশ ঘটে।
-
তিনি বিখ্যাত কবি আলাওলকে দুটি কাব্য, ‘পদ্মাবতী’ ও ‘সয়ফুলমুলক বদিউজ্জামান’, রচনায় উৎসাহিত করেন।
-
উল্লেখযোগ্য আরাকান রাজসভার কবি: আলাওল, দৌলত কাজী, কোরেশী মাগন ঠাকুর।
অন্যান্য চন্দ্রাবতী সম্পর্কিত তথ্য:
-
ময়মনসিংহের একজন নারী গীতিকার চন্দ্রাবতী প্রথম রামায়ণ বাংলায় অনুবাদ করেন।
-
ময়মনসিংহ-গীতিকায় নয়নচাঁদ ঘোষ নামে এক কবির ‘চন্দ্রাবতী’ সম্পর্কিত পালা আছে। এটি বিভিন্ন নামে পরিচিত, যেমন:
-
‘জয়-চন্দ্রাবতী’
-
‘চন্দ্রাবতী চরিত’
-
‘চন্দ্রাবতী উপাখ্যান’
-
-
১৯৩২ সালে দীনেশচন্দ্র সেন চন্দ্রাবতীর রামায়ণ প্রকাশ করেন। এটি পূর্ববঙ্গ-গীতিকার চতুর্থ খণ্ডের দ্বিতীয় ভাগে স্থান পেয়েছে।
উৎস: বাংলাপিডিয়া
0
Updated: 2 months ago
'বন্দী শিবির থেকে' কাব্যটি কার লেখা?
Created: 1 week ago
A
শামসুর রাহমান
B
নির্মলেন্দু গুণ
C
সৈয়দ শামসুল হক
D
জীবনানন্দ দাশ
“বন্দী শিবির থেকে” কাব্যটি বাংলা সাহিত্যে মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ের অনুভূতি ও সংগ্রামের প্রতিফলন। এটি রচিত হয়েছে ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের পটভূমিতে, যখন বাংলাদেশের মানুষ পাকিস্তানি সেনাদের দমন-নিপীড়নের মুখে ছিল। এই সময়ে কবি শামসুর রাহমান তাঁর লেখার মাধ্যমে মানুষের মানসিক অবস্থার, স্বাধীনতার তৃষ্ণা ও সংগ্রামের অনুভূতি ফুটিয়ে তুলেছেন। তাই এই কাব্য তাঁর কালজয়ী সাহিত্যকর্মের অন্যতম।
শামসুর রাহমানকে বাংলাদেশের সাহিত্যকর্মে সমাজচেতনা সম্পন্ন কবি হিসেবে পরিচিত। তিনি সাধারণ মানুষের ব্যথা, শোষণ ও সংগ্রাম তাঁর কবিতায় ফুটিয়ে তুলেছেন। “বন্দী শিবির থেকে” কাব্যে তিনি শুধু ব্যক্তিগত দুঃখ-যন্ত্রণা নয়, বরং জাতির সংগ্রামকেও উঠে ধরেছেন। কবিতায় বন্দীদের মানসিক যন্ত্রণা, স্বাধীনতার আকাঙ্ক্ষা এবং মানবিকতার মূল্য দৃঢ়ভাবে প্রকাশিত।
কবিতার শৈলী অত্যন্ত সংবেদনশীল ও মানবিক, যা পাঠককে সহজেই অনুভব করায় যে একজন বন্দী শিবিরে বসে কীভাবে নিপীড়ন ভোগ করছে এবং কীভাবে মুক্তির স্বপ্ন দেখে। শামসুর রাহমান এই কবিতায় ব্যক্তি ও জাতির সংগ্রামের এক অপূর্ব মিলন ঘটিয়েছেন।
এই কবিতার মাধ্যমে তিনি দেখিয়েছেন যে স্বাধীনতা শুধু অস্ত্রের জয় নয়, বরং মানুষের মনোবল, সাহস ও অধিকার রক্ষার লড়াইয়ের ফল। কবিতায় বন্দী শিবিরে বন্দী মানুষদের দৈনন্দিন জীবন, শারীরিক কষ্ট, মানসিক যন্ত্রণা এবং তাদের স্বাধীনতার প্রতি তীব্র আকাঙ্ক্ষা ফুটে উঠেছে। এটি পাঠককে মুক্তি ও স্বাধীনতার মূল্য বোঝায়, যা শিক্ষার্থীদের জন্যও গুরুত্বপূর্ণ।
শামসুর রাহমানের সাহিত্যধারা সবসময় মানবিক ও সমাজচেতনা সম্পন্ন। তিনি তাঁর কবিতায় সাধারণ মানুষের অনুভূতি ও সংগ্রামের কণ্ঠ তুলে ধরেন। “বন্দী শিবির থেকে” কাব্যটিও এই ধারার অনন্য দৃষ্টান্ত। এই কবিতায়:
-
মানবিক যন্ত্রণার চিত্রায়ণ আছে।
-
জাতীয় চেতনা ও মুক্তি সংগ্রামের বার্তা আছে।
-
স্বাধীনতার মূল্য ও তা অর্জনের তীব্র আকাঙ্ক্ষা ফুটে উঠেছে।
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধকালীন সাহিত্যে এই কাব্যের স্থান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এটি শুধু কবিতার রূপে নয়, বরং ইতিহাসের একটি মানবিক দলিল হিসেবেও বিবেচিত। শিক্ষার্থীরা এটি পড়লে দেশপ্রেম, সাহস এবং মানবিক দায়বদ্ধতার শিক্ষা নিতে পারে।
0
Updated: 4 days ago