"হে দারিদ্র্য তুমি মোরে করেছো মহান
তুমি মোরে দানিয়াছ খ্রিস্টের সম্মান" - পঙ্ক্তিটি কোন কাব্যগ্রন্থের অন্তর্গত?
A
সাম্যবাদী
B
সর্বহারা
C
অগ্নি-বীণা
D
সিন্ধু হিন্দোল
উত্তরের বিবরণ
‘দারিদ্র্য’ কবিতার পঙ্ক্তি –
"হে দারিদ্র্য তুমি মোরে করেছো মহান, তুমি মোরে দানিয়াছ খ্রিস্টের সম্মান" – কাজী নজরুল ইসলামের ‘সিন্ধু হিন্দোল’ কাব্যগ্রন্থের অন্তর্গত।
‘সিন্ধু হিন্দোল’ কাব্যগ্রন্থ:
-
এটি কাজী নজরুল ইসলামের প্রেমের কাব্যগ্রন্থ।
-
উল্লেখযোগ্য কিছু কবিতা:
-
গোপন প্রিয়া
-
অনামিকা
-
বিদায়-স্মরণে
-
পথের স্মৃতি
-
উন্মনা
-
দারিদ্র্য
-
বাসন্তী
-
ফাল্গুনী
-
বধূ-বরণ
-
রাখী-বন্ধন
-
চাঁদনী রাতে
-
মাধবী-প্রলাপ
-

0
Updated: 1 day ago
"বৃথা ত্রাসে প্রলয়ের সিন্ধু ও দেয়া-ভার,
ঐ হলো পুণ্যের যাত্রীরা খেয়া পার।" - কবিতাংশটু কোন কাব্যগ্রন্থের অন্তর্গত?
Created: 1 day ago
A
সর্বহারা
B
অগ্নিবীণা
C
ভাঙার গান
D
দোলনচাঁপা
কবিতাংশ:
"বৃথা ত্রাসে প্রলয়ের সিন্ধু ও দেয়া-ভার, ঐ হলো পুণ্যের যাত্রীরা খেয়া পার" – কাজী নজরুল ইসলামের ‘অগ্নিবীণা’ কাব্যগ্রন্থের অন্তর্গত ‘খেয়া পারের তরণী’ কবিতার অংশ।
কাজী নজরুল ইসলাম:
-
বাংলাদেশের জাতীয় কবি এবং অবিভক্ত বাংলার সাহিত্য, সমাজ ও সংস্কৃতি ক্ষেত্রে অন্যতম শ্রেষ্ঠ ব্যক্তিত্ব।
-
জন্ম: ১৩০৬ বঙ্গাব্দের ১১ জ্যৈষ্ঠ (২৪ মে ১৮৯৯), চুরুলিয়া গ্রাম, বর্ধমান জেলা, পশ্চিমবঙ্গ।
-
ডাক নাম: দুখু মিয়া।
-
বাংলা সাহিত্যে পরিচিত ‘বিদ্রোহী কবি’ নামে।
-
আধুনিক বাংলা গানের জগতে খ্যাত ‘বুলবুল’।

0
Updated: 1 day ago
কোনটি কাব্যগ্রন্থ?
Created: 2 months ago
A
কবিতা
B
কাব্য পরিক্রমা
C
কয়েকটি কবিতা
D
বাঙলার কাব্য
সমর সেন ও 'কয়েকটি কবিতা': আধুনিক বাংলা কাব্যের এক উজ্জ্বল নাম
বাংলা আধুনিক কবিতার জগতে এক অনন্য নাম সমর সেন। তিনি জন্মগ্রহণ করেন ১৯১৬ সালের ১০ অক্টোবর, কলকাতার বাগবাজারে। সাহিত্যিক পরিবারে জন্ম নেওয়া সমর সেনের রক্তে ছিল সাহিত্য-ভাবনার ধারা; তাঁর পিতামহ ছিলেন প্রখ্যাত গবেষক দীনেশচন্দ্র সেন।
কবিতায় তাঁর আত্মপ্রকাশ ঘটে এক নতুন ধারা নিয়ে, যেখানে নাগরিক জীবনের বাস্তবতা ও সমাজমনস্ক ভাবনার ছাপ স্পষ্ট। এ কারণে তাঁকে "আধুনিক নাগরিক কবি" হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়। সমর সেন কখনোই রোমান্টিকতার মোহে আবদ্ধ ছিলেন না; তিনি নিজেই বলেছিলেন—
"আমি রোমান্টিক কবি নই, আমি মার্ক্সিস্ট"। এই উক্তি থেকেই বোঝা যায়, সমাজ ও রাজনীতির প্রতি তাঁর গভীর দৃষ্টিভঙ্গি এবং মার্কসবাদের প্রতি তাঁর শ্রদ্ধা।
তাঁর বিখ্যাত কাব্যগ্রন্থ ‘কয়েকটি কবিতা’ প্রকাশিত হয় ১৯৩৭ সালে। এটি বাংলা কবিতার ভুবনে এক নতুন পথচলার সূচনা করে। এই কাব্যগ্রন্থ ছাড়াও তাঁর উল্লেখযোগ্য কবিতার বইগুলো হলো:
-
গ্রহণ ও অন্যান্য কবিতা
-
নানাকথা
-
খোলাচিঠি
-
তিন পুরুষ
-
সমর সেনের কবিতা
গদ্য সাহিত্যে তাঁর অবদানও কম নয়। তাঁর রচিত ‘বাবু বৃত্তান্ত’ গদ্যগ্রন্থটি বিশেষভাবে স্মরণযোগ্য।
সম্পাদনা জীবনেও সমর সেন রেখেছেন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা। তিনি ছিলেন ‘ফ্রন্টিয়ার’ (Frontier) ও ‘নাও’ পত্রিকার প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক। এই পত্রিকাগুলোর মাধ্যমে তিনি সাহিত্য ও সমাজ ভাবনার একটি নতুন দিক উন্মোচন করেন।
অন্যদিকে বাংলা কাব্যচর্চার প্রসঙ্গ এলে স্মরণে আসে আরও কিছু বিশিষ্ট গ্রন্থ ও পত্রিকার নাম:
-
হুমায়ুন কবির রচিত কাব্য সমালোচনামূলক গ্রন্থ: ‘বাঙলার কাব্য’
-
অজিতকুমার চক্রবর্তী রচিত গ্রন্থ: ‘কাব্য পরিক্রমা’
-
এবং বাংলা সাহিত্যের আলোচিত একটি পত্রিকা ‘কবিতা’, যা ছিল একটি ত্রৈমাসিক কবিতাবিষয়ক পত্রিকা। এর প্রথম প্রকাশ হয় ১ অক্টোবর ১৯৩৫ (আশ্বিন ১৩৪২), যার সম্পাদনায় ছিলেন বুদ্ধদেব বসু ও প্রেমেন্দ্র মিত্র।
তথ্যসূত্র:
-
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা, ড. সৌমিত্র শেখর
-
বাংলাপিডিয়া

0
Updated: 2 months ago
'গোরক্ষ বিজয়' কাব্য কোন ধর্মমতের কাহিনি অবলম্বনে লেখা?
Created: 3 weeks ago
A
শৈবধর্ম
B
বৌদ্ধ সহজযান
C
নাথধর্ম
D
কোনোটি নয়
ষোল শতকে কবি শেখ ফয়জুল্লাহ “গোরক্ষ-বিজয়” নামে প্রথম কাব্য রচনা করেছিলেন। এই কাব্যে নাথগুরুর মাহাত্ম্য এবং নাথধর্মের মহত্ত্ব তুলে ধরা হয়েছে।
গোরক্ষবিজয় কাব্যগ্রন্থ:
নাথ সাহিত্যধারার মধ্যে “গোরক্ষবিজয়” অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ কাহিনি। বাংলা ভাষায় এটি সম্পর্কিত প্রায় ১৭টি পুথি সংগৃহীত হয়েছে। এই পুথি সংগ্রাহকরা হলেন:
-
নলিনীকান্ত ভট্টশালী – ১টি পুথি
-
আবদুল করিম সাহিত্যবিশারদ – ৮টি পুথি
-
আলি আহমদ – ৭টি পুথি
-
পঞ্চানন মন্ডল – ১টি পুথি
অনেকগুলো পুথি বর্তমানে খণ্ডিত অবস্থায় আছে। পুথি অনুসারে সম্পাদিত গ্রন্থের সংখ্যা তিনটি। এর মধ্যে:
-
নলিনীকান্ত ভট্টশালী সম্পাদিত – মীনচেতন
-
আবদুল করিম সাহিত্যবিশারদ সম্পাদিত – গোরক্ষবিজয়
-
পঞ্চানন মন্ডল সম্পাদিত – গোর্খবিজয়
রচনাকাল ও কবি:
গোরক্ষবিজয় কাব্যের লিখিত সময় নিয়ে পণ্ডিতদের মধ্যে বিতর্ক রয়েছে। ছাড়া, ভণিতায় কবীন্দ্র, ভীমসেন ও শ্যামদাস নামও পাওয়া যায়। তবে নামের সংখ্যাধিক্য অনুযায়ী শেখ ফয়জুল্লাহকে মূল কবি মনে করা হয়; বাকিরা মূলত গায়কের ভূমিকা পালন করেছিলেন।
উৎস: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা, ড. সৌমিত্র শেখর

0
Updated: 3 weeks ago