রোম সংবিধি (Rome Statute) এর ফলে কোন সংস্থাটি প্রতিষ্ঠিত হয়?
A
International Court of Justice (ICJ)
B
International Criminal Court (ICC)
C
International Atomic Energy Agency (IAEA)
D
European Union (EU)
উত্তরের বিবরণ
রোম সংবিধি (Rome Statute) হলো আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (International Criminal Court - ICC) প্রতিষ্ঠার জন্য গৃহীত একটি আন্তর্জাতিক চুক্তি, যা ১৯৯৮ সালে ইতালির রোমে অনুষ্ঠিত কূটনীতিক সম্মেলনের মাধ্যমে গৃহীত হয় এবং ২০০২ সালের ১ জুলাই কার্যক্রম শুরু করে।
সংবিধির মূল লক্ষ্য হলো আন্তর্জাতিক অপরাধের বিচারে দেশীয় বিচারব্যবস্থার পরিপূরক হিসেবে কাজ করা।
-
রোম সংবিধি প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯৯৮ সালের ১৫ জুন থেকে ১৭ জুলাই পর্যন্ত অনুষ্ঠিত কূটনৈতিক সম্মেলনের মাধ্যমে, যেখানে বিশ্বের ১২০টি দেশের প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করেছিলেন। সংবিধি গৃহীত হয় ১২০-৭ ভোটের ব্যবধানে।
-
২০০২ সালের ১ জুলাই আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত কার্যকারিতা লাভ করে, যখন প্রয়োজনীয় সংখ্যক রাষ্ট্র সংবিধি অনুমোদন করে।
-
সংবিধিতে মোট ১৩টি অধ্যায় এবং ১২৮টি অনুচ্ছেদ রয়েছে।
-
সংবিধির প্রস্তাবনা এবং অনুচ্ছেদ ১ ও ১৭ অনুযায়ী, ICC মূলত দেশীয় বিচারব্যবস্থার পরিপূরক হিসেবে কাজ করে।
ICC (International Criminal Court) সম্পর্কিত তথ্য:
-
প্রতিষ্ঠিত: ১৭ জুলাই, ১৯৯৮ (রোম সংবিধির মাধ্যমে)
-
কার্যক্রম শুরু: ১ জুলাই, ২০০২
-
সদরদপ্তর: দ্য হেগ, নেদারল্যান্ডস
-
সদস্য সংখ্যা: ১২৫টি (১২৫তম সদস্য: ইউক্রেন)
-
বর্তমান প্রেসিডেন্ট: তোমোকো আকানেকে (২০২৪-২০২৭)। প্রেসিডেন্সির সদস্যরা তিন বছরের মেয়াদে নির্বাচিত হন।
ICC-এর বিচার ক্ষমতা ও অপরাধ:
-
অনুচ্ছেদ ৫ অনুযায়ী চার ধরনের অপরাধের বিচার করা যায়:
-
জেনোসাইড
-
মানবতাবিরোধী অপরাধ
-
যুদ্ধাপরাধ
-
আগ্রাসনের অপরাধ
-
-
১৯৯৮ সালের মূল আইনে প্রথম তিনটি অপরাধ উল্লেখ ছিল। ২০১০ সালে রোম সংবিধিতে সংশোধনীর মাধ্যমে আগ্রাসনের অপরাধ অন্তর্ভুক্ত করা হয়।
-
প্রতিটি অপরাধ প্রমাণের জন্য Elements of Crimes নামে সহায়িকা রয়েছে।
-
বিচার প্রক্রিয়ার পদ্ধতিগত দিকগুলো বিস্তারিত বলা আছে Rules of Procedure and Evidence-এ।
অন্য প্রাসঙ্গিক আন্তর্জাতিক আদালত ও সংস্থা:
-
International Court of Justice (ICJ): ১৯৪৫ সালে সানফ্রান্সিসকো সম্মেলনের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত, যা মূলত বিভিন্ন দেশের মধ্যে অমীমাংসিত বিষয় নিষ্পত্তি করে।
-
International Atomic Energy Agency (IAEA): ১৯৫৭ সালে অস্ট্রিয়ার ভিয়েনায় প্রতিষ্ঠিত।
-
European Union (EU): ১৯৯২ সালে স্বাক্ষরিত 'ম্যাসট্রিক্ট চুক্তি'র ভিত্তিতে ১৯৯৩ সালে ইউরোপীয় কমিশন থেকে রূপান্তরিত হয়ে প্রতিষ্ঠিত।
0
Updated: 1 month ago
'গ্রিনপিস' যাত্রা শুরু করে -
Created: 2 months ago
A
১৯৪৫
B
২০১১
C
২০১৩
D
১৯৭১
গ্রিনপিস (Greenpeace)
গ্রিনপিস একটি আন্তর্জাতিক পরিবেশবাদী সংস্থা, যা ১৯৭১ সালে কানাডার ভ্যাঙ্কুভার, ব্রিটিশ কলম্বিয়ায় প্রতিষ্ঠিত হয়। বর্তমানে এর সদর দফতর আমস্টারডাম, নেদারল্যান্ডসে অবস্থিত।
সংক্ষিপ্ত ইতিহাস:
-
১৯৬৯ সালে পারমাণবিক শক্তি এবং পারমাণবিক বোমার পরীক্ষা রোধ করার উদ্দেশ্যে "Don’t Make a Wave Committee" গঠন করা হয়।
-
১৯৭১ সালে এই কমিটি ‘গ্রিনপিস’ নামে পরিচিত হয়।
উদ্দেশ্য:
গ্রিনপিস মূলত পৃথিবীর পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য রক্ষা, বন্য পরিবেশ ধ্বংস রোধ, গ্লোবাল ওয়ার্মিং কমানো, অতিরিক্ত মৎস্য শিকার ও বানিজ্যিক তিমি শিকার বন্ধ এবং পারমাণবিক শক্তির ব্যবহার নিয়ন্ত্রণে কাজ করে।
বিশ্বব্যাপী কার্যক্রম:
গ্রিনপিসের কার্যক্রম ইউরোপ, আমেরিকা, আফ্রিকা, এশিয়া এবং প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে বিস্তৃত। এটি ৫৫টিরও বেশি দেশে ২৫টি স্বাধীন জাতীয় ও আঞ্চলিক সংস্থা এবং একটি সমন্বয়কারী সংস্থা, Greenpeace International-এর মাধ্যমে পরিচালিত হয়।
উৎস: Greenpeace International ওয়েবসাইট।
0
Updated: 2 months ago
বঙ্গবন্ধু কত সালে এবং কোন শহরে জােট নিরপেক্ষ আন্দোলনের শীর্ষ সম্মেলনে অংশগ্রহণ করেন?
Created: 1 month ago
A
১৯৭২, কায়রাে
B
১৯৭৪, নয়া দিল্লী
C
১৯৭৫, বেলগ্রেড
D
১৯৭৩, আলজিয়ার্স
NAM বা Non-Aligned Movement (জোট-নিরপেক্ষ আন্দোলন) হলো একটি আন্তর্জাতিক সংস্থা, যা মূলত উন্নয়নশীল দেশগুলোর স্বার্থ ও আকাঙ্ক্ষা প্রতিনিধিত্ব করার জন্য গঠিত।
এটি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর স্নায়ুযুদ্ধকালীন সময়ে পুঁজিবাদী দেশসমূহের ন্যাটো ও সমাজতান্ত্রিক দেশসমূহের ওয়ারশ জোট থেকে নিরপেক্ষ থাকতে চাওয়া দেশগুলোর আন্দোলন হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়। NAM-এর প্রথম কনফারেন্স ১৯৬১ সালে বেলগ্রেডে অনুষ্ঠিত হয়।
-
NAM-এর পূর্ণরূপ: Non-Aligned Movement
-
গঠন উদ্দেশ্য: তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলোর স্বার্থ ও আকাঙ্ক্ষার প্রতিনিধিত্ব
-
প্রতিষ্ঠার পটভূমি: দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর স্নায়ুযুদ্ধকালীন পুঁজিবাদী ও সমাজতান্ত্রিক জোট থেকে নিরপেক্ষ থাকার জন্য
-
প্রথম কনফারেন্স: বেলগ্রেড, ১–৬ সেপ্টেম্বর, ১৯৬১
-
প্রতিষ্ঠার তারিখ: ১ সেপ্টেম্বর, ১৯৬১
-
বর্তমান সদস্য: ১২১টি দেশ
-
বর্তমান চেয়ারম্যান: ইলহাম ইলিয়েভ
-
প্রথম প্রেসিডেন্ট: ইয়োসিপ ব্রোজ টিটো (মার্শাল টিটো)
উল্লেখযোগ্য ঘটনা:
-
১৯৭৩ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে বাংলাদেশ প্রতিনিধি দল ন্যাম-এর চতুর্থ শীর্ষ সম্মেলনে আলজিয়ার্সে অংশগ্রহণ করে।
-
সম্মেলনের তারিখ: ৫–৯ সেপ্টেম্বর, ১৯৭৩
-
এতে বাংলাদেশ প্রথমবারের মতো যোগ দিয়ে ক্ষুধা ও দারিদ্রমুক্ত বিশ্ব প্রতিষ্ঠার আহ্বান জানায়।
-
সদ্য-স্বাধীন বাংলাদেশের জন্য সম্মেলনটি ছিল বহু কারণে গুরুত্বপূর্ণ, বিশেষ করে জাতিসংঘের সদস্যপদ প্রাপ্তিতে জোটনিরপেক্ষ দেশগুলোর সমর্থন নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে।
-
বঙ্গবন্ধুর সফরসঙ্গী ছিলেন বিশিষ্ট সাংবাদিক ও ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো’ গানের রচয়িতা আবদুল গাফফার চৌধুরী।
0
Updated: 1 month ago
চীনের জিনজিয়াং প্রদেশে বসবাসকারী প্রধান মুসলিম সম্প্রদায়ের নাম কি?
Created: 2 months ago
A
তুর্কমেন
B
উইঘুর
C
তাজিক
D
কাজাখ
উইঘুর জাতি
উইঘুররা চীনের জিনজিয়াং প্রদেশে বসবাসকারী তুর্কি বংশোদ্ভুত মুসলিম সম্প্রদায়।
অন্যান্য উল্লেখযোগ্য জাতি ও উপজাতি:
-
কুর্দি: পশ্চিম এশিয়ার কুর্দিস্তানের পার্বত্য অঞ্চলের ইরানি বংশোদ্ভুত জাতি। দক্ষিণ-পূর্ব তুরস্ক, উত্তর-পশ্চিম ইরান, উত্তর ইরাক ও উত্তর সিরিয়ায় বসবাস।
-
মাউরি: নিউজিল্যান্ডের আদিবাসী জাতি।
-
তাতার: তুর্কি বংশোদ্ভুত উপজাতি, মূলত ইউরোপ ও এশিয়ায় বাস।
-
কারেন: মিয়ানমারের সীমান্তবর্তী স্বাধীনতাকামী উপজাতি।
-
গুর্খা: নেপালের যোদ্ধা জাতি।
-
টোডা: দক্ষিণ ভারতের উপজাতি, যারা বহুস্বামী বিবাহ প্রথা মেনে চলে।
-
পশতুন: আফগানিস্তানের সংখ্যাগরিষ্ঠ জাতি।
-
এক্সিমো: সাইবেরিয়া, রাশিয়ায় বসবাসকারী উপজাতি, কুকুরচালিত স্লেজ ব্যবহার করে।
-
পিগমি: পৃথিবীর সবচেয়ে খর্বাকৃতির উপজাতি।
-
জুলু: দক্ষিণ আফ্রিকার নিগ্রো জাতি।
-
রেড ইন্ডিয়ান: আমেরিকার আদিবাসী জনগণ।
-
আফ্রিদি: পাকিস্তান ও আফগানিস্তানে বসবাসকারী পশতুন নৃগোষ্ঠী।
উৎস: Britannica
0
Updated: 2 months ago