ন্যাটো (NATO) চার্টারের কোন ধারায় সম্মিলিত প্রতিরক্ষার কথা উল্লেখ আছে?
A
আর্টিকেল-২
B
আর্টিকেল-৩
C
আর্টিকেল-৫
D
আর্টিকেল-৬
উত্তরের বিবরণ
ন্যাটো (NATO) হলো একটি সামরিক জোট, যা মূলত সদস্য রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে সামরিক ও রাজনৈতিক সহযোগিতা নিশ্চিত করার জন্য প্রতিষ্ঠিত।
ন্যাটোর চার্টারের বিভিন্ন অনুচ্ছেদই এর কার্যক্রম ও উদ্দেশ্য নির্ধারণ করে, যার মধ্যে অনুচ্ছেদ-৫ বিশেষভাবে সম্মিলিত প্রতিরক্ষার গুরুত্ব তুলে ধরে।
• অনুচ্ছেদ ৫: সম্মিলিত প্রতিরক্ষা
-
যদি কোনো ন্যাটো সদস্য সশস্ত্র আক্রমণের শিকার হয়, তবে জোটের প্রতিটি সদস্য এটিকে সমস্ত সদস্যদের বিরুদ্ধে আক্রমণ হিসাবে বিবেচনা করবে।
-
সদস্য রাষ্ট্রগুলো একে অপরকে সুরক্ষা দেবে এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
-
ন্যাটোর মূল ভিত্তি হিসেবে এই ধারাটিকে ধরা হয়।
-
ইতিহাসে একবার কার্যকর করা হয়েছে, ২০০১ সালের ৯/১১ টুইন টাওয়ার হামলার পর। যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে আফগানিস্তানে সামরিক পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছিল।
• ন্যাটো চুক্তির অনুচ্ছেদসমূহ (মোট ১৪টি)
১. শান্তিপূর্ণ সমাধান
২. বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক
৩. প্রতিরক্ষা সক্ষমতা
৪. পরামর্শ
৫. সম্মিলিত প্রতিরক্ষা
৬. আক্রমণের সংজ্ঞা
৭. জাতিসংঘ সনদের বাধ্যবাধকতা
৮. অ-দ্বন্দ্বমূলক সম্পৃক্ততা
৯. বাস্তবায়ন পরিষদ
১০. অতিরিক্ত পক্ষসমূহ
১১. চুক্তি অনুমোদন এবং প্রয়োগ
১২. চুক্তি পর্যালোচনা
১৩. জোটের সদস্যতা ত্যাগ
১৪. চুক্তির অন্যান্য সংস্করণের গ্রহণযোগ্যতা
• NATO সম্পর্কিত তথ্য
-
পূর্ণরূপ: North Atlantic Treaty Organisation (উত্তর আটলান্টিক নিরাপত্তা জোট)
-
প্রতিষ্ঠিত: ১৯৪৯ সালের ৪ এপ্রিল, ওয়াশিংটন, যুক্তরাষ্ট্র
-
প্রতিষ্ঠাতা সদস্য: ১২টি (যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, বেলজিয়াম, কানাডা, ডেনমার্ক, আইসল্যান্ড, ইতালি, লুক্সেমবার্গ, নেদারল্যান্ডস, নরওয়ে, পর্তুগাল)
-
বর্তমান সদস্য: ৩২টি
-
সদর দপ্তর: ব্রাসেলস, বেলজিয়াম
-
বর্তমান মহাসচিব: মার্ক রুট্টে
-
মুসলিম দেশসমূহ: আলবেনিয়া ও তুরস্ক
-
সর্বশেষ ৩২তম সদস্য: সুইডেন
0
Updated: 1 month ago
পশ্চিম এশীয় অর্থনৈতিক ও সামাজিক কমিশন কোনটি?
Created: 1 month ago
A
ESCWA
B
ESCAP
C
ECLAC
D
ECE
জাতিসংঘ বা United Nations হল একটি আন্তর্জাতিক সংস্থা যা বিশ্বশান্তি, নিরাপত্তা এবং আন্তর্জাতিক সহযোগিতা বৃদ্ধির জন্য কাজ করে। এর অধীনে বিভিন্ন অর্থনৈতিক ও সামাজিক কার্যক্রম পরিচালনার জন্য Economic and Social Council (ECOSOC)-এর অধীনে পাঁচটি আঞ্চলিক কমিশন রয়েছে।
-
এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অর্থনৈতিক ও সামাজিক কমিশন (ESCAP): Asia-Pacific region-এর দেশগুলোর অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়নে সহায়তা করে।
-
পশ্চিম এশীয় অর্থনৈতিক ও সামাজিক কমিশন (ESCWA): West Asia বা Middle East-এর দেশগুলোর জন্য regional development এবং policy guidance প্রদান করে।
-
ল্যাটিন আমেরিকা ও ক্যারিবীয় অর্থনৈতিক কমিশন (ECLAC): Latin America এবং Caribbean-এর অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও সামাজিক নীতি সমন্বয় করে।
-
ইউরোপিয়ান অর্থনৈতিক কমিশন (ECE): Europe-এর দেশগুলোর মধ্যে trade, economic integration এবং sustainable development ত্বরান্বিত করে।
-
আফ্রিকান অর্থনৈতিক কমিশন (ECA): African countries-এর অর্থনৈতিক উন্নয়ন, regional integration এবং poverty reduction-এ কাজ করে।
0
Updated: 1 month ago
চীনের জিনজিয়াং (Xinjiang) প্রদেশের মুসলিম গােষ্ঠীর নাম-
Created: 1 month ago
A
তুর্কমেন
B
উইঘুর
C
তাজিক
D
কাজাখ
উইঘুর সম্প্রদায় হল চীনের জিনজিয়াং অঞ্চলে বসবাসকারী তুর্কি বংশোদ্ভুত মুসলিম সম্প্রদায়, যারা তাদের নিজস্ব সংস্কৃতি, ভাষা ও ধর্মীয় ঐতিহ্য রক্ষা করে আসছে। এছাড়াও বিভিন্ন অঞ্চলের অন্যান্য জাতি ও উপজাতি সম্পর্কে তথ্য নিম্নরূপ:
-
কুর্দি: পশ্চিম এশিয়ার কুর্দিস্তানের পার্বত্য অঞ্চলের স্থানীয় ইরানি জাতিগোষ্ঠী, যারা দক্ষিণ-পূর্ব তুরস্ক, উত্তর-পশ্চিম ইরান, উত্তর ইরাক এবং উত্তর সিরিয়ায় বাস করে।
-
মাউরি: নিউজিল্যান্ডের আদিবাসী জনগোষ্ঠী।
-
কারেন: স্বাধীনতাকামী মিয়ানমারের সীমান্তবর্তী উপজাতি।
-
গুর্খা: নেপালের যোদ্ধা জাতি, যারা প্রাচীনকাল থেকে সামরিক দক্ষতার জন্য পরিচিত।
-
টোডা: দক্ষিণ ভারতের একটি উপজাতি, যেখানে বহুস্বামী বিবাহ প্রচলিত।
-
পশতুন: আফগানিস্তানের সংখ্যাগরিষ্ঠ জাতিগোষ্ঠী।
-
এক্সিমো: সাইবেরিয়ার রাশিয়ার অঞ্চলে বসবাসকারী জনগোষ্ঠী, যারা কুকুর চালিত স্লেজ গাড়ি ব্যবহার করে।
-
পিগমি: পৃথিবীর সবচেয়ে খর্বাকার জনগোষ্ঠী।
-
জুলু: দক্ষিণ আফ্রিকার নিগ্রো জাতি।
-
রেড ইন্ডিয়ান: আমেরিকার আদিবাসী জনগোষ্ঠী।
-
আফ্রিদি: বর্তমান পাকিস্তানের একটি পশতুন নৃগোষ্ঠী, যার কিছু অংশ আফগানিস্তানেও বসবাস করে।
0
Updated: 1 month ago
আন্তর্জাতিক বিচার আদালত রােহিঙ্গা গণহত্যা বিষয়ক অন্তর্বর্তীকালীন রায়ে মিয়ানমারকে কয়টি নির্দিষ্ট ব্যবস্থা গ্রহণের কথা বলেছে?
Created: 1 month ago
A
৩টি
B
২টি
C
৫টি
D
৪টি
রোহিঙ্গা ইস্যুতে গাম্বিয়ার করা মামলার প্রেক্ষিতে আন্তর্জাতিক ন্যায়বিচার আদালত (ICJ) ২৩ জানুয়ারি ২০২০ তারিখে মিয়ানমারের প্রতি চারটি অন্তর্বর্তী নির্দেশনা জারি করে।
এই মামলায় মিয়ানমারকে ২০২১ সালের ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে তার পক্ষের বক্তব্য আদালতে পেশ করতে বলা হয়। আন্তর্জাতিক ন্যায়বিচার আদালত সংক্রান্ত মূল তথ্যগুলো হলো:
-
ইন্টারন্যাশনাল কোর্ট অব জাস্টিস (ICJ) হলো জাতিসংঘের প্রধান বিচার বিভাগীয় সংস্থা।
-
এটি ১৯৪৫ সালে সান ফ্রান্সিসকো সম্মেলনের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত হয় এবং ১৯৪৬ সালে কার্যক্রম শুরু করে।
-
সদরদপ্তর: হেগ, নেদারল্যান্ডস।
-
বর্তমান প্রেসিডেন্ট: নওয়াফ সালাম।
-
বিচারক সংখ্যা: ১৫ জন।
-
বিচারক নির্বাচন করা হয় জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ এবং নিরাপত্তা পরিষদের মাধ্যমে, একজন বিচারক নির্বাচিত হন ৯ বছরের জন্য, এবং আদালতের সভাপতি নির্বাচিত হন ৩ বছরের জন্য।
-
এই আদালত গণহত্যা, যুদ্ধাপরাধ, মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ এবং আগ্রাসনমূলক অপরাধের জন্য রাষ্ট্র ও ব্যক্তিদের বিচার করতে সক্ষম।
0
Updated: 1 month ago