সম্প্রতি পেরুতে খুঁজে পাওয়া ৩৫০০ বছরের পুরোনো শহরের নাম কী?
A
মাচুপিচু
B
কোরাল
C
পেনিকো
D
কুস্কো
উত্তরের বিবরণ
পেরুতে সম্প্রতি খুঁজে পাওয়া ৩৫০০ বছরের পুরোনো প্রাচীন শহর পেনিকো, যা প্রাচীন বাণিজ্যিক কেন্দ্র হিসেবে সমৃদ্ধ ছিল, প্রত্নতাত্ত্বিকদের আবিষ্কৃত। আট বছরের খনন ও সংরক্ষণের পর এই স্থানের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের সময় বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ করা হয়।
-
অবস্থান: পেনিকো নগরটি পেরুর রাজধানী লিমার উত্তরে, হুয়াওরা প্রদেশে অবস্থিত।
-
প্রতিষ্ঠা: আনুমানিক খ্রিষ্টপূর্ব ১৮০০ সালে প্রতিষ্ঠিত।
-
ভৌগোলিক তথ্য: লিমা থেকে প্রায় ২০০ কিলোমিটার উত্তর দিকে এবং সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ৬০০ মিটার (২০০০ ফুট) উঁচুতে।
-
সংস্কৃতি ও স্থাপত্য: নগরকেন্দ্রটি কারাল সংস্কৃতির ঐতিহ্য অনুসরণ করে গড়ে উঠেছে। কারাল শহরে ৩২টি স্মৃতিস্তম্ভ, বিশাল পিরামিড আকৃতির স্থাপনা, উন্নত সেচব্যবস্থা এবং প্রাচীন নগর জীবনযাপন সংরক্ষিত আছে। এই সভ্যতা নিজস্বভাবে গড়ে উঠেছিল, ভারত, মিসর, সুমের এবং চীনের সঙ্গে কোনো সরাসরি সংযোগ ছাড়া।
-
কৌশলগত গুরুত্ব: পেনিকো সুপে ও হুয়াওরার উপকূল, পার্বত্য শহর এবং আন্দিজ-অ্যামাজনীয় ও উচ্চ পার্বত্য অঞ্চলের মানুষের সঙ্গে সংযোগ স্থাপন করত।
-
স্থাপত্য ও কাঠামো: এখন পর্যন্ত প্রায় ১৮টি কাঠামো চিহ্নিত করা হয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে উপাসনালয়, বসবাসযোগ্য ঘরবাড়ি এবং ধর্মীয় কেন্দ্র।
-
অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক গুরুত্ব: কারাল সভ্যতার পতনের পর পেনিকোর গুরুত্ব বৃদ্ধি পায়। রঙিন লোহা আকরিক হেমাটাইট বাণিজ্যের কারণে শহরের খ্যাতি ছড়িয়ে পড়ে। এটি আন্দিজদের প্রতীকী রঙ হিসেবে বিবেচিত হতো।
-
অতীত প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কার: পেরুতে এর আগে মাচু পিচু এবং উপকূলীয় মরুভূমির নাজকা রেখা-র মতো গুরুত্বপূর্ণ আবিষ্কার হয়েছে।

0
Updated: 1 day ago
বেল্ট ও রোড ইনিসিয়েটিভ (বিআরআই) প্রস্তাব করেছে :
Created: 3 weeks ago
A
চীন
B
জাপান
C
ভারত
D
আসিয়ান
বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ (BRI)
বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ (BRI) হলো চীনের একটি বিশাল পরিকল্পনা যা ২০১৩ সালে চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং প্রথমবারের মতো ঘোষণা করেন। এটি ওয়ান বেল্ট ওয়ান রোড বা নিউ সিল্ক রোড নামেও পরিচিত।
এই প্রকল্পের মূল লক্ষ্য হলো পূর্ব এশিয়া থেকে ইউরোপ পর্যন্ত ভৌত অবকাঠামোর মাধ্যমে বাণিজ্য ও বিনিয়োগকে সংযুক্ত করা, অর্থাৎ বিভিন্ন দেশকে একে অপরের সঙ্গে আরও ঘনিষ্ঠভাবে যুক্ত করা।
বিশ্বব্যাংকের বিশ্লেষণ:
মে ২০১৮ থেকে, বিশ্বব্যাংক ১৯টি ব্যাকগ্রাউন্ড পেপার প্রকাশ করেছে এবং একটি সারসংক্ষেপ প্রতিবেদন তৈরি করেছে, যা দেখায় BRI কীভাবে বাণিজ্য, বিনিয়োগ, ঋণ, পরিবেশ, দারিদ্র্য হ্রাস ও অবকাঠামোর উন্নয়নের সঙ্গে সংযুক্ত।
BRI-র প্রতিদ্বন্দ্বী উদ্যোগ – PGII
চীনের BRI-কে সমান্তরালে মোকাবিলা করার জন্য জি-৭ (G7) দেশগুলো একটি নতুন প্রকল্প শুরু করেছে, যার নাম PGII।
-
পূর্ণরূপ: Partnership for Global Infrastructure and Investment
-
প্রকল্পের উদ্দেশ্য: বৈশ্বিক অবকাঠামো ও বিনিয়োগ অংশীদ্বারিত্ব গড়ে তোলা এবং BRI-এর প্রভাবের মোকাবিলা করা।
-
উল্লেখযোগ্য ঘটনা: ৪৮তম জি-৭ শীর্ষ সম্মেলন ২০২২ সালের ২৬–২৮ জুন জার্মানির ব্যাভারিয়ান রাজ্যের শ্লোস এলমাই শহরে অনুষ্ঠিত হয়।
উৎস: Britannica

0
Updated: 3 weeks ago
বর্তমান বিশ্বের কোন দেশটির সংবিধানকে 'শান্তি সংবিধান' বলা হয়?
Created: 1 month ago
A
জাপান
B
পেরু
C
কোস্টারিকা
D
সুইজারল্যান্ড
জাপানের সংবিধান ও ‘শান্তির সংবিধান’
জাপানের সংবিধানকে প্রায়শই ‘শান্তির সংবিধান’ বলা হয়। এর প্রধান কারণ হলো সংবিধানের ৯ নং অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, জাপান আত্মরক্ষা ব্যতীত কোনো যুদ্ধে অংশগ্রহণ করতে পারবে না।
প্রেক্ষাপট:
-
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর জাপান পরাজিত হলে বর্তমান সংবিধান প্রণয়ন করা হয়।
-
১৯৪৬ সালের এপ্রিল মাসে জাপানের সংসদ (ডায়েট) সংবিধান প্রস্তাব করে এবং ৩ নভেম্বর ১৯৪৬ সালে এটি গৃহীত হয়।
-
কার্যকর হয় ৩ মে ১৯৪৭ সালে।
-
সংবিধান প্রণয়নে যুক্তরাষ্ট্রের সরাসরি প্রভাব ছিল।
-
এটি পূর্বে প্রযোজ্য মেইজি সংবিধান (Meiji Constitution)-এর পরিবর্তে প্রণয়িত হয়।
Article 9 (যুদ্ধ বর্জন):
"Aspiring sincerely to an international peace based on justice and order, the Japanese people forever renounce war as a sovereign right of the nation and the threat or use of force as means of settling international disputes. In order to accomplish the aim of the preceding paragraph, land, sea, and air forces, as well as other war potential, will never be maintained. The right of belligerency of the state will not be recognized."
সংক্ষেপে, এই অনুচ্ছেদ জাপানকে আত্মরক্ষা ব্যতীত কোনো সামরিক আক্রমণ বা যুদ্ধের অংশগ্রহণ থেকে বিরত রাখে।
তবে, ২০১৫ সালে সংবিধান সংশোধনের মাধ্যমে কিছু ক্ষেত্রে যুদ্ধ বা সামরিক পদক্ষেপের অনুমতি দেওয়া হয়, যার ফলে অনেকেই এখন জাপানের সংবিধানকে সম্পূর্ণ শান্তির সংবিধান হিসেবে মানতে নারাজ।
উৎস: এনসাইক্লোপেডিয়া ব্রিটানিকা ও জাপানের সরকারি ওয়েবসাইট

0
Updated: 1 month ago
ব্রিটিশ কৃষি বিপ্লব কখন সংঘটিত হয়েছিল?
Created: 1 week ago
A
ঊনবিংশ শতাব্দীতে
B
অষ্টাদশ শতাব্দীতে
C
ষোড়শ শতাব্দীতে
D
চতুর্দশ শতাব্দীতে
ব্রিটিশ কৃষি বিপ্লব ছিল শিল্প বিপ্লবের জন্য এক গুরুত্বপূর্ণ পূর্বশর্ত, যা কৃষি উৎপাদন বাড়ানোর পাশাপাশি কারখানায় শ্রমিক হিসেবে নিয়োগের জন্য পর্যাপ্ত জনশক্তি নিশ্চিত করেছিল।
অষ্টাদশ শতাব্দীতে ব্রিটেনে এই বিপ্লব ঘটে এবং এটি দেশের কৃষি ব্যবস্থা ও গ্রামীণ সমাজে মূলগত পরিবর্তন আনে। ব্রিটেনের কৃষি বিপ্লবের প্রধান বৈশিষ্ট্যগুলো ছিল:
-
বৃহদায়তন ও সুসংহত কৃষি ব্যবস্থা: বিপ্লবটি বৃহৎ আকারের কৃষি ব্যবস্থার জন্ম দেয়, যা আরও সংগঠিত ও কার্যকরী ছিল।
-
চারণভূমি ও পশুপালনের উন্নয়ন: সাধারণের ব্যবহারযোগ্য উর্বর চারণভূমিতে কৃষির প্রসার ঘটে এবং পশুপালন আরও ঘনিষ্ঠভাবে পরিচালিত হতে থাকে।
-
গ্রামীণ সমাজে পরিবর্তন: স্বনির্ভর কৃষকরা ক্রমে কৃষি শ্রমিকে পরিণত হন, এবং তাদের জীবনযাত্রার মান নির্ভর করতে শুরু করে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক বাজারের উপর। আবহাওয়ার ওপর নির্ভরশীলতার দিন শেষ হয়।
-
উৎপাদনশীলতার বৃদ্ধি: কৃষি বিপ্লবের ফলে কৃষি উৎপাদন উল্লেখযোগ্য হারে বেড়ে যায়, যা দেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতিতে সহায়ক হয়।

0
Updated: 1 week ago