তমদ্দুন মজলিস গঠিত হয় কার নেতৃত্বে?
A
কামুদ্দিন আহমেদ
B
আবদুল মতিন
C
অধ্যাপক আবুল কাশেম
D
ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ
উত্তরের বিবরণ
বাংলা ভাষার মর্যাদা রক্ষা ও বাঙালির জাতীয় চেতনা প্রতিষ্ঠার ইতিহাসে ভাষা আন্দোলনের পটভূমি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এটি ১৯৪৭ সালের পাকিস্তান রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠার সঙ্গে সরাসরি সম্পর্কিত।
-
১৯৪৭ সালের ১৪ আগস্ট, ভারত উপমহাদেশ বিভক্ত হয়ে ভারত ও পাকিস্তান সৃষ্টি হয়।
-
তৎকালীন পূর্ববঙ্গ পাকিস্তানের অংশে পরিণত হয়।
-
নতুন রাষ্ট্র পাকিস্তানের শাসকগোষ্ঠী প্রথমেই বাংলা ভাষার ওপর আঘাত হানেন, যা বাঙালিকে শোষণের কৌশল হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
-
পাকিস্তান রাষ্ট্র সৃষ্টির পূর্বেই রাষ্ট্রভাষা কী হবে তা নিয়ে প্রশ্ন দেখা দেয়।
-
সেই সময় মুসলিম লীগের প্রভাবশালী নেতারা উর্দুকে পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা করার পক্ষে মতামত দেন।
-
তখনই আবদুল হক ও ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহসহ বাংলার বুদ্ধিজীবী, শিক্ষার্থী ও লেখকরা প্রতিবাদ করেন।
-
অধ্যাপক আবুল কাশেমের নেতৃত্বে ভাষা আন্দোলনের প্রথম সংগঠন ‘তমদ্দুন মজলিস’ গঠিত হয়।
-
তমদ্দুন মজলিস ভাষা আন্দোলনের প্রথম পুস্তিকা প্রকাশ করে, যা আন্দোলনের মূল ভাবনা প্রচারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
0
Updated: 1 month ago
বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতির প্রধান মূলনীতির অন্তর্ভুক্ত নয় কোনটি?
Created: 1 month ago
A
সামরিক শক্তি বৃদ্ধি করা
B
সকলের প্রতি বন্ধুত্ব, কারও প্রতি বিদ্বেষ নয়
C
অন্য রাষ্ট্রের সার্বভৌমত্বর প্রতি সম্মান প্রদর্শন
D
অন্য রাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ ব্যাপারে হস্তক্ষেপ না করা
পররাষ্ট্রনীতি হলো কোনো সার্বভৌম রাষ্ট্রের গ্রহণকৃত নীতি, যা রাষ্ট্র তার জাতীয় স্বার্থ সংরক্ষণের জন্য অন্যান্য রাষ্ট্রের সঙ্গে যোগাযোগ ও সম্পর্ক রক্ষার ক্ষেত্রে অনুসরণ করে। বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতি আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে দেশের আর্থ-সামাজিক ও রাজনৈতিক বাধ্যবাধকতা এবং সাবভৌমত্ব রক্ষাকে কেন্দ্র করে তৈরি।
-
প্রধান লক্ষ্য: বহিঃশক্তির প্রভাব থেকে দেশের সাবভৌমত্ব ও ভূখণ্ড রক্ষা করা।
-
বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতির মূলনীতিসমূহ:
১. সকলের প্রতি বন্ধুত্ব, কারও প্রতি বিদ্বেষ নয়:
-
বাংলাদেশ তার অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য বৈদেশিক সাহায্যের উপর নির্ভরশীল। তাই কোনো বৃহৎ শক্তির পক্ষাভিমুখী না হয়ে, অন্যটির বিরাগভাজন হতে চায় না। দেশের ইতিহাসের রক্তক্ষয়ী সংগ্রামের পর, বাংলাদেশ চায় না যে সে কোনো বৃহৎ শক্তির খুঁটি হিসেবে ব্যবহৃত হবে।
২. অন্য রাষ্ট্রের সার্বভৌমত্ব, স্বাধীনতা ও ভৌগোলিক অখণ্ডতার প্রতি সম্মান:
-
জাতিসংঘ সনদের ২(৪) ধারার সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ।
৩. অন্য রাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ ব্যাপারে হস্তক্ষেপ না করা:
-
জাতিসংঘ সনদের ২(৭) ধারার উপর ভিত্তি করে। ২ ও ৩ নম্বর মূলনীতি দু’টি পারস্পরিক সমঝোতার ভিত্তিতে রাষ্ট্রীয় আচরণের আদর্শ প্রতিষ্ঠা করে।
৪. বিশ্ব শান্তি:
-
বাংলাদেশ শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানে বিশ্বাসী।
-
যে কোনো বিবাদ শান্তিপূর্ণ উপায়ে মীমাংসা করা।
-
আন্তর্জাতিক পরিস্থিতির পরিবর্তন শান্তিপূর্ণভাবে ঘটবে।
-
বাংলাদেশ কখনও বিশ্বের কোনো রাষ্ট্রের শান্তি ও নিরাপত্তার প্রতি হুমকি প্রদর্শন করবে না।
-
পররাষ্ট্রনীতির লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য:
১. আত্বরক্ষা
২. অর্থনৈতিক অগ্রগতি
৩. জাতীয় শক্তি রক্ষা ও প্রয়োজনমতো বৃদ্ধি
৪. নিজস্ব মতবাদে দৃঢ় থাকা
৫. জাতীয় মর্যাদা বৃদ্ধি
দ্রষ্টব্য: সামরিক শক্তি বৃদ্ধি বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতির প্রধান মূলনীতির অন্তর্ভুক্ত নয়।
0
Updated: 1 month ago
বাংলাদেশের সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় পুরস্কার কোনটি?
Created: 1 month ago
A
বাংলা একাডেমি পদক
B
জাতীয় পুরস্কার
C
একুশে পদক
D
স্বাধীনতা পদক
স্বাধীনতা পদক
-
সংজ্ঞা: স্বাধীনতা পদক হলো বাংলাদেশের সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় পুরস্কার।
-
প্রবর্তন: মুক্তিযুদ্ধের বীর শহিদদের স্মরণে ১৯৭৭ সালে বাংলাদেশ সরকার এই পুরস্কার প্রবর্তন করে।
-
প্রদানের ক্ষেত্র:
-
স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধে অবদান
-
ভাষা আন্দোলনে অবদান
-
শিক্ষা
-
সাহিত্য
-
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
-
চিকিৎসা বিজ্ঞান
-
সাংবাদিকতা
-
জনসেবা
-
সামাজিক বিজ্ঞান
-
সঙ্গীত
-
ক্রীড়া
-
চারুকলা
-
পল্লী উন্নয়ন
-
-
পুরস্কারের উপাদান:
-
একটি স্বর্ণপদক
-
সম্মাননাপত্র
-
নগদ অর্থ
-
২০২৫ সালের স্বাধীনতা পুরস্কার প্রাপ্তরা:
-
মুক্তিযুদ্ধ ও সংস্কৃতি: মোহাম্মদ মাহবুবুল হক খান ওরফে আজম খান (মরণোত্তর)
-
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি: অধ্যাপক জামাল নজরুল ইসলাম (মরণোত্তর)
-
সাহিত্য: মীর আবদুস শুকুর আল মাহমুদ (মরণোত্তর)
-
প্রতিবাদী তারুণ্য: আবরার ফাহাদ (মরণোত্তর)
-
সমাজসেবা: স্যার ফজলে হাসান আবেদ (মরণোত্তর)
-
শিক্ষা ও গবেষণা: বদরুদ্দীন মোহাম্মদ উমর
-
সংস্কৃতি: নভেরা আহমেদ (মরণোত্তর)
0
Updated: 1 month ago
সংবিধানের কোন অনুচ্ছেদে ন্যায়পাল প্রতিষ্ঠা করার কথা বলা হয়েছে?
Created: 1 month ago
A
৭২ অনুচ্ছেদে
B
৭৭ অনুচ্ছেদে
C
৭৯ অনুচ্ছেদে
D
৮২ অনুচ্ছেদে
বাংলাদেশের সংবিধানের ৭৭ নং অনুচ্ছেদে ‘ন্যায়পাল’ পদটির বিধান রয়েছে।
-
সংসদ ন্যায়পালের পদ প্রতিষ্ঠার জন্য আইন প্রণয়ন করতে পারবে।
-
সংসদ আইনের মাধ্যমে ন্যায়পালকে মন্ত্রণালয়, সরকারী কর্মচারী বা সংবিধিবদ্ধ সরকারী কর্তৃপক্ষের কার্য সম্পর্কিত তদন্ত পরিচালনার ক্ষমতা এবং অন্যান্য দায়িত্ব প্রদান করা যেতে পারে। ন্যায়পাল সেই ক্ষমতা প্রয়োগ ও দায়িত্ব পালন করবেন।
-
ন্যায়পাল তার দায়িত্বপালন সম্পর্কে বাৎসরিক রিপোর্ট প্রস্তুত করবেন, যা সংসদে উপস্থাপন করা হবে।
অন্যদিকে:
-
৭২ নং অনুচ্ছেদ: সংসদের অধিবেশন
-
৭৯ নং অনুচ্ছেদ: সংসদ-সচিবালয়
-
৮২ নং অনুচ্ছেদ: আর্থিক ব্যবস্থাবলীর সুপারিশ
উৎস:
0
Updated: 1 month ago