মুক্তিযুদ্ধে বীরত্ব অবদানে কতজন নারীকে বীর প্রতীক উপাধি দেওয়া হয়?
A
২ জন
B
৫ জন
C
১ জন
D
৪ জন
উত্তরের বিবরণ
মুক্তিযুদ্ধে নারীর অবদান:
- ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে বাংলাদেশের প্রতিটি আন্দোলন সংগ্রামে পুরুষের পাশাপাশি নারীরাও অংশ নিয়েছেন
- ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ প্রকৃত অর্থেই ছিল জনযুদ্ধ।
- নারী-পুরুষ নির্বিশেষে সর্বাত্মক এই যুদ্ধে শামিল হয়েছিল সমানভাবে।
- মোট গেজেটভুক্ত নারী মুক্তিযোদ্ধা ২০৩ জন।
- বর্তমানে মোট বীরাঙ্গনা নারী মুক্তিযোদ্ধার সংখ্যা ৪৪৮ জন।
- এদের মধ্যে খেতাবপ্রাপ্ত নারী মুক্তিযোদ্ধা ২ জন।
- ২ জন নারী বীর প্রতীক: ক্যাপ্টেন ডা. সিতারা বেগম এবং তারামন বিবি।

0
Updated: 1 day ago
বর্তমানে দেশে পরিবেশবান্ধব কারখানা কয়টি?[আগস্ট, ২০২৫]
Created: 1 day ago
A
২৫৫টি
B
২৬০টি
C
২৪৮টি
D
২৪০টি
পরিবেশবান্ধব কারখানা:
- যুক্তরাষ্ট্রের ইউএস গ্রিন বিল্ডিং কাউন্সিল থেকে পরিবেশবান্ধব সনদ পেয়েছে নতুন চারটি কারখানা।
- দেশে পরিবেশবান্ধব কারখানার সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ২৪৮টি।
- তার মধ্যে ১০৫ টি কারখানা প্লাটিনাম সনদ,
- ১২৯টি গোল্ড সনদ পেয়েছে।
- সিলভার সনদপ্রাপ্ত কারখানা ১০টি।
- এবং সার্টিফায়েড সনদপ্রাপ্ত কারখানা ৪টি।
উল্লেখ্য,
- বর্তমানে বিশ্বের শীর্ষ ১০০টি পরিবেশবান্ধব কারখানার মধ্যে ৬৮টি কারখানা এখন বাংলাদেশের।

0
Updated: 1 day ago
বাংলাদেশে সরকার অনুমোদিত প্রথম Genetically Modified (GM) খাদ্য ফসল কোনটি?
Created: 2 weeks ago
A
গোল্ডেন রাইস
B
বিটি তুলা
C
গোল্ডেন জুট
D
বিটি বেগুন
জেনেটিক্যালি মডিফায়েড (GM) ফসল
-
সংজ্ঞা:
জেনেটিক্যালি মডিফায়েড (GM) ফসল হলো এমন ফসল যার জিন পরিবর্তন (modification) করে ফলন বৃদ্ধি, রোগ ও পোকামাকড় প্রতিরোধসহ কাঙ্ক্ষিত বৈশিষ্ট্য অর্জন করা হয়। -
হাইব্রিড ফসল:
সব ধরনের হাইব্রিড ফসলই একধরনের জি.এম. ফসল। তবে এগুলো প্রাকৃতিক প্রতিরূপ ফসলের তুলনায় কখনো বিষাক্ত বা কম পুষ্টিগুণসম্পন্ন হতে পারে।
বাংলাদেশে প্রথম GM খাদ্য ফসল
-
বাংলাদেশে সরকার অনুমোদিত প্রথম GM খাদ্য ফসল হলো বিটি বেগুন (Bt Brinjal)।
-
২০১৪ সালে বাংলাদেশ সরকার এটি কৃষকদের মাঝে বিতরণের অনুমোদন দেয়।
Bt-বেগুন কী?
-
Bt শব্দটি এসেছে Bacillus thuringiensis নামক একটি মাটিবাহিত (soil-borne) ব্যাকটেরিয়া থেকে।
-
এই ব্যাকটেরিয়ার ক্রিস্টাল প্রোটিন জিন বেগুনের জিনোমে সংযোজন করে উৎপাদিত বেগুনকে Bt-বেগুন বলা হয়।
সাধারণ বেগুন বনাম Bt-বেগুন:
-
সাধারণ বেগুনে একটি বিশেষ পোকা ডগা ও ফল ছিদ্র করে নষ্ট করে ফেলে, ফলে ফলন কমে যায়।
-
কৃষককে এ আক্রমণ থেকে রক্ষা পেতে প্রতি মৌসুমে ৬০–১৮০ বার কীটনাশক স্প্রে করতে হয়।
-
Bt-বেগুনে এই পোকার আক্রমণ হয় না, তাই কীটনাশক ব্যবহার করার প্রয়োজন পড়ে না।
Bt-বেগুন চাষের গুরুত্ব
-
কীটনাশক ক্রয় ও স্প্রে করার খরচ বাঁচবে → উৎপাদন ব্যয় লক্ষ লক্ষ টাকা কমবে।
-
ভোক্তারা বিষমুক্ত বেগুন খেতে পারবেন → ক্যান্সারসহ নানা রোগের ঝুঁকি কমবে।
-
মাটি ও পরিবেশ বিষমুক্ত থাকবে।
-
আশপাশের জলাশয় দূষণমুক্ত থাকবে এবং জলজ প্রাণীর প্রজনন প্রক্রিয়া স্বাভাবিক থাকবে।
-
বেগুনের ফলন বৃদ্ধি পাবে।
উৎস:
i) উদ্ভিদবিজ্ঞান, এইচএসসি প্রোগ্রাম, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়
ii) বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট

0
Updated: 2 weeks ago
জুলাই ঘোষণাপত্রে কয়টি দফা রয়েছে?
Created: 2 weeks ago
A
২০টি
B
২২টি
C
২৪টি
D
২৮টি
জুলাই ঘোষণাপত্র
-
জুলাই ঘোষণাপত্র হলো ২০২৪ সালের জুলাইয়ের গণ-অভ্যুত্থানের একটি দলিল, যার মাধ্যমে ওই গণ-অভ্যুত্থানকে রাষ্ট্রীয় ও সাংবিধানিক স্বীকৃতি দেওয়া হবে।
-
৫ই আগস্ট, ২০২৫, রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে ‘৩৬ জুলাই উদ্যাপন’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস ঘোষণাপত্রটি পাঠ করেন।
-
ঘোষণাপত্রের মূল বিষয়বস্তু হলো বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম থেকে শুরু করে বিভিন্ন স্বৈরাচারী শাসনের বিরুদ্ধে জনগণের নিরন্তর সংগ্রামের ইতিহাস তুলে ধরা।
-
এতে মোট ২৮টি দফা রয়েছে, যা গণ-অভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষাগুলোকে স্পষ্টভাবে প্রকাশ করে।
‘জুলাই ঘোষণাপত্র’-এর গুরুত্বপূর্ণ ২৮টি দফার সারাংশ:
১. ১৯৭১ সালের স্বাধীনতা যুদ্ধের চেতনা ও গণপ্রতিরোধের ইতিহাস।
২. জাতীয় মুক্তির মূলনীতি—সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক সুবিচার।
৩. ১৯৭২ সালের সংবিধানের দুর্বলতা ও রাজনৈতিক ব্যর্থতা।
৪. বাকশাল ও একদলীয় শাসনের বিরুদ্ধে ৭ নভেম্বর বিপ্লব।
৫. সামরিক স্বৈরতন্ত্রবিরোধী ৯০’র গণঅভ্যুত্থানের গুরুত্ব।
৬. ১/১১ ষড়যন্ত্র ও ফ্যাসিবাদ প্রতিষ্ঠার পথ সুগম হওয়া।
৭. বিগত ১৬ বছরের স্বৈরাচারী শাসনের চিত্র ও ক্ষমতার অপব্যবহার।
৮. গণহত্যা, গুম-খুন, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা হরণ এবং প্রতিষ্ঠান ধ্বংস।
৯. বাংলাদেশকে ব্যর্থ ও মাফিয়া রাষ্ট্রে রূপান্তরের অভিযোগ।
১০. দুর্নীতি, ব্যাংক লুট ও পরিবেশবিনাশের চিত্র।
১১. জনগণের ওপর দীর্ঘ দমনপীড়নের বিরুদ্ধে গণতান্ত্রিক সংগ্রাম।
১২. বিদেশী আধিপত্যবিরোধী আন্দোলন দমন ও রাষ্ট্রীয় নিপীড়ন।
১৩. তিনটি প্রহসনের নির্বাচনে ভোটাধিকার থেকে জনগণকে বঞ্চিত করা।
১৪. বৈষম্যমূলক নিয়োগ নীতি ও তরুণদের প্রতি নিপীড়নের অভিযোগ।
১৫. নিপীড়নের ফলে জনরোষ ও ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনের উত্থান।
১৬. কোটা ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে ছাত্র আন্দোলনের ওপর বর্বরতা।
১৭. নারী-শিশুসহ এক হাজারের বেশি মানুষ হত্যার অভিযোগ।
১৮. ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার পদত্যাগ ও দেশত্যাগের প্রেক্ষাপট।
১৯. গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে জনগণের সার্বভৌমত্ব প্রতিষ্ঠা।
২০. ড. ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের আইনি ভিত্তি।
২১. ফ্যাসিবাদমুক্ত রাষ্ট্র গঠনে সর্বস্তরের জনগণের অংশগ্রহণ।
২২. সুশাসন, আইনের শাসন ও সাংবিধানিক সংস্কারে জনগণের প্রতিশ্রুতি।
২৩. গুম-খুন, গণহত্যা ও মানবতা বিরোধী অপরাধের বিচারের ঘোষণা।
২৪. আন্দোলনকারীদের সুরক্ষা ও শহীদদের জাতীয় বীর ঘোষণা।
২৫. অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে ভবিষ্যতের পথ নির্ধারণ।
২৬. জলবায়ু ও পরিবেশসহ টেকসই উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি।
২৭. ২০২৪ সালের ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানকে সাংবিধানিক স্বীকৃতি প্রদান।
২৮. ঘোষণাপত্রকে গণঅভ্যুত্থান বিজয়ের চূড়ান্ত দলিল হিসেবে ঘোষণা।
তথ্যসূত্র: জুলাই ঘোষণাপত্র

0
Updated: 2 weeks ago