মুক্তিযুদ্ধে জেড ফোর্সের প্রধান ছিলেন কে?
A
কর্ণেল খালেদ মোশাররফ
B
মেজর জিয়াউর রহমান
C
কে এম শফিউল্লাহ
D
এম এ জি ওসমানী
উত্তরের বিবরণ
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনার সময় সেক্টর ভিত্তিক যুদ্ধের পাশাপাশি নিয়মিত বাহিনী গঠনের উদ্যোগ নেওয়া হয়। এর ধারাবাহিকতায় ৩টি ব্রিগেড ফোর্স গঠিত হয়, যা মুক্তিযুদ্ধকে আরও সংগঠিত ও শক্তিশালী করে তোলে।
-
মুক্তিযুদ্ধের সময় গঠিত ৩টি ব্রিগেড ফোর্স হলো: জেড ফোর্স, এস ফোর্স ও কে ফোর্স।
-
জেড ফোর্স:
-
নেতৃত্বে ছিলেন মেজর জেনারেল জিয়াউর রহমান।
-
মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে নিয়মিত বাহিনীর প্রথম ব্রিগেড হিসেবে জুলাই মাসে এটি গঠিত হয়।
-
ব্রিগেডটি গঠিত হয় ১ম, ৩য় ও ৮ম ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট নিয়ে।
-
-
এস ফোর্স:
-
নেতৃত্বে ছিলেন কে. এম. সফিউল্লাহ।
-
নিয়মিত বাহিনীর দ্বিতীয় ব্রিগেড হিসেবে এটি অক্টোবরে গঠিত হয়।
-
এতে অন্তর্ভুক্ত ছিল ২য় ও ১১তম ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের সৈনিকরা।
-
-
কে ফোর্স:
-
নেতৃত্ব দেন কর্ণেল খালেদ মোশাররফ।
-
এটি অক্টোবর মাসে গঠিত হয়।
-
ব্রিগেডটি গঠিত হয় ৪র্থ, ৯ম ও ১০ম ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের সদস্যদের নিয়ে।
-
0
Updated: 1 month ago
মারকিউরাস নাইট্রাইট আবিষ্কার সাথে জড়িত কোন বাঙ্গালি বিজ্ঞানী?
Created: 1 month ago
A
আচার্য প্রফুল্ল চন্দ্র রায়
B
সত্যেন্দ্রনাথ বসু
C
ড. কুদরাত-ই-খুদা
D
জগদীশ চন্দ্র বসু
সংবিধান অনুযায়ী রাষ্ট্রপতির সংসদ আহ্বানের ক্ষমতা (অনুচ্ছেদ ৭২):
-
সংসদ আহ্বান:
-
জাতীয় সংসদের অধিবেশন রাষ্ট্রপতি আহ্বান করেন, কিন্তু এটি কার্যকর হয় প্রধানমন্ত্রীর লিখিত পরামর্শ অনুযায়ী।
-
-
রাষ্ট্রপতির ভাষণ:
-
নতুন সংসদের প্রথম অধিবেশনে এবং নতুন বছরের অধিবেশনের সূচনায় রাষ্ট্রপতি সংসদে ভাষণ দেন।
-
রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর সংসদে আলোচনা হয়।
-
-
সংসদ মুলতবি ও ভাঙা:
-
রাষ্ট্রপতি সংসদ মুলতবি রাখতে পারেন।
-
প্রধানমন্ত্রীর লিখিত পরামর্শে সংসদ ভাঙার ক্ষমতাও রাষ্ট্রপতির আছে।
-
-
বিশেষ পরিস্থিতি:
-
সংবিধানে বর্ণিত কিছু ক্ষেত্রে, যেমন রাষ্ট্রপতির অভিশংসন প্রক্রিয়ায়, সংসদ আহ্বান করতে পারেন স্পিকার।
-
সংক্ষিপ্তসার: রাষ্ট্রপতির ক্ষমতা সংসদ আহ্বান, মুলতবি রাখা ও ভাঙার ক্ষেত্রে মূলত প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শের ওপর নির্ভরশীল, যা সংসদীয় শাসন ও গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া বজায় রাখতে সাহায্য করে।
0
Updated: 1 month ago
পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তি চুক্তিতে বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে স্বাক্ষর করেন কে?
Created: 1 month ago
A
জোতিরিন্দ্র বোধিপ্রিয় লারমা
B
সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম
C
আবদুল জলিল
D
আবুল হাসনাত আব্দুল্লাহ
পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তি চুক্তি বাংলাদেশের ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক। দীর্ঘদিনের সংঘাত ও অস্থিরতা নিরসনে এই চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়, যার মাধ্যমে অঞ্চলে শান্তি প্রতিষ্ঠার পথ উন্মুক্ত হয়।
-
১৯৯৭ সালের ২ ডিসেম্বর বাংলাদেশ সরকার এবং পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি (জনসংহতি সমিতি)র মধ্যে এ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।
-
২০২২ সালের ২ ডিসেম্বর চুক্তির ২৫ বছর পূর্তি উদযাপিত হয়েছে।
-
বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে আবুল হাসনাত আব্দুল্লাহ এবং জনসংহতি সমিতির পক্ষে জোতিরিন্দ্র বোধিপ্রিয় লারমা (সন্তু লারমা) চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন।
-
এই চুক্তির মাধ্যমে পার্বত্য চট্টগ্রামে শান্তি স্থাপনের পথ সুগম হয় এবং সংঘাত প্রশমনের একটি ঐতিহাসিক পদক্ষেপ সম্পন্ন হয়।
0
Updated: 1 month ago
জুলাই ঘোষণাপত্রে কতটি ধারা অন্তর্ভুক্ত রয়েছে?
Created: 1 month ago
A
১৬টি
B
২১টি
C
২২টি
D
২৮টি
জুলাই ঘোষণাপত্র হলো ২০২৪ সালের জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের একটি গুরুত্বপূর্ণ দলিল, যার মাধ্যমে ওই গণ-অভ্যুত্থানকে রাষ্ট্রীয় ও সাংবিধানিক স্বীকৃতি প্রদানের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এটি জুলাই জাতীয় সনদের মতো রাষ্ট্রের বিভিন্ন ক্ষেত্রে সংস্কার প্রস্তাব বাস্তবায়নে ঐকমত্যের রাজনৈতিক দলিল হিসেবে কাজ করে।
-
উদ্বোধন: অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস ৫ আগস্ট ২০২৫ তারিখে ‘৩৬ জুলাই উদ্যাপন’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে ঘোষণাপত্র পাঠ করেন।
-
ধারা: এই ঘোষণাপত্রে মোট ২৮টি ধারা অন্তর্ভুক্ত।
-
মূল বক্তব্য: ২৮ দফা ধারা অনুযায়ী, “বাংলাদেশের জনগণ এই অভিপ্রায় ব্যক্ত করছে যে, ছাত্র-গণঅভ্যুত্থান ২০২৪-এর উপযুক্ত রাষ্ট্রীয় ও সাংবিধানিক স্বীকৃতি প্রদান করা হবে, এবং পরবর্তী নির্বাচনে নির্বাচিত সরকারের সংস্কারকৃত সংবিধানের তফসিলে এই ঘোষণাপত্র সন্নিবেশিত থাকবে।”
0
Updated: 1 month ago