যুক্তফ্রন্ট গঠিত হয় কত সালে?
A
১৯৫৬ সালে
B
১৯৫৩ সালে
C
১৯৫২ সালে
D
১৯৫৪ সালে
উত্তরের বিবরণ
যুক্তফ্রন্টের:
- ১৯৫৩ সালের ১৪ই নভেম্বর ময়মনসিংহে অনুষ্ঠিত আওয়ামী মুসলিম লীগের কাউন্সিলে 'যুক্তফ্রন্ট' গঠনের সিদ্ধান্ত হয়।
- যুক্তফ্রন্ট মূলত চারটি বিরোধী রাজনৈতিক দলের সমন্বয়ে গঠিত হয়।
- মওলানা ভাসানীর নেতৃত্বাধীন আওয়ামী মুসলিম লীগ,
- শেরেবাংলা এ কে ফজলুল হকের কৃষক-শ্রমিক পার্টি,
- মওলানা আতাহার আলীর নেজামে ইসলাম পার্টি এবং
- হাজী দানেশের বামপন্থী গণতন্ত্রী দল।
উল্লেখ্য,
- নির্বাচনে যুক্তফ্রন্টের প্রতীক ছিল 'নৌকা'।
- আওয়ামী মুসলিম লীগের নির্বাচনী কর্মসূচির ৪২ দফার প্রধান প্রধান দাবি নিয়ে।
- যুক্তফ্রন্টের ২১ দফা নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করা হয়।
- ২১ দফা কর্মসূচির মুখ্য রচয়িতা ছিলেন আবুল মনসুর আহমদ।
নোট: [বাংলাদেশ ও বিশ্ব পরিচয় বইতে সংশোধন আকারে বলা হয়েছে যুক্তফ্রন্ট প্রধানত ৫ টি দলের সমন্বয়ে গঠিত।
উৎস: বাংলাদেশের ইতিহাস ও বিশ্বসভ্যতা, নবম-দশম শ্রেণি।

0
Updated: 1 day ago
পাল রাজারা কোন ধর্মের অনুসারী ছিলেন?
Created: 1 week ago
A
হিন্দুধর্ম
B
জৈনধর্ম
C
শাক্তধর্ম
D
বৌদ্ধধর্ম
পাল রাজারা বৌদ্ধধর্মের পৃষ্ঠপোষক ছিলেন এবং তাদের শাসনামলে অনেক বৌদ্ধবিহার নির্মিত হয়।
পাল রাজবংশ:
-
পাল বংশ অষ্টম শতকের মাঝামাঝি থেকে প্রায় চারশত বছর বাংলা ও বিহারে শাসন করেছিল।
-
শশাঙ্কের মৃত্যুর পর বাংলায় প্রায় একশ বছর অরাজকতা বিরাজ করেছিল, যা ‘মাৎস্যন্যায়’ নামে পরিচিত।
-
এই অরাজকতার অবসান ঘটান গোপাল, যিনি পালবংশের প্রতিষ্ঠাতা হন।
-
পালবংশের রাজারা প্রায় চারশত বছর রাজত্ব করেন।
-
এই যুগে বাংলা একটি স্থিতিশীল ও ঐশ্বর্যশালী রাষ্ট্রে পরিণত হয়।
-
গোপালের পর তাঁর পুত্র ধর্মপাল সিংহাসনে বসেন।
-
দেবপালের পরে পাল সাম্রাজ্য কিছুটা দুর্বল হয়ে পড়ে, কিন্তু প্রথম মহীপালের রাজত্বকালে পালবংশের গৌরব পুনরায় ফিরে আসে।
-
দ্বিতীয় মহীপাল ও রামপালের রাজত্বকালে বরেন্দ্র অঞ্চলে কৈবর্ত বিদ্রোহ সংঘটিত হয়। রামপাল এই বিদ্রোহ দমন করে বরেন্দ্র অঞ্চল পুনরুদ্ধার করেন এবং তিনি পালবংশের শেষ মুকুটমণি হন।
-
অবশেষে সেনবংশের উত্থানের মাধ্যমে পাল শাসনের অবসান ঘটে।
উল্লেখযোগ্য:
-
পাল রাজারা বৌদ্ধ ধর্মের অনুসারী ছিলেন।
-
পালযুগে বৌদ্ধ ধর্ম তিব্বত, জাভা, সুমাত্রা ও মালয়েশিয়াতে প্রসার লাভ করে।
সূত্র:

0
Updated: 1 week ago
বর্তমানে দেশে সরকারিভাবে মোট কয়টি স্থলবন্দর রয়েছে? [আগস্ট, ২০২৫]
Created: 2 weeks ago
A
১৬টি
B
২০টি
C
২২টি
D
২৪টি
বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ (বিএসবিক)
-
লক্ষ্য:
স্থলপথে পণ্য আমদানি ও রপ্তানি সহজতর ও উন্নত করা। -
স্থলবন্দর সংখ্যা:
-
দেশে মোট ২৪টি স্থলবন্দর সরকারিভাবে বিদ্যমান।
-
চলমান স্থলবন্দর সংখ্যা: ১৬টি।
-
চলমান স্থলবন্দরসমূহ
-
বাস্থবক পরিচালিত (১১টি):
বেনাপোল, ভোমরা, আখাউড়া, বুড়িমারী, নাকুগাঁও, তামাবিল, সোনাহাট, গোবড়াকুড়া-কড়ইতলী, বিলোনিয়া, শেওলা, ধানুয়াকামালপুর। -
BOT ভিত্তিতে পরিচালিত (৫টি):
সোনামসজিদ, হিলি, টেকনাফ, বাংলাবান্ধা, বিবিরবাজার। -
চালুর অপেক্ষায় (২টি):
রামগড়, বাল্লা।
প্রতিষ্ঠান সম্পর্কিত তথ্য
-
প্রতিষ্ঠা সাল: ২০০১
-
স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান: হ্যাঁ, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের অধীনে
উৎস: বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ ওয়েবসাইট

0
Updated: 2 weeks ago
বক্সারের যুদ্ধ কত সালে সংঘটিত হয়?
Created: 2 days ago
A
১৭৫৩ সালে
B
১৭৫৯ সালে
C
১৭৬২ সালে
D
১৭৬৪ সালে
বক্সারের যুদ্ধ ছিল নবাব মীর কাসিম ও তাঁর মিত্রশক্তির সঙ্গে ইংরেজদের মধ্যে সংঘটিত একটি গুরুত্বপূর্ণ যুদ্ধ। এটি পলাশীর যুদ্ধের পর, ১৭৬৪ সালে বিহারের বক্সার স্থানে সংঘটিত হয়। যুদ্ধের সময় ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির বাহিনী মেজর হেক্টর মুনরোর নেতৃত্বে এবং মীর কাসিম, মুঘল সম্রাট দ্বিতীয় শাহ আলম, ও অযোধ্যার নবাব সুজাউদ্দৌলা-এর সম্মিলিত সেনাবাহিনীর মধ্যে সংঘর্ষ হয়।
-
যুদ্ধটি সংঘটিত হয় ১৭৬৪ সালের ২২ অক্টোবর।
-
এই যুদ্ধে ইংরেজরা জয়লাভ করে।
-
যুদ্ধের পর দ্বিতীয় শাহ আলম পুনরায় ইংরেজ শিবিরে আশ্রয় নেন।
-
নবাব সুজাউদ্দৌলা রোহিলাখন্ডে পালিয়ে যান এবং অযোধ্যা ইংরেজ বাহিনীর অধীনে চলে আসে।
-
নবাব মীর কাসিম নিরুদ্দেশ হন এবং এরপর তাঁর সম্পর্কে আর কিছু জানা যায়নি।
-
বক্সারের যুদ্ধ ছিল একটি চূড়ান্ত যুদ্ধ, যা বাংলাকে সম্পূর্ণভাবে ইংরেজ কোম্পানির শাসনের অধীনে নিয়ে আসে।
উৎস:

0
Updated: 2 days ago