২০২৪ সালের জুলাই গণঅভ্যুত্থানে প্রথম নারী শহীদ কে?
A
শারমিন আক্তার
B
নাঈমা সুলতানা
C
তানজিলা নাযিয়া
D
তহমিনা রহমান
উত্তরের বিবরণ
বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক সংগ্রামের ইতিহাসে জুলাই গণঅভ্যুত্থান এক রক্তাক্ত অধ্যায়। এই আন্দোলনে নারীরাও জীবন উৎসর্গ করেছেন, যা সংগ্রামের ইতিহাসে এক অনন্য দৃষ্টান্ত হয়ে আছে।
-
জুলাই শহীদের তালিকায় মোট ৮৪৪ জনের নাম সরকার গেজেট আকারে প্রকাশ করেছে।
-
এর মধ্যে ৬ থেকে ৬০ বছর বয়সী ১০ জন নারী শহীদের নাম অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
-
শহীদ নারী ১০ জনের মধ্যে ৭ জন ঢাকায়, ২ জন নারায়ণগঞ্জে এবং ১ জন সাভারে পুলিশের গুলিতে প্রাণ হারান।
-
প্রথম নারী শহীদ ছিলেন নাঈমা সুলতানা।
-
তিনি ২০২৪ সালের ১৯ জুলাই, রাজধানীর উত্তরার নিজ বাসার বারান্দায় গুলিবিদ্ধ হয়ে শহীদ হন।
0
Updated: 1 month ago
তমদ্দুন মজলিস গঠিত হয় কার নেতৃত্বে?
Created: 1 month ago
A
কামুদ্দিন আহমেদ
B
আবদুল মতিন
C
অধ্যাপক আবুল কাশেম
D
ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ
বাংলা ভাষার মর্যাদা রক্ষা ও বাঙালির জাতীয় চেতনা প্রতিষ্ঠার ইতিহাসে ভাষা আন্দোলনের পটভূমি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এটি ১৯৪৭ সালের পাকিস্তান রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠার সঙ্গে সরাসরি সম্পর্কিত।
-
১৯৪৭ সালের ১৪ আগস্ট, ভারত উপমহাদেশ বিভক্ত হয়ে ভারত ও পাকিস্তান সৃষ্টি হয়।
-
তৎকালীন পূর্ববঙ্গ পাকিস্তানের অংশে পরিণত হয়।
-
নতুন রাষ্ট্র পাকিস্তানের শাসকগোষ্ঠী প্রথমেই বাংলা ভাষার ওপর আঘাত হানেন, যা বাঙালিকে শোষণের কৌশল হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
-
পাকিস্তান রাষ্ট্র সৃষ্টির পূর্বেই রাষ্ট্রভাষা কী হবে তা নিয়ে প্রশ্ন দেখা দেয়।
-
সেই সময় মুসলিম লীগের প্রভাবশালী নেতারা উর্দুকে পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা করার পক্ষে মতামত দেন।
-
তখনই আবদুল হক ও ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহসহ বাংলার বুদ্ধিজীবী, শিক্ষার্থী ও লেখকরা প্রতিবাদ করেন।
-
অধ্যাপক আবুল কাশেমের নেতৃত্বে ভাষা আন্দোলনের প্রথম সংগঠন ‘তমদ্দুন মজলিস’ গঠিত হয়।
-
তমদ্দুন মজলিস ভাষা আন্দোলনের প্রথম পুস্তিকা প্রকাশ করে, যা আন্দোলনের মূল ভাবনা প্রচারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
0
Updated: 1 month ago
বর্তমানে দেশের চাহিদার কত শতাংশ ঔষধ দেশে উৎপাদিত হয়? [সেপ্টেম্বর, ২০২৫]
Created: 1 month ago
A
৫৭ শতাংশ
B
৬৬ শতাংশ
C
৮৭ শতাংশ
D
৯৮ শতাংশ
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) সেন্সাস উইং দশকভিত্তিক তিন ধরনের শুমারি পরিচালনার দায়িত্বে থাকে, যা হলো: জনশুমারি ও গৃহগণনা, কৃষি শুমারি, এবং অর্থনৈতিক শুমারি। স্বাধীনতার পর দেশের প্রথম জনশুমারি ও গৃহগণনা পরিচালিত হয় ১৯৭৪ সালে, প্রথম কৃষি শুমারি হয় ১৯৭৭ সালে, এবং প্রথম অর্থনৈতিক শুমারি অনুষ্ঠিত হয় ১৯৮৬ সালে।
১৯৮৬ সালের এই প্রথম অর্থনৈতিক শুমারির শিরোনাম ছিল ‘Census on Non-Farm Economic Activities and Disabled Persons’। এটি ২৭ থেকে ২৯ ডিসেম্বর দেশজুড়ে সম্পন্ন হয়। শুমারিতে যেসব প্রতিষ্ঠান ও খানা অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে যুক্ত ছিল, তাদের অন্তর্ভুক্ত করা হয়, তবে কৃষি খানা এতে অন্তর্ভুক্ত ছিল না।
পরবর্তী অর্থনৈতিক শুমারি গুলো হলো: দ্বিতীয় শুমারি ২০০১ (শহর) ও ২০০৩ (পল্লী), তৃতীয় শুমারি ২০১৩, এবং চতুর্থ শুমারি ২০২৪।
অর্থনৈতিক শুমারি হলো নির্দিষ্ট সময়ে, নির্দিষ্ট অর্থনৈতিক বৈশিষ্ট্যের ভিত্তিতে একটি দেশের সকল অর্থনৈতিক ইউনিটের পূর্ণাঙ্গ গণনা। এর মূল উদ্দেশ্য হলো দেশের অর্থনীতিতে সময়ের বিবর্তনে যে কাঠামোগত পরিবর্তন ঘটে তা পর্যবেক্ষণ করা এবং কৃষি বহির্ভূত অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের তথ্য সংগ্রহ করা। পরিসংখ্যান আইন ২০১৩ অনুযায়ী, বিবিএস এই শুমারি সংক্রান্ত কার্যক্রম পরিচালনা করে।
0
Updated: 1 month ago
জাতিপুঞ্জের উদ্যোক্তা হয়েও সদস্য ছিল না -
Created: 1 month ago
A
যুক্তরাষ্ট্র
B
ফ্রান্স
C
জাপান
D
জার্মানি
লীগ অব নেশনস প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পরে বিশ্বে স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্যে।
-
গঠিত: ১৯২০ সালের ১০ জানুয়ারি, প্যারিস শান্তি সম্মেলনে
-
প্রধান উদ্যোক্তা: মার্কিন প্রেসিডেন্ট উড্রো উইলসন
-
সদর দপ্তর: জেনেভা, সুইজারল্যান্ড
-
সদস্য রাষ্ট্র সংখ্যা: ৬৩টি
-
উদ্দেশ্য:
-
সদস্য রাষ্ট্রের রাজনৈতিক সীমানা অক্ষুণ্ণ রাখা
-
একে অপরকে আক্রমণ করতে নিরুৎসাহিত করা
-
কোনো সদস্য রাষ্ট্রকে আক্রমণ করলে সমবেতভাবে সহায়তা করা
-
সংখ্যালঘু সমস্যা ও ম্যান্ডেট বিষয়ে আলোচনার মাধ্যমে সমাধান
-
যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকা ও অবস্থান:
-
যুক্তরাষ্ট্র লীগ অব নেশনসের প্রধান উদ্যোক্তা, তবে কখনো সদস্য হয়নি
-
১৯১৯ সালে ভার্সাই চুক্তি স্বাক্ষরের পর যুক্তরাষ্ট্রের সিনেট এটি প্রত্যাখ্যান করে
-
প্রধান কারণ: যুক্তরাষ্ট্রের নীতি ছিল বাইরের রাষ্ট্রগুলোর বিষয়ে হস্তক্ষেপ না করা, যা আন্তর্জাতিক সংস্থার অংশ হওয়ার সাথে সাংঘর্ষিক ছিল
-
পরবর্তীতে, ১৯৪৫ সালে জাতিসংঘ প্রতিষ্ঠার সময় যুক্তরাষ্ট্র প্রতিষ্ঠাতা সদস্য হিসেবে যোগ দেয়
অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ তথ্য:
-
ফ্রান্স, জাপান, জার্মানি লীগ অব নেশনসের সদস্য ছিল
-
লীগ অব নেশনস বিলুপ্ত হয় ২০ এপ্রিল, ১৯৪৬ (জাতিসংঘের ওয়েবসাইট অনুসারে, ব্রিটানিকার মতে ১৯ এপ্রিল)
0
Updated: 1 month ago