জুলাই গণঅভ্যুত্থানে সরকারী গেজেটেড ভুক্ত শহিদের সংখ্যা কত?[ আগস্ট, ২০২৫]
A
৮৩৪ জন
B
৮২০ জন
C
৮৪৪ জন
D
৯৫০ জন
উত্তরের বিবরণ
জুলাই শহিদ:
- জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদদের তালিকায় আরও ১০ জনের নাম অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
- সরকারি গেজেট অনুযায়ী, এই গণঅভ্যুত্থানে শহীদের সংখ্যা ৮৪৪।
- এর আগে, চলতি বছরের ১৫ জানুয়ারি জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদদের তালিকায় ৮৩৪ জন শহীদের গেজেট প্রকাশ করা হয়।
উল্লেখ্য,
- জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদের পরিবারকে এককালীন ৩০ লাখ টাকা আর্থিক সহযোগিতা ছাড়াও পরিবারের সদস্যদের পুনর্বাসনে বিভিন্ন কর্মসূচি নিচ্ছে সরকার।

0
Updated: 1 day ago
বাংলাদেশে কত সালে জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল প্রণয়ন করা হয়?
Created: 2 weeks ago
A
২০১০ সালে
B
২০১২ সালে
C
২০০৯ সালে
D
২০১৬ সালে
জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল (National Integrity Strategy):
-
বাংলাদেশ সরকার ২০১২ সালে দুর্নীতি দমন ও সুশাসন প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্যে এই কৌশল প্রণয়ন করে।
-
কৌশলে রাষ্ট্রীয় ও অরাষ্ট্রীয় পর্যায়ের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও অংশীদারের শুদ্ধাচার প্রতিষ্ঠায় ভূমিকা সংজ্ঞায়িত করা হয়েছে।
-
শুদ্ধাচার বলতে বোঝানো হয়েছে নৈতিকতা ও সততার দ্বারা প্রভাবিত আচরণগত উৎকর্ষতা।
উৎস: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ ওয়েবসাইট।

0
Updated: 2 weeks ago
চৌসার যুদ্ধ কাদের মধ্যে সংঘটিত হয়েছিল?
Created: 2 days ago
A
শের খান ও বাবর
B
হুমায়ুন ও শের খান
C
শের শাহ ও আকবর
D
হুমায়ুন ও জাহাঙ্গীর
চৌসার যুদ্ধ ১৫৩৯ সালের ২৬ জুন বিহারের চৌসাতে সংঘটিত হয়, যেখানে মুঘল সম্রাট হুমায়ুন এবং আফগান নেতা শের খান (পরে শের শাহ সূরি) এর মধ্যে সংঘর্ষ ঘটে। এই যুদ্ধের ফলাফল এবং তাৎপর্যপূর্ণ ঘটনা নিম্নরূপ:
-
শের খান বিজয়ী হন এবং সম্রাট হুমায়ুনকে পালিয়ে যেতে বাধ্য করা হয়।
-
এর ফলে মুঘল শাসনের পতন শুরু হয় এবং সূরি বংশের উত্থান ঘটে।
-
সম্রাট হুমায়ুন গৌড় পরিত্যাগ করার পূর্বে জাহাঙ্গীর কুলী বেগকে বাংলার শাসনভার অর্পণ করেন।
-
হুমায়ুন তাঁর বিশাল সৈন্যবাহিনী নিয়ে আগ্রা অভিমুখে যাত্রা শুরু করেন, কিন্তু বক্সারের নিকটবর্তী চৌসায় শের খান ও তাঁর আফগান অনুচররা প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে।
-
১৫৩৯ খ্রিস্টাব্দের ২৬ জুন চৌসায় দুইপক্ষের মধ্যে তীব্র যুদ্ধ সংঘটিত হয়।
-
এই যুদ্ধ ভারতীয় উপমহাদেশের ইতিহাসে চৌসার যুদ্ধ নামে পরিচিত।
-
হুমায়ুন শোচনীয়ভাবে পরাজিত হন।
-
শের খানের জয়লাভের ফলে তাঁর রাজ্য পশ্চিমে কনৌজ থেকে পূর্বে আসাম ও চট্টগ্রাম এবং উত্তর থেকে দক্ষিণে বীরভূম পর্যন্ত বিস্তৃত হয়।
-
শেরখান পরে শেরশাহ উপাধি গ্রহণ করেন, নিজ নামে মুদ্রা প্রচলন এবং পাঠের নির্দেশ প্রদান করেন।
-
এই যুদ্ধে হুমায়ুনের পরাজয় মুঘলদের সামরিক ও কূটনৈতিক দুর্বলতা প্রকাশ করে।
উৎস:

0
Updated: 2 days ago
মারমাদের সবচেয়ে বড় উৎসবের নাম -
Created: 5 days ago
A
রাশ
B
বিজু
C
বাইশু
D
সাংগ্রাই
মারমা জনগোষ্ঠীর সবচেয়ে বড় উৎসব হলো সাংগ্রাই, যা মূলত তাদের বর্ষবরণ উৎসব। এটি শুধু একটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান নয়, বরং তাদের সামাজিক ঐতিহ্য ও পারস্পরিক সম্প্রীতির গুরুত্বপূর্ণ প্রকাশ।
মারমা ও সাংগ্রাই উৎসব সম্পর্কিত প্রধান তথ্যগুলো হলো:
-
মারমা জনগোষ্ঠী বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম আদিবাসী সম্প্রদায়।
-
তাদের বসবাসের মূল এলাকা হলো রাঙ্গামাটি, বান্দরবান ও খাগড়াছড়ি — এই তিন পার্বত্য জেলা।
-
তারা মঙ্গোলয়েড বর্ণগোষ্ঠীর অন্তর্গত এবং তাদের নিজস্ব ভাষা রয়েছে, যা ভোট বর্মী শাখার বর্মী দলভুক্ত।
-
মারমা সম্প্রদায়ের মধ্যে তিন স্তরের প্রথাগত প্রশাসনিক ব্যবস্থা বিদ্যমান:
-
গ্রাম পর্যায়ের প্রধানের পদবী কারবারি,
-
মৌজা পর্যায়ের প্রধান হেডম্যান,
-
সার্কেলের প্রধান রাজা।
-
-
মারমাদের বর্ষবরণ উৎসবের নাম সাংগ্রাই, যা এসেছে ‘সাক্রাই’ শব্দ থেকে, যার অর্থ ‘সংক্রান্তি’।
-
সাধারণত বছরের শেষ দুই দিন এবং নতুন বছরের প্রথম দিন এ উৎসব পালিত হয়।
-
সাংগ্রাইয়ের মূল আকর্ষণ হলো ‘পানিখেলা’ বা জলোৎসব, যেখানে নৌকা বা বড় পাত্রে পানি রেখে অংশগ্রহণকারীরা একে অপরকে পানি ছিটিয়ে আনন্দ করে।
পাহাড়ি জনগোষ্ঠীর মধ্যে বর্ষবরণ উৎসবের আলাদা আলাদা নাম থাকলেও, এই তিন বড় নৃগোষ্ঠীর উৎসবকে একত্রে বৈসাবি বলা হয়।
-
ত্রিপুরাদের বর্ষবরণ উৎসব: বৈসুখ/বৈসু/বাইশু
-
মারমাদের বর্ষবরণ উৎসব: সাংগ্রাই
-
চাকমাদের বর্ষবরণ উৎসব: বিজু
এই তিনটি উৎসব একত্রে বৈসাবি নামে পরিচিত। সাধারণত বছরের শেষ দুই দিন ও নতুন বছরের প্রথম দিন বান্দরবান, রাঙ্গামাটি ও খাগড়াছড়ি জেলায় উৎসবটি পালিত হয়।
অন্যদিকে, মণিপুরিদের প্রধান উৎসব হলো রাস, যা শরতের পূর্ণিমায় অনুষ্ঠিত হয়।

0
Updated: 5 days ago