জুলাই গণঅভ্যুত্থানে সরকারী গেজেটেড ভুক্ত শহিদের সংখ্যা কত?[ আগস্ট, ২০২৫]
A
৮৩৪ জন
B
৮২০ জন
C
৮৪৪ জন
D
৯৫০ জন
উত্তরের বিবরণ
বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক আন্দোলনের ইতিহাসে জুলাই গণঅভ্যুত্থান একটি উল্লেখযোগ্য ঘটনা। এই আন্দোলনে অসংখ্য মানুষ প্রাণ দিয়েছিলেন, যাদের স্মরণে সরকার আনুষ্ঠানিকভাবে শহীদদের তালিকা প্রকাশ করে আসছে।
-
জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদদের তালিকায় সম্প্রতি আরও ১০ জনের নাম অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
-
সরকারি গেজেট অনুযায়ী, এই গণঅভ্যুত্থানে শহীদের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৮৪৪ জন।
-
এর আগে চলতি বছরের ১৫ জানুয়ারি প্রকাশিত গেজেটে শহীদের সংখ্যা ছিল ৮৩৪ জন।
-
সরকার শহীদ পরিবারকে এককালীন ৩০ লাখ টাকা আর্থিক সহযোগিতা প্রদান করছে।
-
এছাড়াও পরিবারের সদস্যদের পুনর্বাসনের জন্য বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে।
0
Updated: 1 month ago
কত সালে বিখ্যাত 'মারি চুক্তি' সম্পাদিত হয়েছিল?
Created: 1 month ago
A
১৯৫৪ সালে
B
১৯৫৫ সালে
C
১৯৫৬ সালে
D
১৯৫৭ সালে
মারি চুক্তি হলো ১৯৫৫ সালে সম্পাদিত একটি গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক আপোস চুক্তি, যা পাকিস্তানের সংবিধান রচনার সংকট সমাধানে দ্বিতীয় গণপরিষদের অধিবেশনে করা হয়।
-
প্রেক্ষাপট: স্বাধীন পাকিস্তানের প্রথম গণপরিষদ সংবিধান রচনায় ব্যর্থ হওয়ার পর দ্বিতীয় গণপরিষদ ৭ জুলাই ১৯৫৫ সালে মারিতে প্রথম অধিবেশনে মিলিত হয়।
-
চুক্তি সম্পাদনকারীগণ: এ.কে. ফজলুল হক, হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী, প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী, চৌধুরী মোহাম্মদ আলী, আতাউর রহমান খান ও মোস্তাক হোসেন গুরমানী।
-
চুক্তির মূল বিষয়বস্তু:
১. পাকিস্তানে দুটি প্রদেশ থাকবে: পূর্ব পাকিস্তান (পূর্ব বাংলার নাম পরিবর্তন) এবং পশ্চিম পাকিস্তান (পশ্চিম পাকিস্তানের সকল প্রদেশ একত্রিত করে)।
২. উভয় প্রদেশে পূর্ণ আঞ্চলিক স্বায়ত্তশাসন প্রদান করা হবে।
৩. উভয় প্রদেশে সংখ্যাসাম্য নীতি (Principle of Parity) কার্যকর করা হবে।
৪. যুক্ত নির্বাচন ব্যবস্থা কার্যকর হবে।
৫. বাংলা ও উর্দু উভয়ই রাষ্ট্রভাষা হবে। -
চুক্তির পরবর্তী প্রভাব:
-
১৯৫৫ সালের ১১ আগস্ট চৌধুরী মোহাম্মদ আলী প্রধানমন্ত্রী হন।
-
মন্ত্রিপরিষদের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য ছিলেন এ.কে. ফজলুল হক, আর হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী ছিলেন বিরোধী দলের নেতা।
-
১৯৫৫ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর, পশ্চিম পাকিস্তানের সকল প্রদেশ একত্রিত করে একটি প্রদেশ গঠন করা হয়।
-
১৯৫৬ সালের ৮ জানুয়ারি দ্বিতীয় গণপরিষদে ‘পাকিস্তান ইসলামি প্রজাতন্ত্র’ বিল উত্থাপন করা হয়।
-
২ মার্চ, গভর্নর জেনারেল বিলে সম্মতি দিলে সংবিধান বলবৎ হয়।
-
0
Updated: 1 month ago
২০২৪-২৫ অর্থবছরে দেশে মোট কত মার্কিন ডলারের পণ্য আমদানি হয়েছে?
Created: 1 month ago
A
৫৪ বিলিয়ন ডলার
B
৬১ বিলিয়ন ডলার
C
৬৭ বিলিয়ন ডলার
D
৭১ বিলিয়ন ডলার
দেশে আমদানি:
- ২০২৪-২৫ অর্থবছরে দেশে মোট ৬১ বিলিয়ন বা ৬ হাজার ১০০ কোটি মার্কিন ডলারের পণ্য আমদানি হয়েছে।
- সব মিলিয়ে সোয়া ১৪ কোটি টন পণ্য আমদানি হয়েছে।
- এনবিআরের তথ্যভান্ডার অনুযায়ী, ২০২৪-২৫ অর্থবছরে রপ্তানিমুখী শিল্পের কাঁচামাল, দেশীয় শিল্পের কাঁচামাল, মূলধনি যন্ত্রপাতিসহ দেশে প্রচুর পরিমাণে ব্যবহৃত হয়, এ রকম অনেক পণ্য আমদানি হয়েছে।
উল্লেখ্য,
- ২০২৩-২৪ অর্থবছরে আমদানি হয়েছিল ৬ হাজার ৫১৪ কোটি ডলারের পণ্য।
0
Updated: 1 month ago
রাখাইন জনগোষ্ঠী প্রধানত কোথায় বসবাস করে?
Created: 1 month ago
A
কক্সবাজার, পটুয়াখালী, বরগুনা
B
সিলেট, সুনামগঞ্জ, নেত্রকোণা
C
রংপুর, দিনাজপুর, লালমনিরহাট
D
খুলনা, যশোর, মাগুরা
রাখাইন হলো বাংলাদেশ ও মায়ানমারের একটি গুরুত্বপূর্ণ জনগোষ্ঠী, যাদের ইতিহাস, ভাষা ও সংস্কৃতি স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্যে সমৃদ্ধ। তারা মূলত উপকূলীয় অঞ্চলে বসতি স্থাপন করেছে এবং বর্তমানে বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলায় ছড়িয়ে রয়েছে।
-
রাখাইন জনগোষ্ঠী বাংলাদেশ ও মায়ানমারের একটি জনগোষ্ঠীর নাম।
-
তারা মগ নামেও পরিচিত।
-
আঠারো শতকের শেষে আরাকান থেকে তারা বাংলাদেশে এসে কক্সবাজার ও পটুয়াখালীতে বসতি স্থাপন করে।
-
বর্তমানে রাখাইন সম্প্রদায়ের প্রধান বসবাস কক্সবাজার, পটুয়াখালী ও বরগুনা জেলায়।
-
এছাড়া রাঙামাটি, বান্দরবান ও খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলায়ও ছড়িয়ে-ছিটিয়ে তাদের বসতি রয়েছে।
-
চট্টগ্রামের সাতকানিয়া উপজেলায়ও রাখাইন জনগোষ্ঠীর বসতি রয়েছে।
-
‘রাখাইন’ শব্দটির উৎস পলি ভাষা।
-
ঐতিহাসিক তথ্যানুসারে, ১৭৮৪ সালে উপকূলীয় জেলা কক্সবাজার ও পটুয়াখালীতে রাখাইনদের আগমন ঘটে।
উৎস:
0
Updated: 1 month ago