বায়ান্নের ভাষা আন্দোলনের সময় পূর্ব বাংলার গভর্নর ছিলেন কে?
A
টিক্কা খান
B
খাজা নাজিমুদ্দিন
C
ফিরোজ খান নুন
D
মোঃ নূরুল আমীন
উত্তরের বিবরণ
বাংলা ভাষার মর্যাদা প্রতিষ্ঠার জন্য ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন ছিল এক ঐতিহাসিক সংগ্রাম। এই আন্দোলনের পেছনে রাজনৈতিক নেতাদের বক্তব্য ও সরকারের অবস্থান বড় ধরনের প্রভাব ফেলেছিল। বিশেষ করে খাজা নাজিমুদ্দিন ও গভর্নর ফিরোজ খান নুনের ভূমিকা আন্দোলনকে আরও তীব্র করে তোলে।
-
ভাষা আন্দোলনের সময় পূর্ব বাংলার গভর্নর ছিলেন ফিরোজ খান নুন।
-
১৯৫২ সালের জানুয়ারির শেষ দিকে খাজা নাজিমুদ্দিনের একটি উক্তিকে কেন্দ্র করে ভাষা আন্দোলন নতুন করে জোরদার হয়।
-
২৭ জানুয়ারি নাজিমুদ্দিন ঘোষণা দেন— “পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা হবে উর্দু।”
-
২২ ফেব্রুয়ারি পূর্ববাংলা আইন পরিষদের অধিবেশনে পুনরায় ভাষা প্রশ্নে তীব্র বিতর্ক সৃষ্টি হয়।
-
অধিবেশনের সরকারি কর্মকাণ্ডের কঠোর সমালোচনা করা হয়।
-
পরিস্থিতি বিবেচনা করে সরকারি দল রাষ্ট্রভাষা বাংলা সংক্রান্ত একটি প্রস্তাব উত্থাপন করে।
-
তবে এই বিলের ওপর এক সংশোধনী প্রস্তাবে বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা করার জন্য কেন্দ্রের নিকট সুপারিশ করা হয়।
-
এর পর বিধানসভা ২৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত মুলতবি করা হয়।
-
কিন্তু গভর্নর ফিরোজ খান নুনের অবস্থান আন্দোলনকারীদের দাবির প্রতি সহানুভূতিশীল ছিল না, বরং তা আন্দোলনকে আরও বেগবান করে।
0
Updated: 1 month ago
২০২৪-২৫ অর্থবছরে দেশে মোট কত মার্কিন ডলারের পণ্য আমদানি হয়েছে?
Created: 1 month ago
A
৫৪ বিলিয়ন ডলার
B
৬১ বিলিয়ন ডলার
C
৬৭ বিলিয়ন ডলার
D
৭১ বিলিয়ন ডলার
দেশে আমদানি:
- ২০২৪-২৫ অর্থবছরে দেশে মোট ৬১ বিলিয়ন বা ৬ হাজার ১০০ কোটি মার্কিন ডলারের পণ্য আমদানি হয়েছে।
- সব মিলিয়ে সোয়া ১৪ কোটি টন পণ্য আমদানি হয়েছে।
- এনবিআরের তথ্যভান্ডার অনুযায়ী, ২০২৪-২৫ অর্থবছরে রপ্তানিমুখী শিল্পের কাঁচামাল, দেশীয় শিল্পের কাঁচামাল, মূলধনি যন্ত্রপাতিসহ দেশে প্রচুর পরিমাণে ব্যবহৃত হয়, এ রকম অনেক পণ্য আমদানি হয়েছে।
উল্লেখ্য,
- ২০২৩-২৪ অর্থবছরে আমদানি হয়েছিল ৬ হাজার ৫১৪ কোটি ডলারের পণ্য।
0
Updated: 1 month ago
সংবিধানের কোন ভাগে রাষ্ট্র পরিচালনার মূলনীতি বর্ণিত আছে?
Created: 1 month ago
A
প্রথম ভাগ
B
দ্বিতীয় ভাগ
C
তৃতীয় ভাগ
D
চতুর্থ ভাগ
বাংলাদেশের সংবিধান হলো গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের প্রধান আইন ও রাষ্ট্র পরিচালনার কাঠামো নির্ধারণকারী দলিল। এটি ১৯৭২ সালের ৪ নভেম্বর গণপরিষদে গৃহীত হয় এবং ১৬ ডিসেম্বর ১৯৭২ সালে কার্যকর হয়। সংবিধান মোট ১১টি ভাগ এবং ১৫৩টি অনুচ্ছেদ নিয়ে গঠিত।
-
সংবিধানের দ্বিতীয় ভাগে রাষ্ট্র পরিচালনার মূলনীতি বর্ণিত হয়েছে, যেখানে সমাজতন্ত্র, গণতন্ত্র, ধর্মনিরপেক্ষতা ও জাতীয়তাবাদসহ অন্যান্য মৌলিক দিক নির্দেশনা অন্তর্ভুক্ত।
সংবিধানের ভাগসমূহ:
-
প্রথম ভাগ: প্রজাতন্ত্র
-
দ্বিতীয় ভাগ: রাষ্ট্র পরিচালনার মূলনীতি
-
তৃতীয় ভাগ: মৌলিক অধিকার
-
চতুর্থ ভাগ: নির্বাহী বিভাগ
-
পঞ্চম ভাগ: আইনসভা
-
ষষ্ঠ ভাগ: বিচার বিভাগ
-
সপ্তম ভাগ: নির্বাচন
-
অষ্টম ভাগ: মহা হিসাব-নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক
-
নবম ভাগ: বাংলাদেশের কর্মবিভাগ
-
দশম ভাগ: সংবিধান-সংশোধন
-
একাদশ ভাগ: বিবিধ
0
Updated: 1 month ago
জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের প্রধান কে?
Created: 1 month ago
A
অধ্যাপক আলী রিয়াজ
B
আব্দুল মুয়ীদ চৌধুরী
C
সফর রাজ হোসেন
D
ড. ইফতেখারুজ্জামান
জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন বাংলাদেশের জনপ্রশাসন ব্যবস্থার দক্ষতা, জবাবদিহিতা ও জনমুখী কর্মকাণ্ড নিশ্চিত করার জন্য গঠিত একটি গুরুত্বপূর্ণ সংস্থা।
-
২০২৪ সালের ৩ অক্টোবর আট সদস্য নিয়ে কমিশনটি গঠন করা হয়। পরে সদস্যসংখ্যা তিনজন বৃদ্ধি করা হয়।
-
কমিশনের প্রধান হলেন আব্দুল মুয়ীদ চৌধুরী, যিনি বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের চেয়ারম্যান এবং সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা।
-
এ কমিশনের উদ্দেশ্য হলো দক্ষ, নিরপেক্ষ এবং জবাবদিহিমূলক জনপ্রশাসন ব্যবস্থা নিশ্চিত করা।
-
৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, দুপুর ১২টায় প্রধান উপদেষ্টার কাছে কমিশনের চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়।
অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ সংস্কার কমিশন ও প্রধান কমিশনাররা:
-
নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশন – ড. বদিউল আলম মজুমদার
-
পুলিশ প্রশাসন সংস্কার কমিশন – সফর রাজ হোসেন
-
বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশন – বিচারপতি শাহ আবু নাঈম মমিনুর রহমান
-
দুর্নীতি দমন সংস্কার কমিশন – ড. ইফতেখারুজ্জামান
-
সংবিধান সংস্কার কমিশন – অধ্যাপক আলী রিয়াজ
উৎস:
0
Updated: 1 month ago