নব্বইয়ের স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে শহীদ হন কে?
A
শহিদ জামিল
B
শহিদ নূর হোসেন
C
শহিদ আসাদ
D
শহিদ মোস্তফা
উত্তরের বিবরণ
নব্বইয়ের স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলন বাংলাদেশে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ আন্দোলন।
-
জেনারেল এরশাদের শাসনকাল ছিল ৯ বছর।
-
১৯৯০ সালে, উত্তাল ও রক্তাক্ত সপ্তাহে সেনাবাহিনী ও পুলিশের হাতে ৭০ জনের বেশি মানুষ নিহত হন।
-
নূর হোসেন এই আন্দোলনের একজন শহিদ।
-
নূর হোসেনের শহিদত্বের তিন বছর আগে ১৯৮৭ সালে এক গণআন্দোলন কঠোরভাবে দমন করা হয়।
-
১৯৮৭ সালের ১০ নভেম্বর, গণতন্ত্রের দাবিতে বুকে-পিঠে শ্লোগান লিখে রাস্তায় নামা নূর হোসেন পুলিশের গুলিতে শহিদ হন।
-
তাঁর লেখা শ্লোগান ছিল:
-
বুকে: "স্বৈরাচার নীপাত যাক"
-
পিঠে: "গণতন্ত্র মুক্তি পাক"
-
-
১৯৯০ সালের ৬ ডিসেম্বর, তীব্র গণআন্দোলনের ফলে জেনারেল এরশাদের ৯ বছরের শাসন শেষ হয়।
0
Updated: 1 month ago
ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (TIB) কবে প্রতিষ্ঠিত হয়?
Created: 1 month ago
A
১৯৯৪
B
১৯৯৫
C
১৯৯৬
D
১৯৯৮
Transparency International Bangladesh (TIB)
-
প্রতিষ্ঠা: ১৯৯৬ সালে।
-
ধরণ: সুশীল সমাজের অংশ, নির্দলীয়, অলাভজনক ও স্বাধীন সংস্থা।
-
প্রাথমিক অবস্থা: শুরুতে একটি ট্রাস্ট হিসেবে গঠিত।
-
নিবন্ধন: ১৯৯৮ সালে বাংলাদেশ সরকারের এনজিও বিষয়ক ব্যুরোতে নিবন্ধিত বেসরকারি সংস্থা (NGO) হিসেবে।
-
উদ্দেশ্য:
-
সরকার, রাজনীতি, ব্যবসা, নাগরিক সমাজ ও দৈনন্দিন জীবনের সকল ক্ষেত্র থেকে দুর্নীতি নির্মূল করা।
-
দুর্নীতিমুক্ত বাংলাদেশ কল্পনা করা।
-
সচেতনতা বৃদ্ধি, সততা বৃদ্ধির মাধ্যমে নীতিগত পরিবর্তনের চেষ্টা।
-
নাগরিকদের দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই করতে, পদক্ষেপ নিতে এবং সুশাসন ও স্বচ্ছতার জন্য সরকারের জবাবদিহি নিশ্চিত করা।
-
-
পদ্ধতি: গবেষণা, তথ্য প্রকাশ, অ্যাডভোকেসি, এবং নাগরিক সম্পৃক্ততা ব্যবহার করে।
0
Updated: 1 month ago
‘গণতন্ত্র ও মানবাধিকার’ সম্পর্কে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের কোন অনুচ্ছেদে আলোকপাত করা হয়েছে?
Created: 1 month ago
A
১১ নং
B
১৭ নং
C
১৮ নং
D
২১ নং
বাংলাদেশের সংবিধানে গণতন্ত্র ও মানবাধিকারকে বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে সংরক্ষণ করা হয়েছে। সংবিধানের ১১ নং অনুচ্ছেদে এর বিস্তারিত বিধান রয়েছে।
-
সংবিধানের ১১ অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে যে প্রজাতন্ত্র হবে একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র, যেখানে মৌলিক মানবাধিকার ও স্বাধীনতার নিশ্চয়তা থাকবে।
-
এখানে মানবসত্তার মর্যাদা ও মূল্যের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ নিশ্চিত করা হবে এবং প্রশাসনের সকল পর্যায়ে নির্বাচিত প্রতিনিধিদের মাধ্যমে জনগণের কার্যকর অংশগ্রহণ নিশ্চিত হবে।
-
প্রাপ্তবয়স্ক নাগরিকদের সর্বজনীন ভোটাধিকারের মাধ্যমে সরকার নির্বাচিত হবে।
-
সমাজজীবনে সর্বপ্রকার বৈষম্য দূরীকরণ করা হবে এবং নাগরিকদের মৌলিক মানবিক অধিকার ও ব্যক্তি স্বাধীনতার নিশ্চয়তা প্রদান করা হবে।
অন্যদিকে, সংবিধানের ১৭ নং অনুচ্ছেদে অবৈতনিক ও বাধ্যতামূলক শিক্ষার বিষয়ে বিধান রাখা হয়েছে।
উৎস:
0
Updated: 1 month ago
বাংলাদেশের সংবিধানের বৈশিষ্ট্য হচ্ছে -
Created: 1 month ago
A
লিখিত ও সুপরিবর্তনীয়
B
অলিখিত ও সুপরিবর্তনীয়
C
লিখিত ও দুষ্পরিবর্তনীয়
D
অলিখিত ও দুষ্পরিবর্তনীয়
বাংলাদেশের সংবিধান একটি লিখিত ও দুষ্পরিবর্তনীয় দলিল, যা দেশের রাষ্ট্রব্যবস্থা, নাগরিক অধিকার ও সরকারি কাঠামো নির্ধারণ করে। এর মূল কাঠামো পরিবর্তন করা কঠিন এবং সময়সাপেক্ষ।
প্রধান তথ্যগুলো হলো:
-
সংবিধান গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের, যা কার্যকর হয় ১৬ ডিসেম্বর ১৯৭২।
-
সংবিধানে মোট ১৫৩টি অনুচ্ছেদ রয়েছে।
-
সংবিধানের ভাগ বা অধ্যায়ের সংখ্যা: ১১টি।
-
সংবিধানের মূলনীতি সংখ্যা: ৪টি।
-
সংবিধান দুষ্পরিবর্তনীয়, অর্থাৎ এর পরিবর্তন সহজ নয়।
-
সংবিধান দেশের রাষ্ট্রীয় কাঠামো ও নাগরিক অধিকার সংরক্ষণ করে।
উল্লেখযোগ্য: বাংলাদেশের সংবিধানের প্রকৃতি হলো লিখিত ও দুষ্পরিবর্তনীয়।
0
Updated: 1 month ago