ল্যান্স নায়েক নূর মোহাম্মদ শেখ কত নং সেক্টরে যুদ্ধ করেন?
A
৪নং
B
৮নং
C
৭নং
D
২নং
উত্তরের বিবরণ
মুক্তিযুদ্ধের সময় বাংলাদেশের সেক্টরগুলোতে দায়িত্ব পালনকারী কিছু গুরুত্বপূর্ণ যোদ্ধা:
-
১নং সেক্টর: ল্যান্স নায়েক মুন্সী আব্দুর রব
-
২নং সেক্টর: সিপাহি মোস্তফা কামাল
-
৪নং সেক্টর: সিপাহি হামিদুর রহমান
-
৭নং সেক্টর: ক্যাপ্টেন মহিউদ্দীন জাহাঙ্গির
-
৮নং সেক্টর: ল্যান্স নায়েক নূর মোহাম্মদ শেখ
-
১০নং সেক্টর: স্কোয়াড্রন ইঞ্জিনিয়ার রুহুল আমিন
-
ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মতিউর রহমান: কোনো সেক্টরে দায়িত্বপ্রাপ্ত ছিলেন না
0
Updated: 1 month ago
ঐতিহাসিক লাহোর প্রস্তাব কবে ও কোথায় উত্থাপিত হয়?
Created: 1 month ago
A
১৯৪০ সালের ২৩ মার্চ, লাহোরে
B
১৯৩৯ সালের ৩ সেপ্টেম্বর, দিল্লিতে
C
১৯৪৬ সালের ৯ এপ্রিল, কলকাতায়
D
১৯৪৭ সালের ৩ জুন, করাচিতে
১৯৪০ সালের ২৩ মার্চ, লাহোরে নিখিল ভারত মুসলিম লীগের বার্ষিক অধিবেশনে শেরে বাংলা এ. কে. ফজলুল হক একটি প্রস্তাব উত্থাপন করেন, যা পরবর্তীতে পাকিস্তান প্রস্তাব নামেও পরিচিতি লাভ করে।
-
প্রস্তাবটি জিন্নাহর সভাপতিত্বে সভায় গৃহীত হয় এবং ইতিহাসে লাহোর প্রস্তাব নামে সুপরিচিত।
-
প্রস্তাবের ভিত্তি ছিল দ্বিজাতি তত্ত্ব।
-
প্রস্তাবে সরাসরি ‘পাকিস্তান’ শব্দ ব্যবহৃত হয়নি, তথাপি এটি মুসলিমদের পৃথক আবাসভূমির স্বপ্ন বপন করে।
-
এই প্রস্তাব ভারতীয় মুসলমানদের মধ্যে স্বাধীন রাষ্ট্রের ধারণা সৃষ্টি করে।
-
কংগ্রেস নেতৃবৃন্দ লাহোর প্রস্তাবের বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিক্রিয়া প্রকাশ করেন।
সূত্র:
0
Updated: 1 month ago
পাকিস্তান আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশকে কোন সালে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি প্রদান করে?
Created: 1 month ago
A
১৯৭৪ সাল
B
১৯৭৫ সাল
C
১৯৭৩ সাল
D
১৯৭৬ সাল
বাংলাদেশকে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি:
-
পাকিস্তান: ২২ ফেব্রুয়ারি, ১৯৭৪ সালে বাংলাদেশকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি প্রদান করে।
-
ভারত ও ভূটান: ৬ ডিসেম্বর, ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন বাংলাদেশকে প্রথম স্বীকৃতি প্রদান করে।
-
১৯৭২ সালের জানুয়ারি: পূর্ব জার্মানি, বুলগেরিয়া, পোল্যান্ড, মিয়ানমার, নেপাল, সোভিয়েত ইউনিয়ন স্বীকৃতি দেয়।
-
১৯৭২ সালের ফেব্রুয়ারি: যুক্তরাজ্য, সুইডেন, নরওয়ে, ডেনমার্ক, ফিনল্যান্ড, আয়ারল্যান্ড, অস্ট্রিয়া, নেদারল্যান্ডস এবং জাপান বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেয়।
-
যুক্তরাষ্ট্র: ১৯৭২ সালের এপ্রিল মাসে আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশকে স্বীকৃতি প্রদান করে।
সংক্ষেপে, ১৯৭১–১৯৭৪ সালের মধ্যে ধাপে ধাপে বিভিন্ন দেশ বাংলাদেশকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেয়, যার মধ্যে পাকিস্তানের স্বীকৃতি আসে সবচেয়ে শেষ।
0
Updated: 1 month ago
‘মাৎস্যন্যায়’-এর অবসান ঘটে কীভাবে?
Created: 1 month ago
A
পালদের আগমনে
B
সেনদের আগমনে
C
গুপ্তদের আগমনে
D
মৌর্যদের আগমনে
মাৎস্যন্যায় বাংলার ৭ম-৮ম শতককে নির্দেশ করে। রাজা শশাঙ্ক ৬৩৭ সালে মৃত্যুবরণ করার পর যোগ্য শাসকের অভাবে গৌড়ে বিশৃঙ্খলা দেখা দেয়। পুরো বাংলায় নেমে আসে অন্ধকার যুগ, যেখানে একশ বছরের মতো ইতিহাসে অরাজকতা এবং নেতৃত্বের শূন্যতার সৃষ্টি হয়। এই সময়কালকে ‘মাৎস্যন্যায়’ বলা হয়। বিশৃঙ্খলার সময় বাংলা অঞ্চলে সিংহাসনে বসেন রাজা গোপাল, এবং পালবংশের আগমনের মাধ্যমে মাৎস্যন্যায়ের অবসান ঘটে।
-
পাল রাজবংশ আট শতকের মাঝামাঝি সময় থেকে প্রায় চারশত বছর ধরে বাংলা ও বিহারে শাসন করে।
-
বংশটি প্রতিষ্ঠা করেন শক্তিশালী রাজা গোপাল।
-
গোপালের পর তাঁর পুত্র ধর্মপাল সিংহাসনে বসেন।
-
দেবপালের পর পাল সাম্রাজ্য কিছুটা দুর্বল হয়ে পড়ে, কিন্তু প্রথম মহীপালের রাজত্বকালে পালবংশের গৌরব পুনরায় ফিরে আসে।
-
দ্বিতীয় মহীপাল ও রামপালের রাজত্বকালে বরেন্দ্র অঞ্চলে কৈবর্ত বিদ্রোহ সংঘটিত হয়। রামপাল বিদ্রোহ দমন করে বরেন্দ্র অঞ্চল পুনরুদ্ধার করেন এবং তিনি পালবংশের শেষ মুকুটমণি।
-
অবশেষে সেনবংশের উত্থানের মাধ্যমে পাল শাসনের অবসান ঘটে।
-
পাল রাজারা বৌদ্ধ ধর্মের অনুসারী ছিলেন এবং পালযুগে বৌদ্ধ ধর্ম তিব্বত, জাভা, সুমাত্রা ও মালয়েশিয়াতে প্রসার লাভ করে।
উৎস:
0
Updated: 1 month ago