ঢাকা শহরে অপারেশন সার্চলাইট পরিচালনায় মূল দায়িত্ব পায়-
A
জেনারেল আবরার হোসেন
B
রাও ফরমান আলী
C
নিয়াজি খান
D
গোলাম মুহাম্মদ
উত্তরের বিবরণ
অপারেশন সার্চলাইট হলো ১৯৭১ সালের পূর্ব পাকিস্তানে পরিচালিত একটি সামরিক অভিযান, যার লক্ষ্য ছিল বাঙালি সেনারা ও তাদের সমর্থকদের নিরস্ত্রীকরণ।
-
১৮ই মার্চ, জেনারেল টিক্কা খান ও রাও ফরমান আলী এই অপারেশনের নীলনকশা তৈরি করেন।
-
১৯শে মার্চ থেকে, পূর্ব পাকিস্তানে ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের বাঙালি সৈন্যদের নিরস্ত্রীকরণ শুরু হয়।
-
২০শে মার্চ, সরকার অস্ত্র জমা দেওয়ার নির্দেশ জারি করে।
-
ঐ দিন, জেনারেল ইয়াহিয়া খান তার সামরিক উপদেষ্টা হামিদ খান, জেনারেল টিক্কা খান, জেনারেল পিরজাদা, জেনারেল ওমর প্রমুখকে নিয়ে ঢাকা ক্যান্টনমেন্টে সামরিক প্রস্তুতি পূর্ণাঙ্গ রূপ দেন।
-
এ সময় প্রতিদিন ৬ থেকে ১৭টি পিআইএ বোয়িং ৭০৭ ফ্লাইট সৈন্য ও রসদ নিয়ে ঢাকা আসে এবং অসংখ্য সৈন্য ও অস্ত্রশস্ত্র চট্টগ্রাম বন্দরে বোঝাই জাহাজে অপেক্ষমাণ থাকে।
-
২৪শে মার্চ, চট্টগ্রাম বন্দরে এম ভি সোয়াত জাহাজ...
0
Updated: 1 month ago
কোন উপজাতি নিজেদেরকে ’মারুচা’ বলে অভিহিত করে থাকেন?
Created: 1 month ago
A
গারো
B
ম্রো
C
খিয়াং
D
পাঙ্গন
ম্রো হলো পার্বত্য চট্টগ্রামের একটি আদিবাসী জনগোষ্ঠী, যা বিশেষভাবে বান্দরবান জেলায় বসতি স্থাপন করেছে। তাদের নিজস্ব ভাষা, বর্ণমালা এবং সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য রয়েছে, যা তিব্বতী-বর্মী ভাষাগোষ্ঠীর অংশ।
-
ম্রো জনগোষ্ঠীর প্রধান বসতি বান্দরবান জেলার বিভিন্ন এলাকায়, যেমন তোইন, মঙ্গু, তৈনফা, লুলোইং, উত্তরহানগড়, দক্ষিণ হানগড়, তঙ্কাবতী, হরিণঝুড়ি, টেকের পানছড়ি, রেনিখ্যং, পানতলা, থানখ্যং, সোয়ালক, তিনডো, সিংপা, আলীখং এবং ভারিয়াতালি মৌজায়।
-
ম্রোরা ম্রু ও মুরং নামেও পরিচিত।
-
তাদের নিজস্ব ভাষা থাকলেও পূর্বে বর্ণমালা ছিল না, বর্তমানে তাদের নিজস্ব বর্ণমালা তৈরি হয়েছে।
-
ম্রোরা তিব্বতী-বর্মী ভাষার একটি বিশেষ শাখা ব্যবহার করে।
-
বর্তমানে ম্রোদের নিজস্ব ভাষা ও বর্ণমালায় তৃতীয় শ্রেণি পর্যন্ত পাঠ্যবই প্রণীত হয়েছে।
-
তারা নিজেদেরকে ‘মারুচা’ নামে অভিহিত করে।
-
ম্রোদের বংশ পরিচয় পিতৃতান্ত্রিক।
উৎস:
0
Updated: 1 month ago
সংবিধানের কোন অনুচ্ছেদে ন্যায়পাল সম্পর্কে বলা হয়েছে?
Created: 1 month ago
A
অনুচ্ছেদ - ৭৭
B
অনুচ্ছেদ - ৭১
C
অনুচ্ছেদ - ৭৩
D
অনুচ্ছেদ - ৭৬
বাংলাদেশের সংবিধানের ৭৭নং অনুচ্ছেদ ন্যায়পাল এবং তার কর্তৃত্ব ও দায়বদ্ধতা সংক্রান্ত বিধান নির্ধারণ করে।
প্রধান তথ্যগুলো হলো:
-
ন্যায়পালের পদ-প্রতিষ্ঠা: সংসদ আইনের মাধ্যমে ন্যায়পালের পদ স্থাপন করা যায়।
-
ক্ষমতা ও দায়িত্ব: সংসদ আইনের মাধ্যমে ন্যায়পালকে মন্ত্রণালয়, সরকারি কর্মচারী বা সংবিধিবদ্ধ সরকারি কর্তৃপক্ষের কার্যক্রম তদন্ত করার ক্ষমতা এবং অন্যান্য নির্ধারিত দায়িত্ব প্রদান করা হয়। ন্যায়পাল এই ক্ষমতা প্রয়োগ এবং দায়িত্ব পালন করবেন।
-
বার্ষিক রিপোর্ট: ন্যায়পাল তার দায়িত্ব পালন সম্পর্কে বার্ষিক রিপোর্ট প্রস্তুত করবেন, যা সংসদে উপস্থাপন করা হবে।
অন্য প্রাসঙ্গিক সংবিধানিক অনুচ্ছেদ:
-
৭৬নং অনুচ্ছেদ: সংসদের স্থায়ী কমিটিসমূহ
-
৭১নং অনুচ্ছেদ: দ্বৈত সদস্যতায় বাধা
-
৭৩নং অনুচ্ছেদ: সংসদে রাষ্ট্রপতির ভাষণ ও বাণী
0
Updated: 1 month ago
কোন চলচ্চিত্রটি দেশ ভাগ নিয়ে নির্মিত হয়েছে?
Created: 1 month ago
A
আবার তোরা মানুষ হ
B
মাটির ময়না
C
মেঘের অনেক রং
D
চিত্রা নদীর পাড়ে
বাংলাদেশের চলচ্চিত্রে ইতিহাস ও সমাজের প্রতিফলন স্পষ্টভাবে দেখা যায়, বিশেষ করে দেশভাগ ও মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক সিনেমাগুলিতে। এসব চলচ্চিত্র শুধু বিনোদনের মাধ্যম নয়, বরং জাতির সংগ্রাম, সামাজিক পরিবর্তন এবং মানুষের জীবনধারার দলিল হিসেবেও কাজ করে।
-
‘চিত্রা নদীর পাড়ে’ চলচ্চিত্রটি ১৯৪৭ সালের দেশভাগ এবং তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানে হিন্দুদের জীবনধারার ওপর নির্মিত।
-
পরিচালনা করেছেন তানভীর মোকাম্মেল; সিনেমাটি ১৯৯৮ সালে নির্মিত হয়।
-
এটি ১৯৯৯ সালে ৭টি ক্যাটাগরিতে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করে।
তানভীর মোকাম্মেলের অন্যান্য বিখ্যাত চলচ্চিত্র:
-
নদীর নাম মধুমতী
-
লালসালু
-
লালন
-
রাবেয়া
-
জীবনঢুলী
-
রূপসা নদীর বাঁকে
অন্যদিকে, মুক্তিযুদ্ধ ও পরবর্তী সামাজিক চিত্র ভিত্তিক চলচ্চিত্রগুলো হলো—
-
‘আবার তোরা মানুষ হ’ — পরিচালনা: খান আতাউর রহমান; যুদ্ধ-পরবর্তী সামাজিক চিত্র তুলে ধরে।
-
‘মাটির ময়না’ — ২০০২ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত বাংলাদেশি যুদ্ধভিত্তিক নাট্য চলচ্চিত্র।
-
‘মেঘের অনেক রং’ — ১৯৭৬ সালে নির্মিত; পরিচালনা: হারুনর রশিদ।
উৎস:
0
Updated: 1 month ago