ওয়াসফিয়া নাজরীন বিখ্যাত-
A
অ্যাথলেট হিসেবে
B
ক্রিকেটার হিসেবে
C
এভারেস্টজয়ী হিসেবে
D
নারী উদ্যোক্তা হিসেবে
উত্তরের বিবরণ
ওয়াসফিয়া নাজরীন বাংলাদেশের প্রথম নারী পর্বতারোহী যিনি সাত মহাদেশের সর্বোচ্চ পর্বতশৃঙ্গ জয় (সেভেন সামিট) করেছেন। তিনি একাধিক মহাদেশের শীর্ষ পর্বতশৃঙ্গ অভিযানে অংশগ্রহণ করেছেন এবং আন্তর্জাতিক মানবতাবাদী কাজেও নিযুক্ত ছিলেন।
-
এভারেস্ট জয়: ২৬ মে ২০১২, মাউন্ট এভারেস্ট।
-
সেভেন সামিট অর্জন: আফ্রিকার মাউন্ট কিলিমানজারো, এশিয়ার মাউন্ট এভারেস্ট, অ্যান্টার্কটিকার মাউন্ট ভিনসন, ইউরোপের এলব্রুস, উত্তর আমেরিকার মাউন্ট ডেনালি, দক্ষিণ আমেরিকার অ্যাকোংকাগুয়া।
-
মানবতাবাদী কাজ: আন্তর্জাতিক গ্রুপ কেয়ার (CARE) এর হয়ে কাজ করেছেন।
-
পুরস্কার: ২০১৪ সালে ন্যাশনাল জিওগ্রাফির বর্ষসেরা অভিযাত্রীর খেতাব।
বাংলাদেশি এভারেস্ট জয়ী পর্বতারোহীরা:
-
১ম: মুসা ইব্রাহিম, ২৩ মে ২০১০
-
২য়: এম এ মুহিত, ২১ মে ২০১১
-
৩য়: নিশাত মজুমদার, ১৯ মে ২০১২
-
৪র্থ: ওয়াসফিয়া নাজরিন, ২৬ মে ২০১২
-
৫ম: বাবর আলী, ১৯ মে ২০২৪
মো. খালেদ হোসেন: ২০ মে ২০১৩ মাউন্ট এভারেস্ট জয় করেন, কিন্তু চূড়া থেকে নামার পথে দুর্ঘটনায় মৃত্যুবরণ করেন, তাই আনুষ্ঠানিকভাবে এভারেস্ট জয়ী হিসেবে নিবন্ধিত হননি।
0
Updated: 1 month ago
সমুদ্রতীরে কোনটির প্রাচুর্য থাকে?
Created: 2 months ago
A
নাইট্রোজেন (Nitrogen)
B
হাইড্রোজেন (Hydrogen)
C
অক্সিজেন (Oxygen)
D
ওজোন (Ozone)
সাধারণভাবে পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলের বাতাসে বিভিন্ন গ্যাসের অনুপাত থাকে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি পরিমাণে থাকে নাইট্রোজেন (৭৮.০২%)। এরপর রয়েছে অক্সিজেন (২০.৭১%)।
সামান্য পরিমাণে আর্গন (০.৮০%), জলীয়বাষ্প (০.৪১%), কার্বন-ডাই-অক্সাইড (০.০৩%) এবং অন্যান্য গ্যাস মিলে প্রায় ০.০২% পাওয়া যায়।
তাই বলা যায়, সমুদ্রতীরের বাতাসে আর্দ্রতা বা জলীয়বাষ্পের কিছুটা তারতম্য থাকলেও, বাতাসের মূল অংশজুড়ে থাকে নাইট্রোজেন গ্যাস।
তথ্যসূত্র: ভূগোল ও পরিবেশ, নবম–দশম শ্রেণি।
0
Updated: 2 months ago
শালবন বিহার কোথায়?
Created: 2 months ago
A
গাজীপুর
B
মধুপুর
C
রাজবাড়ী
D
কুমিল্লার ময়ানমতি পাহাড়ের পাশে
শালবন বিহার
শালবন বিহার কুমিল্লার ময়নামতিতে খননকৃত গুরুত্বপূর্ণ প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শনগুলোর একটি। এটি কোটবাড়ির বার্ডেরকাছের লালমাই পাহাড়ের মাঝামাঝি এলাকায় অবস্থিত। বিহারটির নামকরণ হয়েছে আশেপাশের একসময়কার ঘন শাল-গজারি বন থেকে।
ধারণা করা হয়, খ্রিষ্টীয় সপ্তম শতাব্দীর শেষ দিক থেকে অষ্টম শতাব্দীর শুরুতে দেববংশের চতুর্থ রাজা শ্রীভবদেব এই বৌদ্ধ বিহারটি নির্মাণ করেছিলেন। শালবন বিহারের প্রতিটি বাহুর দৈর্ঘ্য প্রায় ১৬৭.৭ মিটার। এখানে ঢোকা বা বের হওয়ার একটাই পথ ছিল। বিহারের ভিতরে মোট ১৫৫টি কক্ষ রয়েছে, যেখানে বৌদ্ধ ভিক্ষুরা শিক্ষা গ্রহণ ও ধর্মচর্চা করতেন।
প্রত্নতাত্ত্বিক খননের সময় বিহারের ধ্বংসাবশেষ থেকে পাওয়া গেছে আটটি তাম্রলিপি, প্রায় ৪০০টি স্বর্ণ ও রৌপ্য মুদ্রা, প্রচুর পোড়া মাটির ফলক বা টেরাকোটা, সিলমোহর, ব্রোঞ্জ ও মাটির মূর্তি। এগুলো বাংলাদেশের প্রাচীন প্রত্নতাত্ত্বিক ঐতিহ্যের গুরুত্বপূর্ণ নিদর্শন হিসেবে বিবেচিত হয়।
উৎস: জাতীয় তথ্য বাতায়ন।
0
Updated: 2 months ago
আইন প্রণয়নের ক্ষমতা-
Created: 2 months ago
A
আইন মন্ত্রণালয়ের
B
রাষ্ট্রপতির
C
স্পিকারের
D
জাতীয় সংসদের
জাতীয় সংসদের আইন প্রণয়ন ক্ষমতা
বাংলাদেশে আইন প্রণয়নের ক্ষমতা জাতীয় সংসদের হাতে নিয়ন্ত্রিত। সংবিধান অনুযায়ী, এটি দেশের একমাত্র আইন প্রণয়নকারী প্রতিষ্ঠান।
সংবিধান ৬৫(১) ধারায় বলা হয়েছে:
"জাতীয় সংসদ" নামে বাংলাদেশের একটি সংসদ থাকবে এবং এই সংবিধানের বিধান অনুযায়ী প্রজাতন্ত্রের আইন প্রণয়নের ক্ষমতা সংসদের উপর থাকবে।
তবে এখানে একটি শর্তও রয়েছে: সংসদ যে আইন প্রণয়ন করে, তাতে কোনো ব্যক্তি বা কর্তৃপক্ষকে যে আদেশ, বিধি, প্রবিধান, উপ-আইন বা অন্যান্য আইনগত কার্যকর চুক্তি তৈরি করার ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে, সেই ক্ষমতা সংসদকে আইন প্রণয়নের দায়িত্ব থেকে মুক্ত করবে না। অর্থাৎ, সংসদ সবসময় প্রধান আইন প্রণয়নকারী থাকবে।
উৎস: বাংলাদেশ সংবিধান, ধারা ৬৫
0
Updated: 2 months ago