১৯৭৫ সালে একদলীয় শাসন ব্যবস্থায় কোন পত্রিকাটি নিষিদ্ধ ছিল?
A
দৈনিক ইত্তেফাক
B
বাংলাদেশ অবজার্ভার
C
দৈনিক গণকণ্ঠ
D
বাংলাদেশ টাইমস
উত্তরের বিবরণ
১৯৭৫ সালে একদলীয় শাসন ব্যবস্থায় বাংলাদেশে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা মারাত্মকভাবে সীমিত হয় এবং বিশেষ করে দৈনিক গণকণ্ঠ পত্রিকাটি নিষিদ্ধ হয়।
♦ সংবাদপত্র নিষিদ্ধকরণ:
-
১৯৭৫ সালে বাংলাদেশের সংবিধানের চতুর্থ সংশোধনীর মাধ্যমে একদলীয় শাসন ব্যবস্থা কার্যকর করা হয়।
-
বাকশাল প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে সব রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়।
-
বাকশাল সরকার সংবাদপত্র নিয়ন্ত্রণে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করে।
-
৪টি সরকার নিয়ন্ত্রিত পত্রিকা—দ্য অভজারভার, দ্য বাংলাদেশ টাইমস, দৈনিক বাংলা, দৈনিক ইত্তেফাক—রাখা হয়, এবং দেশের ২৯টি দৈনিক ও ১৩৮টি সাপ্তাহিক পত্রিকা নিষিদ্ধ করা হয়।
-
এই নিষেধাজ্ঞা গণমাধ্যমের স্বাধীনতায় বড় আঘাত হানে।
-
এর ফলে সংবাদপত্র শুধুমাত্র সরকারি প্রচারণার মাধ্যমে পরিণত হয়।

0
Updated: 1 day ago
‘নির্বাণ’ ধারণাটি কোন ধর্মবিশ্বাসের সাথে সংশ্লিষ্ট?
Created: 1 week ago
A
হিন্দুধর্ম
B
বৌদ্ধধর্ম
C
খ্রিষ্টধর্ম
D
ইহুদীধর্ম
'নির্বাণ' ধারণাটি মূলত বৌদ্ধধর্মের সাথে সংযুক্ত। বৌদ্ধদের দৃষ্টিকোণ অনুযায়ী মানুষের পরম মুক্তি বা সর্বোচ্চ অর্জনকে নির্বাণ বলা হয়।
এটি সেই অবস্থা যেখানে ব্যক্তি ভববন্ধন ও অজ্ঞানতা থেকে মুক্তি লাভ করে, যা বৌদ্ধ ধর্মে পরম প্রাপ্তি হিসেবে গণ্য। বৌদ্ধধর্মের প্রতিষ্ঠাতা গৌতম বুদ্ধ ৮০ বছর বয়সে নির্বাণ লাভ করেন।
বাংলা একাডেমি অভিধান অনুযায়ী নির্বাণ শব্দের অর্থ:
-
মোক্ষ
-
মুক্তি
-
ভববন্ধন থেকে পরিত্রাণ লাভ
-
জীবন্মুক্তি
-
অজ্ঞানতা থেকে মুক্তিলাভ

0
Updated: 1 week ago
'তমদ্দুন মজলিস'-এর নেতা জনাব আবুল কাশেম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কোন বিষয়ের শিক্ষক ছিলেন?
Created: 1 day ago
A
রসায়ন বিজ্ঞান
B
গণিত
C
ইতিহাস
D
পদার্থ বিজ্ঞান
তমদ্দুন মজলিশ ছিল ভাষা আন্দোলনের প্রথম সংগঠন, যা ইসলামী আদর্শে পরিচালিত সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সংগঠন হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে। সংগঠনটির নেতৃত্বে ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক জনাব আবুল কাশেম।
-
প্রতিষ্ঠা: ১৯৪৭ সালের ২ সেপ্টেম্বর অধ্যাপক আবুল কাশেমের উদ্যোগে তমদ্দুন মজলিশ প্রতিষ্ঠিত হয়।
-
সহযোগীরা: প্রতিষ্ঠায় অগ্রণী সহযোগী ছিলেন দেওয়ান মোহাম্মদ আজরফ, অধ্যাপক এ.এস.এম. নূরুল হক ভূঁইয়া, শাহেদ আলী, আবদুল গফুর, বদরুদ্দীন উমর ও হাসান ইকবাল।
-
নেতৃত্ব: অধ্যাপক আবুল কাশেম ছিলেন সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক এবং দেওয়ান মোহাম্মদ আজরফ সভাপতি নির্বাচিত হন।
-
ভাষা আন্দোলনে ভূমিকা: উর্দুকে পাকিস্তানের একমাত্র রাষ্ট্রভাষা করার উদ্যোগের বিরুদ্ধে প্রথম প্রতিবাদ উত্থাপন করে তমদ্দুন মজলিশ।
-
পুস্তিকা প্রকাশ: ১৯৪৭ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর সংগঠনটি বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা করার দাবি জানিয়ে ‘পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা বাংলা না উর্দু’ নামক একটি পুস্তিকা প্রকাশ করে।
-
প্রভাব: সংগঠনটি ছাত্র-শিক্ষক মহলে বাংলা ভাষা নিয়ে সচেতনতা সৃষ্টি করে। একই বছরের মধ্যেই বহু খ্যাতনামা ও অখ্যাত লেখক বাংলা রাষ্ট্রভাষার পক্ষে তাদের দৃঢ় সমর্থন প্রকাশ করেন।
-
সরকারি অবস্থা: পাকিস্তানের পাবলিক সার্ভিস কমিশনের বিষয়তালিকা থেকে এবং নৌ ও অন্যান্য নিয়োগ পরীক্ষায় বাংলা বাদ দেওয়া হয়। এমনকি পাকিস্তানের গণপরিষদে সরকারি ভাষা হিসেবে শুধুমাত্র ইংরেজি ও উর্দু নির্বাচিত হয়, যা বাঙালিদের বিক্ষুব্ধ করে তোলে।

0
Updated: 1 day ago
'Let There Be light ' - বিখ্যাত ছবিটি পরিচালনা করেন-
Created: 2 weeks ago
A
আমজাদ হোসেন
B
জহির রায়হান
C
খান আতাউর রহমান
D
শেখ নিয়ামত আলী
জহির রায়হান ও তাঁর চলচ্চিত্র
‘Let There Be Light’
-
এটি জহির রায়হানের নির্মাণাধীন একটি চলচ্চিত্র।
-
ছবিটি অসমাপ্ত থেকে যায়, কারণ চলচ্চিত্র শেষ হওয়ার আগেই মুক্তিযুদ্ধ শুরু হয়।
জহির রায়হান সম্পর্কে
-
জন্ম: ১৯৩৫ সালে ফেনী জেলায়।
-
তিনি ছিলেন একাধারে কথাসাহিত্যিক, ঔপন্যাসিক ও খ্যাতনামা চলচ্চিত্র পরিচালক।
-
প্রকৃত নাম: মোহাম্মদ জহিরুল্লাহ।
তাঁর উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্র সাফল্য
-
বাংলাদেশের প্রথম রঙিন চলচ্চিত্র ‘সঙ্গম’ তাঁর সৃষ্টি।
-
পরিচালিত প্রথম ছবি ‘কখনো আসেনি’।
-
দেশের প্রথম সিনেমাস্কোপ চলচ্চিত্র ‘বাহানা’।
-
‘কাঁচের দেয়াল’ চলচ্চিত্রটি নিগার পুরস্কারে শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র নির্বাচিত হয়।
অন্যান্য চলচ্চিত্রের মধ্যে রয়েছে:
-
Let There Be Light
-
Stop Genocide
-
কখনো আসেনি
-
কাজল
-
কাঁচের দেয়াল
-
বেহুলা
-
আনোয়ারা
-
সঙ্গম
-
বাহানা ইত্যাদি।
উৎস: বাংলাপিডিয়া, প্রথম আলো

0
Updated: 2 weeks ago