একুশে পদক ও স্বাধীনতা পদক দুটোই পেয়েছেন-
A
ভাস্কর শামীম শিকদার
B
ভাস্কর হামিদুর রহমান
C
ভাস্কর নিতুন কুণ্ডু
D
ভাস্কর নভেরা আহমেদ
উত্তরের বিবরণ
নোভেরা আহমেদ বাংলাদেশের একজন খ্যাতিমান ভাস্কর, যিনি আধুনিক শিল্পে অসাধারণ অবদানের জন্য জাতীয় ও আন্তর্জাতিক স্তরে স্বীকৃতি অর্জন করেছেন। তার শিল্পকর্ম ও অবদানের জন্য তিনি ১৯৯৭ সালে একুশে পদক এবং ২০২৫ সালে মরণোত্তর স্বাধীনতা পদক লাভ করেন।
-
নোভেরা আহমেদ ছিলেন বাংলাদেশের বিংশ শতাব্দীর প্রথম আধুনিক ভাস্কর।
-
১৯৯৫ সালে তিনি 'হিউমানিটি' শিরোনামে একটি প্রশংসিত শিল্পকর্ম তৈরি করেন।
-
তার উল্লেখযোগ্য সৃষ্টি 'নিঃসঙ্গ' (১৯৮৯) বাংলাদেশের প্রথম নগ্ন নারী অবয়ব ভাস্কর্য হিসেবে বিবেচিত।
-
২০১২ সালে আঁকা তার অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ কাজের মধ্যে রয়েছে 'আত্মা', 'স্নান' এবং 'কক্সবাজার'।
-
তার অসামান্য শিল্পকর্ম ও অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে বাংলাদেশ সরকার তাকে ১৯৯৭ সালে একুশে পদক এবং ২০২৫ সালে স্বাধীনতা পদকে ভূষিত করে।
উল্লেখ্য:
-
ভাস্কর শামীম শিকদার একুশে পদক লাভ করেন ২০০০ সালে।
-
ভাস্কর নিতুন কুণ্ডু একুশে পদক লাভ করেন ১৯৯৭ সালে।
0
Updated: 1 month ago
কোনটি সাংবিধানিক পদ নয়?
Created: 1 month ago
A
প্রধান নির্বাচন কমিশনার
B
চেয়ারম্যান, পাবলিক সার্ভিস কমিশন
C
চেয়ারম্যান, মানবাধিকার কমিশন
D
কনট্রোলার ও অডিটর জেনারেল
বাংলাদেশে মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যানকে সাংবিধানিক পদ হিসেবে গণ্য করা হয় না। কারণ এটি সংবিধান দ্বারা গঠিত নয়, বরং আলাদা আইনের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত।
অন্যদিকে সাংবিধানিক পদগুলো সংবিধান দ্বারা নির্ধারিত হয় এবং এসব পদের গঠন, দায়িত্ব, মেয়াদ, পদত্যাগ ও অপসারণ প্রক্রিয়া সংবিধানে স্পষ্টভাবে উল্লেখ থাকে।
সাংবিধানিক পদ সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ তথ্যগুলো হলো:
-
সংবিধান হলো গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সর্বোচ্চ আইন।
-
যে সকল প্রতিষ্ঠান সংবিধানের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত হয়, সেগুলোকে সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান বলা হয়।
-
এসব প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠা, মেয়াদ, পদমর্যাদা, দায়িত্ব এবং অপসারণ প্রক্রিয়া সংবিধানে সুনির্দিষ্টভাবে লিপিবদ্ধ থাকে।
সাংবিধানিক পদগুলো হলো:
-
রাষ্ট্রপতি
-
স্পিকার
-
প্রধানমন্ত্রী ও অন্যান্য মন্ত্রীগণ
-
ডিপুটি স্পিকার
-
প্রধান বিচারপতি
-
সংসদ সদস্য
-
প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার
-
মহা-হিসাব রক্ষক ও নিয়ন্ত্রক
-
সরকারি কর্ম কমিশনের চেয়ারম্যান ও অন্যান্য সদস্য
0
Updated: 1 month ago
ট্যারিফ কমিশন কোন মন্ত্রণালয়ের অধীন?
Created: 2 months ago
A
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়
B
অর্থ মন্ত্রণালয়
C
পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়
D
শিল্প মন্ত্রণালয়
ট্যারিফ কমিশন
ট্যারিফ কমিশন হলো বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনে পরিচালিত একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান। এটি দেশের শিল্প ও বাণিজ্যকে সুরক্ষিত রাখতে এবং অসাম্যপূর্ণ প্রতিযোগিতা রোধ করতে কাজ করে।
-
প্রতিষ্ঠা ও আইনগত ভিত্তি:
২৮ জুলাই ১৯৭৩ সালে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এটি একটি অধিদপ্তর হিসেবে কাজ শুরু করে। পরে, ১৯৯২ সালের নভেম্বর মাসে এটি বাংলাদেশ ট্যারিফ কমিশন আইন ১৯৯২ (৪৩ নম্বর আইন) অনুযায়ী পূর্ণাঙ্গভাবে গঠিত হয় এবং স্বাধীনভাবে কার্যক্রম পরিচালনার অধিকার পায়। -
উদ্দেশ্য ও কার্যক্রম:
কমিশনের প্রধান লক্ষ্য হলো দেশীয় শিল্পকে বিদেশি পণ্যের অসঙ্গতিপূর্ণ প্রতিযোগিতা থেকে রক্ষা করা এবং শিল্পজাত পণ্যের যথাযথ সংরক্ষণ নিশ্চিত করা। -
সংগঠন ও নেতৃত্ব:
বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সাথে সংযুক্ত। এর নেতৃত্বে থাকেন সরকারি সচিব পর্যায়ের মর্যাদাসম্পন্ন চেয়ারম্যান। -
শাখা ভিত্তিক বিভাজন:
কমিশনের কাজ তিনটি প্রধান শাখার মাধ্যমে পরিচালিত হয়:-
বাণিজ্য নীতিমালা শাখা
-
বাণিজ্য প্রতিকার শাখা
-
আন্তর্জাতিক সহযোগিতা শাখা
প্রতিটি শাখার নেতৃত্বে একজন সদস্য থাকেন। এছাড়াও একটি প্রশাসনিক শাখা আছে, যা কমিশনের সচিব দ্বারা পরিচালিত হয়।
-
তথ্যসূত্র: ট্যারিফ কমিশন অফিসিয়াল ওয়েবসাইট
0
Updated: 2 months ago
নিচের কোনটি নাগরিকের দায়িত্ব?
Created: 2 months ago
A
রাস্তায় ট্রাফিক আইন মেনে চলা
B
শিল্প কারখানায় অধিক শ্রমিক নিয়োগ দেয়া
C
দক্ষ জনশক্তি তৈরি করা
D
রাজনৈতিক সংগঠনে অন্তর্ভুক্ত হওয়া
নাগরিকের দায়িত্ব ও কর্তব্য
-
রাষ্ট্র নাগরিকদের বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা এবং অধিকার প্রদান করে। ঠিক তেমনই, নাগরিকদেরও রাষ্ট্রের প্রতি কিছু দায়িত্ব ও কর্তব্য পালন করতে হয়।
-
নাগরিকের প্রধান দায়িত্ব হলো রাষ্ট্রের প্রতি আনুগত্য দেখানো।
-
রাষ্ট্রের প্রণীত আইন এবং সংবিধান মেনে চলা, এবং আইনের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করা নাগরিকের অন্যতম দায়িত্ব। উদাহরণস্বরূপ, রাস্তায় চলাকালে ট্রাফিক আইন মেনে চলা প্রত্যেক নাগরিকের দায়িত্ব।
-
কেউ যদি আইন অমান্য করে, তবে সমাজে বিশৃঙ্খলা তৈরি হয় এবং স্বাভাবিক জীবন ব্যাহত হয়। তাই শান্তি ও শৃঙ্খলা বজায় রাখতে নাগরিকদের অবশ্যই আইন মেনে চলতে হবে।
-
সততার সাথে এবং বিবেচনা করে ভোট দেওয়া নাগরিকের একটি গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব। এর ফলে যোগ্য ও উপযুক্ত প্রার্থী জনপ্রতিনিধি হিসেবে নির্বাচিত হয়। অযোগ্য বা দুর্নীতিবাজ প্রার্থীর জন্য ভোট না দেওয়া উচিত।
উৎস: জাতীয় তথ্য বাতায়ন
0
Updated: 2 months ago