ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বিল কত সালে আইনে পরিণত হয়?
A
০৭ মার্চ ১৯১৭
B
১৮ মার্চ ১৯২০
C
২১ মার্চ ১৯১৯
D
১১ মার্চ ১৯১৮
উত্তরের বিবরণ
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশের প্রাচীনতম ও বৃহৎ উচ্চশিক্ষা ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান হিসেবে ১৮ মার্চ, ১৯২০ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বিল আইনে পরিণত হয় এবং ১ জুলাই, ১৯২১ সালে আবাসিক বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে কার্যক্রম শুরু করে।
বিশ্ববিদ্যালয়টি ঢাকার রমনা এলাকায় প্রায় ৬০০ একর জমির উপর প্রতিষ্ঠিত হয়েছে এবং এর প্রাথমিক অবকাঠামো ঢাকা কলেজের শিক্ষকমণ্ডলী ও কলেজ ভবনের উপর ভিত্তি করে গড়ে তোলা হয়েছিল।
-
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশের উপমহাদেশের অন্যতম ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।
-
প্রতিষ্ঠার সময় বিশ্ববিদ্যালয়ে ছিল ৩টি অনুষদ: কলা, বিজ্ঞান ও আইন।
-
শুরুতে বিশ্ববিদ্যালয়ে ১২টি বিভাগ, ৬০ জন শিক্ষক, ৮৪৭ জন ছাত্রছাত্রী, এবং ৩টি আবাসিক হল ছিল।
-
উপাচার্যগণ:
-
প্রথম উপাচার্য: সার ফিলিপ জোসেফ হার্টগ
-
প্রথম বাঙ্গালী উপাচার্য: সার এ.এফ রহমান
-
বর্তমান উপাচার্য (সেপ্টেম্বর ২০২৫): অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান
-
0
Updated: 1 month ago
লর্ড ক্যানিং ভারত উপমহাদেশে প্রথম কোন ব্যবস্থা চালু করেন?
Created: 2 months ago
A
চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত ব্যবস্থা
B
দ্বৈত শাসন ব্যবস্থা
C
সতীদাহ নিবারণ ব্যবস্থা
D
পুলিশ ব্যবস্থা
লর্ড ক্যানিং এবং ভারতের প্রশাসনিক সংস্কার
লর্ড জন ক্যানিং ছিলেন ব্রিটিশ ভারতের শেষ গভর্নর জেনারেল (১৮৫৬–১৮৬২) এবং ১৮৫৮ সালের ১ নভেম্বর থেকে ভারতের প্রথম ভাইসরয়। তাঁর প্রশাসনের সময় সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা হলো ১৮৫৭ সালের সিপাহি বিদ্রোহ। তিনি এই বিদ্রোহ দমন করেন, এবং এর পর ১৮৫৮ সালে পার্লামেন্টারি আইন প্রণীত হয়।
লর্ড ক্যানিংয়ের উল্লেখযোগ্য অবদানসমূহ:
-
ভারতীয় উপমহাদেশে প্রথম কাগজের মুদ্রা প্রচলন। এর আগে মূলত স্বর্ণ ও রূপি ব্যবহার হতো।
-
প্রথম বার্ষিক বাজেট ঘোষণা।
-
১৮৬১ সালে পুলিশ প্রশাসন ব্যবস্থা চালু করা, যা আধুনিক পুলিশ ব্যবস্থার ভিত্তি স্থাপন করে।
অন্য প্রশাসনিক সংস্কারের কিছু উদাহরণ:
-
লর্ড কর্নওয়ালিশ (১৭৯৩): ভূমি ব্যবস্থাপনায় ‘চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত’ প্রবর্তন।
-
রবার্ট ক্লাইভ (১৭৬৫): বাংলায় দ্বৈতশাসন ব্যবস্থা প্রবর্তন।
-
উইলিয়াম বেন্টিঙ্ক (১৮২৯): সতীদাহ প্রথা বিলুপ্তি সংক্রান্ত আইন অনুমোদন।
উৎস: ইতিহাস ১ম পত্র, এইচএসসি প্রোগ্রাম, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাপিডিয়া
0
Updated: 2 months ago
'জীবন থেকে নেয়া' চলচ্চিত্রটির পরিচালক কে?
Created: 2 months ago
A
আমজাদ হোসেন
B
আলমগীর
C
জহির রায়হান
D
সুভাষ দত্ত
‘জীবন থেকে নেয়া’ চলচ্চিত্র ও পরিচালক জহির রায়হান
চলচ্চিত্র: জীবন থেকে নেয়া
-
পরিচালক: জহির রায়হান।
-
মুক্তি: ১৯৭০ সাল।
-
গল্প: সিনেমাটি শুধু একটি পারিবারিক কাহিনি নয়, বরং এর ভেতরে লুকানো আছে রাষ্ট্রীয় দমননীতি ও মানুষের স্বাধীনতার আকাঙ্ক্ষার প্রতিচ্ছবি।
-
এতে পূর্ব বাংলার মানুষের অধিকার, সংগ্রাম ও মুক্তির আকাঙ্ক্ষা ফুটে উঠেছে।
-
এজন্য অনেকে একে আমাদের মুক্তি আন্দোলনের অংশ হিসেবেই দেখে থাকেন।
পরিচালক: জহির রায়হান
-
জন্ম: ১৯৩৫ সালে, ফেনী জেলা।
-
প্রকৃত নাম: মোহাম্মদ জহিরুল্লাহ।
-
তিনি ছিলেন বাংলাদেশি কথাশিল্পী, সাহিত্যিক ও চলচ্চিত্র পরিচালক।
তাঁর গুরুত্বপূর্ণ অবদান:
-
প্রথম রঙিন চলচ্চিত্র: সঙ্গম।
-
প্রথম পরিচালিত চলচ্চিত্র: কখনো আসেনি।
-
প্রথম সিনেমাস্কোপ চলচ্চিত্র: বাহানা।
-
কাঁচের দেয়াল চলচ্চিত্র ‘নিগার পুরস্কার’ অর্জন করে।
-
তাঁর উপন্যাস হাজার বছর ধরে আদমজি সাহিত্য পুরস্কারে ভূষিত হয়।
পরিচালিত অন্যান্য চলচ্চিত্রসমূহ:
-
জীবন থেকে নেয়া
-
কখনো আসেনি
-
Stop Genocide
-
সোনার কাজল
-
কাঁচের দেয়াল
-
বেহুলা
-
আনোয়ারা
-
সঙ্গম
-
বাহানা ইত্যাদি।
উৎস: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা (ড. সৌমিত্র শেখর) এবং বাংলাপিডিয়া
0
Updated: 2 months ago
'e-TIN’ চালু করা হয় কত সালে?
Created: 1 month ago
A
২০১৩ সালে
B
২০১৪ সালে
C
২০১৫ সালে
D
২০১৬ সালে
E-TIN এর পূর্ণরূপ হলো Electronic Taxpayer's Identification Number। এটি আসলে করদাতাদের জন্য আধুনিক অনলাইন ভিত্তিক নিবন্ধন ব্যবস্থা, যা সহজে ঘরে বসেই করা যায়। নিচে এর মূল বিষয়গুলো তুলে ধরা হলো
-
E-TIN চালু হওয়ার বছর: ২০১৩ সালে
-
Meaning: ই-টিআইএন মানে হলো Electronic Tax Identification Number, যা আয়কর নিবন্ধনের আধুনিক সংস্করণ
-
Structure: এটি একটি ১২ ডিজিটের নম্বর, যা প্রতিটি করদাতার জন্য ইউনিক থাকে
-
Purpose: করদাতাদের সহজে ও দ্রুত অনলাইনে রেজিস্ট্রেশন করার সুবিধা দেওয়ার জন্য এই ব্যবস্থা চালু করা হয়
-
Registration Process: www.incometax.gov.bdওয়েবসাইটে গিয়ে সহজেই ই-টিআইএন রেজিস্ট্রেশন করা যায়
0
Updated: 1 month ago