তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পুনঃপ্রবর্তনের জন্য সংবিধানের যে সংশোধন বাতিল করতে হবে-
A
পঞ্চদশ
B
দ্বাদশ
C
একাদশ
D
ত্রয়োদশ
উত্তরের বিবরণ
সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনী বাংলাদেশের তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল ও রাষ্ট্রের মূলনীতি পুনঃপ্রতিষ্ঠার একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।
এই সংশোধনী প্রবর্তনের মাধ্যমে দেশের রাজনৈতিক ও সংবিধানিক কাঠামোতে বেশ কিছু পরিবর্তন আনা হয়েছিলো, যা হাইকোর্ট আংশিকভাবে অবৈধ ঘোষণা করেছে।
-
সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনী প্রেক্ষাপট:
• ২০১১ সালের ৩০ জুন প্রণীত, সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে রাষ্ট্রের মূলনীতি পুনঃপ্রতিষ্ঠা।
• রাষ্ট্রের মূলনীতির মধ্যে জাতীয়তাবাদ, সমাজতন্ত্র, গণতন্ত্র এবং ধর্মনিরপেক্ষতা সংযোজন। -
পঞ্চদশ সংশোধনীর মূল বিষয়বস্তু:
• তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল।
• দলীয় সরকারের অধীনে মেয়াদ শেষ হবার আগে ৯০ দিনের মধ্যে জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠান।
• সংরক্ষিত মহিলা আসন বৃদ্ধি করে ৪৫ থেকে ৫০ করা।
• ৪৭ এর ৩ অনুচ্ছেদে যুদ্ধাপরাধ বা মানবতা বিরোধী অপরাধের জন্য "অন্য কোন ব্যক্তি, ব্যক্তিসমষ্টি বা সংগঠন" এর বিচার করার বিধান সংযোজন।
• জরুরী অবস্থার মেয়াদ সর্বোচ্চ ১২০ দিন নির্ধারণ।
• সংবিধানে নতুন তিনটি তফসিল সংযোজন – পঞ্চম, ষষ্ঠ, ও সপ্তম। -
আদালতের কার্যক্রম ও রায়:
• হাইকোর্ট তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল সংক্রান্ত পঞ্চদশ সংশোধনী আংশিকভাবে অবৈধ ঘোষণা।
• আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে প্রবর্তিত এই সংশোধনীতে মোট ৫৪টি পরিবর্তন আনা হয়েছিলো।
• আদালত পঞ্চদশ সংশোধনীর মোট ছয়টি বিধান বাতিল করেছে।
0
Updated: 1 month ago
সংবিধান সংশোধনের জন্য কোন অনুচ্ছেদ অনুসরণ করতে হয়?
Created: 4 weeks ago
A
অনুচ্ছেদ ৭০
B
অনুচ্ছেদ ১৪১
C
অনুচ্ছেদ ১৪১ক
D
অনুচ্ছেদ ১৪২
বাংলাদেশের সংবিধান সংশোধনের প্রক্রিয়া অনুচ্ছেদ ১৪২-এ নির্ধারিত আছে। এই অনুচ্ছেদ অনুযায়ী সংবিধানের কোনো ধারা, অংশ, বা বিধান পরিবর্তন, সংযোজন, সংশোধন কিংবা বাতিল করতে হলে একটি নির্দিষ্ট সাংবিধানিক প্রক্রিয়া অনুসরণ করতে হয়।
মূল বিষয়বস্তু (অনুচ্ছেদ ১৪২):
১. সংবিধান সংশোধনের ক্ষমতা:
সংবিধানে যা-ই বলা থাকুক না কেন, জাতীয় সংসদ আইন প্রণয়নের মাধ্যমে সংবিধানের যেকোনো অংশ সংযুক্ত, পরিবর্তন, সংশোধন বা বাতিল করতে পারে।
২. সংশোধন প্রক্রিয়ার শর্তাবলি:
(ক) বিলের শিরোনাম: সংসদে যে সংশোধন বিল আনা হবে, তার শিরোনামে স্পষ্টভাবে উল্লেখ করতে হবে— সংবিধানের কোন ধারা বা অংশ সংশোধন করা হবে।
(খ) সংসদীয় সমর্থন: বিলটি পাস হতে হলে সংসদের মোট সদস্যের কমপক্ষে দুই-তৃতীয়াংশের সমর্থন প্রয়োজন। এর আগে এটি রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠানো যাবে না।
(গ) রাষ্ট্রপতির অনুমোদন: সংসদ বিলটি পাস করার পর রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠালে তিনি ৭ দিনের মধ্যে অনুমোদন দেবেন। যদি তিনি অনুমোদন না দেন, তাহলে ৭ দিন পর স্বয়ংক্রিয়ভাবে ধরে নেওয়া হবে যে বিলটি অনুমোদিত হয়েছে।
সারসংক্ষেপ: অনুচ্ছেদ ১৪২ নিশ্চিত করে যে সংবিধান সংশোধনের ক্ষমতা সংসদের হাতে থাকলেও তা গুরুত্বপূর্ণ ও সুসংবদ্ধ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সম্পন্ন হতে হবে, যাতে রাষ্ট্রের মৌলিক কাঠামো ও গণতান্ত্রিক ভারসাম্য অক্ষুণ্ণ থাকে।
0
Updated: 4 weeks ago
একটি ইউনিয়ন কয়টি ওয়ার্ডে বিভক্ত?
Created: 1 month ago
A
৭টি
B
৮টি
C
৯টি
D
১০টি
ইউনিয়ন পরিষদের গঠন:
- একটি ইউনিয়ন ৯টি ওয়ার্ডে বিভক্ত।
- চেয়ারম্যান ১ জন।
- নির্বাচিত সদস্য ৯ জন।
- সংরক্ষিত মহিলা সদস্য ৩ জন।
- ইউনিয়ন পরিষদ গঠিত হয় মোট ১৩ জন সদস্য নিয়ে।
- প্রতি তিন ওয়ার্ড থেকে একজন মহিলা সদস্য নির্বাচিত হন।
- কার্যালয় পরিচালনার জন্য এক জন সচিব নিয়োগ করা হয়।
- ইউনিয়ন পরিষদের মেয়াদ ৫ বছর, সদস্যদের দুই-তৃতীয়াংশের অনাস্থা ভোটের মাধ্যমে চেয়ারম্যান ও অন্যান্য সদস্যদের অপসারণ করা যায়।
- ইউনিয়ন পরিষদের সকলেই সরাসরি ভোটে নির্বাচিত হন।
0
Updated: 1 month ago
ভাষা আন্দোলনের সময় পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী কে ছিলেন?
Created: 1 month ago
A
খাজা নাজিম উদ্দীন
B
নুরুল আমিন
C
লিয়াকত আলী খান
D
মােহাম্মদ আলী জিন্নাহ
ভাষা আন্দোলন
বাংলার মুক্তির ইতিহাসে প্রথম বড় ঘটনা ছিল ভাষা আন্দোলন। এই আন্দোলনের মাধ্যমেই বাঙালির মধ্যে জাতীয়তাবোধের সূচনা ঘটে।
সূচনা ও পরিণতি
ভাষা আন্দোলন শুরু হয় ১৯৪৭ সালে, আর এর চূড়ান্ত রূপ দেখা যায় ১৯৫২ সালে।
আন্দোলনের সময়কার গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্ব
-
পূর্ব বাংলার গভর্নর ছিলেন: ফিরোজ খান নুন
-
পাকিস্তানের গভর্নর জেনারেল ছিলেন: গোলাম মোহাম্মদ
-
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন: খাজা নাজিমউদ্দীন
-
পূর্ব বাংলার মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন: নুরুল আমিন
অতিরিক্ত তথ্য
-
পাকিস্তানের প্রথম গভর্নর জেনারেল ছিলেন মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ।
-
পাকিস্তানের প্রথম প্রধানমন্ত্রী ছিলেন লিয়াকত আলী খান।
তথ্যসূত্র: বাংলাপিডিয়া
0
Updated: 1 month ago