কোন অনুচ্ছেদ মূলে বাংলাদেশের সংবিধানের মৌলিক বিধানাবলি পরিবর্তনযোগ্য নয়?
A
অনুচ্ছেদ ৭
B
অনুচ্ছেদ ৮
C
অনুচ্ছেদ ৭(ক)
D
অনুচ্ছেদ ৭(খ)
উত্তরের বিবরণ
অনুচ্ছেদ ৭(খ) অনুযায়ী, বাংলাদেশের সংবিধানের কিছু মৌলিক বিধানাবলী পরিবর্তনযোগ্য নয়। এই ধারার মাধ্যমে সংবিধানের মূল কাঠামো ও প্রস্তাবিত নীতিগুলো সুরক্ষিত রাখা হয়েছে, যা সংবিধান সংশোধনের সাধারণ ক্ষমতার বাইরে।
-
অনুচ্ছেদ ৭(খ) সংবিধানের প্রস্তাবনা, প্রথম ভাগের সকল অনুচ্ছেদ, দ্বিতীয় ভাগের সকল অনুচ্ছেদ, নবম-ক ভাগে বর্ণিত অনুচ্ছেদসমূহের বিধানাবলী, তৃতীয় ভাগের সকল অনুচ্ছেদ এবং একাদশ ভাগের ১৫০ অনুচ্ছেদসহ সংবিধানের অন্যান্য মৌলিক কাঠামো সংক্রান্ত অনুচ্ছেদসমূহের সংযোজন, পরিবর্তন, প্রতিস্থাপন, রহিতকরণ বা অন্য কোনোভাবে সংশোধন করা যাবে না।
মূল অনুচ্ছেদসমূহের সংক্ষিপ্ত বিবরণ:
-
অনুচ্ছেদ ১ - প্রজাতন্ত্র।
-
অনুচ্ছেদ ২ - প্রজাতন্ত্রের রাষ্ট্রীয় সীমানা।
-
অনুচ্ছেদ ৩ - রাষ্ট্রভাষা।
-
অনুচ্ছেদ ৪ - জাতীয় সঙ্গীত, পতাকা ও প্রতীক।
-
অনুচ্ছেদ ৫(১) - প্রজাতন্ত্রের রাজধানী ঢাকা।
-
অনুচ্ছেদ ৫(২) - রাজধানীর সীমানা আইনের দ্বারা নির্ধারিত হবে।
-
অনুচ্ছেদ ৬ - নাগরিকত্ব।
-
অনুচ্ছেদ ৭ - সংবিধানের প্রাধান্য।
-
অনুচ্ছেদ ৭ক - সংবিধান বাতিল, স্থগিতকরণ, ইত্যাদি অপরাধ।
-
অনুচ্ছেদ ৭খ - সংবিধানের মৌলিক বিধানাবলী সংশোধন অযোগ্য।
-
অনুচ্ছেদ ৮ - রাষ্ট্র পরিচালনার মূলনীতি।
-
অনুচ্ছেদ ৯ - জাতীয়তাবাদ।
-
অনুচ্ছেদ ১০ - সমাজতন্ত্র ও শোষণমুক্তি।
0
Updated: 1 month ago
বাংলাদেশের সংবিধানে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা কোন সংশোধনীর মাধ্যমে প্রবর্তন করা হয়?
Created: 3 weeks ago
A
ষোড়শ সংশোধনী
B
পঞ্চদশ সংশোধনী
C
ত্রয়োদশ সংশোধনী
D
দশম সংশোধনী
বাংলাদেশের সংবিধানের ইতিহাসে ত্রয়োদশ সংশোধনী (১৯৯৬) একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক। এই সংশোধনীর মাধ্যমে দেশে প্রথমবারের মতো নিরপেক্ষ-নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা প্রবর্তিত হয়, যার উদ্দেশ্য ছিল অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য জাতীয় নির্বাচন নিশ্চিত করা।
মূল তথ্যসমূহ:
-
শিরোনাম: সংবিধান (ত্রয়োদশ সংশোধন) আইন, ১৯৯৬
-
পাসের তারিখ: ১৯৯৬ সালের ২৭ মার্চ
-
বিষয়বস্তু: এই সংশোধনীর মাধ্যমে একটি নিরপেক্ষ ও নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা প্রবর্তন করা হয়, যা নির্বাচনের সময় ক্ষমতাসীন দলের প্রভাবমুক্তভাবে নির্বাচন পরিচালনা নিশ্চিত করার জন্য গৃহীত হয়।
-
সংশোধনের ফলে সংবিধানে নতুনভাবে যুক্ত হয় ৫টি অনুচ্ছেদ—৫৮(ক), ৫৮(খ), ৫৮(কগ), ৫৮(ঘ) ও ৫৮(ঙ)।
-
এই ব্যবস্থার অধীনে তত্ত্বাবধায়ক সরকার নির্বাচনকালীন সময়ে নির্বাহী ক্ষমতা প্রয়োগ করত এবং নির্বাচন কমিশনের সহায়তায় জাতীয় নির্বাচন পরিচালনা করত।
-
পরবর্তীতে জাতীয় সংসদে পাসকৃত পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে এই তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিধান বাতিল করা হয়।
-
তবে ২০২৪ সালের ১৭ ডিসেম্বর, হাইকোর্ট এক ঐতিহাসিক রায়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বিলুপ্তি-সংক্রান্ত পঞ্চদশ সংশোধনী আইনের ২০ ও ২১ ধারা সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক ও বাতিল ঘোষণা করেন, যা আবারও সাংবিধানিক বিতর্কের নতুন অধ্যায় সৃষ্টি করে।
0
Updated: 3 weeks ago
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের খসড়া সর্বপ্রথম গণপরিষদে ১৯৭২ সালের কোন তারিখে উত্থাপিত হয়?
Created: 1 month ago
A
১১ নভেম্বর
B
১২ অক্টোবর
C
১৬ ডিসেম্বর
D
৩ মার্চ
বাংলাদেশের সংবিধান প্রণয়নের ইতিহাস একটি ধারাবাহিক প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে সম্পন্ন হয়। মুক্তিযুদ্ধ-পরবর্তী সময়ে রাষ্ট্র পরিচালনার মূল কাঠামো গঠনের জন্য গণপরিষদের মাধ্যমে সংবিধান রচিত হয়। এ প্রক্রিয়ায় বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দিন ও ঘটনার উল্লেখ পাওয়া যায়।
-
১১ এপ্রিল ১৯৭২ সালে গণপরিষদের প্রথম অধিবেশনের দ্বিতীয় দিনে আইনমন্ত্রী ড. কামাল হোসেন পরিষদের সামনে সব প্রস্তাব উত্থাপন করেন।
-
শুধুমাত্র ‘খসড়া সংবিধান প্রণয়ন কমিটি’ সংক্রান্ত প্রস্তাবটি উত্থাপন করেন যোগাযোগমন্ত্রী এম মনসুর আলী।
-
একই দিনে ড. কামাল হোসেনকে আহবায়ক করে ৩৪ সদস্যবিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করা হয়।
-
১৭ এপ্রিল ১৯৭২ খসড়া সংবিধান প্রণয়ন কমিটির প্রথম অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয়।
-
১২ অক্টোবর ১৯৭২ খসড়া সংবিধান গণপরিষদে উপস্থাপন করা হয়।
-
৪ নভেম্বর ১৯৭২ গণপরিষদে বাংলাদেশের সংবিধান গৃহীত হয়।
-
সংবিধান প্রণয়ন কমিটির একমাত্র বিরোধীদলীয় সদস্য সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত এতে স্বাক্ষর করেননি।
-
সবশেষে ১৬ ডিসেম্বর ১৯৭২ বাংলাদেশের সংবিধান কার্যকর করা হয়।
0
Updated: 1 month ago
বাংলাদেশের সংবিধান প্রণয়ন কমিটির একমাত্র নারী সদস্য কে ছিলেন?
Created: 1 month ago
A
সাজেদা চৌধুরী
B
নুরজাহান মোর্শেদ
C
রাফিয়া আক্তার ডলি
D
রাজিয়া বানু
বাংলাদেশের সংবিধান প্রণয়ন কমিটি গঠনের প্রক্রিয়া ও সদস্যঃ
→ খসড়া সংবিধান প্রণয়ন কমিটি ১১ এপ্রিল, ১৯৭২ সালে গঠিত হয়েছিল।
→ কমিটিতে মোট ৩৪ জন সদস্য ছিলেন।
→ আওয়ামী লীগ থেকে ছাড়া একমাত্র সদস্য ছিলেন ন্যাপের সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত।
→ কমিটির প্রধান বা সভাপতি ছিলেন ড. কামাল হোসেন।
→ সংবিধান রচনা কমিটির একমাত্র মহিলা সদস্য ছিলেন বেগম রাজিয়া বানু, যিনি নারী নেতৃত্বের একটি গুরুত্বপূর্ণ উদাহরণ।
→ ১৯৭২ সালের ১১ অক্টোবর কমিটি সংবিধানের চূড়ান্ত খসড়া প্রণয়ন করেন।
→ চূড়ান্ত খসড়া ড. কামাল হোসেন, কমিটির সভাপতি এবং দেশের তখনকার আইনমন্ত্রী, ১২ অক্টোবর গণপরিষদে পেশ করেন।
→ গণপরিষদ ১৯৭২ সালের ৪ নভেম্বর খসড়াটি গ্রহণ করে এবং ১৬ ডিসেম্বর থেকে এটি কার্যকর হয়।
এই প্রক্রিয়ায় দেখা যায় যে বেগম রাজিয়া বানুর অংশগ্রহণ নারীর রাজনৈতিক নেতৃত্বে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছে।
0
Updated: 1 month ago