বাংলাদেশের বৃহত্তম সার কারখানার নাম-
A
ইউরিয়া ফার্টিলাইজার ফ্যাক্টরি লিমিটেড
B
যমুনা ফার্টিলাইজার কোম্পানি লিমিটেড
C
পলাশ ইউরিয়া ফার্টিলাইজার কোম্পানি লিমিটেড
D
ন্যাচারাল গ্যাস ফার্টিলাইজার কোম্পানি লিমিটেড
উত্তরের বিবরণ
বাংলাদেশের বৃহত্তম সার উৎপাদন কেন্দ্র হলো পলাশ ইউরিয়া ফার্টিলাইজার কোম্পানি লিমিটেড, যা দেশের কৃষি খাতের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ইউরিয়া সারের সরবরাহ নিশ্চিত করে। এই কারখানাটি নরসিংদী জেলার পলাশ উপজেলায় অবস্থিত এবং দীর্ঘদিন ধরে দেশের সার চাহিদা পূরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।
-
ঘোড়াশাল-পলাশ ইউরিয়া সার কারখানা:
-
দেশের বৃহত্তম সার কারখানা।
-
নরসিংদীতে অবস্থিত।
-
১৯৭০ সালে বার্ষিক ৩,৪০,০০০ মেট্রিক টন উৎপাদন ক্ষমতা সম্পন্ন ইউরিয়া ফার্টিলাইজার ফ্যাক্টরী লিমিটেড স্থাপিত হয়।
-
১৯৮৫ সালে বার্ষিক ৯৫,০০০ মেট্রিক টন উৎপাদন ক্ষমতা সম্পন্ন পলাশ ইউরিয়া সার কারখানা চালু হয়।
-
-
উল্লেখযোগ্য তথ্য:
-
১২ নভেম্বর ২০২৩ সালে পরিবেশবান্ধব, জ্বালানি সাশ্রয়ী এবং আধুনিক প্রযুক্তিভিত্তিক কারখানা উদ্বোধন করা হয়।
-
বার্ষিক উৎপাদন ক্ষমতা: ৯,২৪,০০০ মেট্রিক টন।
-
এটি বাংলাদেশের প্রথম সার কারখানা, যেখানে প্রাথমিক পর্যায়ে ফ্লু গ্যাস থেকে পরিবেশদূষণকারী আহরণ করা হবে এবং ক্যাপচার করা কার্বন ডাই-অক্সাইড ব্যবহার করে ইউরিয়া সারের উৎপাদন প্রায় ১০ শতাংশ বৃদ্ধি করা হবে।
-
কারখানাটি অত্যাধুনিক, শক্তি সাশ্রয়ী এবং সবুজ প্রযুক্তি ব্যবহার করে, যা দেশের ইউরিয়া সার আমদানি কমাবে এবং বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয় করবে।
-
0
Updated: 1 month ago
অবিভক্ত বাংলার সর্বপ্রথম রাজা কাকে বলা হয়?
Created: 1 month ago
A
অশােক
B
শশাঙ্ক
C
মেগদা
D
ধর্মপাল
শশাঙ্ক
-
শশাঙ্ক ছিলেন বাংলার প্রথম সার্বভৌম (স্বাধীন) রাজা।
-
আনুমানিক ৬০৬ খ্রিস্টাব্দে তিনি গৌড়ে স্বাধীন রাজ্য প্রতিষ্ঠা করেন।
-
তার রাজ্য ‘গৌড়রাজ্য’ মূলত বাংলার উত্তর ও উত্তর-পশ্চিম অংশ এবং মগধ অঞ্চলে বিস্তৃত ছিল।
-
রাজধানী কর্ণসুবর্ণ ছিল, যা বর্তমান মুর্শিদাবাদ জেলার বহরমপুর থেকে প্রায় ১০ কিমি দক্ষিণ-পশ্চিমে রাঙ্গামাটি এলাকায় অবস্থিত।
-
শশাঙ্ক সনাতন হিন্দু ধর্মের অনুগত ছিলেন।
-
তিনি তার শাসনকালে গৌড় রাজ্যকে বিহার ও উড়িষ্যা পর্যন্ত সম্প্রসারণ করেছিলেন।
-
উত্তর ভারতের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন হর্ষবর্ধন।
টিপ: অশোক ছিলেন সম্রাট, রাজা নন। অর্থাৎ, একটি সম্রাজ্যের মধ্যে অনেক রাজ্য থাকতে পারে এবং প্রতিটি রাজ্যের শাসককে ‘রাজা’ বলা হয়।
উৎস: বাংলাদেশের ইতিহাস ও বিশ্বসভ্যতা, এসএসসি প্রোগ্রাম, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়।
0
Updated: 1 month ago
কোনটি বিচার বিভাগের কাজ নয়?
Created: 1 month ago
A
আইনের প্রয়োগ
B
আইনের ব্যাখ্যা
C
সংবিধানের ব্যাখ্যা
D
সংবিধান প্রণয়ন
বিচার বিভাগ দেশের শাসন ব্যবস্থার একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ, যা শুধু মামলার নিষ্পত্তি নয় বরং আইন, শাসন ও সংবিধানের রক্ষা নিশ্চিত করে।
এটি দেশের সমস্ত বিচারকের দ্বারা গঠিত এবং দেশের মানুষের অধিকার রক্ষা ও ন্যায়-বিচার প্রতিষ্ঠা করার ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় ভূমিকা পালন করে। বিচার বিভাগের কার্যাবলি নিম্নরূপ:
বিচার সংক্রান্ত কাজ
-
বিচার বিভাগ আইনকে বাস্তবায়ন করে এবং দেশের আইনের প্রতি আনুগত্য নিশ্চিত করে।
-
এটি ব্যক্তির, রাষ্ট্রের এবং প্রতিষ্ঠানের মধ্যে উদ্ভূত বিরোধ সমাধান করে।
আইন সংক্রান্ত কাজ
-
বিচার বিভাগ আইনের ব্যাখ্যা প্রদান করে এবং প্রয়োজনে নিজের মতামতও প্রতিফলিত করে।
-
এই ব্যাখ্যাগুলো পরবর্তীতে উদাহরণ (precedent) হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
শাসন সংক্রান্ত কাজ
-
বিচার বিভাগ শুধু মামলার নিষ্পত্তি করে না, শাসন সংক্রান্ত কাজও করে।
-
উদাহরণস্বরূপ, নাবালকের সম্পত্তি তদারকি করা বা বিদেশী নাগরিককে নাগরিকত্ব প্রদান করা।
পরামর্শ প্রদান
-
শাসন বিভাগ ও আইন বিভাগ প্রায়ই বিচার বিভাগের পরামর্শের উপর নির্ভর করে।
-
বিচার বিভাগ এখানে জ্ঞানসমৃদ্ধ পরামর্শ বা উপদেশ (advice) প্রদান করে।
জনগণের মৌলিক অধিকার রক্ষা
-
বিচার বিভাগ নাগরিকদের মৌলিক অধিকার সুরক্ষা করে।
-
শাসন বিভাগের অন্যায় আচরণের বিরুদ্ধে এটি একমাত্র প্রতিরক্ষা হাতিয়ার হিসেবে কাজ করে এবং প্রয়োজনে নিষেধাজ্ঞা (injunction) জারি করে।
তদন্ত সংক্রান্ত কাজ
-
গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে সরকার জনগণের সম্পত্তি ও নিরাপত্তা রক্ষা করতে বাধ্য।
-
অন্যায়, জোর-জবরদস্তি, অপরাধ বা দুর্ঘটনার ক্ষেত্রে বিচার বিভাগ তদন্ত পরিচালনা করে এবং আইন শাসন নিশ্চিত করে।
সংবিধান সংরক্ষণ
-
বিচার বিভাগ সংবিধানের রক্ষক (guardian of the constitution)।
-
সংবিধান ব্যাখ্যা করে কেন্দ্র ও অঙ্গরাজ্যের মধ্যে বিবাদ সমাধান করে এবং সংবিধানের প্রাধান্য নিশ্চিত করে।
ন্যায়-বিচার প্রতিষ্ঠা
-
ন্যায় প্রতিষ্ঠা বিচার বিভাগের একটি মূল কাজ।
-
এটি মামলা পরিচালনা করে নথি পর্যালোচনা, সাক্ষ্য-প্রমাণ গ্রহণ এবং অপরাধীর শাস্তি প্রদানের মাধ্যমে ন্যায় প্রতিষ্ঠা করে।
0
Updated: 1 month ago
কৃষিক্ষেত্রে রবি মৌসুম কোনটি?
Created: 1 month ago
A
কার্তিক - ফাল্গুন
B
চৈত্র - বৈশাখ
C
ভাদ্র - অগ্রহায়ণ
D
শ্রাবণ - আশ্বিন
বাংলাদেশে কৃষিক্ষেত্রে শস্য উৎপাদনের সময়কে সাধারণভাবে দুইটি মৌসুমে ভাগ করা হয়। প্রতিটি মৌসুমের জন্য আলাদা সময়ে ভিন্ন ধরনের ফসল উৎপাদিত হয়।
-
রবি মৌসুম
-
শীতকালীন শস্যকে রবি শস্য বলা হয়।
-
কার্তিক থেকে ফাল্গুন মাস পর্যন্ত এই মৌসুম চলে।
-
-
খরিপ মৌসুম
-
গ্রীষ্মকালীন শস্যকে খরিপ শস্য বলা হয়।
-
চৈত্র থেকে আষাঢ় এবং শ্রাবণ থেকে আশ্বিন মাস পর্যন্ত এই মৌসুমের সময়কাল।
-
0
Updated: 1 month ago