বিশ্বব্যাংকের মতে বাংলাদেশের মূল্যস্ফীতি বাড়ার কারণ নয় কোনটি?
A
বৈদেশিক মুদ্রা বৃদ্ধি পাওয়া
B
অভ্যন্তরীণ জ্বালানীর মূল্যবৃদ্ধি
C
দুর্বল মুদ্রানীতি
D
টাকার অবমূল্যায়ন
উত্তরের বিবরণ
মুদ্রাস্ফীতি হল এমন একটি অবস্থা যেখানে পণ্য ও সেবার দাম বৃদ্ধি পায়, যার ফলে টাকার ক্রয়ক্ষমতা কমে যায়। বিশ্বব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী বাংলাদেশে মুদ্রাস্ফীতির প্রধান কারণগুলো হলো:
-
জ্বালানির দাম বৃদ্ধি: জ্বালানি ও বিদ্যুতের খরচ বৃদ্ধির কারণে ব্যবসার উৎপাদন খরচ বেড়ে যায়, যা ভোক্তা মূল্যে সরাসরি প্রভাব ফেলে এবং মুদ্রাস্ফীতি বাড়ায়।
-
দুর্বল মুদ্রানীতি: কেন্দ্রীয় ব্যাংক অর্থ সরবরাহ নিয়ন্ত্রণে কার্যকর পদক্ষেপ না নিলে অতিরিক্ত অর্থ চলাচল করে এবং দাম বাড়ায়।
-
মুদ্রার অবমূল্যায়ন: বাংলাদেশি টাকার দুর্বলতা আমদানিকৃত পণ্যের দাম বাড়িয়ে দেয়।
বিশ্বব্যাংকের মতে, বাংলাদেশের মুদ্রাস্ফীতি বাড়ার সঙ্গে বৈদেশিক মুদ্রার বৃদ্ধি সরাসরি বড় ভূমিকা রাখে না। অর্থাৎ বৈদেশিক মুদ্রার মান বৃদ্ধির কারণে সরাসরি মূল্যস্ফীতি তৈরি হয় না।
0
Updated: 1 month ago
২০২৪-২৫ অর্থবছরে দেশের গড় মূল্যস্ফীতি কত?
Created: 1 month ago
A
৮.৫৫%
B
৯.৭৫%
C
১০.০৩%
D
১০.১৮%
২০২৪-২৫ অর্থবছরে দেশের গড় মূল্যস্ফীতি ১০.০৩% দাঁড়িয়েছে, যা দেশের অর্থনীতিতে সাধারণভাবে দাম বৃদ্ধির হারকে বোঝায়। অর্থাৎ, দেশের বাজারে খাদ্য, পোশাক, বাড়িভাড়া ও অন্যান্য পণ্যের দাম গত বছরের তুলনায় কতোটা বেড়েছে তা নির্দেশ করে।
-
২০২৪ সালের জুলাই মাসে খাদ্য মূল্যস্ফীতি ১৪.১০%, যা গত ১৩ বছরে সর্বোচ্চ।
-
অর্থনীতিবিদরা মুদ্রাস্ফীতি (Inflation) নির্ণয় করার জন্য আগের বছর বা মাসের সঙ্গে বর্তমানের দাম তুলনা করে। তারা খাদ্য, কাপড়, পোশাক, বাড়ি, সেবা ইত্যাদি বিভিন্ন উপাদানের দাম বৃদ্ধির পার্থক্য পরীক্ষা করেন।
-
মূল্যস্ফীতি হলে মানুষের দৈনন্দিন জীবনে প্রভাব পড়ে। খাদ্যদ্রব্য, পোশাক, বাড়িভাড়া ও নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম বেড়ে যায়। আয় বাড়েনি বা স্থিত থাকলে মানুষকে কম কেনাকাটা করতে হয়, সঞ্চয় কমে যায় এবং অন্যান্য খাতে খরচ সীমিত করতে হয়।
0
Updated: 1 month ago
কোনটির মাধ্যমে মুদ্রাস্ফীতি বন্ধ হয়?
Created: 1 month ago
A
পণ্যের দাম কমা
B
মূলধনের জোগান কমা
C
মুনাফার হার কমা
D
সরকারি ব্যয় হ্রাস
মুদ্রাস্ফীতি (Inflation)
-
সংজ্ঞা:
-
মুদ্রাস্ফীতি ঘটে যখন পণ্যের তুলনায় মুদ্রার সরবরাহ অতিরিক্ত বেড়ে যায়।
-
অর্থাৎ বাজারে উৎপাদনের তুলনায় টাকা বেশি থাকলে মুদ্রার মান হ্রাস পায় এবং পণ্যের মূল্য বৃদ্ধি পায়।
-
একই পরিমাণ পণ্যের জন্য আগে চেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয়।
-
-
মুদ্রা সংকোচন:
-
উৎপাদনের তুলনায় বাজারে মুদ্রার সরবরাহ কমে গেলে মুদ্রা সংকোচন হয়।
-
মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের উপায়
-
মুদ্রার পরিমাণ সীমিত করা:
-
ব্যাংক থেকে ঋণের পরিমাণ কমানো।
-
সরকারি ব্যয় হ্রাস করা।
-
-
মূল্য নিয়ন্ত্রণ:
-
পণ্যের সর্বোচ্চ বিক্রয়মূল্য নির্ধারণ।
-
ন্যায্য মূল্যের বিক্রয় কেন্দ্র ও রেশনিং ব্যবস্থা চালু করা।
-
-
শ্রমিক ও মজুরি:
-
শ্রমিকদের অতিরিক্ত মজুরি বৃদ্ধির চাপ কমানো।
-
মজুরি ও উৎপাদন ব্যয়ের ভারসাম্য রাখা।
-
-
মুদ্রা সংস্কার:
-
চরম মুদ্রাস্ফীতির সময় পুরাতন নোট বাতিল করে নতুন নোট চালু করা।
-
-
কর ও সুদের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ:
-
কর বৃদ্ধি করলে জনগণের ব্যয় কমে সামগ্রিক চাহিদা হ্রাস পায়।
-
ব্যাংকের সুদের হার বৃদ্ধি বিনিয়োগ সংকুচিত করে।
-
-
বিনিময় ও আমদানি বৃদ্ধি:
-
বিদেশ থেকে ভোগ্যপণ্য ও বিনিয়োগ দ্রব্য আমদানি করে বাজারে সরবরাহ বৃদ্ধি।
-
এতে সামগ্রিক যোগান-চাহিদার ভারসাম্য বজায় রেখে মুদ্রাস্ফীতি হ্রাস পায়।
-
উৎস: অর্থনীতি ২য় পত্র, এইচএসসি, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়
0
Updated: 1 month ago
২০২৪-২৫ অর্থবছরে বাংলাদেশের গড় মূল্যস্ফীতির হার কত ছিল? [আগস্ট, ২০২৫]
Created: 2 months ago
A
৮.০৩ শতাংশ
B
৯.০৩ শতাংশ
C
১০.০৩ শতাংশ
D
১১.০৩ শতাংশ
0
Updated: 2 months ago