অর্থ পাচারের কারণ নয় কোনটি?
A
অবৈধভাবে উপার্জিত অর্থ গোপন করা
B
কর ফাঁকি না দেয়া
C
কোম্পানির মুনাফা লুকানো
D
দেশে বিনিয়োগ পরিস্থিতি না থাকা
উত্তরের বিবরণ
অর্থ পাচার হলো এমন একটি প্রক্রিয়া, যার মাধ্যমে অপরাধীরা তাদের বেআইনি উপার্জনের উৎস এবং মালিকানা লুকানোর চেষ্টা করে। এটি প্রত্যেক দেশের জন্য একটি জাতীয় ও অর্থনৈতিক সমস্যা হিসেবে বিবেচিত হয়। অর্থ পাচারের পেছনে প্রধান কারণগুলো হলো:
-
দেশে বিনিয়োগের জন্য উপযুক্ত পরিস্থিতি না থাকা।
-
ব্যবসায়ীরা প্রতিযোগিতার চাপের মধ্যে টিকে থাকতে না পারা।
-
বাংলাদেশের ভবিষ্যতের প্রতি আস্থা না থাকা।
-
অবৈধভাবে উপার্জিত অর্থ গোপন করার চেষ্টা।
উক্ত কারণে, এই অপশনগুলোর মধ্যে একমাত্র ‘কর ফাঁকি না দেওয়া’ সঠিক উত্তর হিসেবে গণ্য করা হয়েছে।

0
Updated: 1 day ago
চাপসৃষ্টিকারী গোষ্ঠী বলতে কী বুঝায়?
Created: 1 week ago
A
যারা সরকারের নীতি নির্ধারণ করে।
B
যারা জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সমস্যাবলী সম্পর্কে একমত পোষণ করে।
C
যারা রাজনৈতিক একক হিসেবে কাজ করে।
D
যারা সরকারের সিদ্ধান্ত গ্রহণে প্রভাবিত করার চেষ্টা করে।
চাপসৃষ্টিকারী গোষ্ঠী (Pressure Group) হলো এমন সংগঠন বা গোষ্ঠী, যা সরকার বা নীতিনির্ধারকদের ওপর নির্দিষ্ট দাবি আদায়ের জন্য প্রভাব বিস্তার করে। এরা সরকারের সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ায় সক্রিয় ভূমিকা রাখে এবং রাজনৈতিক প্রক্রিয়ার একটি অপরিহার্য অংশ হিসেবে স্বীকৃত।
-
চাপসৃষ্টিকারী গোষ্ঠী সরকারের সিদ্ধান্ত গ্রহণে প্রভাবিত করার চেষ্টা করে।
-
রাজনৈতিক দলের মতোই চাপসৃষ্টিকারী গোষ্ঠী প্রতিটি রাজনৈতিক ব্যবস্থার একটি অপরিহার্য উপাদান। রাজনৈতিক প্রক্রিয়া বোঝার জন্য তাদের গঠন, আকৃতি-প্রকৃতি এবং ভূমিকা বিশ্লেষণ করা প্রয়োজন।
-
চাপসৃষ্টিকারী গোষ্ঠী এমন সংস্থা, যা কিছু সংখ্যক সাধারণ স্বার্থে আবদ্ধ বেসরকারি লোকের সমন্বয়ে গঠিত এবং রাজনৈতিক কার্যকলাপের মাধ্যমে আইনসভার বাইরে থেকে সরকারি নীতিমালা গ্রহণে প্রভাব বিস্তার করে। অনেকেই এদের স্বার্থকামী গোষ্ঠী হিসেবেও অভিহিত করেন।
-
অধ্যাপক মাইনর ওয়েনার অনুযায়ী, চাপসৃষ্টিকারী গোষ্ঠী হলো স্বেচ্ছামূলকভাবে সংগঠিত এমন একটি গোষ্ঠী, যা সরকারি কাঠামোর বাইরে অবস্থান করে এবং সরকারি নীতিমালা গ্রহণ, পরিচালনা ও নির্ধারণে প্রভাব বিস্তারে সচেষ্ট থাকে।
-
আলফ্রেড গ্রজিয়ার মতে, এটি একটি সংগঠিত সামাজিক গোষ্ঠী, যা সরকারকে আনুষ্ঠানিকভাবে নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা না করে রাজনৈতিক কর্মকর্তাদের আচরণকে প্রভাবিত করার চেষ্টা করে।
-
চাপসৃষ্টিকারী গোষ্ঠী তাদের পছন্দের দল বা ব্যক্তিকে অর্থ ও যানবাহন দিয়ে, প্রচারকাজে সাহায্য করে, যাতে তারা নির্বাচিত হয়ে আইন প্রণয়ন ও শাসন কার্যক্রম পরিচালনার সময় গোষ্ঠীর স্বার্থ রক্ষা করে।
-
প্রয়োজনে তারা মিটিং, মিছিল ও শোভাযাত্রার মাধ্যমে সরকারের উপর চাপ প্রয়োগ করে।

0
Updated: 1 week ago
কোনটি সাংবিধানিক পদ নয়?
Created: 2 weeks ago
A
চেয়ারম্যান, পাবলিক সার্ভিস কমিশন
B
মহা হিসাব-নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক
C
প্রধান নির্বাচন কমিশনার
D
চেয়ারম্যান, মানবাধিকার কমিশন
সাংবিধানিক পদ ও সংজ্ঞা
-
সংজ্ঞা:
-
সংবিধান হলো গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সর্বোচ্চ আইন।
-
সাংবিধানিক উপায়ে যে সকল প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠিত হয়, সেগুলোকে সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান বলা হয়।
-
সংবিধানিক প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠা, পদ, মেয়াদ, পদমর্যাদা, পদত্যাগ, অপসারণ পদ্ধতি এবং দায়িত্ব সংবিধানে সুস্পষ্টভাবে উল্লেখ থাকে।
-
বাংলাদেশের সংবিধানের তৃতীয় তফসিল সাংবিধানিক পদের তালিকা প্রকাশ করে।
-
সাংবিধানিক পদসমূহ
-
রাষ্ট্রপতি
-
প্রধানমন্ত্রী এবং অন্যান্য মন্ত্রী, প্রতি-মন্ত্রী ও উপমন্ত্রী
-
স্পীকার
-
ডেপুটি স্পীকার
-
সংসদ সদস্য
-
প্রধান বিচারপতি
-
প্রধান নির্বাচন কমিশনার
-
মহা হিসাব-নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক
-
সরকারী কর্ম কমিশনের সদস্য
উল্লেখ্য:
-
চেয়ারম্যান, মানবাধিকার কমিশন সাংবিধানিক পদ নয়।
উৎস: বাংলাদেশের সংবিধান

0
Updated: 2 weeks ago
বাংলাদেশ সুগারক্রপ গবেষণা ইনস্টিটিউট কোথায় অবস্থিত?
Created: 1 week ago
A
ঈশ্বরদী, পাবনা
B
চাটমোহর, পাবনা
C
ভাঙ্গুড়া, পাবনা
D
সাঁথিয়া, পাবনা
সুগারক্রপ গবেষণা ইনস্টিটিউট:
- বাংলাদেশ সুগারক্রপ গবেষণা ইনস্টিটিউট পাবনা জেলার ঈশ্বরদীতে অবস্থিত।
- পাকিস্তান আমলে ১৯৫১ সালে প্রথম ইক্ষু গবেষণা কেন্দ্র হিসেবে এটি প্রতিষ্ঠিত হয়।
- দেশ স্বাধীন হওয়ার পর ১৯৭৩ সালে এ কেন্দ্রটিকে শিল্প মন্ত্রণালয়ের অধীন তৎকালীন বাংলাদেশ চিনিকল সংস্থার নিকট হস্তান্তর করা হয়।
- এ সংস্থাটি ১৯৭৪ সালে ‘‘ ইক্ষু গবেষণা ইন্সটিটিউট’’ নামে একটি প্রকল্প প্রণয়ন করে।
- মূলত এ ইন্সটিটিউট হতে দু’ধরনের কাজ সম্পাদিত হয়,
(ক) ইক্ষুর উন্নত জাত ও উন্নত উৎপাদন কলা কৌশল উদ্ভাবন।
(খ) উদ্ভাবিত উন্নত জাত ও উন্নত উৎপাদন কলা-কৌশলসমূহ ইু চাষীদের মধ্যে বিস্তার ঘটানো।

0
Updated: 1 week ago