বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ থেকে চুরি করা অর্থ পাচার করা হয়-
A
যুক্তরাষ্ট্র ও ইন্দোনেশিয়ায়
B
যুক্তরাষ্ট্র ও ভারতে
C
যুক্তরাষ্ট্র ও ফিলিপাইনে
D
শ্রীলংকা ও ফিলিপাইনে
উত্তরের বিবরণ
২০১৬ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি, হ্যাকিংয়ের মাধ্যমে নিউইয়র্কের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংকে রাখা বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ থেকে বিপুল পরিমাণ অর্থ চুরি করা হয়।
-
মোট চুরি হওয়া অর্থ: ১০ কোটি ১০ লাখ ১ হাজার ৬২৩ ডলার।
-
এর মধ্যে ৮১ মিলিয়ন ডলার ফিলিপাইনের আরসিবিসি ব্যাংকের চারটি অ্যাকাউন্টে স্থানান্তর করা হয়।
-
বাকি ২০ মিলিয়ন ডলার শ্রীলঙ্কার একটি ব্যাংকে পাঠানো হয়।
-
এই ঘটনার ওপর ভিত্তি করে নির্মিত হয়েছে হলিউড তথ্যচিত্র ‘বিলিয়ন ডলার হাইস্ট’।
-
তথ্যচিত্রটি যৌথভাবে পরিচালনা করেছেন ড্যানিয়েল গর্ডন, ব্রেন্ডন ডনোভান এবং ব্রায়ান ইভানস।

0
Updated: 1 day ago
(তৎকালীন সাম্প্রতিক তথ্যের প্রশ্ন। বর্তমানে অপ্রয়োজনীয়) বাংলাদেশের কোন ছবি সম্প্রতি 'কোলকাতা ফিল্ম ফেস্টিভাল' পুরস্কার লাভ করে?
Created: 1 month ago
A
ওরা এগার জন
B
গেরিলা
C
আবার তোরা মানুষ হ
D
স্টপ জেনোসাইড
[এটি তৎকালীন সাম্প্রতিক প্রশ্ন যা বর্তমানে গুরুত্বপূর্ণ নয়। পরিবর্তনশীল তথ্যগুলো অনুগ্রহ করে সাম্প্রতিক তথ্য থেকে দেখে নিন। সাম্প্রতিক আপডেট তথ্য জানার জন্য Live MCQ ডাইনামিক ইনফো প্যানেল, সাম্প্রতিক সমাচার বা অথেনটিক সংবাদপত্র দেখুন।]
ওরা ১১ জন:
- মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক প্রথম চলচ্চিত্র 'ওরা ১১ জন'।
- এর পরিচালক চাষী নজরুল ইসলাম।
- প্রযোজক মাসুদ পারভেজ সোহেল।
- এই চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন রাজ্জাক, শাবানা, নূতন, হাসান ইমাম, এ টি এম শামসুজ্জামান, খলিল উল্লাহ প্রমুখ।
- সিনেমায় অভিনয় করা ১১ জন মুক্তিযোদ্ধার ১০ জনই সরাসরি যুদ্ধে অংশ নেন।
- তাঁদের মধ্যে আছেন খসরু, মুরাদ, হেলাল, নান্টু।
- মুক্তিযুদ্ধের সময় দেশকে ১১টি সেক্টরে ভাগ করা হয় এবং ১৯৬৮-৬৯ সালে ছাত্ররা ১১ দফার ভিত্তিতে আন্দোলন করে।
- এখান থেকে ছবির নামকরণ হয়েছে ‘ওরা ১১ জন'।
গেরিলা চলচ্চিত্র:
- গেরিলা ২০১১ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত একটি বাংলাদেশী চলচ্চিত্র।
- নাসির উদ্দিন ইউসুফ পরিচালিত এই চলচ্চিত্রটি বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের পটভূমিতে নির্মিত।
- সৈয়দ শামসুল হকের 'নিষিদ্ধ লোবান' উপন্যাস অবলম্বনে নির্মাণ করা হয়েছে চলচ্চিত্রটি।
- যৌথভাবে চিত্রনাট্য রচনা করেছেন নাসির উদ্দীন ইউসুফ ও এবাদুর রহমান।
- এটি ‘জাতীয় চলচ্চিত্র পুরষ্কার' পেয়েছে।
আবার তোরা মানুষ হ (১৯৭৩):
- চলচ্চিত্রটির পরিচালক খান আতাউর রহমান।
- এ চলচ্চিত্রে যুদ্ধ-পরবর্তী সময়ের সামাজিক বিশৃঙ্খলা ও অবক্ষয়ের চিত্র উঠে এসেছে।
- বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন ফারুক, রাইসুল ইসলাম আসাদ, ববিতা, রোজী আফসারী, রওশন জামিলসহ অনেকে।
- এখানে আছে উচ্ছৃঙ্খল ছাত্র ও তরুণদের কার্যকলাপ এবং একজন আদর্শবাদী অধ্যক্ষের দৃঢ়তা।
Stop Genocide:
- মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক প্রামাণ্যচিত্র Stop Genocide.
- Stop Genocide নির্মাণ করেন জহির রায়হান।
- মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে ১৯৭১ সালের মে/জুন মাসে এটি প্রথম কলকাতায় প্রদর্শিত হয়।
- মূলত বিভিন্ন সূত্র থেকে পাওয়া স্টক ফুটেজ ও নিউজ রিলের ছবির ওপর নির্ভর করেই তৈরি হয় স্টপ জেনোসাইড।
- একজন চলচ্চিত্র-নির্মাতা হিসেবে জহির রায়হান দুনিয়ার মানুষকে বাংলাদেশে চলতে থাকা গণহত্যার খবর জানান দেওয়ার এক বড় দায়িত্ব কাঁধে নেন।
- বিভিন্ন জাতির আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকার প্রসঙ্গে লেনিনের একটি বক্তব্য দিয়ে শুরু হয় ছবিটি।
- ২০ মিনিটের এই ছবিতে বাংলাদেশের মানুষ আছে, এর প্রকৃতি আছে, আছে পাকিস্তানিদের অত্যাচার, নির্যাতন, অগ্নিসংযোগের দৃশ্য।
উৎস: প্রথম আলো।

0
Updated: 1 month ago
'তমদ্দুন মজলিস'-এর নেতা জনাব আবুল কাশেম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কোন বিষয়ের শিক্ষক ছিলেন?
Created: 1 day ago
A
রসায়ন বিজ্ঞান
B
গণিত
C
ইতিহাস
D
পদার্থ বিজ্ঞান
তমদ্দুন মজলিশ ছিল ভাষা আন্দোলনের প্রথম সংগঠন, যা ইসলামী আদর্শে পরিচালিত সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সংগঠন হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে। সংগঠনটির নেতৃত্বে ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক জনাব আবুল কাশেম।
-
প্রতিষ্ঠা: ১৯৪৭ সালের ২ সেপ্টেম্বর অধ্যাপক আবুল কাশেমের উদ্যোগে তমদ্দুন মজলিশ প্রতিষ্ঠিত হয়।
-
সহযোগীরা: প্রতিষ্ঠায় অগ্রণী সহযোগী ছিলেন দেওয়ান মোহাম্মদ আজরফ, অধ্যাপক এ.এস.এম. নূরুল হক ভূঁইয়া, শাহেদ আলী, আবদুল গফুর, বদরুদ্দীন উমর ও হাসান ইকবাল।
-
নেতৃত্ব: অধ্যাপক আবুল কাশেম ছিলেন সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক এবং দেওয়ান মোহাম্মদ আজরফ সভাপতি নির্বাচিত হন।
-
ভাষা আন্দোলনে ভূমিকা: উর্দুকে পাকিস্তানের একমাত্র রাষ্ট্রভাষা করার উদ্যোগের বিরুদ্ধে প্রথম প্রতিবাদ উত্থাপন করে তমদ্দুন মজলিশ।
-
পুস্তিকা প্রকাশ: ১৯৪৭ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর সংগঠনটি বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা করার দাবি জানিয়ে ‘পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা বাংলা না উর্দু’ নামক একটি পুস্তিকা প্রকাশ করে।
-
প্রভাব: সংগঠনটি ছাত্র-শিক্ষক মহলে বাংলা ভাষা নিয়ে সচেতনতা সৃষ্টি করে। একই বছরের মধ্যেই বহু খ্যাতনামা ও অখ্যাত লেখক বাংলা রাষ্ট্রভাষার পক্ষে তাদের দৃঢ় সমর্থন প্রকাশ করেন।
-
সরকারি অবস্থা: পাকিস্তানের পাবলিক সার্ভিস কমিশনের বিষয়তালিকা থেকে এবং নৌ ও অন্যান্য নিয়োগ পরীক্ষায় বাংলা বাদ দেওয়া হয়। এমনকি পাকিস্তানের গণপরিষদে সরকারি ভাষা হিসেবে শুধুমাত্র ইংরেজি ও উর্দু নির্বাচিত হয়, যা বাঙালিদের বিক্ষুব্ধ করে তোলে।

0
Updated: 1 day ago
যে বায়ু সর্বদাই উচ্চচাপ অঞ্চল থেকে নিম্নচাপ অঞ্চলের দিকে প্রবাহিত হয় তা হলো -
Created: 1 month ago
A
অয়ন বায়ু
B
নিয়ত বায়ু
C
প্রত্যয়ন বায়ু
D
মৌসুমী বায়ু
বায়ুপ্রবাহ ও এর প্রকারভেদ
বায়ু সর্বদা এক স্থান থেকে অন্য স্থানে প্রবাহিত হয়। সাধারণত, উচ্চচাপ অঞ্চল থেকে শীতল ও ভারী বায়ু নিম্নচাপ অঞ্চলে যায়। এছাড়াও, ফেরেলের সূত্র অনুসারে বায়ুপ্রবাহ উত্তর গোলার্ধে ডানদিকে এবং দক্ষিণ গোলার্ধে বামদিকে বাঁকে।
বায়ুপ্রবাহের প্রধান চারটি প্রকার:
-
নিয়ত বায়ু
-
সাময়িক বায়ু
-
স্থানীয় বায়ু
-
অনিয়মিত বায়ু
নিয়ত বায়ু:
-
যে বায়ু সর্বদা উচ্চচাপ অঞ্চল থেকে নিম্নচাপ অঞ্চলে প্রবাহিত হয়, তাকে নিয়ত বায়ু বলা হয়।
-
এটি বছরের সকল সময় একই দিকে প্রবাহিত হয়।
-
নিয়ত বায়ুর দিক পৃথিবীর চাপ বলয় দ্বারা নির্ধারিত হয়।
-
নিয়ত বায়ু আবার তিন ভাগে বিভক্ত:
-
অয়ন বায়ু
-
পশ্চিমী বায়ু
-
মেরু বায়ু
-
উৎস: ভূগোল ও পরিবেশ, এসএসসি প্রোগ্রাম, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়

0
Updated: 1 month ago