বর্তমানে পৃথিবীর কোন্ দেশে বেশি প্রবাসী বাংলাদেশি কর্মরত রয়েছে?
A
সৌদি আরব
B
মালয়েশিয়া
C
সংযুক্ত আরব আমিরাত
D
ইতালি
উত্তরের বিবরণ
২০২৪ সালে বাংলাদেশের অভিবাসন পরিস্থিতি উল্লেখযোগ্য। মোট ১০ লাখ ১১,৮৬৯ জন কর্মী বিদেশে গিয়েছেন, যার মধ্যে ৯৫% শ্রমিকই পাঁচটি প্রধান দেশে প্রবেশ করেছেন।
প্রধান গন্তব্য দেশগুলোর মধ্যে রয়েছে সৌদি আরব, মালয়েশিয়া, কাতার, সিঙ্গাপুর এবং সংযুক্ত আরব আমিরাত।
-
শীর্ষ গন্তব্য: সৌদি আরব
-
মোট অভিবাসনের ৬২.১৭% বা প্রায় ৬ লাখ ২৭ হাজার কর্মী সৌদি আরবে গেছেন।
-
দেশটিতে অবকাঠামো নির্মাণসহ বিভিন্ন খাতে দক্ষ ও অদক্ষ শ্রমিকের চাহিদা অব্যাহত রয়েছে।
-
-
দ্বিতীয় বৃহত্তম গন্তব্য: মালয়েশিয়া
-
২০২৪ সালে মাত্র ৯৩ হাজার কর্মী মালয়েশিয়ায় গেছেন।
-

0
Updated: 1 day ago
কোন জেলায় চা বাগান বেশি?
Created: 1 month ago
A
সিলেট
B
হবিগঞ্জ
C
মৌলভীবাজার
D
বান্দরবান
চা শিল্পের ইতিহাস ও বর্তমান অবস্থা (বাংলাদেশ)
-
১৮০০-এর প্রথম ভাগে ভারতবর্ষের আসাম ও তার আশেপাশের এলাকায় চা চাষ শুরু হয়।
-
এর ধারাবাহিকতায় ১৮২৮ সালে বাংলাদেশের চট্টগ্রাম জেলার কর্ণফুলী নদীর তীরে চা চাষের জন্য জমি বরাদ্দ করা হয়।
-
১৮৪০ সালে চট্টগ্রাম শহরের বর্তমান চট্টগ্রাম ক্লাব সংলগ্ন এলাকায় একটি চা বাগান প্রতিষ্ঠিত হয়, যা ‘কুন্ডদের বাগান’ নামে পরিচিত।
-
সিলেটের মালনীছড়ায় প্রথম বাণিজ্যিক চা চাষ শুরু হয় ১৮৫৭ সালে।
-
দেশ স্বাধীন হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত বাংলাদেশে চা আবাদ মূলত দুই জেলায় সীমাবদ্ধ ছিল:
১. সিলেট জেলা – যা ‘সুরমা ভ্যালি’ নামে পরিচিত।
২. চট্টগ্রাম জেলা – যা ‘হালদা ভ্যালি’ নামে পরিচিত।
বর্তমান পরিস্থিতি:
-
দেশে মোট চা বাগানের সংখ্যা: ১৬৯টি।
-
চা নিলাম কেন্দ্র: চট্টগ্রাম, শ্রীমঙ্গল, পঞ্চগড়।
-
সর্বাধিক চা বাগান: মৌলভীবাজার জেলায় ৯০টি।
-
অন্য জেলাগুলোতে চা বাগান:
-
হবিগঞ্জ: ২৫টি
-
সিলেট: ১৯টি
-
উৎস: বাংলাদেশ চা বোর্ড ওয়েবসাইট।

0
Updated: 1 month ago
বাংলাদেশের তৈরি প্রথম ন্যানো স্যাটেলাইটের নাম কী?
Created: 3 weeks ago
A
বিকন অন্বেষা
B
ব্র্যাক অন্বেষা
C
নোয়া ১৮
D
নোয়া ১৯
ব্র্যাক অন্বেষা
-
ব্র্যাক অন্বেষা হলো বাংলাদেশের প্রথম ন্যানো স্যাটেলাইট।
-
এটি ২০১৭ সালের ৪ জুন যুক্তরাষ্ট্রের কেনেডি স্পেস সেন্টার থেকে কক্ষপথে পাঠানো হয়।
-
ন্যানো স্যাটেলাইটটি তৈরি করেছেন বাংলাদেশের ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের তিন শিক্ষার্থী: আব্দুল্লাহ হিল কাফি, রায়হানা শামস ইসলাম অন্তরা এবং মাইসুন ইবনে মনোয়ার। তারা এটি জাপানের কিউশু ইন্সটিটিউট অব টেকনোলজি-র সহায়তায় নির্মাণ করেন।
-
স্যাটেলাইটটির ওজন মাত্র ১ কেজি এবং আকার ১০ সেন্টিমিটার।
-
এটি দুর্যোগ পূর্বাভাস এবং উচ্চমানের চিত্র প্রেরণ করতে সক্ষম।
সূত্র: ডেইলি স্টার বাংলা, ৪ জুন, ২০১৭

0
Updated: 3 weeks ago
বিগত ৫০ বছরে বাংলাদেশে কোন ফসলের চাষ তুলনামূলকভাবে সবচেয়ে বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে?
Created: 1 day ago
A
ভূট্টা
B
পাট
C
ধান
D
গোল আলু
বাংলাদেশের কৃষিক্ষেত্রে গত ৫০ বছরে ভুট্টা চাষের বৃদ্ধি সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য। স্বাধীনতার পর থেকে অন্যান্য ফসল যেমন ধান, পাট ও আলুর উৎপাদন বৃদ্ধি পেলেও তুলনামূলকভাবে ভুট্টার উৎপাদন ও চাষাবাদের হার বহুগুণ বেড়েছে।
ভুট্টা উৎপাদন:
-
বিগত ৫০ বছরে কৃষিতে সবচেয়ে বেশি বৃদ্ধি ঘটেছে ভুট্টা (মেইজ) চাষে।
-
১৯৭১ সালে দেশের ভুট্টা উৎপাদন ছিল মাত্র ২,০০০ মেট্রিক টন, আর চাষের পরিমাণ ছিল ২,৬৫৪ হেক্টর।
-
২০১৯–২০২০ সালে উৎপাদন বেড়ে দাঁড়িয়েছে প্রায় ৫৪ লাখ মেট্রিক টন এবং চাষের পরিমাণ বেড়ে হয়েছে ১,৬৫,৫১০ হেক্টর।
-
প্রতি হেক্টরে ফলন বেড়েছে ০.৮৫ টন থেকে ৬.১৫ টনে।
-
ধান, পাট ও আলুর উৎপাদনও বেড়েছে, তবে তুলনামূলকভাবে ভুট্টার বৃদ্ধির হার সবচেয়ে বেশি।
কৃষি তথ্য সার্ভিস (এআইএস) অনুসারে:
-
স্বাধীনতার পর থেকে চালের উৎপাদন বেড়েছে প্রায় চারগুণ।
-
গমের উৎপাদন বেড়েছে দুইগুণ।
-
ভুট্টার উৎপাদন বেড়েছে প্রায় ১০ গুণ।
-
সবজির উৎপাদন বেড়েছে প্রায় পাঁচগুণ।
অন্যান্য ফসলের বৃদ্ধি:
-
ধান: ১৯৭১ সালে উৎপাদন ছিল ৯.৬৭ মিলিয়ন টন, যা ২০১৯ সালে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৮.৭০ মিলিয়ন টনে।
-
পাট: ১৯৭১ সালে উৎপাদন ছিল প্রায় ৭.৫ মিলিয়ন বেল এবং চাষের পরিমাণ ৮,০০,০০০ হেক্টর। ২০২০ সালে উৎপাদন বেড়ে হয়েছে প্রায় ৮ মিলিয়ন বেল, চাষের পরিমাণ ৮২০,০০০ হেক্টর, প্রতি হেক্টরে ফলনও সামান্য বেড়েছে।
-
গোল আলু: ১৯৭১ সালে উৎপাদন ছিল ৪.৫ লাখ মেট্রিক টন এবং চাষের পরিমাণ ৮৫,০০০ হেক্টর। ২০২০ সালে উৎপাদন বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮.৯ লাখ মেট্রিক টনে, চাষের পরিমাণ হয়েছে ১,২০,০০০ হেক্টর এবং প্রতি হেক্টরে ফলন বেড়ে হয়েছে ৭.৪ টন।

0
Updated: 1 day ago