ক্ষুদ্রঋণ কার্যক্রম বাংলাদেশের গ্রামীণ অর্থনীতিতে প্রধানত-
A
দারিদ্র হ্রাস করে
B
ভিক্ষাবৃত্তি হ্রাস করে
C
নারীর অংশগ্রহণ বৃদ্ধি করে
D
নারীর অংশগ্রহণ হ্রাস করে
উত্তরের বিবরণ
ক্ষুদ্রঋণ কার্যক্রম বাংলাদেশের গ্রামীণ অর্থনীতিতে দরিদ্র জনগোষ্ঠী, বিশেষ করে দরিদ্র মহিলাদের ক্ষমতায়ন এবং তাদের অংশগ্রহণ বৃদ্ধির জন্য গোষ্ঠীভিত্তিক ঋণ প্রদানের একটি গুরুত্বপূর্ণ কর্মসূচি হিসেবে শুরু হয়েছে। এই কার্যক্রম বর্তমানে বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠান এবং এনজিও দ্বারা পরিচালিত হচ্ছে।
-
ক্ষুদ্রঋণ কার্যক্রম প্রথমে দরিদ্র মহিলাদের লক্ষ্য করে গোষ্ঠীভিত্তিক ঋণ প্রদানের মাধ্যমে আরম্ভ হয়।
-
বর্তমানে বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক (বিকেবি), রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক (রাকাব), কর্মসংস্থান ব্যাংক, চারটি রাষ্ট্রায়ত্ত বাণিজ্যিক ব্যাংক এবং ৮০০-এর অধিক এনজিও দেশে ক্ষুদ্রঋণ কার্যক্রম পরিচালনা করছে।
ক্ষুদ্রঋণ কার্যক্রমের উদ্দেশ্য:
-
উৎপাদনমুখী কর্মকান্ডে নারীর অংশগ্রহণ বৃদ্ধি।
-
উদ্যোক্তা সৃষ্টি করা।
-
নারীর ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করা।
নারীর অংশগ্রহণ বৃদ্ধিকে সবচেয়ে গ্রহণযোগ্য বলা হয় কারণ:
-
গ্রামীণ অর্থনীতিতে ক্ষুদ্রঋণ মূলত নারীদের জন্য পরিচালিত হয়।
-
এই কার্যক্রম নারীর ক্ষমতায়নকে ত্বরান্বিত করে।
-
স্ব-কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টির মাধ্যমে নারীরা আত্মনির্ভরশীল হয়ে ওঠে।
-
এর ফলে সমাজে নারীর দৃঢ় অবস্থান প্রতিষ্ঠা পায়।
সারসংক্ষেপে, ক্ষুদ্রঋণ কার্যক্রমের মূল লক্ষ্য হলো বাংলাদেশের গ্রামীণ অর্থনীতিতে নারীর অংশগ্রহণ বৃদ্ধি করা, তাদের আয়বর্ধক কর্মকান্ডে সম্পৃক্ত করা এবং তৃণমূল পর্যায়ে নারীর জীবনমান উন্নয়ন ও স্বাবলম্বিতা নিশ্চিত করা।

0
Updated: 1 day ago
বাংলাদেশের সংবিধানে মোট কয়টি তফসিল আছে?
Created: 2 weeks ago
A
৭টি
B
৮টি
C
৫টি
D
৬টি
বাংলাদেশের সংবিধান অনুযায়ী তফসিলসমূহ
বাংলাদেশের সংবিধানে মোট ৭টি তফসিল রয়েছে, যা সংবিধানের বিভিন্ন বিশেষ বিধান ও গুরুত্বপূর্ণ নথি উল্লেখ করে। এগুলি হলো:
-
প্রথম তফসিল: অন্যান্য বিধান সত্ত্বেও কার্যকর থাকা আইন।
-
দ্বিতীয় তফসিল: রাষ্ট্রপতির নির্বাচন সম্পর্কিত বিধান (বর্তমানে বিলুপ্ত)।
-
তৃতীয় তফসিল: শপথ ও ঘোষণার নিয়ম।
-
চতুর্থ তফসিল: অস্থায়ী ও ক্রান্তিকালীন বিধান।
-
পঞ্চম তফসিল: ১৯৭১ সালের ৭ই মার্চের জাতির উদ্দেশ্য ভাষণ।
-
ষষ্ঠ তফসিল: বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণা।
-
সপ্তম তফসিল: স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র।
তথ্যসূত্র: [বাংলাদেশের সংবিধান]

0
Updated: 2 weeks ago
ওরাওঁ জনগােষ্ঠী কোন অঞ্চলে বসবাস করে?
Created: 1 week ago
A
রাজশাহী-দিনাজপুর
B
বরগুনা-পটুয়াখালী
C
রাঙামাটি-বান্দরবান
D
সিলেট-হবিগঞ্জ
ওরাওঁ জনগোষ্ঠী বাংলাদেশের একটি ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী হিসেবে পরিচিত। এ জনগোষ্ঠীর মানুষ প্রধানত রাজশাহী, রংপুর ও দিনাজপুর অঞ্চলে বসবাস করে এবং তাদের নিজস্ব ভাষা ও সাংস্কৃতিক বৈশিষ্ট্য রয়েছে।
-
অবস্থান: ওরাওঁ জনগোষ্ঠী মূলত রাজশাহী, রংপুর ও দিনাজপুরে বসবাস করে।
-
ভাষা: তারা কুঁড়ুখ ভাষায় কথা বলে, যা দ্রাবিড় ভাষা পরিবারের অন্তর্গত একটি আদি ও কথ্য ভাষা।
-
লিপি: কুঁড়ুখ ভাষার নিজস্ব বর্ণমালা নেই।
-
অতিরিক্ত ভাষা: কুঁড়ুখ ভাষার পাশাপাশি ওরাওঁ জনগোষ্ঠীর মধ্যে সাদরি ভাষাও প্রচলিত রয়েছে।
-
সাংস্কৃতিক উৎসব: ওরাওঁ সমাজের পার্বণিক উৎসবের মধ্যে প্রধান হল ফাগুয়া।

0
Updated: 1 week ago
মুক্তিযুদ্ধের সময় নৌ-কমান্ড গঠিত হয় কোন সেক্টর নিয়ে?
Created: 2 weeks ago
A
১০ নং সেক্টর
B
১১ নং সেক্টর
C
৮ নং সেক্টর
D
৯ নং সেক্টর
মুক্তিযুদ্ধে ১০ নং সেক্টর
১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে যুদ্ধকে আরও সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করার জন্য ১৯৭১ সালের ১১ এপ্রিল মুজিবনগর সরকার সমগ্র দেশকে ১১টি সেক্টরে ভাগ করে।
এর মধ্যে ১০ নং সেক্টর ছিল বিশেষ নৌ সেক্টর।
-
এ সেক্টরটি দেশের সমুদ্র অঞ্চল ও নৌপথের দায়িত্বে ছিল।
-
এই সেক্টরে আলাদা কোনো স্থায়ী সেক্টর কমান্ডার নিয়োগ করা হয়নি।
-
যে এলাকায় নৌ-অভিযান পরিচালিত হতো, সেখানকার সেক্টর কমান্ডারই সাময়িকভাবে ১০ নং সেক্টরের দায়িত্ব পালন করতেন।
১০ নং সেক্টরের উদ্যোক্তারা
ফ্রান্সে প্রশিক্ষণরত পাকিস্তান নৌবাহিনীর আটজন বাঙালি কর্মকর্তা এই নৌবাহিনী গঠনের উদ্যোগ নেন। তাঁরা হলেন—
-
গাজী মোহাম্মদ রহমতউল্লাহ (চীফ পেটি অফিসার)
-
সৈয়দ মোশাররফ হোসেন (পেটি অফিসার)
-
আমিন উল্লাহ শেখ (পেটি অফিসার)
-
আহসান উল্লাহ (এম.ই-১)
-
এ.ডব্লিউ. চৌধুরী (আর.ও-১)
-
বদিউল আলম (এম.ই-১)
-
এ.আর. মিয়া (ই.এন-১)
-
আবেদুর রহমান (স্টুয়ার্ড-১)
তথ্যসূত্র: মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়, বাংলাপিডিয়া

0
Updated: 2 weeks ago