২০২২ সালের জনশুমারি অনুযায়ী বাংলাদেশের জনসংখ্যা-
A
প্রায় উনিশ কোটি
B
প্রায় সাড়ে ষোলো কোটি
C
প্রায় আঠারো কোটি
D
প্রায় সতেরো কোটি
উত্তরের বিবরণ
২০২২ সালের জনশুমারি অনুযায়ী বাংলাদেশের জনসংখ্যা প্রায় সতেরো কোটি। এই শুমারি দেশের ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা, যেখানে প্রথমবারের মতো ডিজিটাল পদ্ধতিতে তথ্য সংগ্রহ করা হয়।
-
জনশুমারি ও গৃহগণনা ২০২২ পরিচালনা করেছে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (BBS)
-
এটি ছিল দেশের ষষ্ঠ জনশুমারি ও গৃহগণনা
-
অনুষ্ঠিত হয় ১৫-২১ জুন ২০২২ সালে
-
এটি দেশের প্রথম ডিজিটাল শুমারি
-
তথ্য সংগ্রহে ব্যবহৃত পদ্ধতি: CAPI (Computer Assisted Personal Interviewing)
-
গণনায় অনুসৃত পদ্ধতি: মোডিফাইড ডি-ফ্যাক্টো (Modified De-facto) পদ্ধতি
-
মোট জনসংখ্যা: ১৬ কোটি ৯৮ লাখ ২৮ হাজার ৯১১ জন
-
জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার: ১.১২%
-
জনসংখ্যার ঘনত্ব: প্রতি বর্গকিলোমিটারে ১১১৯ জন
অতিরিক্ত তথ্য:
-
সবচেয়ে ঘনবসতিপূর্ণ জেলা: ঢাকা (১০০৬৭ জন)
-
সবচেয়ে কম ঘনবসতিপূর্ণ জেলা: রাঙ্গামাটি (১০৬ জন)
-
জনসংখ্যার ঘনত্ব সবচেয়ে বেশি: ঢাকা বিভাগে (২১৫৬ জন)
-
জনসংখ্যার ঘনত্ব সবচেয়ে কম: বরিশাল বিভাগে (৬৮৮ জন)
0
Updated: 1 month ago
কোন বিভাগে সবচেয়ে বেশি মানুষ বাস করে?
Created: 2 months ago
A
চট্টগ্রাম
B
ঢাকা
C
বরিশাল
D
রাজশাহী
সবচেয়ে বেশি জনসংখ্যা বসবাস করে ঢাকা বিভাগে।
ষষ্ঠ জনশুমারি ও গৃহগণনা ২০২২:
-
সর্বশেষ ষষ্ঠ জনশুমারি ও গৃহগণনা অনুষ্ঠিত হয়: ১৫-২১ জুন ২০২২।
-
তথ্য সংগ্রহ পদ্ধতি: CPI
-
গণনা পদ্ধতি: Modified De-facto
-
দেশে মোট জনসংখ্যা: ১৬,৯৮,২৮,৯১১ জন
-
বার্ষিক জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার: ১.১২%
-
সাক্ষরতার হার: ৭৪.৮০%
-
সবচেয়ে বেশি মানুষ বাস করে: ঢাকা
-
জেলা অনুযায়ী সবচেয়ে কম ঘনত্ব: রাঙ্গামাটি
-
সবচেয়ে কম মানুষ বাস করে: বরিশাল বিভাগে
-
জনসংখ্যার ঘনত্ব: ১১১৯ জন/বর্গকিমি
-
জনসংখ্যার ঘনত্ব সবচেয়ে কম: বরিশাল বিভাগে
-
জনসংখ্যার ঘনত্ব সবচেয়ে বেশি: ঢাকা বিভাগে
সূত্র: ষষ্ঠ জনশুমারি ও গৃহগণনা ২০২২
0
Updated: 2 months ago
ভাষা আন্দোলনের প্রথম সংগঠন কোনটি?
Created: 2 months ago
A
রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদ
B
ছাত্রলীগ
C
তমদ্দুন মজলিশ
D
রাষ্ট্রভাষা বাংলা কমিটি
বাংলাদেশ বিষয়াবলি
জনশুমারি ও গৃহ গণনা
বাংলা উপন্যাস
বাংলাদেশ জাতীয় আর্কাইভ
বাংলাদেশের জনসংখ্যা ও উপজাতি
ভাষা আন্দোলন
ভাষা আন্দোলন
-
প্রথম সংগঠন:
-
ভাষা আন্দোলনের প্রথম সংগঠন ছিল তমদ্দুন মজলিশ।
-
এটি ছিল ইসলামী আদর্শভিত্তিক একটি সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সংগঠন।
-
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক আবুল কাশেমের উদ্যোগে ১৯৪৭ সালের ২ সেপ্টেম্বর প্রতিষ্ঠিত হয় এবং এর নামকরণ করা হয় পাকিস্তান তমদ্দুন মজলিশ।
-
-
প্রাসঙ্গিক ইতিহাস:
-
ভাষা আন্দোলন মূলত ছিল বাঙালি সংস্কৃতির স্বাধিকার আন্দোলন।
-
১৯০৬ সালে নিখিল ভারত মুসলিম লীগ প্রতিষ্ঠার সময় প্রথম উর্দু বনাম বাংলা বিতর্ক দেখা দেয়।
-
১৯৩৭ সালে মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ মুসলিম লীগের দাপ্তরিক ভাষা উর্দু করার প্রস্তাব দিলে, শেরে বাংলা এ. কে. ফজলুল হক এর প্রবল বিরোধিতা করেন।
-
ভাষা আন্দোলনের প্রথম পুস্তিকা প্রকাশ করেছিল তমদ্দুন মজলিশ।
-
-
গুরুত্ব:
-
বাঙালির মুক্তি সংগ্রামের প্রথম ধাপ ছিল ভাষা আন্দোলন।
-
এই আন্দোলনের মধ্য দিয়েই বাঙালি জাতীয়তাবোধের উন্মেষ ও বিকাশ ঘটে।
-
ভাষা আন্দোলনের সূচনা হয় ১৯৪৭ সালে এবং এটি চূড়ান্ত রূপ লাভ করে ১৯৫২ সালে।
-
📖 তথ্যসূত্র:
বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয়, নবম-দশম শ্রেণি; বাংলাপিডিয়া।
0
Updated: 2 months ago
জনশুমারি ও গৃহগণনা ২০২২ এর চূড়ান্ত রিপোর্ট অনুযায়ী, ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীভুক্ত জনসংখ্যা সবচেয়ে কম কোন বিভাগে?
Created: 1 month ago
A
রংপুর
B
ময়মনসিংহ
C
বরিশাল
D
খুলনা
বাংলাদেশে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীভুক্ত জনগণের সংখ্যা ও তাদের অবস্থান সম্পর্কে সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, ২০২২ সালের জনশুমারি ও গৃহগণনায় এই জনগণের সংখ্যা ১৬,৫০,১৫৯ জন হিসেবে নির্ধারণ করা হয়েছে, যা দেশের মোট জনসংখ্যার প্রায় ১%। তবে, ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীভুক্ত নেতৃবৃন্দ ও গবেষকরা এই সংখ্যা অনেক কম বলে মনে করেন এবং প্রকৃত সংখ্যা ৩০ লাখেরও বেশি হতে পারে বলে দাবি করেন (The Daily Star)।
এই জনগণের মধ্যে চাকমা, মারমা, ত্রিপুরা, সাঁওতাল, ওরাওঁ ও গারো অন্যতম প্রধান জাতিগত গোষ্ঠী। তাদের মধ্যে চাকমা গোষ্ঠীর সদস্য সংখ্যা সবচেয়ে বেশি, যা ৪,৮৩,৩৬৫ জন। মারমা গোষ্ঠীর সদস্য সংখ্যা ২,২৪,২৯৯ জন, ত্রিপুরা গোষ্ঠীর সদস্য সংখ্যা ১,৫৬,৬২০ জন, সাঁওতাল গোষ্ঠীর সদস্য সংখ্যা ১,২৯,০৫৬ জন, ওরাওঁ গোষ্ঠীর সদস্য সংখ্যা ৮৫,৮৫৮ জন এবং গারো গোষ্ঠীর সদস্য সংখ্যা ৭৬,৮৫৪ জন।
বাংলাদেশের ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীভুক্ত জনগণ প্রধানত চট্টগ্রাম ও পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলে বসবাস করে থাকেন। তাদের মধ্যে চাকমা, মারমা, ত্রিপুরা, সাঁওতাল, ওরাওঁ ও গারো গোষ্ঠীগুলি উল্লেখযোগ্য। তবে, ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীভুক্ত জনগণের সংখ্যা ও তাদের অবস্থান সম্পর্কে আরও বিস্তারিত তথ্যের জন্য বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর ওয়েবসাইট ও অন্যান্য অথেনটিক সংবাদপত্রের প্রতিবেদন পর্যালোচনা করা যেতে পারে।
0
Updated: 1 month ago