বিগত ৫০ বছরে বাংলাদেশে কোন ফসলের চাষ তুলনামূলকভাবে সবচেয়ে বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে?
A
ভূট্টা
B
পাট
C
ধান
D
গোল আলু
উত্তরের বিবরণ
বাংলাদেশের কৃষিক্ষেত্রে গত ৫০ বছরে ভুট্টা চাষের বৃদ্ধি সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য। স্বাধীনতার পর থেকে অন্যান্য ফসল যেমন ধান, পাট ও আলুর উৎপাদন বৃদ্ধি পেলেও তুলনামূলকভাবে ভুট্টার উৎপাদন ও চাষাবাদের হার বহুগুণ বেড়েছে।
ভুট্টা উৎপাদন:
-
বিগত ৫০ বছরে কৃষিতে সবচেয়ে বেশি বৃদ্ধি ঘটেছে ভুট্টা (মেইজ) চাষে।
-
১৯৭১ সালে দেশের ভুট্টা উৎপাদন ছিল মাত্র ২,০০০ মেট্রিক টন, আর চাষের পরিমাণ ছিল ২,৬৫৪ হেক্টর।
-
২০১৯–২০২০ সালে উৎপাদন বেড়ে দাঁড়িয়েছে প্রায় ৫৪ লাখ মেট্রিক টন এবং চাষের পরিমাণ বেড়ে হয়েছে ১,৬৫,৫১০ হেক্টর।
-
প্রতি হেক্টরে ফলন বেড়েছে ০.৮৫ টন থেকে ৬.১৫ টনে।
-
ধান, পাট ও আলুর উৎপাদনও বেড়েছে, তবে তুলনামূলকভাবে ভুট্টার বৃদ্ধির হার সবচেয়ে বেশি।
কৃষি তথ্য সার্ভিস (এআইএস) অনুসারে:
-
স্বাধীনতার পর থেকে চালের উৎপাদন বেড়েছে প্রায় চারগুণ।
-
গমের উৎপাদন বেড়েছে দুইগুণ।
-
ভুট্টার উৎপাদন বেড়েছে প্রায় ১০ গুণ।
-
সবজির উৎপাদন বেড়েছে প্রায় পাঁচগুণ।
অন্যান্য ফসলের বৃদ্ধি:
-
ধান: ১৯৭১ সালে উৎপাদন ছিল ৯.৬৭ মিলিয়ন টন, যা ২০১৯ সালে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৮.৭০ মিলিয়ন টনে।
-
পাট: ১৯৭১ সালে উৎপাদন ছিল প্রায় ৭.৫ মিলিয়ন বেল এবং চাষের পরিমাণ ৮,০০,০০০ হেক্টর। ২০২০ সালে উৎপাদন বেড়ে হয়েছে প্রায় ৮ মিলিয়ন বেল, চাষের পরিমাণ ৮২০,০০০ হেক্টর, প্রতি হেক্টরে ফলনও সামান্য বেড়েছে।
-
গোল আলু: ১৯৭১ সালে উৎপাদন ছিল ৪.৫ লাখ মেট্রিক টন এবং চাষের পরিমাণ ৮৫,০০০ হেক্টর। ২০২০ সালে উৎপাদন বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮.৯ লাখ মেট্রিক টনে, চাষের পরিমাণ হয়েছে ১,২০,০০০ হেক্টর এবং প্রতি হেক্টরে ফলন বেড়ে হয়েছে ৭.৪ টন।
0
Updated: 1 month ago
(তৎকালীন 'সাম্প্রতিক প্রশ্ন'। তখনকার সময়ের সঠিক উত্তর এখন আর গুরুত্বপূর্ণ নয়। অনুগ্রহ করে ব্যাখ্যা থেকে বর্তমান তথ্য দেখে নিন) বাংলাদেশের জিডিপিতে (GDP) কৃষি খাতের (ফসল, বন, প্রাণিসম্পদ, মৎস্যসহ) অবদান কত শতাংশ?
Created: 2 months ago
A
১৪.৭৯ শতাংশ
B
১৬.০০ শতাংশ
C
১২.০০ শতাংশ
D
১৮.০০ শতাংশ
[এই প্রশ্নের তথ্য পরিবর্তনশীল। অনুগ্রহ করে সাম্প্রতিক তথ্য দেখে নিন। সাম্প্রতিক আপডেট তথ্য জানার জন্য Live MCQ ডাইনামিক ইনফো প্যানেল, সাম্প্রতিক সমাচার বা অথেনটিক সংবাদপত্র দেখুন।]
অর্থনৈতিক সমীক্ষা ২০২৩ অনুযায়ী,
জিডিপিতে বিভিন্ন খাতের অবদান:
- সেবা খাতের অবদান ৫১.২৪ শতাংশ।
- শিল্প খাতের অবদান ৩৭.৫৬ শতাংশ।
- কৃষি খাতের অবদান ১১.২০ শতাংশ।
- সেবা খাতের অবদান সবচেয়ে বেশি।
অন্যদিকে,
- অর্থনীতি/জিডিপিতে কৃষিখাতে নিয়োজিত জনশক্তির পরিমাণ - ৪৫.৩৩%।
- অর্থনীতি/জিডিপিতে শিল্পখাতে নিয়োজিত জনশক্তির পরিমাণ - ১৭.০২%।
- অর্থনীতি/জিডিপিতে সেবাখাতে নিয়োজিত জনশক্তির পরিমাণ - ৩৭.৬৫%।
তথ্যসূত্র: অর্থনৈতিক সমীক্ষা ২০২৩।
0
Updated: 2 months ago
বাগদা চিংড়ি কোন দশক থেকে রপ্তানি পণ্য হিসেবে স্থান করে নেয়?
Created: 2 months ago
A
পঞ্চাশ দশক
B
ষাট দশক
C
সত্তর দশক
D
আশির দশক
বাগদা চিংড়ি (Penaeus monodon) এবং এর রপ্তানি গুরুত্ব
-
বাগদা চিংড়ি বাংলাদেশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ মৎস্যজাত, যা মূলত লোনা পানিতে উৎপাদিত হয়। লোনা পানিতে চিংড়ি উৎপাদিত হলে তাকে সাধারণত শ্রিম্প (Shrimp) এবং স্বাদু পানিতে উৎপাদিত হলে প্রন (Prawn) বলা হয়।
-
বাগদা চিংড়ি আন্তর্জাতিক বাজারে Black Tiger Shrimp নামে পরিচিত।
-
বাংলাদেশের দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিম উপকূলীয় জেলা, বিশেষ করে বাগেরহাট, খুলনা ও সাতক্ষীরা, বাগদা চিংড়ি উৎপাদনের প্রধান কেন্দ্র।
ইতিহাস ও উৎপাদন:
-
১৯৭০-এর দশকের শুরু থেকে উপকূলীয় চাষীরা সনাতন পদ্ধতিতে চিংড়ি চাষ শুরু করেন।
-
১৯৮০-এর দশক থেকে বাণিজ্যিকভাবে বাগদা চিংড়ি উৎপাদন ও রপ্তানি শুরু হয়।
-
এই সময় খুলনা অঞ্চলে পোল্ডার এবং কক্সবাজারে লবণ যুক্ত পানি ব্যবহার করে চিংড়ি চাষের উদ্যোগ নেওয়া হয়।
-
১৯৮০-এর দশকের মাঝামাঝি সময়ে মৎস্য অধিদপ্তরের হ্যাচারিতে পোনা উৎপাদনে সাফল্য আসে এবং বেসরকারি খাতের হ্যাচারি স্থাপনে সহায়তা প্রদান করা হয়।
অর্থনৈতিক গুরুত্ব:
-
চিংড়ি দেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনকারী রপ্তানি পণ্য।
-
দেশের মোট চিংড়ি উৎপাদনের একটি বড় অংশ উপকূলীয় অঞ্চলে হয়।
উৎস: পেটেন্ট, শিল্প-নকশা ও ট্রেডমার্কস অধিদপ্তর ওয়েবসাইট, মৎস্য অধিদপ্তর ওয়েবসাইট, প্রথম আলো, ০৮ ডিসেম্বর ২০২১।
0
Updated: 2 months ago
'মুজিব: একটি জাতির রূপকার' চলচ্চিত্রের পরিচালক কে?
Created: 1 month ago
A
গুরু দত্ত
B
শিবু সিরিল
C
শ্যাম বেনেগাল
D
বিশাল ভরদ্বাজ
‘মুজিব: একটি জাতির রূপকার’ চলচ্চিত্র জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবনীকে কেন্দ্র করে নির্মিত একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রজেক্ট, যা বাংলাদেশের ইতিহাস ও মুক্তিযুদ্ধের প্রেক্ষাপটকে সিনেমার মাধ্যমে উপস্থাপন করে।
এটি বাংলাদেশ ও ভারতের যৌথ প্রযোজনায় তৈরি হয়েছে এবং ভারতীয় খ্যাতিমান পরিচালক শ্যাম বেনেগাল পরিচালিত।
-
চলচ্চিত্রের নাম: মুজিব: একটি জাতির রূপকার (MUJIB: THE MAKING OF A NATION)।
-
বিষয়বস্তু: জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবন ও কর্ম।
-
মুক্তির তারিখ: ১৩ অক্টোবর ২০২৩।
-
প্রাথমিক ট্রেলার: ১৯ মে ২০২২ সালে ফ্রান্সে অনুষ্ঠিত ৭৫তম কান চলচ্চিত্র উৎসবে প্রকাশিত।
-
পরিচালনা: ভারতীয় পরিচালক শ্যাম বেনেগাল, বাংলাদেশের সাথে যৌথ প্রযোজনা।
-
নির্মাণ ব্যয়: মোট ৮৩ কোটি টাকা, যেখানে বাংলাদেশ প্রদান করেছে ৫০ কোটি টাকা এবং ভারত ৩৩ কোটি টাকা।
-
চিত্রনাট্যকার: শামা জাইদি ও অতুল তিওয়ারি।
-
ভাষা: বাংলা, হিন্দি ও ইংরেজি তিনটি ভাষায় নির্মিত।
-
বঙ্গবন্ধুর চরিত্রে অভিনয়: আরিফিন শুভ।
অন্য চলচ্চিত্রের উল্লেখযোগ্য তথ্য:
-
চিরঞ্জীব মুজিব: ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’ অবলম্বনে নির্মিত।
-
মুজিব আমার পিতা: দেশের প্রথম পূর্ণদৈর্ঘ্য অ্যানিমেশন চলচ্চিত্র।
-
৫৭০: বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পরবর্তী ঘটনা কেন্দ্র করে নির্মিত।
-
তর্জনী: ৭ই মার্চের ভাষণে অনুপ্রাণিত, নির্মাতা সোহেল রানা বয়াতি।
-
দ্য স্পিচ: ১৯৭১ সালের ৭ মার্চের রেসকোর্স ময়দানের দৃপ্ত ভাষণ নিয়ে নির্মিত তথ্যচিত্র, নির্মাতা ফাখরুল আরেফীন।
0
Updated: 1 month ago