কোন তারিখে আসাদুজ্জামান আসাদ পুলিশের গুলিতে শহিদ হন?
A
১৮ জানুয়ারি ১৯৬৯
B
২০ জানুয়ারি ১৯৬৯
C
২২ জানুয়ারি ১৯৬৯
D
২৪ জানুয়ারি ১৯৬৯
উত্তরের বিবরণ
১৯৬৯ সালের গণঅভ্যুত্থানের প্রেক্ষাপটে ছাত্র আন্দোলন একটি ঐতিহাসিক রূপ নেয়, যেখানে শহীদ আসাদসহ অনেকের আত্মত্যাগ আন্দোলনকে আরও বেগবান করে তোলে।
-
১৯৬৯-এর গণঅভ্যুত্থান
-
আইয়ুব বিরোধী ছাত্র আন্দোলন ১৯৬৮ সালের অক্টোবর মাসে শুরু হলেও ১৯৬৯ সালের জানুয়ারিতে তা তুঙ্গে ওঠে এবং মধ্য জানুয়ারিতে পূর্ণ গণআন্দোলনের রূপ নেয়।
-
ছাত্রসংগ্রাম পরিষদ দেশের সকল মৌলিক গণতন্ত্রীকে পদত্যাগের আহ্বান জানালে অনেকে সে আহ্বানে সাড়া দেন।
-
ছাত্র ও শিক্ষক সমাজ ছাত্রসংগ্রাম পরিষদের আন্দোলনের সঙ্গে একাত্মতা ঘোষণা করে।
-
আইয়ুব খান পুলিশ, ইপিআর ও সেনাবাহিনী দিয়ে আন্দোলন দমন করার চেষ্টা চালান।
-
১৯৬৯ সালের ২০ জানুয়ারি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র এবং ছাত্র ইউনিয়ন (মেনন গ্রুপ)-এর নেতা আসাদুজ্জামান পুলিশের গুলিতে শহীদ হলে আন্দোলন নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়।
-
আন্দোলন আরও চরম আকার ধারণ করে যখন ১৮ ফেব্রুয়ারি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ড. শামসুজ্জোহা প্রক্টরের দায়িত্ব পালনের সময় পুলিশের গুলি ও বেয়নেট চার্জে মৃত্যুবরণ করেন।
-
-
উল্লেখযোগ্য তথ্য
-
ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থানের প্রেক্ষাপটে ‘এগারো দফা’ প্রণীত হয়।
-
এই আন্দোলনের মাধ্যমেই আইয়ুব খানের পতন ঘটে।
-
0
Updated: 1 month ago
বাংলাদেশের সংবিধানে মোট কয়টি তফসিল আছে?
Created: 2 months ago
A
৭টি
B
৮টি
C
৫টি
D
৬টি
বাংলাদেশের সংবিধান অনুযায়ী তফসিলসমূহ
বাংলাদেশের সংবিধানে মোট ৭টি তফসিল রয়েছে, যা সংবিধানের বিভিন্ন বিশেষ বিধান ও গুরুত্বপূর্ণ নথি উল্লেখ করে। এগুলি হলো:
-
প্রথম তফসিল: অন্যান্য বিধান সত্ত্বেও কার্যকর থাকা আইন।
-
দ্বিতীয় তফসিল: রাষ্ট্রপতির নির্বাচন সম্পর্কিত বিধান (বর্তমানে বিলুপ্ত)।
-
তৃতীয় তফসিল: শপথ ও ঘোষণার নিয়ম।
-
চতুর্থ তফসিল: অস্থায়ী ও ক্রান্তিকালীন বিধান।
-
পঞ্চম তফসিল: ১৯৭১ সালের ৭ই মার্চের জাতির উদ্দেশ্য ভাষণ।
-
ষষ্ঠ তফসিল: বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণা।
-
সপ্তম তফসিল: স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র।
তথ্যসূত্র: [বাংলাদেশের সংবিধান]
0
Updated: 2 months ago
বাংলা (দেশ ও ভাষা) নামের উৎপত্তির বিষয়টি কোন গ্রন্থে সর্বাধিক উল্লেখিত হয়েছে?
Created: 2 months ago
A
আলমগীরনামা
B
আইন-ই-আকবরী
C
আকবরনামা
D
তুজুক-ই-আকবরী
বাংলা (দেশ ও ভাষা) নামের উৎপত্তি
আইন-ই-আকবরী গ্রন্থে বাংলা নামের উৎপত্তি প্রসঙ্গে সবচেয়ে বেশি উল্লেখ পাওয়া যায়।
আইন-ই-আকবরী
-
মুঘল সম্রাট আকবরের (১৫৫৬-১৬০৫) রাজদরবারের ঐতিহাসিক আবুল ফজল এই গ্রন্থটি রচনা করেন।
-
এটি মূলত আকবরনামা নামের বৃহৎ ইতিহাসগ্রন্থের তৃতীয় খণ্ড।
-
আকবর যে সব প্রশাসনিক আইন ও নীতি কার্যকর করেছিলেন, সেগুলোর বিস্তারিত বিবরণ এখানে পাওয়া যায়।
-
যদিও এটি আকবরনামার অংশ, তবুও আইন-ই-আকবরী নিজেই একটি পূর্ণাঙ্গ গ্রন্থ হিসেবে স্বীকৃত।
-
বাংলার ইতিহাস পুনর্গঠনে এ গ্রন্থের তথ্য বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ।
বাংলা নামের উৎপত্তি
গ্রন্থে উল্লেখ আছে—
-
বাংলার প্রাচীন নাম ছিল বঙ্গাল।
-
কারণ, এই দেশের রাজারা সারাদেশে চওড়া ‘আল’ (উঁচু বাঁধ/মাটি তোলা রাস্তা) নির্মাণ করতেন।
-
তাই ‘বঙ্গ’ + ‘আল’ = ‘বঙ্গাল’, যেখান থেকে বাংলা নামের উৎপত্তি হয়েছে।
উৎস: বাংলাপিডিয়া
0
Updated: 2 months ago
যশোর জেলায় অবস্থিত বিল-
Created: 2 months ago
A
হাইল
B
পাথরচাওলি
C
ভবদহ
D
আড়িয়াল
ভবদহ বিল – যশোর জেলায়
ভবদহ বিল বাংলাদেশের যশোর জেলায় অবস্থিত।
যশোর জেলা সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত তথ্য:
-
যশোর জেলা বাংলাদেশের অন্যতম প্রাচীন জেলা। এটি প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল প্রায় ১৭৮৬ সালে, অর্থাৎ প্রায় দুইশত বছর আগে।
-
ইতিহাসে যশোরের শাসকদের মধ্যে মহারাজ বিক্রমমাদিত্য, রাজা প্রতাপাদিত্য ও রাজা সীতারাম রায় বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য।
-
১৮৭৬ থেকে ১৯৮৪ সাল পর্যন্ত জেলা প্রশাসনের গঠন ও পুনর্বিন্যাস ক্রমাগত চলতে থাকে।
-
১৯৮৪ সালে বাংলাদেশ সরকার প্রশাসনিক উন্নয়নের জন্য যশোরকে ভেঙ্গে পুনর্গঠন করে।
-
বাংলাদেশের স্বাধীনতার সময় প্রথম পতাকা উত্তোলন করা হয়েছিল যশোর থেকেই।
ভূগোল ও নদী:
-
যশোর এক ধরণের মৃতপ্রায় ব-দ্বীপ হিসেবে পরিচিত।
-
জেলার প্রধান নদীসমূহ: ভৈরব, চিত্রা, কপোতাক্ষ, হরিহর, দাদরা, বেত্রাবতী, কোদলা ও ইছামতি।
বিল সমূহ:
-
যশোরের গুরুত্বপূর্ণ বিলের মধ্যে রয়েছে ভবদহ, জলেশ্বর, বকর ও হরিণা।
উৎস: বাংলাদেশ জাতীয় তথ্য বাতায়ন
0
Updated: 2 months ago