'তমদ্দুন মজলিস'-এর নেতা জনাব আবুল কাশেম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কোন বিষয়ের শিক্ষক ছিলেন?
A
রসায়ন বিজ্ঞান
B
গণিত
C
ইতিহাস
D
পদার্থ বিজ্ঞান
উত্তরের বিবরণ
তমদ্দুন মজলিশ ছিল ভাষা আন্দোলনের প্রথম সংগঠন, যা ইসলামী আদর্শে পরিচালিত সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সংগঠন হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে। সংগঠনটির নেতৃত্বে ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক জনাব আবুল কাশেম।
-
প্রতিষ্ঠা: ১৯৪৭ সালের ২ সেপ্টেম্বর অধ্যাপক আবুল কাশেমের উদ্যোগে তমদ্দুন মজলিশ প্রতিষ্ঠিত হয়।
-
সহযোগীরা: প্রতিষ্ঠায় অগ্রণী সহযোগী ছিলেন দেওয়ান মোহাম্মদ আজরফ, অধ্যাপক এ.এস.এম. নূরুল হক ভূঁইয়া, শাহেদ আলী, আবদুল গফুর, বদরুদ্দীন উমর ও হাসান ইকবাল।
-
নেতৃত্ব: অধ্যাপক আবুল কাশেম ছিলেন সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক এবং দেওয়ান মোহাম্মদ আজরফ সভাপতি নির্বাচিত হন।
-
ভাষা আন্দোলনে ভূমিকা: উর্দুকে পাকিস্তানের একমাত্র রাষ্ট্রভাষা করার উদ্যোগের বিরুদ্ধে প্রথম প্রতিবাদ উত্থাপন করে তমদ্দুন মজলিশ।
-
পুস্তিকা প্রকাশ: ১৯৪৭ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর সংগঠনটি বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা করার দাবি জানিয়ে ‘পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা বাংলা না উর্দু’ নামক একটি পুস্তিকা প্রকাশ করে।
-
প্রভাব: সংগঠনটি ছাত্র-শিক্ষক মহলে বাংলা ভাষা নিয়ে সচেতনতা সৃষ্টি করে। একই বছরের মধ্যেই বহু খ্যাতনামা ও অখ্যাত লেখক বাংলা রাষ্ট্রভাষার পক্ষে তাদের দৃঢ় সমর্থন প্রকাশ করেন।
-
সরকারি অবস্থা: পাকিস্তানের পাবলিক সার্ভিস কমিশনের বিষয়তালিকা থেকে এবং নৌ ও অন্যান্য নিয়োগ পরীক্ষায় বাংলা বাদ দেওয়া হয়। এমনকি পাকিস্তানের গণপরিষদে সরকারি ভাষা হিসেবে শুধুমাত্র ইংরেজি ও উর্দু নির্বাচিত হয়, যা বাঙালিদের বিক্ষুব্ধ করে তোলে।
0
Updated: 1 month ago
ট্যারিফ কমিশন কোন মন্ত্রণালয়ের অধীন?
Created: 2 months ago
A
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়
B
অর্থ মন্ত্রণালয়
C
পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়
D
শিল্প মন্ত্রণালয়
ট্যারিফ কমিশন
ট্যারিফ কমিশন হলো বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনে পরিচালিত একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান। এটি দেশের শিল্প ও বাণিজ্যকে সুরক্ষিত রাখতে এবং অসাম্যপূর্ণ প্রতিযোগিতা রোধ করতে কাজ করে।
-
প্রতিষ্ঠা ও আইনগত ভিত্তি:
২৮ জুলাই ১৯৭৩ সালে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এটি একটি অধিদপ্তর হিসেবে কাজ শুরু করে। পরে, ১৯৯২ সালের নভেম্বর মাসে এটি বাংলাদেশ ট্যারিফ কমিশন আইন ১৯৯২ (৪৩ নম্বর আইন) অনুযায়ী পূর্ণাঙ্গভাবে গঠিত হয় এবং স্বাধীনভাবে কার্যক্রম পরিচালনার অধিকার পায়। -
উদ্দেশ্য ও কার্যক্রম:
কমিশনের প্রধান লক্ষ্য হলো দেশীয় শিল্পকে বিদেশি পণ্যের অসঙ্গতিপূর্ণ প্রতিযোগিতা থেকে রক্ষা করা এবং শিল্পজাত পণ্যের যথাযথ সংরক্ষণ নিশ্চিত করা। -
সংগঠন ও নেতৃত্ব:
বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সাথে সংযুক্ত। এর নেতৃত্বে থাকেন সরকারি সচিব পর্যায়ের মর্যাদাসম্পন্ন চেয়ারম্যান। -
শাখা ভিত্তিক বিভাজন:
কমিশনের কাজ তিনটি প্রধান শাখার মাধ্যমে পরিচালিত হয়:-
বাণিজ্য নীতিমালা শাখা
-
বাণিজ্য প্রতিকার শাখা
-
আন্তর্জাতিক সহযোগিতা শাখা
প্রতিটি শাখার নেতৃত্বে একজন সদস্য থাকেন। এছাড়াও একটি প্রশাসনিক শাখা আছে, যা কমিশনের সচিব দ্বারা পরিচালিত হয়।
-
তথ্যসূত্র: ট্যারিফ কমিশন অফিসিয়াল ওয়েবসাইট
0
Updated: 2 months ago
বাংলাদেশ সরকার কোন খাত থেকে সর্বোচ্চ রাজস্ব আয় করে?
Created: 1 month ago
A
আয়কর
B
ভূমিকর
C
আমদানি-রপ্তানি শুল্ক
D
মূল্য সংযােজন কর
বাংলাদেশ সরকারের আয়ের প্রধান উৎসগুলো বিভিন্ন ধরনের কর ও শুল্কের মাধ্যমে সংগৃহীত হয়। এই আয় সরকারকে দেশের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কার্যক্রম পরিচালনা এবং জনসেবায় ব্যবহার করতে সহায়তা করে। প্রধান বিষয়গুলো নিম্নরূপ:
-
মূ্ল্য সংযোজন কর (ভ্যাট) হলো বাংলাদেশের সরকারের আয়ের সবচেয়ে বড় খাত।
-
বাংলাদেশে প্রথম ভ্যাট (VAT – Value Added Tax) চালু হয় ১ জুলাই, ১৯৯১ সালে।
-
ভ্যাট বা মূসক একটি পরোক্ষ কর, যা পণ্য ও সেবার ক্রয়ের সময় গ্রাহক থেকে আদায় করা হয়।
-
ভ্যাট থেকে সরকারের সর্বোচ্চ রাজস্ব আয় সংগৃহীত হয়।
-
দ্বিতীয় প্রধান রাজস্ব উৎস হলো আয়কর, যা সরাসরি নাগরিক ও ব্যবসায়ীদের আয় থেকে আদায় করা হয়।
-
তৃতীয় প্রধান উৎস হলো সম্পূরক শুল্ক।
-
চতুর্থ প্রধান উৎস হলো আমদানি শুল্ক, যা বিদেশ থেকে আমদানি করা পণ্যের ওপর আরোপিত হয়।
0
Updated: 1 month ago
'রেহেনা মরিয়ম নূর' চলচ্চিত্রটি পরিচালনা করেন-
Created: 1 month ago
A
জেরেমি চুয়া
B
আবদুল্লাহ মােহাম্মদ সাদ
C
রাজীব মহাজন
D
আজমেরী হক বাঁধন
‘রেহেনা মরিয়ম নূর’ একটি বাংলাদেশি চলচ্চিত্র, যা ২০২১ সালের জুলাই মাসে মুক্তি পায়। চলচ্চিত্রটির চিত্রনাট্য ও পরিচালনা করেছেন প্রতিভাবান তরুণ বাংলাদেশি চলচ্চিত্র নির্মাতা আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ সাদ। ছবিটির কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করেছেন বাংলাদেশী অভিনেত্রী আজমেরী হক বাঁধন।
এটি ২০২১ সালের কান আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের ‘আন সার্তে রিগা’ পর্বে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করে, যা দেশের চলচ্চিত্র ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত হিসেবে বিবেচিত হয়।
চলচ্চিত্রটি মূলত দৃঢ় চরিত্র ও কঠিন সিদ্ধান্তের গল্প বলেছে। জীবনে মানুষকে নানা ধরনের সিদ্ধান্ত নিতে হয়, কিন্তু কোনো সিদ্ধান্তের জন্য যদি তাকে কঠিন মূল্য দিতে হয় এবং তা জানার পরও অবিচল থাকে,
তখন তাকে দৃঢ় চরিত্রের মানুষ বলা যায়। ঠিক এমনই একজন চরিত্রের গল্প ফুটে উঠেছে ‘রেহেনা মরিয়ম নূর’-এ।
0
Updated: 1 month ago