'কবর' নাটকটির লেখক-
A
জসীমউদ্দীন
B
নজরুল ইসলাম
C
মুনীর চৌধুরী
D
দ্বিজেন্দ্রলাল রায়
উত্তরের বিবরণ
• ‘কবর’ নাটক:
- ভাষা আন্দোলনের প্রেক্ষাপটে মুনীর চৌধুরী রচিত নাটক 'কবর'।
- নাটকটি লেখক জেলে থাকা অবস্থায় রচনা করেন এবং ১৯৫৩ সালে জেলের রাজবন্দিদের দ্বারা নাটকটি প্রথম অভিনীত হয়।
- নাটকটি ১৯৬৬ সালে গ্রন্থাকারে প্রকাশিত হয়।
• ‘কবর’ নাটকের কাহিনি সংক্ষেপ:
- মার্কিন নাট্যকার Irwin Shaw রচিত 'Bury The Dead' (১৯৩৬) নাটকের অনুসরণে এদেশীয় ঘটনা কেন্দ্র করে 'কবর' নাটক লেখা হয়েছে।
- 'কবর' নাটকে মিছিলে পুলিশ গুলিবর্ষণ করে শহরে কারফিউ দিয়ে লাশ গুম করতে গভীর রাতে কবরস্থানে নিয়ে যায়। পুলিশ ইন্সপেক্টর হাফিজ এবং নেতা (নাটকে তার নাম নেই) যৌথভাবে এ দায়িত্ব নেয়। কিন্তু লাশগুলো ছিন্নভিন্ন দেখে তারা ধর্মীয় প্রথা অনুসারে কবরস্থ না করে একত্রে মাটিচাপা দেবার সিদ্ধান্ত নেয়। এতে বাধা দেয় গোর-খোদক। কবরস্থানে আশ্রয় নেয়া আরেক স্বজনহারা পাগল মুর্দা ফকিরও প্রতিবাদ জানায়।
বলে: এ লাশগুলো আন্দোলনকারীর। এরা এভাবে কবরে যাবে না। লাশগুলোও তখন উঠে দাঁড়ায় এবং বলে: আমরা কবরে যাবো না। এসব দেখে মদ্যপ ইন্সপেক্টর ও নেতা ভয় পেয়ে যায়।
- 'কবর' একুশের পটভূমিতে রচিত প্রথম বাংলা নাটক।
---------------------
• মুনীর চৌধুরী:
- মুনীর চৌধুরী ছিলেন একজন বাংলাদেশি শিক্ষাবিদ, নাট্যকার, সাহিত্য সমালোচক ও বাগ্মী।
- ১৯২৫ সালের ২৭ নভেম্বর মানিকগঞ্জ শহরে তাঁর জন্ম।
- মুনীর চৌধুরী শিক্ষা ও পেশাগত জীবনে বামপন্থী রাজনীতি ও প্রগতিশীল সাংস্কৃতিক আন্দোলনের সঙ্গে জড়িত ছিলেন।
মুনীর চৌধুরীর মৌলিক নাটক:
- রক্তাক্ত প্রান্তর,
- চিঠি,
- কবর,
- দণ্ডকারণ্য।
অনুবাদ নাটক:
- কেউ কিছু বলতে পারে না,
- রূপার কৌটা ও
- মুখরা রমণী বশীকরণ।
উৎস: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা, ড. সৌমিত্র শেখর এবং বাংলাপিডিয়া।
0
Updated: 5 months ago
'নীল দর্পণ' নাটকটির বিষবস্তু কী?
Created: 2 months ago
A
নীলকরদের অত্যাচার
B
ভাষা আন্দোলন
C
অসহযোগ আন্দোলন
D
তে-ভাগা আন্দোলন
নীল-দর্পণ
-
‘নীল-দর্পণ’ (১৮৬০) দীনবন্ধু মিত্রের শ্রেষ্ঠ নাটক এবং সর্বাধিক খ্যাত রচনা।
-
নাটকটি প্রথম প্রকাশিত হয় ১৮৬০ সালে, ঢাকা থেকে।
-
মূল বিষয়বস্তু ছিল— তৎকালীন নীলচাষিদের উপর নীলকর সাহেবদের অমানবিক অত্যাচার এবং শাসকশ্রেণীর অন্যায় আচরণ।
-
প্রকাশের পর নাটকটি সমাজে ব্যাপক আলোড়ন তোলে এবং কৃষকদের নীলবিদ্রোহে সাহস জোগায়।
-
মাইকেল মধুসূদন দত্ত ‘A Native’ ছদ্মনামে ইংরেজি অনুবাদ করেন এবং নাম দেন Nil Darpan or The Indigo Planting Mirror (১৮৬১)। পরে প্রকাশের কারণে পাদ্রি জেমস লং আদালতের দ্বারা অর্থদণ্ডে দণ্ডিত হন।
-
বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় নাটকটিকে মার্কিন সাহিত্যের বিখ্যাত গ্রন্থ ‘Uncle Tom’s Cabin’-এর সঙ্গে তুলনা করেছিলেন।
-
নাটকটি আজও জাতীয় চেতনার পথিকৃৎ হিসেবে স্বীকৃত এবং এটিই প্রথম বাংলা নাটক যা বিদেশি ভাষায় অনূদিত হয়।
-
প্রথম প্রকাশিত হয়েছিল ‘কস্যচিৎ পথিকস্য’ ছদ্মনামে (ঢাকা, ১৮৬০) এবং ১৮৭২ সালের ৭ ডিসেম্বর এটিই ছিল সাধারণ রঙ্গালয়ের প্রথম মঞ্চনাটক।
দীনবন্ধু মিত্র
-
জন্ম: ১৮৩০ সালে, পশ্চিমবঙ্গের নদীয়া জেলার চৌবেড়িয়া গ্রামে এক দরিদ্র পরিবারে।
-
তিনি ছিলেন রায়বাহাদুর উপাধিপ্রাপ্ত খ্যাতনামা নাট্যকার।
-
প্রথমে ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্তের অনুপ্রেরণায় কবিতা লিখতেন এবং কলেজ জীবনে তাঁর সংস্পর্শে এসে ‘সংবাদ প্রভাকর’, ‘সংবাদ সাধুরঞ্জন’ ইত্যাদি পত্রিকায় কবিতা প্রকাশ করতেন।
-
যদিও কবিতায় হাতেখড়ি, তবুও নাটক ও প্রহসন রচনার মাধ্যমেই তিনি সর্বাধিক খ্যাতি অর্জন করেন।
-
তাঁর শ্রেষ্ঠ রচনা হলো ‘নীল-দর্পণ’।
-
মৃত্যু: ১৮৭৩ সালের ১ নভেম্বর, অকালপ্রয়াণ ঘটে।
অন্যান্য নাটক
-
নবীন তপস্বিনী
-
লীলাবতী
-
কমলে কামিনী
উৎস: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা – ড. সৌমিত্র শেখর
এবং বাংলাপিডিয়া
0
Updated: 2 months ago
'নীল দর্পণ' নাটক কত সালে প্রকাশিত হয়?
Created: 5 months ago
A
১৮৬০ সালে
B
১৮৬৩ সালে
C
১৮৬৪ সালে
D
১৮৬৬ সালে
‘নীল-দর্পণ’ (১৮৬০) দীনবন্ধু মিত্রের অন্যতম শ্রেষ্ঠ নাটক ও রচনা। এটি ১৮৬০ সালে প্রকাশ পায়। নাটকের মূল বিষয় ছিল তৎকালীন নীলচাষি কৃষক ও নীলকর শাসকদের অবিচার এবং শাসক শ্রেণীর পক্ষপাতমূলক আচরণ।
এই নাটক তৎকালীন সমাজে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করেছিল এবং কৃষকদের নীল বিদ্রোহে প্রেরণা যুগিয়েছিল।
মাইকেল মধুসূদন দত্ত ‘A Native’ ছদ্মনামে এর ইংরেজি অনুবাদ করেন, যার শিরোনাম ছিল ‘Nil Darpan or The Indigo Planting Mirror’ (১৮৬১)। এই অনুবাদ প্রকাশের কারণে পাদ্রি জেমস লং আদালত থেকে অর্থদণ্ডে দণ্ডিত হন। বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় ‘নীল-দর্পণ’কে মার্কিন ‘Uncle Tom’s Cabin’ নাটকের সঙ্গে তুলনা করেছিলেন।
১৮৬০ সালে ‘কস্যচিৎ পথিকস্য’ ছদ্মনামে নাটকটি প্রথম ঢাকা থেকে প্রকাশিত হয় এবং ১৮৭২ সালের ৭ ডিসেম্বর ‘নীল-দর্পণ’ দিয়েই শুরু হয় সাধারণ রঙ্গালয়ের অভিনয়।
দীনবন্ধু মিত্রের অন্যান্য নাটকগুলো হলো:
-
নবীন তপস্বিনী,
-
লীলাবতী,
-
কমলে কামিনী।
উৎস: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা, ড. সৌমিত্র শেখর ও বাংলাপিডিয়া।
0
Updated: 5 months ago
'রক্তকরবী' নাটকের অন্তর্গত বিষয় কী?
Created: 1 month ago
A
নতুনের জয়গান গাওয়া
B
সামন্তবাদের বিলুপ্তি দেখানো
C
শ্রমিকদের অপ্রাপ্তি তুলে ধরা
D
পুঁজিবাদের নেতিবাচক প্রভাব দেখানো
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘রক্তকরবী’ একটি সাংকেতিক নাটক, যা পুঁজিবাদের নেতিবাচক প্রভাব এবং এর ফলে মানুষের জীবনের সৌন্দর্য, স্বাভাবিকতা ও মানবিকতার ক্ষয়কে ফুটিয়ে তোলে।
নাটকটি মানুষের প্রেম, জীবন ও স্বাধীনতার মূল্যকে প্রধান করে যান্ত্রিকতা ও অত্যাচারের বিরুদ্ধে মানবিকতার জয়গান করে।
• 'রক্তকরবী' নাটকের সংক্ষিপ্ত কাহিনী:
-
ক্ষপুরীর রাজার অর্থলোভ ও প্রজাশোষণের চিত্র ফুটে উঠেছে।
-
রাজা সোনার খনির কুলিদের মানুষ হিসেবে নয়, কেবল উৎপাদনের যন্ত্র হিসেবে দেখেন।
-
মানুষের প্রেম, সৌন্দর্য ও মনুষ্যত্ব নিপীড়িত হয়।
-
নন্দিনী প্রেম ও জীবনের প্রতীক হিসেবে শোষণের বিরুদ্ধে আনন্দের দূত হয়ে আবির্ভূত হন।
-
তিনি সবাইকে মুক্ত জীবনের দিকে আহ্বান জানান।
-
রাজা নন্দিনীকে জোর করে পেতে চাইলেও প্রেম ও সৌন্দর্য জয়ী হয়।
-
রঞ্জন, নন্দিনীর প্রেমাস্পদ, যান্ত্রিকতার শিকার হয়ে নিঃশেষিত হয়।
-
নাটক জীবনের প্রাণশক্তির জয় এবং যান্ত্রিকতার বিরুদ্ধে মানবিকতার বার্তা দেয়।
• 'রক্তকরবী' নাটক সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য:
-
এটি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সাংকেতিক নাটক।
-
রচিত হয়েছে বাংলা ১৩৩০ সনের শিলং-এর শৈলবাসে।
-
প্রথম নাম ছিল যক্ষপুরী, পরে আশ্বিন ১৩৩০ সালে প্রকাশিত হলে নামকরণ হয় রক্তকরবী।
-
নাটকে ধনের উপর ধান্যের, শক্তির উপর প্রেমের, মৃত্যুর উপর জীবনের জয়গান গাওয়া হয়েছে।
• নাটকটির উল্লেখযোগ্য চরিত্র:
-
নন্দিনী: নিপীড়িত মানুষের মাঝে আনন্দের দূত।
-
রঞ্জন: বিদ্রোহের বাণী বহনকারী; শেষপর্যন্ত মানুষের প্রাণশক্তির জয়।
• রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রচিত কিছু রূপক-সাংকেতিক নাটক:
-
শারদোৎসব
-
রাজা
-
ডাকঘর
-
অচলায়তন
-
ফাল্গুনী
-
গুরু
-
অরূপরতন
-
মুক্তধারা
-
রক্তকরবী
-
কালের যাত্রা
-
তাসের দেশ
0
Updated: 1 month ago