আধুনিক কম্পিউটারের জনক (Father of Modern Computer) কে?
A
চার্লস ব্যাবেজ
B
অ্যালান টুরিং
C
জন ভন নিউম্যান
D
হাওয়ার্ড আইকেন
উত্তরের বিবরণ
আধুনিক কম্পিউটার ও চার্লস ব্যাবেজ
-
আধুনিক কম্পিউটারের বিকাশের সূচনা করেন চার্লস ব্যাবেজ, একজন ইংরেজ প্রকৌশলী ও গণিতবিদ।
-
চার্লস ব্যাবেজকে আধুনিক কম্পিউটারের জনক বলা হয়।
-
তিনি তৈরি করেছিলেন ডিফারেন্স ইঞ্জিন, যা গণনার জন্য প্রাথমিক যন্ত্র।
-
তাঁর পরিকল্পিত Analytical Engine ছিল গণনার কাজকে স্বয়ংক্রিয়ভাবে সম্পাদনের ধারণা, যা আধুনিক কম্পিউটারের মূল ভিত্তি।
-
১৮৩৩ সালে অ্যাডা লাভলেস (কবি লর্ড বায়রনের কন্যা) চার্লস ব্যাবেজের Analytical Engine-এর কার্যকারিতা উন্নত করার জন্য প্রোগ্রামিং ধারণা উদ্ভাবন করেন।
-
এই কারণে অ্যাডা লাভলেসকে প্রোগ্রামিং-এর প্রবর্তক হিসেবে সম্মান দেওয়া হয়।
-
১৯৯১ সালে, লন্ডনের বিজ্ঞান জাদুঘরে চার্লস ব্যাবেজের বর্ণনার ভিত্তিতে একটি ইঞ্জিন তৈরি করা হয়।
-
১৮৪২ সালে, চার্লস ব্যাবেজ তুরিন বিশ্ববিদ্যালয়ে তাঁর ইঞ্জিনের বিষয়ে বক্তৃতা দেন।
0
Updated: 1 month ago
রিলেশনাল ডাটাবেজে Primary Key-এর সঠিক বৈশিষ্ট্য কোনটি?
Created: 1 month ago
A
Primary Key-তে একাধিক রেকর্ডের একই মান থাকতে পারে
B
Primary Key ডাটাবেজের প্রতিটি টেবিলে একই হতে হবে
C
Primary Key প্রতিটি রেকর্ডকে আলাদাভাবে শনাক্ত করে
D
Primary Key-তে NULL ভ্যালু সংরক্ষণ করা যায়
প্রাইমারি কী হলো একটি টেবিলের এমন ফিল্ড বা অ্যাট্রিবিউট যা প্রতিটি রেকর্ডকে অনন্যভাবে সনাক্ত করে। এটি রিলেশনাল ডাটাবেজ ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমে (RDBMS) অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
-
রিলেশনাল ডাটাবেজ ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম (RDBMS): রিলেশন করা ডাটা টেবিলের সমন্বয়ে গঠিত ডাটাবেজকে রিলেশনাল ডাটাবেজ বলা হয়। আধুনিক ডাটাবেজ সফটওয়্যার সাধারণত রিলেশনাল ডাটাবেজ ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমকেই বোঝায়।
-
কী (Key): কোন একটি ফিল্ডের ওপর ভিত্তি করে রেকর্ড সনাক্তকরণ, অনুসন্ধান ও সম্পর্ক স্থাপন করা যায়। এই ফিল্ডকে কী ফিল্ড বলা হয়।
-
কী-এর ধরন:
১. প্রাইমারি কী (Primary Key)
২. কম্পোজিট প্রাইমারি কী (Composite Primary Key)
৩. ফরেন কী (Foreign Key) -
প্রাইমারি কী:
-
যে ফিল্ড একটি রেকর্ডকে অদ্বিতীয়ভাবে সনাক্ত করে।
-
প্রতিটি টেবিলে অন্তত একটি ফিল্ড থাকে যেখানে ডাটাগুলো অনন্য হয়।
-
উদাহরণ: একটি শ্রেণিতে শিক্ষার্থীদের রোল নম্বর, যা প্রতিটি শিক্ষার্থীর জন্য ভিন্ন।
-
-
প্রাইমারি কী-এর বৈশিষ্ট্য:
-
ডুপ্লিকেট মান থাকতে পারে না, প্রতিটি রেকর্ডকে আলাদাভাবে সনাক্ত করতে এটি অবশ্যই Unique হতে হবে।
-
প্রতিটি টেবিলে আলাদা প্রাইমারি কী থাকতে পারে এবং সেগুলো ভিন্ন হতে পারে।
-
কখনো NULL হতে পারে না, কারণ এটি প্রতিটি রেকর্ডকে সনাক্ত করতে ব্যবহৃত হয়।
-
-
কম্পোজিট প্রাইমারি কী:
-
যখন একটি টেবিলে নির্দিষ্ট কোনো প্রাইমারি কী থাকে না, তখন একাধিক ফিল্ড একত্রে প্রাইমারি কী হিসেবে ব্যবহার করা হয়।
-
এ ধরনের কীকে কম্পোজিট প্রাইমারি কী বলা হয়।
-
-
ফরেন কী:
-
দুই বা ততোধিক টেবিলের মধ্যে সম্পর্ক তৈরি করতে ব্যবহৃত হয়।
-
কোন একটি টেবিলের প্রাইমারি কী যদি অন্য টেবিলে ব্যবহৃত হয়, তবে সেটিকে ফরেন কী বলা হয়।
-
0
Updated: 1 month ago
টু-ফ্যাক্টর অথেনটিকেশন কেন গুরুত্বপূর্ণ?
Created: 1 month ago
A
পাসওয়ার্ড চুরি হলেও অতিরিক্ত ভেরিফিকেশন প্রয়োজন হয়
B
ফিশিং ও হ্যাকিং আক্রমণ থেকে সুরক্ষা দেয়
C
ব্যাংকিং ও সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট নিরাপদ রাখে
D
উপরের সবগুলো
টু-ফ্যাক্টর অথেনটিকেশন হলো একটি নিরাপত্তা ব্যবস্থা যেখানে ব্যবহারকারীকে সনাক্ত করার জন্য দুই ধরনের ভিন্ন ভেরিফিকেশন ফ্যাক্টর ব্যবহার করা হয়। এটি শুধুমাত্র পাসওয়ার্ডের ওপর নির্ভর না করে অ্যাকাউন্টে বাড়তি সুরক্ষা প্রদান করে।
-
যদি পাসওয়ার্ড চুরি হয়, তবুও OTP, ফিঙ্গারপ্রিন্ট বা সিকিউরিটি কী ছাড়া লগইন সম্ভব নয়।
-
এটি ফিশিং ও হ্যাকিং আক্রমণ প্রতিরোধে কার্যকর।
-
ব্যাংকিং, ইমেইল ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের অ্যাকাউন্ট সুরক্ষায় বিশেষভাবে সহায়ক।
-
টু-ফ্যাক্টর অথেনটিকেশন সাধারণত দুটি ধাপে কাজ করে:
-
প্রথম স্তর: পাসওয়ার্ড বা পিন ইনপুট করা।
-
দ্বিতীয় স্তর: OTP মোবাইলে পাওয়া, Authenticator অ্যাপ থেকে কোড জেনারেট করা, ফিঙ্গারপ্রিন্ট বা ফেস আইডি ব্যবহার করা, অথবা USB Security Key প্রয়োগ করা।
-
-
টু-ফ্যাক্টর অথেনটিকেশনের গুরুত্ব:
-
পাসওয়ার্ড চুরি হলেও অতিরিক্ত ভেরিফিকেশনের কারণে অ্যাকাউন্ট নিরাপদ থাকে।
-
ফিশিং ও হ্যাকিং আক্রমণ থেকে রক্ষা করে।
-
ব্যাংকিং, ইমেইল ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম অ্যাকাউন্টকে সুরক্ষিত রাখে।
-
অননুমোদিত প্রবেশ (Unauthorized Access) প্রতিরোধ করে।
-
0
Updated: 1 month ago
যে কম্পিউটার প্রোগ্রাম নিজে নিজেই অন্য কম্পিউটারে ইন্টারনেটের মাধ্যমে কপি হয় তাকে ____বলে।
Created: 1 month ago
A
Program Virus
B
Worms
C
Trojan Horse
D
Boot Virus
কম্পিউটার ওয়ার্ম হলো একটি স্ব-প্রতিলিপি সক্ষম প্রোগ্রাম, যা নেটওয়ার্কের মাধ্যমে নিজেই নিজের কপি তৈরি করে অন্য কম্পিউটার সিস্টেমে ছড়িয়ে পড়ে। এটি নিজের কপি তৈরির জন্য কোনো হোস্ট প্রোগ্রাম বা ব্যবহারকারীর হস্তক্ষেপের প্রয়োজন হয় না।
-
কম্পিউটার ওয়ার্ম নিজেই নেটওয়ার্কে ছড়িয়ে পড়ে এবং অন্যান্য কম্পিউটারকে সংক্রমিত করতে সক্ষম।
-
এটি স্বতঃস্ফূর্তভাবে অনুলিপি তৈরি করতে পারে এবং কোনো সাহায্য ছাড়াই কার্যকর হয়।
-
তথ্যসূত্র: National Institute of Standards and Technology (NIST), USA।
-
অন্যদিকে, Program Virus এবং Boot Virus হলো কম্পিউটার ভাইরাসের উদাহরণ, যেখানে ভাইরাস সাধারণত কোনো হোস্ট প্রোগ্রামের অংশ হিসেবে কাজ করে।
-
Trojan Horse হলো একটি ম্যালওয়্যার, যা সাধারণত ক্ষতিকর কাজ করতে ব্যবহারকারীর জানানো ছাড়াই কম্পিউটারে প্রবেশ করে।
0
Updated: 1 month ago