ভাষা আন্দোলনের মাধ্যমে সূচনা হয়-
A
ধর্মীয় বিভেদ
B
অসাম্প্রদায়িক রাজনীতি
C
রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব
D
সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা
উত্তরের বিবরণ
অসাম্প্রদায়িক রাজনীতির সূচনা
-
ভাষা আন্দোলনের মাধ্যমে অসাম্প্রদায়িক রাজনীতির সূচনা ঘটে।
-
ভাষা আন্দোলনের সময় পার্লামেন্টে কংগ্রেস দলীয় হিন্দু নেতৃবৃন্দ ভাষার দাবিতে বক্তব্য রাখেন।
-
রাজপথে অকংগ্রেসীয়রা ধর্মীয় ভাঁওতাবাজির বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে বক্তব্য রাখেন।
-
এর ফলে পূর্ববাংলায় হিন্দু-মুসলমান সম্প্রীতি বৃদ্ধি পায়।
-
১৯৫৫ সালে আওয়ামী মুসলিম লীগ দলটির নাম থেকে ‘মুসলিম’ শব্দটি বাদ দিয়ে দলটির নাম করা হয় আওয়ামী লীগ।
-
এই পরিবর্তনের ফলে ভূখণ্ডে ধর্মনিরপেক্ষ ও অসাম্প্রদায়িক রাজনীতির সূত্রপাত ঘটে।

0
Updated: 1 day ago
ভাষা শহিদ আবুল বরকতের জন্মস্থান কোথায়?
Created: 1 day ago
A
মুর্শিদাবাদ
B
ঢাকা
C
মানিকগঞ্জ
D
চাঁপাইনবাবগঞ্জ
আবুল বরকত
-
আবুল বরকত একজন ভাষা শহীদ।
-
তিনি ১৯২৭ সালের ১৩ জুন (মতান্তরে ১৬ জুন) মুর্শিদাবাদ জেলার ভরতপুর থানার বাবলা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।
-
ডাক নাম: আবাই।
-
পিতার নাম: সামসুজ্জোহা, মাতার নাম: হাসিনা বিবি।
-
১৯৫১ সালে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রাষ্ট্রবিজ্ঞানে স্নাতক (সম্মান) ডিগ্রি লাভ করেন এবং এম.এ শেষ পর্বে ভর্তি হন।
-
১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি, বাংলাকে পাকিস্তানের অন্যতম রাষ্ট্রভাষা করার দাবিতে, ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হোস্টেল প্রাঙ্গণে বিক্ষোভরত ছাত্র-জনতার উপর পুলিশ গুলিবর্ষণ করে।
-
আবুল বরকত গুলিবিদ্ধ হলে তাঁকে সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেয়া হয়।
-
অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের ফলে রাত আটটায় তিনি শাহাদত বরণ করেন।
-
তাঁকে আজিমপুর কবরস্থানে দাফন করা হয়।
-
ভাষা আন্দোলনে আত্মদানের স্বীকৃতি স্বরূপ আবুল বরকতকে ২০০০ সালে একুশে পদকে (মরণোত্তর) ভূষিত করা হয়।

0
Updated: 1 day ago
মুক্তিযুদ্ধের সময় ২ নং সেক্টরের সেক্টর কমান্ডার ছিলেন -
Created: 3 weeks ago
A
মেজর রফিকুল ইসলাম
B
মেজর মীর শওকত আলী
C
মেজর খালেদ মোশাররফ
D
মেজর নাজমুল হক
বাংলাদেশ বিষয়াবলি
জনশুমারি ও গৃহ গণনা
ভাষা আন্দোলন
মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক গ্রন্থ
মুক্তিযুদ্ধে সাত বীরশ্রেষ্ঠ
সেক্টর ও সেক্টর কমান্ডারগণ
মুক্তিযুদ্ধের সেক্টর ও কমান্ডারগণ
-
১ নং সেক্টর: প্রথমে মেজর জিয়াউর রহমান, পরে মেজর রফিকুল ইসলাম।
-
২ নং সেক্টর: প্রথমে মেজর খালেদ মোশাররফ, পরে মেজর এ.টি.এম হায়দার।
-
৩ নং সেক্টর: প্রথমে মেজর কে.এম শফিউল্লাহ, পরে মেজর এ.এন.এম নূরুজ্জামান।
-
৪ নং সেক্টর: প্রথমে মেজর চিত্তরঞ্জন দত্ত, পরে ক্যাপ্টেন এ রব।
-
৫ নং সেক্টর: মেজর মীর শওকত আলী।
-
৬ নং সেক্টর: উইং কমান্ডার এম. খাদেমুল বাশার।
-
৭ নং সেক্টর: মেজর নাজমুল হক; পরে সুবেদার মেজর এ. রব ও মেজর কাজী নূরুজ্জামান।
-
৮ নং সেক্টর: মেজর আবু ওসমান চৌধুরী; পরে মেজর এম.এ মঞ্জুর।
-
৯ নং সেক্টর: মেজর এম.এ জলিল; পরে মেজর এম.এ মঞ্জুর ও মেজর জয়নাল আবেদীন।
-
১০ নং সেক্টর: নৌ-কমান্ডো বাহিনী নিয়ে গঠিত; নিয়মিত সেক্টর কমান্ডার ছিলেন না।
-
১১ নং সেক্টর: মেজর এম. আবু তাহের; গুরুতর আহত হলে স্কোয়াড্রন লীডার হামিদুল্লাহ দায়িত্ব পান।
তথ্যসূত্র: বাংলাপিডিয়া

0
Updated: 3 weeks ago
১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনের সময় পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী কে ছিলেন?
Created: 1 week ago
A
লিয়াকত আলী খান
B
মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ
C
খাজা নাজিমুদ্দিন
D
চৌধুরী মোহাম্মদ আলী
বাংলা ভাষা আন্দোলন – সংক্ষিপ্ত বিবরণ:
-
সময়কাল ও প্রসঙ্গ:
-
১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন পূর্ব পাকিস্তানে বাংলা ভাষার রাষ্ট্রভাষা মর্যাদা দাবিতে সংগঠিত হয়।
-
পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার (১৯৪৭) পর রাষ্ট্রভাষা হিসেবে উর্দু ঘোষণার বিরুদ্ধে পূর্ব পাকিস্তানে বাংলা ভাষার স্বীকৃতির দাবি ওঠে।
-
-
ঘটনা:
-
২১ ফেব্রুয়ারি ১৯৫২: ছাত্ররা ‘রাষ্ট্রভাষা বাংলা চাই’ শ্লোগান দিয়ে বিক্ষোভ শুরু করে।
-
পুলিশের গুলিতে শহীদ হন রফিক, জববার, বরকত ও অন্যান্যরা।
-
আন্দোলনের ফলশ্রুতিতে ১৯৫৬ সালে পাকিস্তান জাতীয় পরিষদ বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা হিসেবে গ্রহণ করে।
-
-
স্মরণ ও গুরুত্ব:
-
প্রতি বছর ২১ ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে পালন করা হয়।
-
-
সমকালের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট:
-
প্রধানমন্ত্রী (পাকিস্তান): খাজা নাজিমউদ্দিন
-
মুখ্যমন্ত্রী (পূর্ব পাকিস্তান): নুরুল আমিন
-
গভর্নর: গোলাম মুহাম্মদ
-

0
Updated: 1 week ago