ফায়ারওয়াল ব্যবহারের মূল কারণ কী?
A
ইমেল অ্যাকাউন্ট নিয়ন্ত্রণ করা
B
ব্যাকআপ ফাইল রাখা
C
ইন্টারনেটের গতি বাড়ানো
D
নেটওয়ার্কে অননুমোদিত প্রবেশ আটকানো
উত্তরের বিবরণ
ফায়ারওয়াল ব্যবহারের মূল উদ্দেশ্য হলো নেটওয়ার্ককে নিরাপদ রাখা। এটি একটি নিরাপত্তা ব্যবস্থা, যা অননুমোদিত প্রবেশ বা হ্যাকিংয়ের চেষ্টা থেকে কম্পিউটার বা সার্ভারকে রক্ষা করে। ফায়ারওয়াল নেটওয়ার্কে আসা এবং যাওয়া ডেটা প্যাকেট পরীক্ষা করে এবং সেগুলি নিরাপদ কিনা তা নির্ধারণ করে। এটি ইন্টারনেটে থাকা হুমকি যেমন ভাইরাস, ম্যালওয়্যার বা হ্যাকারদের অননুমোদিত অ্যাক্সেস থেকে সিস্টেমকে রক্ষা করে। ফায়ারওয়ালের কাজ হলো অনুমোদিত ট্রাফিককে অনুমতি দেওয়া এবং সন্দেহজনক ট্রাফিককে ব্লক করা। তাই, ফায়ারওয়াল ব্যবহার করার মূল কারণ হলো— নেটওয়ার্কে অননুমোদিত প্রবেশ আটকানো।
ফায়ারওয়াল সম্পর্কিত তথ্য:
-
অননুমোদিত ব্যবহারকারীর হাত থেকে নেটওয়ার্ক রিসোর্সকে রক্ষা এবং সাইবার অ্যাটাক প্রতিরোধে ব্যবহার করা হয়।
-
এটি এমন একটি নিরাপত্তা ব্যবস্থা যা কোম্পানির নিজস্ব নেটওয়ার্ক, ইনট্রানেট বা ইন্টারনেট নেটওয়ার্কে অবৈধ অ্যাক্সেস নিয়ন্ত্রণ করে।
-
কোনো কম্পিউটারের সফটওয়্যারের নিরাপত্তা প্রদানের জন্য ফায়ারওয়াল তৈরি করা হয়।
-
সাধারণত ফায়ারওয়ালের সাথে রাউটার বা ডেডিকেটেড সার্ভার থাকে যা সম্পূর্ণ ফায়ারওয়াল হিসেবে কাজ করে।
-
ফায়ারওয়াল কোনো প্রতিষ্ঠানের গেট কিপার হিসেবে কাজ করে, প্রবেশকে নিরাপদ করে এবং ডেটা ফিল্টার হিসেবে কাজ করে।
-
এটি হ্যাকিং প্রতিরোধে বাধা দেয়, তবে সবসময় সম্পূর্ণ প্রতিরোধ করতে পারে না।
উৎস:
0
Updated: 1 month ago
প্রধানত ডিবাগিং-এর উদ্দেশ্য কী?
Created: 1 month ago
A
কোড কম্পাইল করা
B
ডকুমেন্টেশন লেখা
C
কোডে ত্রুটি খুঁজে বের করে তা সংশোধন করা
D
পারফরম্যান্স উন্নত করা
ডিবাগিং-এর প্রধান উদ্দেশ্য হলো কোডে থাকা ত্রুটি বা বাগ খুঁজে বের করা এবং তা সংশোধন করা (গ)। প্রোগ্রাম লেখার সময় অনিচ্ছাকৃত ভুল ঘটতে পারে, যা কোডকে সঠিকভাবে কার্যকর হতে বাধা দেয়। ডিবাগিং প্রক্রিয়া শুধু সিনট্যাক্স জনিত ভুল নয়, বরং লজিক্যাল বা রানটাইম ত্রুটি শনাক্ত করতেও সাহায্য করে। এর মাধ্যমে প্রোগ্রামার বুঝতে পারে কোন অংশে সমস্যা হচ্ছে এবং কোন পরিবর্তন করলে কোডটি সঠিকভাবে কাজ করবে।
প্রোগ্রাম ডিবাগিং সম্পর্কে তথ্য:
-
প্রোগ্রাম তৈরির সময় বিভিন্ন কারণে ত্রুটি (Bug) দেখা দিতে পারে, যা প্রোগ্রামের সঠিক কার্যকারিতাকে বাধাগ্রস্ত করে।
-
ডিবাগিং প্রক্রিয়ায় প্রোগ্রামার কোডের ত্রুটিপূর্ণ অংশ সনাক্ত এবং সংশোধন করে।
-
এটি সফটওয়্যার উন্নয়নের একটি অপরিহার্য ধাপ, যা প্রোগ্রামের স্থায়িত্ব এবং নির্ভরযোগ্যতা নিশ্চিত করে।
-
ডিবাগিং শুধুমাত্র কোড পরীক্ষা নয়, বরং প্রোগ্রামিং দক্ষতা বৃদ্ধিরও একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ।
0
Updated: 1 month ago
Android OS এর উন্নয়নকারী প্রতিষ্ঠান কোনটি?
Created: 1 month ago
A
Apple Inc
B
Google LLC
C
International Business Machines
D
Microsoft Corporation
Android হলো একটি ওপেন-সোর্স মোবাইল অপারেটিং সিস্টেম, যা মূলত স্মার্টফোন ও ট্যাবলেট-এর জন্য ডিজাইন করা হয়েছে। এটি প্রথম তৈরি করা হয় Android Inc. দ্বারা ২০০৩ সালে, এবং ২০০৫ সালে Google এটি অধিগ্রহণ করে। এরপর থেকে Google LLC হলো Android OS-এর প্রধান উন্নয়নকারী ও রক্ষণাবেক্ষণকারী প্রতিষ্ঠান।
গুরুত্বপূর্ণ তথ্য – Google সম্পর্কিত:
-
প্রতিষ্ঠাতা: ল্যারি পেইজ এবং সার্জে ব্রেইন ১৯৯৮ সালে Google প্রতিষ্ঠা করেন।
-
প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (CEO): সুন্দর পিচাই।
-
নাম উৎপত্তি: Google শব্দটি এসেছে ‘googol’ থেকে, যা একটি বড় সংখ্যা বোঝায়।
-
হেডকোয়ার্টার: গুগলপ্লেক্স, যা মাউন্টেইন ভিউ, ক্যালিফোর্নিয়া, যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থিত।
-
Android বৈশিষ্ট্য: মাল্টি-ইউজার অপারেটিং সিস্টেম।
-
প্যাকেজ ফাইল এক্সটেনশন: .apk
-
প্রাথমিক নাম: Android-এর প্রতিষ্ঠাকালীন নাম ছিল Backrub।
উৎস:
0
Updated: 1 month ago
ক্রায়োসার্জারি প্রায়ই কোন রোগের চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়?
Created: 1 month ago
A
হাড় ভাঙা
B
উচ্চ রক্তচাপ
C
ত্বকের ক্ষত
D
ডায়াবেটিস
ক্রায়োসার্জারি মূলত ত্বকের ক্ষত বা অস্বাভাবিক কোষ বৃদ্ধির চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়, যেমন মোল, ওয়ার্ট বা ক্যান্সারযুক্ত ক্ষত। এই পদ্ধতিতে অত্যন্ত কম তাপমাত্রায় তরল নাইট্রোজেন ব্যবহার করে ক্ষত বা অস্বাভাবিক কোষকে জমিয়ে ধ্বংস করা হয়। এতে চারপাশের সুস্থ টিস্যুর ওপর প্রভাব খুব কম পড়ে এবং ক্ষতের পুনরাবৃত্তি কম হয়। হাড় ভাঙা, উচ্চ রক্তচাপ বা ডায়াবেটিসের চিকিৎসায় সাধারণত ক্রায়োসার্জারি ব্যবহার করা হয় না, কারণ এসব অবস্থার জন্য অন্যান্য চিকিৎসা পদ্ধতি বেশি কার্যকর। তাই ক্রায়োসার্জারি প্রায়শই ত্বকের ক্ষতের চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়।
ক্রায়োসার্জারি:
-
এটি একটি চিকিৎসা পদ্ধতি, যেখানে অত্যন্ত ঠান্ডা (সাধারণত তরল নাইট্রোজেন) ব্যবহার করে শরীরের অস্বাভাবিক বা ক্যান্সারগ্রস্ত কোষ বা টিস্যু ধ্বংস করা হয়।
ব্যবহৃত রাসায়নিক পদার্থ:
-
তরল নাইট্রোজেন
-
তরল কার্বন ডাই-অক্সাইড
-
নাইট্রাস অক্সাইড
-
আর্গন
-
ইথাইল ক্লোরাইড
-
ফ্লোরিনেটেড হাইড্রোকার্বন
ক্রায়োসার্জারির ব্যবহার:
-
ওয়ার্টস অপসারণ
-
চোখের লেন্স বা ছানি অপসারণ
-
কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্রের টিউমার নির্মূল
-
কিছু হৃদরোগজনিত সমস্যা নির্মূল
-
হেমোরয়েড নির্মূল
-
স্ত্রীরোগ ও ইউরোলজিক টিউমারের নিয়ন্ত্রণ
0
Updated: 1 month ago