নিচের কোনটি ওয়েব ব্রাউজার নয়?
A
ওপেরা
B
সাফারি
C
গুগল ক্রোম
D
গুগল
উত্তরের বিবরণ
ওয়েব ব্রাউজার হলো একটি সফটওয়্যার যা ব্যবহারকারীদের ইন্টারনেটে ওয়েবসাইট খুলতে, ব্রাউজ করতে এবং তথ্য দেখতে সাহায্য করে। তালিকাভুক্ত অপশনগুলোর মধ্যে ওপেরা, সাফারি এবং গুগল ক্রোম সবই পরিচিত ওয়েব ব্রাউজার। অন্যদিকে “গুগল” হলো একটি সার্চ ইঞ্জিন, যা ওয়েবসাইট বা তথ্য খুঁজে বের করতে ব্যবহৃত হয়, তবে এটি নিজে কোনো ব্রাউজার নয়। তাই ওয়েব ব্রাউজার নয় এমনটি হলো— গুগল।
ওয়েব ব্রাউজারের সংজ্ঞা ও বৈশিষ্ট্য:
-
ইন্টারনেটকে তথ্যের মহাসমুদ্র বলা হয়, কারণ এটি বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে থাকা নেটওয়ার্কে সংযুক্ত কম্পিউটরে থাকা সমস্ত তথ্য ব্যবহারকারীদের কাছে পৌঁছে দেয়।
-
যে সফটওয়্যার ইন্টারনেটের ইনফরমেশন বা Web page/World Wide Web (WWW) প্রদর্শন করে তাকে ওয়েব ব্রাউজার বলে।
-
পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের ওয়েব সার্ভারে রাখা সংযোগযোগ্য ওয়েব পেইজ পরিদর্শন করা হয় Web Browsing এর মাধ্যমে।
-
Web Browsing করে বিভিন্ন তথ্য ব্যবহারকারীর কম্পিউটারে আনা যায়।
-
এই সকল ওয়েব ব্রাউজার সাধারণত বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে ইন্টারনেটের সাথে সংযুক্ত ওয়েব সার্ভার কম্পিউটারে থাকা ওয়েব পেইজ প্রদর্শন করে।
-
১৯৯০ সালে টিম বার্নার্স লি সর্বপ্রথম WorldWide Web নামে ওয়েব ব্রাউজার তৈরি করেন।
-
বর্তমান সময়ে জনপ্রিয় ওয়েব ব্রাউজার: Internet Explorer (মাইক্রোসফট এজ), Mozilla Firefox, Safari, Opera, Google Chrome ইত্যাদি।
সার্চ ইঞ্জিন (Search Engine):
-
সার্চ ইঞ্জিন হলো একটি সফটওয়্যার টুল যা ওয়াল্ড ওয়াইড ওয়েব থেকে তথ্য খুঁজে বের করে।
-
উদাহরণ: Google, Yahoo, Bing, MSN ইত্যাদি।
উৎস:
0
Updated: 1 month ago
নিচের কোনটি OSI Model-এর সর্বনিম্ন স্তর?
Created: 1 month ago
A
Physical Layer
B
Data Link Layer
C
Network Layer
D
Transport Layer
OSI মডেল হলো একটি নেটওয়ার্ক কমিউনিকেশন মডেল, যা ISO (International Organization for Standardization) কর্তৃক প্রস্তাবিত এবং ৭টি স্তর (Layer) নিয়ে গঠিত। সবচেয়ে নিচের স্তর হলো Physical Layer।
OSI মডেলের ৭টি লেয়ার:
-
Physical Layer: ডেটা বাইনারি সিগন্যাল হিসেবে ট্রান্সমিট করে।
-
Data Link Layer: MAC Address এবং Frame Transmission পরিচালনা করে।
-
Network Layer: IP Addressing এবং প্যাকেট রাউটিং নিয়ন্ত্রণ করে।
-
Transport Layer: End-to-end Communication নিশ্চিত করে, যেমন TCP ও UDP।
-
Session Layer: সেশন কন্ট্রোল এবং ডেটা এক্সচেঞ্জের ব্যবস্থাপনা করে।
-
Presentation Layer: ডেটা এনক্রিপশন, ডিক্রিপশন এবং কম্প্রেশন পরিচালনা করে।
-
Application Layer: ব্যবহারকারী এবং নেটওয়ার্কের মধ্যে ইন্টারফেস তৈরি করে, যেমন HTTP, FTP, SMTP ইত্যাদি।
উৎস:
0
Updated: 1 month ago
SWIFT প্রধানত কোন কাজের জন্য ব্যবহৃত হয়?
Created: 1 month ago
A
অনলাইনে কেনাকাটা
B
স্টক ট্রেডিং
C
আন্তর্জাতিক মানি ট্রান্সফার
D
মোবাইল ব্যাংক
SWIFT-এর ব্যবহার:
-
সঠিক উত্তর: গ) আন্তর্জাতিক মানি ট্রান্সফার
কারণ:
-
SWIFT একটি নিরাপদ এবং বিশ্বব্যাপী যোগাযোগ নেটওয়ার্ক, যা ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানকে অর্থের আদান-প্রদানের তথ্য দ্রুত ও নির্ভুলভাবে বিনিময় করতে সহায়তা করে।
-
SWIFT নিজেই টাকা স্থানান্তর করে না, বরং ট্রান্সফারের নির্দেশনা এবং তথ্য আদান-প্রদানের মাধ্যমে লেনদেনকে সহজ ও ঝুঁকিমুক্ত করে।
-
এটি বৈদেশিক মুদ্রা লেনদেন, ব্যাংকিং চিঠিপত্র এবং অন্যান্য আর্থিক নথি দ্রুত ও সুরক্ষিতভাবে আদান-প্রদানের জন্য ব্যবহৃত।
SWIFT কোড সংক্ষেপে:
-
SWIFT (Society for Worldwide Interbank Financial Telecommunication) বেলজিয়ামভিত্তিক একটি আন্তঃব্যাংক নেটওয়ার্ক।
-
বিশ্বব্যাপী ২০০+ দেশে প্রায় ১১,০০০ ব্যাংক এই সিস্টেম ব্যবহার করে।
-
লেনদেনের তথ্য সংকেতলিপি বা কোডের মাধ্যমে আদান-প্রদান করা হয়।
-
বাংলাদেশে প্রায় সব ব্যাংক আন্তর্জাতিক লেনদেনে SWIFT ব্যবহার করে।
0
Updated: 1 month ago
কোন কম্পিউটার ডিভাইসটি সাধারণত ফুল ডুপ্লেক্স মোডের জন্য ব্যবহৃত হয়?
Created: 1 month ago
A
NIC
B
Printer
C
Monitor
D
Mouse
ফুল ডুপ্লেক্স মোড হলো এমন একটি ডাটা ট্রান্সমিশন মোড যেখানে তথ্য প্রেরণ ও গ্রহণ একই সময়ে সম্ভব। এটি উচ্চ গতির নেটওয়ার্ক যোগাযোগের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই ধরনের সংযোগের জন্য সাধারণত NIC (Network Interface Card) ব্যবহার করা হয়। NIC হলো কম্পিউটারের নেটওয়ার্ক কার্ড, যা ডিভাইসটিকে LAN বা ইন্টারনেটের সাথে সংযুক্ত করে এবং দুই দিকেই ডেটা আদান-প্রদানের সুবিধা দেয়। অন্যদিকে, Printer, Monitor বা Mouse সাধারণত এক দিকের তথ্য আদান-প্রদানের জন্য ব্যবহৃত হয় এবং এগুলো ফুল ডুপ্লেক্স সমর্থন করে না। তাই দ্রুত ও সঠিক নেটওয়ার্ক যোগাযোগের জন্য NIC হল সবচেয়ে উপযুক্ত ডিভাইস।
ডাটা ট্রান্সমিশন মোডের ধরন:
-
সিমপ্লেক্স মোড:
-
ডাটা স্থানান্তরের ক্ষেত্রে ডাটার একদিকে প্রবাহকে সিমপ্লেক্স মোড বলে।
-
উদাহরণ: রেডিও-টিভি, PABX, কীবোর্ড, মাউস, পেজার ইত্যাদি।
-
-
ফুল-ডুপ্লেক্স মোড:
-
একই সময়ে উভয় প্রান্তের দুটি ডিভাইস ডেটা প্রেরণ ও গ্রহণ করতে পারে।
-
উদাহরণ: মোবাইল ফোন, টেলিফোন, কম্পিউটার নেটওয়ার্ক ইত্যাদি।
-
-
হাফ-ডুপ্লেক্স মোড:
-
এক প্রান্ত থেকে ডেটা প্রেরণ করা হলে অপর প্রান্ত শুধুমাত্র গ্রহণ করতে পারে, এবং বিপরীত দিকেও একই নিয়ম প্রযোজ্য।
-
উদাহরণ: ওয়াকিটকি, ফ্যাক্স, এসএমএস, ইন্টারনেট ব্রাউজার ইত্যাদি।
-
উৎস:
0
Updated: 1 month ago