কোনটি সহায়ক মেমোরির অন্তর্ভুক্ত নয়?
A
রম
B
হার্ড ডিস্ক
C
সিডি
D
ফ্লপি ডিস্ক
উত্তরের বিবরণ
কম্পিউটারের স্মৃতি প্রধানত প্রধান স্মৃতি এবং সহায়ক স্মৃতি—এই দুই প্রকারে বিভক্ত। প্রধান স্মৃতি (Main Memory) কেন্দ্রীয় প্রক্রিয়াকরণ ইউনিটের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত থাকে এবং প্রক্রিয়াকরণের জন্য প্রয়োজনীয় তথ্য ধারণ করে। প্রধান স্মৃতির প্রতিটি অবস্থানকে ঠিকানা (Address) দ্বারা চিহ্নিত করা হয়।
-
প্রধান স্মৃতি বা প্রাথমিক স্মৃতি:
-
কম্পিউটারের তথ্য প্রক্রিয়াকরণের জন্য ব্যবহৃত হয়।
-
প্রক্রিয়াকরণ চলাকালীন তথ্য এখানে থাকে।
-
প্রধান স্মৃতির ধরনসমূহ:
-
চুম্বকীয় কোর স্মৃতি (Magnetic Core Memory)
-
চুম্বকীয় বুদবুদ স্মৃতি (Magnetic Bubble Memory)
-
অর্ধপরিবাহী স্মৃতি (Semiconductor Memory): RAM, ROM
-
পাতলা পর্দা স্মৃতি (Thin Film Memory)
-
চার্জ কাপল স্মৃতি (Charge Couple Memory)
-
-
-
সহায়ক স্মৃতি বা Auxiliary Memory:
-
প্রধান স্মৃতিতে প্রক্রিয়াকৃত তথ্য স্থায়ীভাবে সংরক্ষণ করে।
-
ধারণ ক্ষমতা প্রধান স্মৃতির তুলনায় বহুগুণ বেশি।
-
তথ্য স্বয়ংক্রিয়ভাবে মুছে যায় না।
-
সহায়ক স্মৃতির উদাহরণ:
-
ফ্লপি ডিস্ক (Floppy Disc)
-
হার্ড ডিস্ক (Hard Disc)
-
সিডি (CD – Compact Disc)
-
চৌম্বক ফিতা (Magnetic Disc)
-
চৌম্বক ড্রাম (Magnetic Drum)
-
-
উল্লেখ্য, ROM (Read Only Memory) প্রধান স্মৃতির অংশ হিসেবে কম্পিউটার চালু হওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় নির্দেশনা ধারণ করে, তাই এটি সহায়ক মেমোরির অন্তর্ভুক্ত নয়।
উৎস:

0
Updated: 1 day ago
নিচের কোন মেমোরিতে সবচেয়ে দ্রুত অ্যাক্সেস করা যায়?
Created: 1 day ago
A
Compact Disc
B
Cache Memory
C
RAM
D
Hard Disk
Cache Memory হলো একটি উচ্চগতিসম্পন্ন, ছোট আকারের ভলেটাইল মেমোরি, যা প্রসেসরের কাছাকাছি অবস্থান করে এবং প্রক্রিয়াজাতকরণের জন্য প্রয়োজনীয় ডেটা ও নির্দেশ সংরক্ষণ করে। এটি RAM-এর তুলনায় দ্রুত হলেও প্রসেসরের সঙ্গে সরাসরি সংযুক্ত নয়, তাই RAM-এর তুলনায় কিছুটা ধীর। Hard Disk এবং Compact Disc ধারাবাহিক ডাটা স্টোরেজ ডিভাইস, যেখানে অ্যাক্সেস সময় অনেক বেশি। ফলে, প্রসেসরের কার্যকারিতা বাড়াতে এবং প্রোগ্রাম দ্রুত চালানোর জন্য Cache Memory ব্যবহার করা হয়। সংক্ষেপে, দ্রুততম অ্যাক্সেসের জন্য Cache Memory সেরা।
মেমোরি সম্পর্কিত তথ্য:
-
মেমোরি তৈরির মূল, ধারণক্ষমতা এবং অ্যাক্সেস টাইমের ওপর ভিত্তি করে কম্পিউটারের মেমোরি রেজিস্টার থেকে শুরু করে অপটিক্যাল ডিস্ক পর্যন্ত বিভিন্ন পর্যায়ে ভাগ করা যায়।
-
Cache Memory হলো এমন একটি বিশেষ উচ্চগতির মেমোরি, যেখানে CD, RAM, Hard Disk-এর তুলনায় দ্রুততম অ্যাক্সেস সম্ভব।
Cache Memory এর বৈশিষ্ট্য:
-
এটি মাইক্রোপ্রসেসর ও প্রধান স্মৃতির মাঝে ব্যবহৃত উচ্চগতির, কম ধারণক্ষমতাসম্পন্ন স্মৃতি।
-
ডেটা স্থানান্তরের গতি বৃদ্ধি এবং মাইক্রোপ্রসেসরের কার্যকারিতা বৃদ্ধির জন্য ব্যবহৃত।
-
এটি স্ট্যাটিক মেমোরি, যা উচ্চগতি সম্পন্ন ও তুলনামূলকভাবে দামি।
উৎস:

0
Updated: 1 day ago
কম্পিউটার সিস্টেমে ক্যাশ মেমোরি হিসেবে সাধারণত কোন ধরনের মেমোরি ব্যবহার করা হয়?
Created: 3 weeks ago
A
Synchronous DRAM
B
Static RAM
C
Programmable ROM
D
Dynamic RAM
ক্যাশ মেমোরি (Cache Memory):
-
ক্যাশ মেমোরি সাধারণত SRAM (Static RAM) দিয়ে তৈরি হয়।
-
এটি উচ্চগতির মেমোরি এবং কম ধারণক্ষমতাসম্পন্ন, তাই ব্যয়বহুল।
-
মাইক্রোপ্রসেসর ও প্রধান মেমোরির মধ্যে ডেটা স্থানান্তরের গতি বৃদ্ধি এবং প্রসেসরের কার্যক্ষমতা বাড়ানোর জন্য ব্যবহৃত হয়।
-
ক্যাশ মেমোরি RAM-এর চেয়ে ছোট।
-
SRAM-এ সংরক্ষিত তথ্য রিফ্রেশ ছাড়াই বিদ্যুৎ থাকার সময় পর্যন্ত স্থায়ী থাকে।
-
প্রসেসরের L1, L2, L3 ক্যাশে SRAM ব্যবহৃত হয়।
-
এটি সাধারণত EPROM-এ থাকে।
স্ট্যাটিক র্যাম (SRAM - Static Random Access Memory):
-
SRAM ফ্লিপ-ফ্লপ সার্কিট দ্বারা গঠিত।
-
এটি প্রতিটি বিটে 0 বা 1 ধারণ করে এবং তথ্য বিদ্যুৎ সরবরাহ থাকলে পর্যন্ত ধরে রাখে।
-
SRAM অত্যন্ত দ্রুতগতিসম্পন্ন, তাই ভিডিও RAM, ক্যাশ মেমোরি ইত্যাদিতে ব্যবহার হয়।
উৎস:
-
মৌলিক কম্পিউটার শিক্ষা, বিবিএ প্রোগ্রাম, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়
-
ব্রিটানিকা

0
Updated: 3 weeks ago
IP Address এ কয়টি অংশ থাকে?
Created: 2 days ago
A
২টি
B
৩টি
C
৫টি
D
৪টি
আইপি অ্যাড্রেস হলো ইন্টারনেটে সংযুক্ত প্রতিটি ডিভাইসের একটি স্বতন্ত্র পরিচয়। এটি মূলত নেটওয়ার্কে তথ্য আদান-প্রদানের জন্য ব্যবহার করা হয় এবং প্রতিটি কম্পিউটার, সার্ভার বা ডিজিটাল ডিভাইসের জন্য অপরিহার্য।
-
IP এর পূর্ণরূপ: Internet Protocol
-
ইন্টারনেটে যুক্ত প্রতিটি ডিভাইসের একটি নির্দিষ্ট ঠিকানা থাকে, যাকে IP Address বলা হয়।
-
তথ্য আদান-প্রদান প্রক্রিয়ায় IP Address ব্যবহার করা হয়। ব্যবহারকারীরা IP Address এর মাধ্যমে তথ্য গ্রহণ ও প্রেরণ করে থাকেন।
-
সমগ্র বিশ্বের আইপি অ্যাড্রেস ও ডোমেইন নেমের নিয়ন্ত্রণ ও ব্যবস্থাপনা করে ICANN (Internet Corporation for Assigned Names and Numbers)।
-
আইপি অ্যাড্রেসের লজিক্যাল অংশ: Network ID এবং Host ID
-
IPv4 ঠিকানা: মোট ৩২-বিট দৈর্ঘ্যের, যা ৪টি Octet-এ বিভক্ত থাকে (প্রতিটি Octet = ৮-বিট)। প্রতিটি অংশের মান ০ থেকে ২৫৫ পর্যন্ত হতে পারে।
-
উদাহরণ: 192.168.0.1 → এখানে ৪টি অংশ রয়েছে।
-
আইপি অ্যাড্রেসের ধরন:
১. IPv4 (Internet Protocol Version 4)-
চারটি অংশ নিয়ে গঠিত।
-
কার্যক্রম শুরু হয় ১৯৮০-এর দশকে।
-
IPv4 হলো ৩২-বিট অ্যাড্রেস, যার মাধ্যমে মোট 2³² = ৪,২৯৪,৯৬৭,২৯৬ ডিভাইসকে সনাক্ত করা যায়।
-
সাধারণত ডটেড ডেসিমাল নোটেশন এ লেখা হয় (যেমন 192.168.1.1)।
২. IPv6 (Internet Protocol Version 6)
-
IPv4-এর পরবর্তী প্রজন্ম, তৈরি করা হয় ১৯৯৬ সালে।
-
দৈর্ঘ্য ১২৮-বিট, যা 2¹²⁸ সংখ্যক ডিভাইসকে সনাক্ত করতে সক্ষম।
-
হেক্সাডেসিমাল ফরম্যাটে লেখা হয় (যেমন 2001:0db8:85a3::8a2e:0370:7334)।
-
বর্তমানে ইন্টারনেটের ব্যবহারকারী ও ডিভাইসের সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় IPv6 এর প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয়।
-

0
Updated: 2 days ago