'বাংলা একাডেমী সংক্ষিপ্ত বাংলা অভিধান'-এর সম্পাদক কে?
A
মুহম্মদ আব্দুল হাই
B
মুহম্মদ শহীদুল্লাহ
C
মুহম্মদ এনামুল হক
D
আহমদ শরীফ
উত্তরের বিবরণ
বাংলা একাডেমি ‘সংক্ষিপ্ত বাংলা অভিধান’-এর সম্পাদক ছিলেন আহমদ শরীফ। ২০০৯ সালের মধ্যে বাংলা একাডেমি অভিধান ও শব্দকোষ মিলিয়ে প্রায় ৭০টির মতো অভিধান প্রকাশ করেছে। এইসব অভিধানের মধ্যে ক্ষুদ্র পরিভাষাকোষ থেকে শুরু করে বহুখণ্ডে প্রকাশিত বৃহৎ অভিধানও রয়েছে।
নিম্নে বাংলা একাডেমি থেকে প্রকাশিত কিছু উল্লেখযোগ্য অভিধানের নাম দেওয়া হলো—
-
আঞ্চলিক ভাষার অভিধান : প্রণেতা– ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ্
-
চরিতাভিধান : সম্পাদনা– শামসুজ্জামান খান ও অন্যান্য
-
উচ্চারণ অভিধান : প্রণেতা– নরেন বিশ্বাস
-
সমকালীন বাংলা ভাষার অভিধান (দুই খণ্ড) : সংকলক– আবু ইসহাক (প্রকাশকাল: ১৯৯৩ ও ১৯৯৮)
-
বানান অভিধান : প্রণেতা– জামিল চৌধুরী
-
লেখক অভিধান : সম্পাদনা– আশফাক-উল-আলম ও সহযোগীরা
-
মধ্যযুগের বাংলা ভাষার অভিধান : প্রণেতা– মোহাম্মদ আবদুল কাইউম এবং অন্যান্য
তথ্যসূত্র: ড. সৌমিত্র শেখর সম্পাদিত বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা এবং বাংলা একাডেমির সরকারি ওয়েবসাইট।

0
Updated: 2 months ago
'মোসলেম ভারত' নামক সাহিত্য পত্রিকার সম্পাদক ছিলেন-
Created: 3 months ago
A
মীর মশাররফ হোসেন
B
মুন্সী মোহাম্মদ রেয়াজুদ্দীন আহমদ
C
মোজাম্মেল হক
D
রেয়াজুদ্দীন আহমদ মাশহাদী
মোজাম্মেল হক ছিলেন মাসিক সাহিত্য পত্রিকা ‘মোস্লেম ভারত’ এর সম্পাদক।
মোস্লেম ভারত সম্পর্কে কিছু তথ্যঃ
-
এটি ১৯২০ সালে কলকাতা থেকে প্রকাশিত একটি মাসিক সাহিত্য সাময়িকী।
-
পত্রিকার প্রথম সংখ্যা ১৩২৭ বঙ্গাব্দের বৈশাখ মাসে প্রকাশিত হয়।
-
ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে খ্যাতিমান লেখকদের লেখা এতে প্রকাশ পেত।
-
প্রতি সংখ্যার প্রথম পাতার উপরের অংশে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের একটি বাণী সংকলিত হতো।
-
কাজী নজরুল ইসলামের কবিপ্রতিভার বিকাশে ‘মোস্লেম ভারত’ পত্রিকার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল।
-
কাজী নজরুল ইসলামের পত্রোপন্যাস ‘বাঁধনহারা’-র প্রথম কিস্তি ‘মোস্লেম ভারত’-এর প্রথম সংখ্যায় প্রকাশিত হয়।
উৎস:
বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস, মাহবুবুল হক এবং বাংলাপিডিয়া।

0
Updated: 3 months ago
নজরুল ইসলামের সম্পাদিত পত্রিকা কোনটি?
Created: 1 month ago
A
মাহে নও
B
সওগাত
C
ধূমকেতু
D
কালিকলম
‘ধূমকেতু’ পত্রিকা
১৯২২ সালে কাজী নজরুল ইসলামের সম্পাদনায় প্রকাশিত হয় অর্ধসপ্তাহিক পত্রিকা ‘ধূমকেতু’। এই পত্রিকায় রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের একটি বিখ্যাত পংক্তি প্রকাশিত হয়েছিল –
“আয় চলে আয় রে ধূমকেতু,
আঁধারে বাঁধ অগ্নিসেতু।”
বিশেষ করে ধূমকেতুর পূজা সংখ্যায়, অর্থাৎ ২৬ সেপ্টেম্বর ১৯২২ তারিখে ‘আনন্দময়ীর আগমনে’ শিরোনামে একটি সংখ্যা প্রকাশিত হলে ব্রিটিশ শাসকগণ পত্রিকাটি বাজেয়াপ্ত করে এবং নজরুলকে গ্রেফতার করে।
অন্যদিকে,
-
‘সওগাত’ ছিল একটি মাসিক সচিত্র পত্রিকা, যা ১৩২৫ বঙ্গাব্দের অগ্রহায়ণে (১৯১৮) মোহাম্মদ নাসিরউদ্দীনের সম্পাদনায় কলকাতা থেকে প্রকাশ পেয়েছিল।
-
১৯৫২ সালে ঢাকায় আবদুল কাদের ‘মাহে নও’ নামে একটি মাসিক পত্রিকার সম্পাদনা করতেন।
-
‘কালিকলম’ নামক সচিত্র মাসিক সাহিত্য পত্রিকা প্রকাশিত হত কলকাতার কলেজ স্ট্রিট মার্কেটের বরদা এজেন্সির মাধ্যমে, যার সম্পাদনায় ছিলেন মুরলীধর বসু, শৈলেজানন্দ মুখোপাধ্যায় ও প্রেমেন্দ্র মিত্র।
কাজী নজরুল ইসলাম সম্পর্কে:
কাজী নজরুল ইসলাম বাংলাদেশের জাতীয় কবি এবং অবিভক্ত বাংলার সাহিত্য ও সংস্কৃতির এক অনন্য প্রতিভা। তিনি ১৩০৬ বঙ্গাব্দের ১১ জ্যৈষ্ঠে বর্ধমান জেলার চুরুলিয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর ডাকনাম ছিল ‘দুখু মিয়া’। বাংলা সাহিত্যে তাঁকে ‘বিদ্রোহী কবি’ হিসেবে স্মরণ করা হয়। আধুনিক বাংলা গানের জগতে তিনি ‘বুলবুল’ নামেও পরিচিত।
সংগীত সংকলন:
নজরুলের লেখা সংগীত সংকলনগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য —
-
চোখের চাতক
-
নজরুল গীতিকা
-
সুর সাকী
-
বনগীতি
উপন্যাসসমূহ:
-
বাঁধন-হারা
-
মৃত্যুক্ষুধা
-
কুহেলিকা
প্রবন্ধগ্রন্থ:
-
দুর্দিনের যাত্রী
-
যুগবাণী
-
রুদ্র মঙ্গল
সম্পাদিত পত্রিকা:
-
‘ধূমকেতু’ (১৯২২)
-
‘লাঙ্গল’ (১৯২৫), যার প্রধান পরিচালক ছিলেন নজরুল নিজেই
-
‘দৈনিক নবযুগ’, যা তিনি কমরেড মুজাফ্ফর আহমদের সাথে যৌথভাবে সম্পাদনা করেছিলেন।
তথ্যের উৎস: বাংলাপিডিয়া ও বাংলা ভাষা ও সাহিত্য সংক্রান্ত গবেষণা, ড. সৌমিত্র শেখর।

0
Updated: 1 month ago
'বঙ্গদর্শন' পত্রিকার প্রথম সম্পাদক কে ছিলেন?
Created: 1 month ago
A
প্যারীচাঁদ মিত্র
B
বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়
C
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
D
প্রমথ চৌধুরী
বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের উদ্যোগে ১৮৭২ সালে প্রকাশিত ‘বঙ্গদর্শন’ ছিল উনিশ শতকের বাংলা সাহিত্য-সংস্কৃতির এক গুরুত্বপূর্ণ মোড়।
বাংলা গদ্যভাষার বিকাশে এ পত্রিকার অবদান অনস্বীকার্য। যদিও এটি প্রথম পর্যায়ে মাত্র চার বছর (১৮৭২–১৮৭৬) নিয়মিত প্রকাশ পেয়েছিল, তবুও তার প্রভাব ছিল সুদূরপ্রসারী।
‘বঙ্গদর্শন’-এর ভাষা ছিল উৎকর্ষমান সাধু বাংলা, যা তৎকালীন শিক্ষিত সমাজের রুচির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ। এই পত্রিকায় সাহিত্য, সমাজনীতি, ধর্মতত্ত্ব, দর্শন, রাজনীতি ও বিজ্ঞানের উপর বহু তথ্যবহুল ও বিশ্লেষণধর্মী রচনা প্রকাশিত হতো।
এর মাধ্যমে বাঙালি মধ্যবিত্ত সমাজ প্রথম আধুনিক চেতনার প্রকাশের সুযোগ পায়। তাই একে শিক্ষিত বাঙালির প্রথম মুখপত্র বললে অত্যুক্তি হয় না।
বঙ্কিমচন্দ্র ছাড়াও গঙ্গাচরণ, রামদাস সেন, অক্ষয় কুমার সরকার ও চন্দ্রনাথ বসুর মতো জ্ঞানীগুণী ব্যক্তিত্বরা নিয়মিত এই পত্রিকায় লেখালেখি করতেন।
পরবর্তীকালে বঙ্কিমচন্দ্রের দুই ভাই—সঞ্জীবচন্দ্র ও শ্রীশচন্দ্র—কিছুদিন এই পত্রিকা সম্পাদনার দায়িত্ব পালন করেন।
দীর্ঘ বিরতির পর, ২০০০ সাল থেকে পশ্চিমবঙ্গের নৈহাটিতে অবস্থিত বঙ্কিমভবন গবেষণাকেন্দ্র ‘বঙ্গদর্শন’-কে নতুন আঙ্গিকে ষাণ্মাসিক পত্রিকা হিসেবে পুনঃপ্রকাশ করছে। এই নবযাত্রা ‘বঙ্গদর্শন’-এর ঐতিহ্য ও তাৎপর্যকে আরও প্রসারিত করছে।
উৎস: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা - ড. সৌমিত্র শেখর; বাংলাপিডিয়া।

0
Updated: 1 month ago