কোন চলচ্চিত্রটি দেশ ভাগ নিয়ে নির্মিত হয়েছে?
A
আবার তোরা মানুষ হ
B
মাটির ময়না
C
মেঘের অনেক রং
D
চিত্রা নদীর পাড়ে
উত্তরের বিবরণ
বাংলাদেশের চলচ্চিত্রে ইতিহাস ও সমাজের প্রতিফলন স্পষ্টভাবে দেখা যায়, বিশেষ করে দেশভাগ ও মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক সিনেমাগুলিতে। এসব চলচ্চিত্র শুধু বিনোদনের মাধ্যম নয়, বরং জাতির সংগ্রাম, সামাজিক পরিবর্তন এবং মানুষের জীবনধারার দলিল হিসেবেও কাজ করে।
-
‘চিত্রা নদীর পাড়ে’ চলচ্চিত্রটি ১৯৪৭ সালের দেশভাগ এবং তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানে হিন্দুদের জীবনধারার ওপর নির্মিত।
-
পরিচালনা করেছেন তানভীর মোকাম্মেল; সিনেমাটি ১৯৯৮ সালে নির্মিত হয়।
-
এটি ১৯৯৯ সালে ৭টি ক্যাটাগরিতে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করে।
তানভীর মোকাম্মেলের অন্যান্য বিখ্যাত চলচ্চিত্র:
-
নদীর নাম মধুমতী
-
লালসালু
-
লালন
-
রাবেয়া
-
জীবনঢুলী
-
রূপসা নদীর বাঁকে
অন্যদিকে, মুক্তিযুদ্ধ ও পরবর্তী সামাজিক চিত্র ভিত্তিক চলচ্চিত্রগুলো হলো—
-
‘আবার তোরা মানুষ হ’ — পরিচালনা: খান আতাউর রহমান; যুদ্ধ-পরবর্তী সামাজিক চিত্র তুলে ধরে।
-
‘মাটির ময়না’ — ২০০২ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত বাংলাদেশি যুদ্ধভিত্তিক নাট্য চলচ্চিত্র।
-
‘মেঘের অনেক রং’ — ১৯৭৬ সালে নির্মিত; পরিচালনা: হারুনর রশিদ।
উৎস:

0
Updated: 1 day ago
রাষ্ট্রীয় কাজে সকলের অংশগ্রহণের সমান অধিকারকে কী বলা হয়?
Created: 2 weeks ago
A
নাগরিক সাম্য
B
সামাজিক সাম্য
C
আইনগত সাম্য
D
রাজনৈতিক সাম্য
-
রাজনৈতিক সাম্য বলতে বোঝায়, জাতি, ধর্ম বা বর্ণ নির্বিশেষে সকল নাগরিকের ভোট প্রদানের, নির্বাচনে অংশগ্রহণের এবং সরকারি চাকরি গ্রহণের সমান অধিকার। এটি আধুনিক গণতন্ত্রের একটি মূল ভিত্তি।
রাজনৈতিক সাম্য (Political Equality):
-
রাষ্ট্রীয় কাজে অংশগ্রহণ এবং রাজনৈতিক অধিকার ভোগের ক্ষেত্রে সমান সুযোগ থাকা হলো রাজনৈতিক সাম্য।
-
জাতি, ধর্ম, বর্ণ, লিঙ্গ বা ধন-দারিদ্র্য নির্বিশেষে প্রত্যেক প্রাপ্তবয়স্ক এবং সুস্থ মস্তিষ্কের নাগরিক যখন নির্বাচনে প্রার্থী বা ভোটদাতা হিসেবে অংশগ্রহণের সুযোগ পায়, তখনই কোনো দেশে রাজনৈতিক সাম্য প্রতিষ্ঠিত হয়।
সূত্র: পৌরনীতি ও সুশাসন, একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণি, মো: মোজাম্মেল হক।

0
Updated: 2 weeks ago
নবযুগ তেভাগা খামার কে প্রতিষ্ঠা করেন?
Created: 5 days ago
A
শামসুল আলম
B
ড. মুহাম্মদ ইউনূস
C
জাফরুল্লাহ চৌধুরী
D
আবদুল লতিফ সিদ্দিকী
নবযুগ তেভাগা খামার
-
প্রতিষ্ঠাতা: নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
-
প্রতিষ্ঠাবর্ষ: ১৯৭৪।
-
প্রকল্পের উদ্দেশ্য: সমাজের নিম্নবিত্ত কৃষকদের জন্য ব্যাংকঋণ ও আধুনিক খামার ব্যবস্থার প্রবর্তন।
-
প্রাথমিক গবেষণা: ড. ইউনূস চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক থাকা অবস্থায় জোবরা ও সংলগ্ন গ্রামে মাঠ গবেষণা চালান, যেখানে তিনি যাচাই করতে চেয়েছিলেন নিম্নবিত্ত কৃষকদের ঋণ গ্রহণের সম্ভাব্যতা।
-
খামারের তেভাগা পদ্ধতি:
-
জমির মালিক: ফসলের ১/৩ অংশ পান।
-
বীজ ও সার প্রদানকারী: ১/৩ অংশ পান।
-
চাষ, পানি ও অন্যান্য শ্রম দানকারী: ১/৩ অংশ পান।
-
-
পরবর্তী অবস্থা: সরকার প্যাকেজ প্রোগ্রামের আওতায় এই খামার অধিগ্রহণ করে।

0
Updated: 5 days ago
নাটোর জেলায় পাহাড়পুরে সোমপুর বিহারটি নির্মাণ করেন কে?
Created: 2 days ago
A
দেবপাল
B
ধর্মপাল
C
মহীপাল
D
গোপাল
সোমপুর বিহার বা পাহাড়পুর মহাবিহার বাংলাদেশের নওগাঁ জেলার বদলগাছি উপজেলায় অবস্থিত একটি প্রাচীন বৌদ্ধ বিহার, যা বর্তমানে ধ্বংসপ্রাপ্ত। এটি পালবংশের দ্বিতীয় রাজা শ্রী ধর্মপাল অষ্টম শতকের শেষের দিকে নির্মাণ করান। মূল ভবনে বৌদ্ধ ভিক্ষুদের জন্য ১৭৭টি কক্ষ ছিল এবং এখানে ৮০০ জন ভিক্ষু থাকার সক্ষমতা ছিল। বিহারের ১২৫নং কক্ষে মাটির পাত্রে খলিফা হারুন-অর-রশিদের শাসনামলের রৌপ্য মুদ্রা পাওয়া যায়।
-
পূর্বভারতে জরিপ কাজের সময় ১৮০৭ ও ১৮১২ সালে বুকানন হ্যামিল্টন প্রথম এ প্রত্নস্থল পরিদর্শন করেন।
-
পরবর্তীতে ওয়েস্টম্যাকট পাহাড়পুর পরিভ্রমণে আসেন।
-
১৮৭৯ সালে সার আলেকজান্ডার কানিংহাম স্থানটি পরিদর্শন করেন এবং ২২ ফুট বর্গাকার একটি ইমারত আবিষ্কার করেন।
-
১৯০৯ সালের পুরাকীর্তি আইনের আওতায় ভারতের প্রত্নতাত্ত্বিক জরিপ বিভাগ ১৯১৯ সালে এটিকে সংরক্ষিত পুরাকীর্তি হিসেবে ঘোষণা করে।
-
১৯৮৫ সালে ইউনেস্কো এটিকে বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থানের মর্যাদা দেয়।
উৎস:

0
Updated: 2 days ago