ষষ্ঠ জনশুমারি ও গৃহগণনা ২০২২ এর চূড়ান্ত প্রতিবেদন অনুযায়ী, দেশে ক্ষুদ্র জাতিসত্তা রয়েছে কয়টি?
A
৫৫টি
B
৪৮টি
C
৫০টি
D
৪৫টি
উত্তরের বিবরণ
বাংলাদেশে জনশুমারি ও গৃহগণনা ২০২২ অনুযায়ী ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর সংখ্যা ও বিস্তৃতি সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা পাওয়া যায়। বিশেষ করে পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চল এ ক্ষেত্রে সবচেয়ে সমৃদ্ধ এলাকা হিসেবে পরিচিত।
-
বাংলাদেশে মোট ৫০টি ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠী রয়েছে।
-
পার্বত্য চট্টগ্রামে ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর সংখ্যা সবচেয়ে বেশি।
-
এখানে ১৩টি ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর মানুষ বসবাস করে।
-
সংখ্যার বিচারে বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী হলো চাকমা।
-
সংখ্যার দিক থেকে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে মারমা।
-
জেলা হিসেবে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর সবচেয়ে বেশি বসবাস রাঙামাটি জেলায়।
উৎস:
0
Updated: 1 month ago
ওঁরাও জাতিসত্তার প্রধান উৎসব কোনটি?
Created: 1 month ago
A
রাস উৎসব
B
কারাম উৎসব
C
বুদ্ধ পূর্ণিমা
D
বৈসুক
ওঁরাও জনগোষ্ঠী বাংলাদেশের একটি ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী, যারা ভারত ও নেপালসহ দেশের কিছু অঞ্চলে বসবাস করে। এরা তাদের নিজস্ব ভাষা, সংস্কৃতি ও প্রথাগত ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠানের মাধ্যমে পরিচিত।
-
অবস্থান: প্রধানত বাংলাদেশ, ভারত ও নেপাল।
-
বাংলাদেশে প্রধান বসতি: রাজশাহী, নওগাঁ, জয়পুরহাট, দিনাজপুর, ঠাকুরগাঁও, রংপুর ও বগুড়া।
-
অন্যান্য নাম: উরাঁও বা কুড়ুখ।
-
উৎপত্তি: অস্ট্রো-এশিয়াটিক মূলের, বর্তমানে দ্রাবিড়কৃত।
-
অভিবাসন: মূলত মধ্য ভারতের ছত্তিশগড়, ঝাড়খণ্ড ও ওড়িশা অঞ্চল থেকে এসেছে।
-
ভাষা: কুড়ুখ (দ্রাবিড় ভাষা পরিবারের), পাশাপাশি বাংলা ব্যবহার করে।
-
ধর্ম: প্রথাগতভাবে প্রকৃতি উপাসক (সারনা ধর্ম), বর্তমানে অনেকে হিন্দু বা খ্রিস্টধর্ম গ্রহণ করেছে।
-
পেশা: প্রধানত কৃষিকাজ।
-
সংস্কৃতি: নিজস্ব গান, নাচ এবং উৎসব।
-
প্রধান উৎসব: কারাম উৎসব ও সরনা পূজা।
-
পার্বণিক উৎসব: সারহুল, কারাম, পশু উৎসব, খারিয়ানি, ফাগুয়া, সোহরায়।
0
Updated: 1 month ago
২০২৪ সালের গণঅভ্যুত্থানের সূচনা হয় কোন দাবিতে?
Created: 1 month ago
A
দ্রব্যমূল্য হ্রাস
B
তত্ত্বাবধায়ক সরকার
C
সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কার
D
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিল
২০২৪ সালে বাংলাদেশে সরকারি চাকরিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটা পুনর্বহারের বিরোধে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন থেকে গণঅভ্যুত্থানের সূচনা হয়।
-
আন্দোলনের শুরু হয় বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের ২০২৪ সালের জুনের রায়ের পর, যখন পুরনো ৫৬% কোটা পুনর্বহাল করা হয়।
-
শিক্ষার্থীদের মধ্যে এই সিদ্ধান্তে প্রবল ক্ষোভ সৃষ্টি হয় এবং তা শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে রূপ নেয়।
-
সরকার আন্দোলন দমন করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও দলীয় ক্যাডার ব্যবহার করলে জনরোষ আরও তীব্র হয়।
-
আন্দোলনকারীরা “জুলাই বিপ্লব” নামে গণজাগরণ শুরু করে, যা পরবর্তীতে “মার্চ টু ঢাকা” কর্মসূচিতে রূপান্তরিত হয়।
-
৫ আগস্ট ২০২৪ এই আন্দোলন চূড়ান্ত রূপ নেয় এবং শেখ হাসিনার সরকার পদত্যাগ করে।
-
এই অভ্যুত্থানের ফলে বাংলাদেশে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠিত হয়, যার প্রধান হন ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
সূত্র:
0
Updated: 1 month ago
’গেরিলা’ চলচ্চিত্রটির পরিচালক কে?
Created: 1 month ago
A
তারেক মাসুদ
B
সৈয়দ শামসুল হক
C
নাসির উদ্দীন ইউসুফ
D
খান আতাউর রহমান
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক চলচ্চিত্রগুলো কেবল ইতিহাসের দলিল নয়, বরং মুক্তিযোদ্ধাদের আত্মত্যাগ ও সংগ্রামের চিত্রও তুলে ধরে। এ ধরনের চলচ্চিত্র দর্শকদের স্বাধীনতার প্রকৃত তাৎপর্য অনুভব করতে সাহায্য করে।
-
নাসির উদ্দীন ইউসুফ পরিচালিত মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক সিনেমা হলো ‘গেরিলা’।
-
সিনেমাটি সৈয়দ শামসুল হক এর উপন্যাস ‘নিষিদ্ধ লোবান’ অবলম্বনে নির্মিত।
-
২০১১ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত এই চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন—জয়া আহসান, ফেরদৌস, এটিএম শামসুজ্জামান, রাইসুল ইসলাম আসাদ, পীযূষ বন্দ্যোপাধ্যায়, শতাব্দী ওয়াদুদ, শম্পা রেজা, গাজী রাকায়েত প্রমুখ।
এছাড়া মুক্তিযুদ্ধের প্রেক্ষাপটে নির্মিত কয়েকটি উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্র হলো—
-
‘আবার তোরা মানুষ হ’ — পরিচালনা: খান আতাউর রহমান।
-
‘ওরা ১১ জন’ — স্বাধীনতার পর নির্মিত প্রথম মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক চলচ্চিত্র; পরিচালনা করেছেন চাষী নজরুল ইসলাম।
-
‘মেঘের অনেক রং’ — পরিচালনা: হারুনর রশীদ; মুক্তি পায় ১৯৭৬ সালে।
উৎস:
0
Updated: 1 month ago