’গেরিলা’ চলচ্চিত্রটির পরিচালক কে?
A
তারেক মাসুদ
B
সৈয়দ শামসুল হক
C
নাসির উদ্দীন ইউসুফ
D
খান আতাউর রহমান
উত্তরের বিবরণ
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক চলচ্চিত্রগুলো কেবল ইতিহাসের দলিল নয়, বরং মুক্তিযোদ্ধাদের আত্মত্যাগ ও সংগ্রামের চিত্রও তুলে ধরে। এ ধরনের চলচ্চিত্র দর্শকদের স্বাধীনতার প্রকৃত তাৎপর্য অনুভব করতে সাহায্য করে।
-
নাসির উদ্দীন ইউসুফ পরিচালিত মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক সিনেমা হলো ‘গেরিলা’।
-
সিনেমাটি সৈয়দ শামসুল হক এর উপন্যাস ‘নিষিদ্ধ লোবান’ অবলম্বনে নির্মিত।
-
২০১১ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত এই চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন—জয়া আহসান, ফেরদৌস, এটিএম শামসুজ্জামান, রাইসুল ইসলাম আসাদ, পীযূষ বন্দ্যোপাধ্যায়, শতাব্দী ওয়াদুদ, শম্পা রেজা, গাজী রাকায়েত প্রমুখ।
এছাড়া মুক্তিযুদ্ধের প্রেক্ষাপটে নির্মিত কয়েকটি উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্র হলো—
-
‘আবার তোরা মানুষ হ’ — পরিচালনা: খান আতাউর রহমান।
-
‘ওরা ১১ জন’ — স্বাধীনতার পর নির্মিত প্রথম মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক চলচ্চিত্র; পরিচালনা করেছেন চাষী নজরুল ইসলাম।
-
‘মেঘের অনেক রং’ — পরিচালনা: হারুনর রশীদ; মুক্তি পায় ১৯৭৬ সালে।
উৎস:

0
Updated: 1 day ago
মুক্তিযুদ্ধে ’যৌথ কমান্ড' গঠন হয়েছিল কবে?
Created: 1 day ago
A
২১ নভেম্বর, ১৯৭১ সালে
B
২৬মার্চ, ১৯৭১ সালে
C
২৩ অক্টোবর, ১৯৭১ সালে
D
১৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ সালে
যৌথ কমান্ড গঠন:
- মুক্তিবাহিনী ও ভারতীয় বাহিনী মিলে 'যৌথ কমান্ড' গঠন করে।
- সময়: ১৯৭১ সালের ২১ নভেম্বর।
- লেফটেন্যান্ট জেনারেন জগজিৎ সিং অরোরার নেতৃত্বে এই বাহিনী গঠিত হয়।
- ৩ ডিসেম্বর পাকিস্তান ভারতে আক্রমণ করলে ভারত সরাসরি মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণের সিদ্ধান্ত নেয়।
- ৬ থেকে ১৬ ডিসেম্বর ভারতীয় বাহিনী মুক্তিবাহিনীর সাথে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করে।
- ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর এই যৌথ কমান্ড এর নিকট পাক-বাহিনী আত্মসমর্পণ করে।

0
Updated: 1 day ago
'Exercise Tiger Lightning 2025' কী?
Created: 5 days ago
A
বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর বার্ষিক মহড়া
B
বাংলাদেশ সেনা বাহিনীর বার্ষিক মহড়া
C
বাংলাদেশ ও চীনের যৌথ সামরিক মহড়া
D
বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের যৌথ সামরিক মহড়া
Exercise Tiger Lightning 2025 হলো বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের একটি যৌথ সামরিক মহড়া, যা পারস্পরিক সামরিক সহযোগিতা ও যৌথ সক্ষমতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে আয়োজন করা হয়।
প্রধান তথ্যগুলো হলো:
-
আয়োজনকারী: বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্যারা কমান্ডো ব্রিগেড এবং যুক্তরাষ্ট্রের নেভাডা ন্যাশনাল গার্ড (United States Army Pacific Command-এর তত্ত্বাবধানে)।
-
স্থান: সিলেটের জালালাবাদ সেনানিবাসস্থ প্যারা কমান্ডো ব্রিগেড।
-
অংশগ্রহণকারীরা:
-
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র: ৬৬ জন নেভাডা ন্যাশনাল গার্ড সদস্য
-
বাংলাদেশ: ১০০ জন প্যারা কমান্ডো ব্রিগেড সদস্য
-
-
সময়কাল: ২৫ জুলাই থেকে ৩০ জুলাই ২০২৫ পর্যন্ত ৬ দিন
-
উদ্দেশ্য:
-
বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতা বৃদ্ধি
-
কৌশলগত যৌথ আভিযানিক সক্ষমতা উন্নয়ন
-
সামরিক প্রস্তুতি জোরদার করা
-

0
Updated: 5 days ago
সিপাহী বিদ্রোহ কোথায় প্রথম শুরু হয়েছিল?
Created: 2 days ago
A
কানপুর
B
ব্যারাকপুর
C
দিল্লি
D
মিরাট
সিপাহী বিদ্রোহ ভারতীয়দের প্রথম জাতীয় সংগ্রাম বা ‘স্বাধীনতা লড়াই’ হিসেবে পরিচিত, যা ব্রিটিশ শাসন অবসানের জন্য গুরুত্বপূর্ণ আন্দোলন হিসেবে ইতিহাসে রেকর্ড আছে। এই বিদ্রোহের বিস্তারিত তথ্যগুলো নিম্নরূপ:
-
১৮৫৭ সালের ২৯ মার্চ ব্যারাকপুরের সেনানিবাসে মঙ্গল পান্ডে নামক একজন সিপাহী প্রকাশ্যে বিদ্রোহ শুরু করেন।
-
ক্রমে এই বিদ্রোহ মিরাট, দিল্লি, বেরলী, ফতেহপুর, কানপুর, বুন্দেল খণ্ড, রোহিলা খণ্ড, এলাহাবাদ, অযোধ্যা, কলকাতা, বিহার, চট্টগ্রাম, ঢাকা, যশোর, দিনাজপুর প্রভৃতি অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়ে।
-
বিদ্রোহীরা মোগল সম্রাট ২য় বাহাদুর শাহকে ভারতের বাদশাহ ও বিদ্রোহের নেতা ঘোষণা করে।
-
নানা সাহেব (মারাঠা নেতা), ঝাঁসির রাণি লক্ষ্মীবাঈ, মৌলভী লিয়াকত আলী, মৌলভী আহম্মদ উল্লাহ প্রমুখ বিদ্রোহে সক্রিয়ভাবে অংশ নেন।
-
সিপাহীরা জেলখানা ভেঙ্গে কয়েদিদের মুক্তি, খাজাঞ্চিখানা লুঠ এবং সর্বত্র ব্রিটিশদের আক্রমণ করে।
-
এ লড়াই শুধু সিপাহীদের মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল না; ভারতের হিন্দু-মুসলমান নির্বিশেষে সাধারণ জনগণও সমর্থন ও সহানুভূতি প্রকাশ করে।
এ বিদ্রোহের কারণগুলোকে পরোক্ষ ও প্রত্যক্ষ এই দুই শ্রেণীতে ভাগ করা যায়:
-
পরোক্ষ কারণ:
-
রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, সামাজিক, ধর্মীয় ও সামরিক অসন্তোষ।
-
-
প্রত্যক্ষ কারণ:
-
১৮৫৬ সালে সেনাবাহিনীতে ‘এনফিল্ড রাইফেল’ প্রচলন।
-
কার্তুজ ব্যবহারের জন্য দাঁতে কেটে ভরা বাধ্যতামূলক করা হতো।
-
গুজব রটে যে কার্তুজে শুকর ও গরুর চর্বি মেশানো আছে।
-
এটি ধর্মনাশের একটি পরিকল্পিত ষড়যন্ত্র হিসেবে ভারতের হিন্দু-মুসলমান সিপাহীদের মধ্যে দারুণ বিক্ষোভের সূত্রপাত করে।
-
উৎস:

0
Updated: 2 days ago