গারোদের প্রধান ধর্মীয় উৎসবের নাম কী?
A
বৈসাবি
B
ওয়ানগালা
C
রথযাত্রা
D
সাংগ্রাই
উত্তরের বিবরণ
গারো জনগোষ্ঠী মূলত ভারতের মেঘালয় রাজ্যের গারো পাহাড় এবং বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বসবাস করে। তারা নিজেদের পরিচয়ে বৈচিত্র্য বহন করে এবং ভাষা ও সংস্কৃতিতে বিশেষ বৈশিষ্ট্য প্রকাশ করে। তাদের সমাজে মাতৃতান্ত্রিক প্রথা ও বিশেষ উৎসব গুরুত্ব পায়। অন্যদিকে, বাংলাদেশের বিভিন্ন ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর নববর্ষ ও ধর্মীয় উৎসবও স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্যে সমৃদ্ধ।
-
গারো জনগোষ্ঠী ভারতের মেঘালয় রাজ্যের গারো পাহাড় এবং বাংলাদেশের বৃহত্তর ময়মনসিংহ জেলায় বসবাস করে।
-
ময়মনসিংহ ছাড়াও টাঙ্গাইল, সিলেট, শেরপুর, জামালপুর, নেত্রকোনা, সুনামগঞ্জ, মৌলভীবাজার, ঢাকা ও গাজীপুর জেলায় গারোদের বসবাস রয়েছে।
-
গারোরা ভাষা অনুযায়ী বোডো-মঙ্গোলীয় ভাষাগোষ্ঠীর অন্তর্ভুক্ত।
-
জাতিগত পরিচয়ে অনেক গারো নিজেদেরকে মান্দি বলে উল্লেখ করে।
-
গারো ভাষায় ‘মান্দি’ শব্দের অর্থ হলো ‘মানুষ’।
-
গারো সমাজে মাতৃতান্ত্রিক পরিবার প্রথা প্রচলিত।
-
তাদের প্রধান ধর্মীয় ও সামাজিক উৎসব হলো ‘ওয়ানগালা’।
অন্যদিকে,
-
বৈসাবি হলো বাংলাদেশের পার্বত্য অঞ্চলের তিনটি প্রধান আদিবাসী সম্প্রদায়—ত্রিপুরা, মারমা ও চাকমাদের নববর্ষের উৎসবের সম্মিলিত নাম।
-
রথযাত্রা বা রথদ্বিতীয়া হলো আষাঢ় মাসে আয়োজিত অন্যতম প্রধান হিন্দু উৎসব।
-
সাংগ্রাই হলো বাংলাদেশী মারমা ও রাখাইন জাতিগোষ্ঠীর নববর্ষ উৎসব।
উৎস:
0
Updated: 1 month ago
ড. মুহাম্মদ ইউনূস র্যামন ম্যাগসেসে পুরস্কার পেয়েছেন কত সালে?
Created: 1 month ago
A
১৯৮৪ সালে
B
১৯৯৪ সালে
C
১৯৮৭ সালে
D
১৯৮৯ সালে
ড. মুহাম্মদ ইউনূস বাংলাদেশের একজন প্রখ্যাত অর্থনীতিবিদ, ব্যাংকার ও নোবেল পুরস্কার বিজয়ী, যিনি ক্ষুদ্রঋণ ব্যবস্থার মাধ্যমে বিশ্বে ব্যাপকভাবে পরিচিতি অর্জন করেছেন। তিনি শুধু অর্থনৈতিক ক্ষেত্রেই নয়, সামাজিক উন্নয়ন ও শিক্ষা ক্ষেত্রেও গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন।
-
ড. মুহাম্মদ ইউনূস বাংলাদেশি নোবেল পুরস্কার বিজয়ী ব্যাংকার ও অর্থনীতিবিদ।
-
তিনি ক্ষুদ্রঋণ (Microcredit) ব্যবস্থার জনক হিসেবে সমাদৃত।
-
গ্রামীণ ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা তিনি।
-
২০০৬ সালে মুহাম্মদ ইউনূস এবং তার প্রতিষ্ঠিত গ্রামীণ ব্যাংক যৌথভাবে নোবেল শান্তি পুরস্কার লাভ করেন।
-
তিনি প্রথম বাংলাদেশি নোবেল পুরস্কার বিজয়ী।
-
এছাড়া, ড. ইউনূস বিশ্ব খাদ্য পুরস্কারসহ আরও জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পুরস্কার লাভ করেছেন।
-
১৯৯৬ সালে সাবেক প্রধান বিচারপতি মুহাম্মদ হাবিবুর রহমানের নেতৃত্বে গঠিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
-
তিনি দায়িত্বে ছিলেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় এবং পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়।
-
২০২৪ সালে বাংলাদেশ সরকারের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান হিসেবে নিযুক্ত হন।
-
১৯৭৮ সাল থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত তিনি জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে প্রায় শতাধিক পুরস্কার অর্জন করেছেন।
-
১৯৮৪ সালে ড. মুহাম্মদ ইউনূস র্যামন ম্যাগসেসে পুরস্কার লাভ করেন।
0
Updated: 1 month ago
১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে ‘ANNIHILATE THESE DEMONS’ শিরোনামের পোস্টারটি কে এঁকেছিলেন?
Created: 1 month ago
A
কামরুল হাসান
B
জয়নুল আবেদিন
C
এস এম সুলতান
D
রফিকুন নবী
কামরুল হাসান
-
পরিচিতি:
-
তিনি একজন খ্যাতনামা চিত্রশিল্পী।
-
‘পটুয়া কামরুল হাসান’ নামে পরিচিত ছিলেন।
-
প্রকৃত নাম ছিল আবু শরাফ মোহাম্মদ কামরুল হাসান।
-
-
জন্ম: ২ ডিসেম্বর ১৯২১, কলকাতায় (পিতার কর্মস্থল)।
-
অবদান:
-
বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার চূড়ান্ত নকশা প্রণয়নে যুক্ত ছিলেন।
-
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সরকারি মনোগ্রাম তৈরি করেন।
-
তাঁর ‘তিন কন্যা’ ও ‘নাইওর’ চিত্রকর্ম অবলম্বনে যুগোস্লাভ সরকার (১৯৮৫) এবং বাংলাদেশ সরকার (১৯৮৬) ডাকটিকেট প্রকাশ করে।
-
মুক্তিযুদ্ধ ও বিখ্যাত পোস্টার
-
প্রসিদ্ধ পোস্টার: ১৯৭১ সালে তিনি আঁকেন "ANNIHILATE THESE DEMONS (এই জানোয়ারদের হত্যা করতে হবে)" শিরোনামের ঐতিহাসিক পোস্টার।
-
প্রেক্ষাপট:
-
২৫ মার্চ থেকে পাকিস্তানি বাহিনী বাংলাদেশের সর্বত্র গণহত্যা, ধ্বংসযজ্ঞ ও নারীর উপর নৃশংস নির্যাতন চালায়।
-
এর মূল নির্দেশদাতা ছিলেন পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট জেনারেল ইয়াহিয়া খান।
-
-
প্রতীকী প্রকাশ:
-
কামরুল হাসান ব্যঙ্গচিত্রে ইয়াহিয়ার মুখাবয়বকে অমানবিকতা, নিষ্ঠুরতা ও ধ্বংসের প্রতীক হিসেবে উপস্থাপন করেন।
-
এই শিল্পকর্ম মুক্তিযুদ্ধের প্রতিরোধ সংগ্রামে শক্তিশালী প্রচারমাধ্যমে পরিণত হয়।
-
-
প্রকাশ ও প্রচার:
-
প্রথম প্রকাশ: ১৯৭১ সালের মে মাসে কলকাতা থেকে প্রকাশিত জয় বাংলা পত্রিকায়।
-
পরবর্তীতে বাংলাদেশের প্রবাসী সরকার এক রঙে এর লক্ষাধিক কপি ছাপিয়ে মুক্তাঞ্চলে বিতরণ করে।
-
বিদেশি প্রচারের জন্য ইংরেজি ভাষ্যে এর শিরোনাম ছিল: Annihilate the Demons।
-
উৎস:
i) বাংলাপিডিয়া
ii) প্রথম আলো
0
Updated: 1 month ago
বাংলাদেশের নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা সংবিধানের কোন সংশোধনীর মাধ্যমে অন্তর্ভুক্ত হয়?
Created: 1 month ago
A
দ্বাদশ
B
ত্রয়োদশ
C
চতুর্দশ
D
পঞ্চদশ
২৭ মার্চ, ১৯৯৬ সালে বাংলাদেশে সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনী আনা হয়। এ সংশোধনীর মাধ্যমে অবাধ ও সুষ্ঠু জাতীয় নির্বাচনের জন্য একটি নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠনের বিধান রাখা হয়।
-
১৯৯৬ সালের ২১ মার্চ জাতীয় সংসদে সংশোধনী বিলটি উপস্থাপিত হয়।
-
২৪ মার্চ আইন মন্ত্রীর প্রস্তাব অনুযায়ী বিলটি ১০ সদস্য বিশিষ্ট বাছাই কমিটিতে প্রেরণ করা হয়।
-
২৬ মার্চ বিলটি সংশোধনী আকারে সর্বসম্মতিক্রমে ২৬৯-০ ভোটে গৃহীত হয়।
-
সংশোধনীর মূল বিষয়সমূহ হলো:
১. জাতীয় সংসদ বিলোপের ১৫ দিনের মধ্যে ১১ সদস্য বিশিষ্ট একটি উপদেষ্টা পরিষদ গঠন।
২. প্রধান উপদেষ্টাকে প্রধানমন্ত্রীর এবং অন্যান্য উপদেষ্টাগণকে মন্ত্রীর পদমর্যাদা প্রদান।
৩. তত্ত্বাবধায়ক সরকার নীতি নির্ধারণী কোন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে পারবে না।
৪. যোগ্য প্রধান উপদেষ্টা না থাকলে প্রেসিডেন্ট প্রধান উপদেষ্টার দায়িত্ব পালন করবেন।
৫. প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে দেশের নাগরিকদের মধ্য থেকে ১০ জন উপদেষ্টা নিয়োগ।
৬. সরকারের মেয়াদ হবে তিন মাস, এবং নতুন প্রধানমন্ত্রী নিয়োগের পর তার হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে হবে। -
উচ্চ আদালতের আদেশে ২০১১ সালে এই সংশোধনীটি বাতিল করা হয়।
উৎস:
0
Updated: 1 month ago