গারোদের প্রধান ধর্মীয় উৎসবের নাম কী?
A
বৈসাবি
B
ওয়ানগালা
C
রথযাত্রা
D
সাংগ্রাই
উত্তরের বিবরণ
গারো জনগোষ্ঠী মূলত ভারতের মেঘালয় রাজ্যের গারো পাহাড় এবং বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বসবাস করে। তারা নিজেদের পরিচয়ে বৈচিত্র্য বহন করে এবং ভাষা ও সংস্কৃতিতে বিশেষ বৈশিষ্ট্য প্রকাশ করে। তাদের সমাজে মাতৃতান্ত্রিক প্রথা ও বিশেষ উৎসব গুরুত্ব পায়। অন্যদিকে, বাংলাদেশের বিভিন্ন ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর নববর্ষ ও ধর্মীয় উৎসবও স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্যে সমৃদ্ধ।
-
গারো জনগোষ্ঠী ভারতের মেঘালয় রাজ্যের গারো পাহাড় এবং বাংলাদেশের বৃহত্তর ময়মনসিংহ জেলায় বসবাস করে।
-
ময়মনসিংহ ছাড়াও টাঙ্গাইল, সিলেট, শেরপুর, জামালপুর, নেত্রকোনা, সুনামগঞ্জ, মৌলভীবাজার, ঢাকা ও গাজীপুর জেলায় গারোদের বসবাস রয়েছে।
-
গারোরা ভাষা অনুযায়ী বোডো-মঙ্গোলীয় ভাষাগোষ্ঠীর অন্তর্ভুক্ত।
-
জাতিগত পরিচয়ে অনেক গারো নিজেদেরকে মান্দি বলে উল্লেখ করে।
-
গারো ভাষায় ‘মান্দি’ শব্দের অর্থ হলো ‘মানুষ’।
-
গারো সমাজে মাতৃতান্ত্রিক পরিবার প্রথা প্রচলিত।
-
তাদের প্রধান ধর্মীয় ও সামাজিক উৎসব হলো ‘ওয়ানগালা’।
অন্যদিকে,
-
বৈসাবি হলো বাংলাদেশের পার্বত্য অঞ্চলের তিনটি প্রধান আদিবাসী সম্প্রদায়—ত্রিপুরা, মারমা ও চাকমাদের নববর্ষের উৎসবের সম্মিলিত নাম।
-
রথযাত্রা বা রথদ্বিতীয়া হলো আষাঢ় মাসে আয়োজিত অন্যতম প্রধান হিন্দু উৎসব।
-
সাংগ্রাই হলো বাংলাদেশী মারমা ও রাখাইন জাতিগোষ্ঠীর নববর্ষ উৎসব।
উৎস:

0
Updated: 1 day ago
একুশে পদক- ২০২৫ পেয়েছেন কতজন বিশিষ্ট ব্যক্তি?
Created: 5 days ago
A
১৬ জন
B
১৪ জন
C
১৭ জন
D
১৮ জন
২০২৫ সালে দেশের বিভিন্ন ক্ষেত্রে অসামান্য অবদানের জন্য ১৭ জন বিশিষ্ট নাগরিক এবং বাংলাদেশ জাতীয় নারী ফুটবল দলকে একুশে পদক প্রদান করা হয়েছে। এই পদক দেশের সর্বোচ্চ সিভিলিয়ান সম্মান হিসেবে তাদের কৃতিত্বকে স্বীকৃতি জানায়।
-
সংগীতে: ওস্তাদ নীরদ বরণ বড়ুয়া (মরণোত্তর), ফেরদৌস আরা
-
সাংবাদিকতা ও মানবাধিকারে: মাহমুদুর রহমান
-
আলোকচিত্রে: নাসির আলী মামুন
-
চিত্রকলায়: রোকেয়া সুলতানা
-
সাংবাদিকতায়: মাহফুজ উল্লা (মরণোত্তর)
-
চলচ্চিত্রে: আজিজুর রহমান (মরণোত্তর)
-
সংস্কৃতি ও শিক্ষায়: শহীদুল আলম
-
শিক্ষায়: নিয়াজ জামান
-
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে: মেহদী হাসান খান, রিফাত নবী, তানবিন ইসলাম সিয়াম, শাবাব মুস্তাফা
-
সমাজসেবায়: মোহাম্মদ ইউসুফ চৌধুরী (মরণোত্তর)
-
ভাষা ও সাহিত্যে: হেলাল হাফিজ (মরণোত্তর), শহীদুল জহির (মরণোত্তর)
-
গবেষণায়: মঈদুল হাসান

0
Updated: 5 days ago
বর্তমান সময়ে সুনামগঞ্জ ও ময়মনসিংহের গারো পাহাড়ে কোন ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী বসবাস করে?
Created: 3 days ago
A
খিয়াং
B
রাখাইন
C
চাকমা
D
গারো
গারো হলো বাংলাদেশে বসবাসকারী একটি নৃগোষ্ঠী, যারা মূলত মেঘালয় রাজ্যের গারো পাহাড় ও বাংলাদেশের বৃহত্তর ময়মনসিংহ জেলায় আবাসিত।
-
অবস্থান: বাংলাদেশে টাংগাইল, জামালপুর, শেরপুর, ময়মনসিংহ, নেত্রকোনা, সুনামগঞ্জ, সিলেট ও গাজীপুর জেলায় গারো সম্প্রদায় বসবাস করে।
-
ভাষা: গারোরা বোডো-মঙ্গোলীয় ভাষাগোষ্ঠীর অন্তর্ভুক্ত।
-
জাতিগত পরিচয়: অনেক গারো নিজেদের মান্দি বলে পরিচয় দেন; গারো ভাষায় 'মান্দি' শব্দের অর্থ হলো মানুষ।
-
পরিবার ব্যবস্থা: গারোদের সমাজে মাতৃতান্ত্রিক পরিবার প্রথা প্রচলিত।
-
ধর্ম ও উৎসব: তাদের আদি ধর্মের নাম সাংসারেক, এবং প্রধান ধর্মীয় ও সামাজিক উৎসবের নাম ওয়ানগালা।

0
Updated: 3 days ago
ষষ্ঠ জনশুমারি ও গৃহগণনা ২০২২ এর চূড়ান্ত প্রতিবেদন অনুযায়ী, দেশে ক্ষুদ্র জাতিসত্তা রয়েছে কয়টি?
Created: 1 day ago
A
৫৫টি
B
৪৮টি
C
৫০টি
D
৪৫টি
বাংলাদেশে জনশুমারি ও গৃহগণনা ২০২২ অনুযায়ী ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর সংখ্যা ও বিস্তৃতি সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা পাওয়া যায়। বিশেষ করে পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চল এ ক্ষেত্রে সবচেয়ে সমৃদ্ধ এলাকা হিসেবে পরিচিত।
-
বাংলাদেশে মোট ৫০টি ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠী রয়েছে।
-
পার্বত্য চট্টগ্রামে ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর সংখ্যা সবচেয়ে বেশি।
-
এখানে ১৩টি ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর মানুষ বসবাস করে।
-
সংখ্যার বিচারে বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী হলো চাকমা।
-
সংখ্যার দিক থেকে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে মারমা।
-
জেলা হিসেবে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর সবচেয়ে বেশি বসবাস রাঙামাটি জেলায়।
উৎস:

0
Updated: 1 day ago