কোনটি ঠিক?
A
গোরা (নাট্যগ্রন্থ)
B
বিদ্রোহী (কাব্যগ্রন্থ)
C
পথের দাবী (উপন্যাস)
D
কাত্তরের দিনগুলি (উপন্যাস)
উত্তরের বিবরণ
‘পথের দাবী’ উপন্যাস
‘পথের দাবী’ রচনা করেছেন প্রখ্যাত সাহিত্যিক শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়। এটি ১৯২৬ সালে প্রকাশিত একটি রাজনৈতিক ধারার উপন্যাস।
এই গ্রন্থটি মূলত ব্রিটিশ শাসিত ভারতবর্ষের বিরুদ্ধে সশস্ত্র বিপ্লব এবং স্বাধীনতা সংগ্রামের পটভূমিতে রচিত। কাহিনীর প্রধান চরিত্র সব্যসাচী, যিনি একজন গুপ্ত বিপ্লবী নেতার ভুমিকায় অভিনয় করেন। অনেকের মতে, সব্যসাচীর চরিত্রে বিরাজমান রূপটি ছিল বিপ্লবী রাসবিহারী বসুর আদলে নির্মিত। উপন্যাসের কেন্দ্রে ব্রিটিশ বিরোধী বিক্ষোভ এবং দেশপ্রেমের স্ফূরণ স্পষ্টভাবে ফুটে উঠেছে।
গ্রন্থটি প্রকাশের পরেই ইংরেজ শাসন কর্তৃক নিষিদ্ধ হয়ে যায়। যদিও নান্দনিক দৃষ্টিকোণ থেকে ‘পথের দাবী’ সাহিত্যিক উৎকৃষ্টতার মানদণ্ডে বিতর্কের সৃষ্টি করলেও, রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে এটি স্বাধিকার আন্দোলনে অনুপ্রেরণার একটি শক্তিশালী মাধ্যম হিসেবে প্রমাণিত হয়েছে।
উপন্যাসের শেষের অংশে রয়েছে একটি গভীর বক্তব্য, “আমি একজন বিপ্লবী, ভারতের স্বাধীনতাই আমার একমাত্র লক্ষ্য, আমার একমাত্র সাধনা।” এ কারণে এই রচনা ভারতীয় রাজনৈতিক ইতিহাসে বিশেষ গুরুত্ব ধারণ করে।
‘পথের দাবী’ প্রথম প্রকাশিত হয়েছিল ‘বঙ্গবাণী’ পত্রিকার ১৩২৯ সালের ফাল্গুন সংখ্যায় ধারাবাহিক রূপে।
অন্য প্রসঙ্গে
-
জাহানারা ইমাম রচিত ‘একাত্তরের দিনগুলি’ একটি স্মৃতিকথামূলক গ্রন্থ, যা মুক্তিযুদ্ধের সময়কার ঘটনা ও অভিজ্ঞতাগুলোকে দিনপঞ্জির আকারে উপস্থাপন করে।
-
কাজী নজরুল ইসলামের বিখ্যাত কবিতা ‘বিদ্রোহী’ প্রথমবার ২২শে পৌষ ১৩২৮ (৬ জানুয়ারি ১৯২২) ‘সাপ্তাহিক বিজলী’ পত্রিকায় প্রকাশিত হয়।
-
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা উপন্যাস ‘গোরা’ (১৯১০) তার নায়ক গোরা সম্পর্কে, যিনি সিপাহী বিদ্রোহের সময় নিহত এক আইরিশ দম্পতির সন্তান ছিলেন।
তথ্যসূত্র: ‘বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা’, ড. সৌমিত্র শেখর।

0
Updated: 2 months ago
ভাষা আন্দোলন বিষয়ক উপন্যাস কোনটি?
Created: 1 month ago
A
আরেক ফাল্গুন
B
জীবন ঘষে আগুন
C
নন্দিত নরকে
D
পিঙ্গল আকাশ
'আরেক ফাল্গুন' উপন্যাস
বাঙালি জাতীয়তাবাদ আন্দোলন ও ১৯৫২ সালে ২১শে ফেব্রুয়ারি পালনের অভিজ্ঞতায় জহির রায়হান ‘আরেক ফাল্গুন ‘ উপন্যাসটি রচনা করেন।
- ‘আরেক ফাল্গুন ‘ উপন্যাসটি ১৯৬৮ সালে প্রকাশিত হয়।
- ১৯৪৮ থেকে ১৯৫২ হয়ে ১৯৫৫ পর্যন্ত চলমান আন্দোলন, জনতার সম্মিলন, ছাত্রছাত্রীদের প্রত্যক্ষ অংশগ্রহণ, তাদের প্রেম- প্রণয় ইত্যাদি উপন্যাসটির মূল বিষয়।
- 'আসছে ফাল্গুনে আমরা দ্বিগুণ হবো'- এই উপন্যাসের সংলাপ।
• এই উপন্যাসের চরিত্র গুলো হলো:
- মুমিন,
-আসাদ,
- রসুল,
- সালমা।
জহির রায়হান রচিত উপন্যাস:
- হাজার বছর ধরে,
- বরফ গলা নদী,
- আর কতদিন,
- তৃষ্ণা,
- শেষ বিকেলের মেয়ে,
- কয়েকটি মৃত্যু।
অন্যদিক,
• হাসান আজিজুল হক রচিত 'জীবন ঘষে আগুন' গল্পগ্রন্থটি ১৯৭৩ সালে প্রকাশিত হয়।
• 'নন্দিত নরকে' হুমায়ূন আহমেদের প্রথম প্রকাশিত উপন্যাস।
• পিঙ্গল আকাশ কথা সাহিত্যিক শওকত আলী লিখিত প্রথম উপন্যাস। ১৯৬৩ সালে এটি প্রথম প্রকাশিত হয়েছিল।
উৎস: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা, ড. সৌমিত্র শেখর, বাংলাপিডিয়া।

0
Updated: 1 month ago
'কাশবনের কন্যা' কোন জাতীয় রচনা?
Created: 1 month ago
A
নাটক
B
উপন্যাস
C
কাব্য
D
ছোটগল্প
কাশবনের কন্যা
‘কাশবনের কন্যা’ উপন্যাসটি রচনা করেছেন প্রখ্যাত কথাসাহিত্যিক শামসুদ্দীন আবুল কালাম। গ্রামীণ সমাজ ও জীবনের আবহকে ঘিরে লেখা এই উপন্যাসটি প্রথম প্রকাশিত হয় ১৯৫৪ সালে। এতে লেখক বরিশালের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, গ্রামবাংলার সহজ-সরল মানুষদের জীবন ও সংস্কৃতিকে গভীর দরদের সঙ্গে উপস্থাপন করেছেন। দারিদ্র্য এবং কষ্টের বাস্তবতা থাকা সত্ত্বেও উপন্যাসে গ্রামকে তুলে ধরা হয়েছে এক বিশ্বাসভিত্তিক শান্তির আশ্রয়স্থল হিসেবে—যেখানে রয়েছে মানবিক সম্পর্কের গভীরতা এবং আত্মিক সুখের অন্বেষণ।
উপন্যাসটিতে বিশেষভাবে চিত্রায়িত হয়েছে বরিশাল অঞ্চলের ভৌগোলিক বৈচিত্র্য, লোকজ সংস্কৃতি এবং গ্রামীণ দিগন্ত। এতে মুখ্য চরিত্র হিসেবে উঠে এসেছে: সিকদার, হোসেন, জোবেদা ও মেহেরজান প্রমুখ।
• শামসুদ্দীন আবুল কালাম
বাংলা কথাসাহিত্যের এক উজ্জ্বল নাম শামসুদ্দীন আবুল কালাম। তিনি জন্মগ্রহণ করেন ১৯২৬ সালের আগস্ট মাসে, বরিশালের নলছিটি থানার কামদেবপুর গ্রামে। শিক্ষা জীবন শুরু করেন বরিশাল জেলা স্কুলে, যেখানে থেকে তিনি ১৯৪১ সালে ম্যাট্রিক পাশ করেন।
এরপর ১৯৪৩ সালে ব্রজমোহন কলেজ থেকে আই.এ এবং ১৯৪৬ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বি.এ ডিগ্রি অর্জন করেন।
তাঁর উল্লেখযোগ্য সাহিত্যকর্মগুলো হলো:
গল্পগ্রন্থ
-
অনেক দিনের আশা
-
ঢেউ
-
পথ জানা নাই
-
দুই হৃদয়ের তীর
-
শাহের বানু
উপন্যাস
-
আলমনগরের উপকথা
-
কাশবনের কন্যা
-
কাঞ্চনমালা
-
জায়মঙ্গল
-
কাঞ্চনগ্রাম
-
পুঁই ডালিমের কাব্য
তথ্যসূত্র: ‘বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞেসা’ — ড. সৌমিত্র শেখর, ‘বাংলাপিডিয়া’।

0
Updated: 1 month ago
'চকচক' কোন ধরনের দ্বিরুক্ত শব্দ?
Created: 1 week ago
A
পুনরাবৃত্ত
B
পদাত্মক
C
ধ্বন্যাত্মক
D
অনুকার
ধ্বন্যাত্মক শব্দ
-
সংজ্ঞা: কোনো প্রাকৃতিক ধ্বনির অনুকরণে যে শব্দগুলো তৈরি হয়, সেগুলোকে ধ্বন্যাত্মক শব্দ বলা হয়।
-
পুনরাবৃত্তি: ধ্বন্যাত্মক শব্দের পুনরাবৃত্তিকে ধ্বন্যাত্মক দ্বিত্ব বলা হয়।
ধ্বন্যাত্মক দ্বিত্বের উদাহরণ:
-
কুট কুট, কোঁত কোঁত, কুটুস-কুটুস, খক খক, টুং টুং, ঠুক ঠুক, ধুপ ধুপ, দুম দুম, ঢং ঢং, চকচক, টসটস, থকথকে, ভটভট, হিস হিস
মধ্যবর্তী স্বরধ্বনিসহ উদাহরণ:
-
খপাখপ, গবাগব, ঝটাঝট, ফটাফট, দমাদম, পটাপট
উৎস: বাংলা ভাষার ব্যাকরণ ও নির্মিতি, নবম–দশম শ্রেণি (২০২১ সংস্করণ)

0
Updated: 1 week ago