'ঢাকের কাঠি' বাগধারার অর্থ
A
সাহায্যকারী
B
তোষামুদে
C
বাদক
D
স্বাস্থ্যহীন লোক
উত্তরের বিবরণ
• 'ঢাকের কাঠি' – এই বাগ্ধারাটি সাধারণত চাটুকার বা তোষামুদে ব্যক্তিদের বোঝাতে ব্যবহৃত হয়।
বাক্য: ঢাকের কাঠির মতো লোকদের কথায় অতিরিক্ত প্রতিক্রিয়া দেখানো বুদ্ধিমানের কাজ নয়।
• 'ঢাকের বাঁয়া' – এ শব্দবন্ধটি অকেজো বা নিরর্থক কিছু বোঝাতে ব্যবহৃত হয়।
বাক্য: দায়িত্ব ভাগ করে দেওয়া হলেও লাভ কী, মামুন তো ঢাকের বাঁয়া—কোনো কাজে লাগে না।
• 'ঢেঁকির কুমির' – এই বাগ্ধারাটি বোঝায় এমন লোকদের, যারা একেবারেই অযোগ্য বা নিরুদ্যম।
বাক্য: যারা ঢেঁকির কুমির, তারা চেষ্টা না করেই ব্যর্থতায় ডুবে থাকে।
• 'ঢাক পেটানো' – এর মাধ্যমে কোনো কিছুর ব্যাপক প্রচার বা প্রকাশ বোঝানো হয়।
বাক্য: মেয়েটির বয়স সতেরো—তা নিয়ে ঢাক পেটানোর মতো কিছু নেই।
উৎস: প্রমিত বাংলা ব্যাকরণ ও নির্মিতি — ড. হায়াৎ মামুদ।
0
Updated: 3 months ago
'কেতা দুরস্ত'-বাগধারার অর্থ-
Created: 6 days ago
A
পরিপাটি
B
মাস্তান
C
কপর্দক
D
অকালপক্ব
‘কেতা দুরস্ত’ বাংলা ভাষার একটি জনপ্রিয় ও প্রবাদবহুল বাগধারা, যা কথ্য ও সাহিত্যিক উভয় ভাষাতেই ব্যবহৃত হয়। এই বাগধারাটি সাধারণত এমন ব্যক্তিকে বোঝাতে ব্যবহৃত হয়, যিনি পোশাক-পরিচ্ছদে ও আচরণে অত্যন্ত পরিচ্ছন্ন, ফ্যাশনসচেতন ও পরিপাটি। তাই এর অর্থ হলো ‘পরিপাটি’ বা ‘সাজসজ্জায় সুশৃঙ্খল ব্যক্তি’।
‘কেতা’ শব্দটি মূলত এসেছে ‘কেতাদুরস্ত’ বা ‘কেতা’ থেকে, যার অর্থ ফ্যাশন, রুচি বা পোশাকের ধরন। অন্যদিকে, ‘দুরস্ত’ শব্দটির অর্থ ঠিকঠাক, সঠিক বা উপযুক্ত। এই দুটি শব্দ একত্রে ‘কেতা দুরস্ত’ বাগধারায় রূপ নেয়, যা দ্বারা এমন একজন ব্যক্তিকে বোঝানো হয় যিনি নিজের চেহারা, পোশাক বা উপস্থাপনায় বিশেষ যত্নবান।
বাংলা সমাজে এই বাগধারাটি প্রায়ই রসাত্মক অর্থে ব্যবহৃত হয়। যেমন কেউ যদি সবসময় ইস্ত্রি করা জামা পরে, চুল সুন্দরভাবে আচড়ায়, জুতো চকচকে রাখে, এবং নিজের সাজসজ্জায় অতিরিক্ত মনোযোগ দেয়— তখন মানুষ বলে থাকে, “লোকটা বেশ কেতা দুরস্ত।” এতে বোঝানো হয়, সে ব্যক্তি নিজের বাহ্যিক চেহারায় খুব যত্নশীল ও ফ্যাশনসচেতন।
এই বাগধারার সামাজিক তাৎপর্যও লক্ষ্যণীয়। অনেক সময় ‘কেতা দুরস্ত’ বলে এমন ব্যক্তিকেও ব্যঙ্গার্থে বোঝানো হয়, যিনি অতিরিক্ত সাজগোজে ব্যস্ত থেকে বাস্তব কাজের প্রতি মনোযোগী নন। আবার অন্য দিক থেকে, এটি ইতিবাচক অর্থেও ব্যবহার হয়, যেখানে বোঝানো হয় একজন পরিপাটি, আত্মবিশ্বাসী ও পরিপূর্ণ ব্যক্তিত্বসম্পন্ন মানুষ।
বাংলা সাহিত্য ও নাটকে এই বাগধারার ব্যবহার বহুল দেখা যায়। লেখকরা চরিত্রের ভঙ্গি, পোশাক বা আচার-আচরণ তুলে ধরতে ‘কেতা দুরস্ত’ শব্দটি প্রয়োগ করেন। এর মাধ্যমে পাঠক সহজেই বুঝতে পারেন চরিত্রটির সামাজিক রুচি ও মানসিকতা কেমন।
সুতরাং বলা যায়, ‘কেতা দুরস্ত’ বাগধারাটি এমন ব্যক্তির গুণ বোঝাতে ব্যবহৃত হয় যিনি পোশাকে, চেহারায় ও ব্যবহারে পরিপাটি, রুচিশীল ও পরিচ্ছন্ন। তাই প্রশ্নের সঠিক উত্তর হলো — ক) পরিপাটি।
0
Updated: 6 days ago
'হাতভারী' বাগ্ধারার অর্থ-
Created: 2 weeks ago
A
নিষ্ক্রিয় দর্শক
B
সাধু বেশে অসৎ লোক
C
গম্ভীর প্রকৃতি
D
ব্যয়কুণ্ঠ
• 'হাতভারী' বাগ্ধারার অর্থ - ব্যয়কুণ্ঠ।
অন্যদিকে,
• 'সাক্ষী গোপাল' অর্থ - নিষ্ক্রিয় দর্শক।
• 'রাশভারী' অর্থ - গম্ভীর প্রকৃতি।
• 'ভিজে বেড়াল' অর্থ - সাধু বেশে অসৎ লোক।
0
Updated: 2 weeks ago
তামার বিষ- বাগধারাটির অর্থ কী?
Created: 2 months ago
A
অর্থের অভাব
B
অর্থের প্রাচুর্য্য
C
অর্থের কু-প্রভাব
D
অর্থের অহংকার
তামা অর্থাৎ ধন-সম্পদকে বোঝায়। "তামার বিষ" বলতে বোঝায় টাকার কারণে মানুষের জীবনে যে খারাপ প্রভাব পড়ে—লোভ, লালসা, অনৈতিক কাজকর্মে জড়ানো ইত্যাদি।
যেমন— অনেক সময় অর্থের প্রাচুর্য্য বা লোভ মানুষকে ভুল পথে চালিত করে। তাই এই বাগধারার মাধ্যমে বোঝানো হয় অর্থের ক্ষতিকর বা নেতিবাচক প্রভাব।
👉 সঠিক উত্তর: গ) অর্থের কু-প্রভাব
0
Updated: 2 months ago