'কাঁদো নদী কাঁদো' উপন্যাসটি কোন রীতিতে রচিত?
A
স্থিতলক্ষ্যবাদী রীতিতে
B
বাস্তববাদী রীতিতে
C
রোমান্টিক রীতিতে
D
চেতনাপ্রবাহ রীতিতে
উত্তরের বিবরণ
‘কাঁদো নদী কাঁদো’ উপন্যাস
-
এই উপন্যাস সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ’র এক ব্যতিক্রমধর্মী ও অভিনব সাহিত্যকর্ম, যা বাংলা উপন্যাসের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ মানদণ্ড স্থাপন করেছে।
-
মূলত চেতনাপ্রবাহরীতি (stream of consciousness)-তে রচিত, যেখানে চরিত্র, আখ্যান এবং অন্তর্গত বাণী চেতনায় প্রবাহমান ধারার মাধ্যমে প্রকাশ পায়।
-
উপন্যাসে ইনটেরিয়র মনোলগ, ফ্ল্যাশব্যাক, ফ্ল্যাশফরোয়ার্ড ইত্যাদি কৌশল প্রয়োগের মাধ্যমে চেতনার জটিল প্রবাহ ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। এই জটিলতা শৈল্পিক ঘোর সৃষ্টি করে এবং উপন্যাসের বহুমাত্রিক বিষয়বস্তু ও আবেদনের দাবি পূরণ করে।
-
কাহিনীর কেন্দ্রবিন্দু হলো কুমুরডাঙ্গা নামের দরিদ্র মহকুমা শহরের জনজীবন।
-
স্টিমারঘাট উদ্বোধনকালে স্থানীয় হিন্দু জমিদারকে আমন্ত্রণ না দেওয়ার ফলে লেলানো লাঠিয়ালদের দৌরাত্ম্য এবং প্রতিশোধস্পৃহা।
-
বাকাল নদীতে চর পড়ায় স্টিমারঘাট বন্ধ হওয়া এবং চাকরি হারানো কর্মচারী খতিব মিঞার অসহায়ত্ব।
-
বন্ধ ঘাট নিয়ে উকিল কফিল উদ্দিনের প্রচেষ্টা ও সংগ্রাম।
-
নতুন হাকিম মুহাম্মদ মুস্তফা ও তাঁর বাগদত্তা খোদেজার মৃত্যু বা আত্মহত্যার রহস্য।
-
ডাক্তার বোরহানউদ্দিনের সমাজ ও মানুষের প্রতি ধারণা, রোগগ্রস্ত মানুষের প্রতি তার মনোভাব, এবং মানুষের নদীর কান্না শোনা।
-
-
উপন্যাসে এসব ঘটনা ও চরিত্র এক নতুন দৃষ্টিকোণ থেকে বিচার-বিশ্লেষণ করে উপস্থাপন করা হয়েছে, যা কাহিনীকে অভিনব মাত্রা এবং গভীরতা দিয়েছে।
0
Updated: 1 month ago
মুসলিম পুনর্জাগরণবাদী কবি বলা হয় কাকে?
Created: 1 month ago
A
মীর মশাররফ হোসেন
B
বেগম রোকেয়া
C
আল মাহমুদ
D
ফররুখ আহমদ
ফররুখ আহমদ ১৯১৮ সালের ১০ জুন মাগুরা জেলার শ্রীপুর থানার মাঝাইল গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি মুসলিম পুনর্জাগরণবাদী কবি হিসেবে পরিচিত এবং বাংলা সাহিত্যে কাব্য ও সনেটের মাধ্যমে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন। তাঁর শ্রেষ্ঠ এবং প্রথম প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ হলো 'সাত সাগরের মাঝি'। ফররুখ আহমদ তাঁর কাহিনী কাব্য 'হাতেমতায়ী' এর জন্য ১৯৬৬ সালে আদমজি পুরস্কার লাভ করেন এবং একই সালে শিশুতোষ 'পাখির বাসা' এর জন্য ইউনেস্কো পুরস্কার অর্জন করেন। এছাড়াও তিনি 'মুহূর্তের কবিতা' নামে একটি সনেট সংকলন রচনা করেছেন।
-
কাব্যগ্রন্থসমূহ:
-
সাত সাগরের মাঝি
-
সিরাজাম মুনীরা
-
নৌফেল ও হাতেম
-
মুহূর্তের কবিতা
-
সিন্দাবাদ
-
হাতেমতায়ী
-
নতুন লেখা
-
হাবেদা মরুরকাহিনী
-
0
Updated: 1 month ago
কোনটি উপন্যাস?
Created: 1 week ago
A
নীললোহিত
B
এইসব দিন রাত্রি
C
শবনম
D
নাম রেখেছি কোমল গান্ধার
উত্তর: গ) শবনম
‘শবনম’ একটি বিখ্যাত উপন্যাস, যার রচয়িতা হলেন হুমায়ূন আহমেদ। এটি তাঁর সাহিত্যজীবনের অন্যতম প্রথম দিকের কাজ এবং বাংলা উপন্যাসে এক নতুন ধারার সূচনা ঘটিয়েছে। এই উপন্যাসে প্রেম, অনুভূতি ও সামাজিক বাস্তবতার এক মেলবন্ধন দেখা যায়, যা পাঠকের মনে গভীর প্রভাব ফেলে।
উপন্যাসটির মূল কেন্দ্রবিন্দু হলো মানুষের মনের গভীরতম অনুভূতি, বিশেষত ভালোবাসা, হারানো ও প্রত্যাশার সংঘাত। হুমায়ূন আহমেদ এখানে সহজ, স্বচ্ছ ভাষায় জটিল মনস্তাত্ত্বিক আবেগকে তুলে ধরেছেন।
‘শবনম’ উপন্যাসটির বৈশিষ্ট্যগুলো হলো—
-
এতে প্রেম ও মানবিক সম্পর্কের বাস্তব চিত্র পাওয়া যায়। লেখক অতিরিক্ত নাটকীয়তা পরিহার করে জীবনের সাধারণ কিন্তু গভীর অনুভূতিগুলো প্রকাশ করেছেন।
-
ভাষা ও সংলাপ স্বাভাবিক ও কথ্যভঙ্গির, যা পাঠকের সঙ্গে তাত্ক্ষণিক সংযোগ সৃষ্টি করে।
-
লেখক চরিত্র নির্মাণে বিশেষ যত্ন নিয়েছেন। প্রতিটি চরিত্র জীবন্ত ও বাস্তব, যেন পাঠক তাদের চিনতে পারে নিজের জীবনে।
-
উপন্যাসে আধুনিক নগরজীবনের আবহ, একাকিত্ব ও মানসিক টানাপোড়েন নিপুণভাবে ফুটে উঠেছে।
-
হুমায়ূন আহমেদ এই রচনায় দেখিয়েছেন যে সাহিত্য হতে পারে সরল অথচ গভীর; এতে জীবনের রঙ, হাসি-কান্না, স্বপ্ন ও বাস্তবতা মিলেমিশে গেছে।
-
‘শবনম’ মূলত একটি মনস্তাত্ত্বিক প্রেমকাহিনি, তবে এর মধ্যে লুকিয়ে আছে সামাজিক বার্তা ও মানবিক উপলব্ধি।
অন্যদিকে প্রশ্নে উল্লেখিত ‘নীললোহিত’, ‘এইসব দিন রাত্রি’ এবং ‘নাম রেখেছি কোমল গান্ধার’ উপন্যাস নয়। ‘নীললোহিত’ ছিল সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের এক ছদ্মনাম; তিনি এই নামে গল্প লিখতেন। ‘এইসব দিন রাত্রি’ মূলত একটি টেলিভিশন নাটক, আর ‘নাম রেখেছি কোমল গান্ধার’ একটি চলচ্চিত্র যা নির্মাণ করেছিলেন ঋত্বিক ঘটক।
তাই স্পষ্টভাবে বলা যায়, এখানে একমাত্র ‘শবনম’ই উপন্যাস, যা হুমায়ূন আহমেদের সৃষ্ট সাহিত্যজগতে এক বিশেষ অবস্থান দখল করে আছে। এটি বাংলা সাহিত্যে প্রেমের নতুন ভাষা ও ভাবের প্রকাশ ঘটিয়েছে, যা এখনো পাঠকের হৃদয়ে অম্লান।
0
Updated: 1 week ago
বাংলায় চিরস্থায়ী ভূমি ব্যবস্থা প্রবর্তন করেন কে?
Created: 4 weeks ago
A
লর্ড ওয়াভেল
B
লর্ড কর্নওয়ালিস
C
লর্ড ক্লাইভ
D
লর্ড বেন্টিঙ্ক
চিরস্থায়ী ভূমি বন্দোবস্ত ছিল ব্রিটিশ শাসনামলে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি সরকার ও বাংলার জমিদার শ্রেণির (সমস্ত শ্রেণির জমিদার ও স্বতন্ত্র তালুকদার) মধ্যে সম্পাদিত একটি গুরুত্বপূর্ণ চুক্তি। এটি মূলত ভারতীয় ভূমি প্রশাসন ব্যবস্থায় এক নতুন যুগের সূচনা করে।
এই বন্দোবস্তের মূল উদ্দেশ্য ছিল রাজস্ব আদায়ের একটি স্থায়ী ও নির্ভরযোগ্য পদ্ধতি গঠন করা, যাতে ব্রিটিশ সরকার নিয়মিত রাজস্ব পায় এবং জমিদাররা স্থায়ীভাবে জমির মালিকানা ভোগ করতে পারে।
চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত সম্পর্কিত প্রধান তথ্যগুলো নিম্নরূপ:
-
এটি ১৭৯৩ সালে কার্যকর করা হয়।
-
এই ব্যবস্থা লর্ড কর্নওয়ালিসের প্রশাসন প্রবর্তন করে।
-
এ চুক্তির মাধ্যমে জমিদারগণ উপনিবেশিক রাষ্ট্রব্যবস্থায় ভূ-সম্পত্তির নিরঙ্কুশ স্বত্বাধিকারী হন।
-
জমিদাররা শুধু জমির মালিকানাই পাননি, বরং তাঁরা একটি স্থায়ী ও অপরিবর্তনীয় রাজস্বহার অনুযায়ী চিরস্থায়ীভাবে জমিদারিস্বত্ব লাভ করেন।
-
এই বন্দোবস্তের ফলে জমিদাররা রাজস্ব আদায়ের দায়িত্ব পান, কিন্তু কৃষকরা তাঁদের কাছে ক্রমশ শোষণের শিকার হন, কারণ রাজস্ব নির্ধারিত থাকলেও জমিদাররা নিজেদের লাভ বাড়াতে কৃষকের কাছ থেকে অধিক ভাড়া আদায় করতে থাকেন।
0
Updated: 4 weeks ago