ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ্ সম্পাদিত 'Buddhist Mystic Songs' গ্রন্থে চর্যাপদের কয়টি পদ সংখ্যার উল্লেখ্য রয়েছে?
A
সাড়ে ৪৬টি
B
৫০টি
C
৫১টি
D
৫২টি
উত্তরের বিবরণ
চর্যাপদ
-
চর্যাপদ বাংলা ভাষার প্রথম কাব্যগ্রন্থ, কবিতা সংকলন বা গানের সংকলন হিসেবে পরিচিত।
-
এটি বাংলা সাহিত্যের আদি যুগের একমাত্র লিখিত নিদর্শন।
-
ড. হরপ্রসাদ শাস্ত্রী ১৯০৭ সালে নেপালের রাজ দরবার গ্রন্থাগার থেকে চর্যাপদ আবিষ্কার করেন।
-
চর্যাপদে রচিত গানগুলো বৌদ্ধ সহজিয়াগণ রচনা করেছেন এবং এতে বৌদ্ধধর্মের বিষয়বস্তু আলোচিত হয়েছে।
-
১৯১৬ সালে কলকাতার বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদ চর্যাপদ আধুনিক লিপিতে প্রকাশ করে। হরপ্রসাদ শাস্ত্রীর সম্পাদনায় এটি ‘হাজার বছরের পুরাণ বাঙ্গালা ভাষায় বৌদ্ধগান ও দোহা’ নামে প্রকাশিত হয়।
চর্যাপদ বিষয়ক গবেষণা ও তথ্য:
-
ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ্ সম্পাদিত Buddhist Mystic Songs গ্রন্থে চর্যাপদের ২৩ জন কবির নাম উল্লেখ আছে; তিনি পদসংখ্যা ৫০টি মনে করেন।
-
ড. সুকুমার সেন ‘বাঙ্গালা সাহিত্যের ইতিহাস’ (প্রথম খণ্ড) গ্রন্থে ২৪ জন পদকর্তার নাম উল্লেখ করেছেন। তিনি পদসংখ্যা ৫১টি মনে করলেও, চর্যাগীতি পদাবলী গ্রন্থে ৫০টি পদের উল্লেখ করেছেন। মুনিদত্ত আলোচনায় ৫০টি পদের ব্যাখ্যা করেছেন।
-
চর্যাপদকে তিব্বতি ভাষায় অনুবাদ করেছেন কীর্তিচন্দ্র; ১৯৩৮ সালে প্রবোধচন্দ্র বাগচী এই তিব্বতি অনুবাদ আবিষ্কার করেন।
-
চর্যাপদকে সংস্কৃত ভাষায় ব্যাখ্যা করেছেন মুনিদত্ত; তিনি ১১ নম্বর পদের ব্যাখ্যা করেননি।

0
Updated: 1 day ago
ডক্টর মুহম্মদ শহীদুল্লাহ্ রচিত ইতিহাস গ্রন্থ কোনটি?
Created: 1 day ago
A
বঙ্গভাষা ও সাহিত্য
B
বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস
C
বাংলা সাহিত্যের কথা
D
বাংলা সাহিত্যের রূপরেখা
বাংলা সাহিত্যের কথা
-
লেখক: ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ্
-
এটি বাংলা সাহিত্যের ইতিহাসের একটি বিখ্যাত গ্রন্থ।
-
গ্রন্থে বাংলা সাহিত্যের প্রাচীন যুগ ও মধ্যযুগ নিয়ে বিশদ আলোচনা রয়েছে।
-
গ্রন্থটি একাধিক সংস্করণে প্রকাশিত হয়:
-
প্রথম সংস্করণ: এপ্রিল, ১৯৫৩
-
দ্বিতীয় নতুন সংস্করণ: এপ্রিল, ১৯৬৩
-
তৃতীয় পরিমার্জিত সংস্করণ: কার্তিক ১৩৭৩ (অক্টোবর ১৯৬৬)
-
চতুর্থ পরিবর্ধিত নূতন সংস্করণ: শ্রাবণ ১৩৭৫ (জুলাই ১৯৬৮)
-
ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ্ রচিত অন্যান্য উল্লেখযোগ্য গ্রন্থ:
-
ভাষা ও সাহিত্য
-
বাঙ্গালা ভাষার ইতিবৃত্ত
-
দীওয়ানে হাফিজ
-
রুবাইয়াত-ই-ওমর খৈয়াম
-
নবী করিম মুহাম্মাদ
-
ইসলাম প্রসঙ্গ
-
বিদ্যাপতি শতক
-
বাংলা ভাষার ব্যাকরণ
-
ব্যাকরণ পরিচয়
-
বাংলাদেশের আঞ্চলিক ভাষার অভিধান
-
মহররম শরীফ
-
টেইল ফ্রম দি কুরআন
-
Buddhist Mystic Songs (১৯৬০)
-
Hundred Sayings of the Holy Prophet
অন্যান্য সমকালীন বা সমকক্ষ বাংলা সাহিত্য ইতিহাস গ্রন্থ:
-
দীনেশচন্দ্র সেন – বঙ্গভাষা ও সাহিত্য
-
ড. সুকুমার সেন – বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস
-
গোপাল হালদার – বাংলা সাহিত্যের রূপরেখা

0
Updated: 1 day ago
তারানাথের মতে, বাংলাদেশের গঙ্গার ধারে বাস করতেন কোন চর্যাকার?
Created: 3 days ago
A
কুক্কুরীপা
B
ডোম্বীপা
C
লুইপা
D
ঢেণ্ডণপা
লুইপা (Louipa)
-
সাধারণত আদি সিদ্ধাচার্য হিসেবে বিবেচিত হলেও ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ ও রাহুল সংকৃত্যায়ন তাঁকে প্রথম সিদ্ধাচার্য হিসেবে স্বীকার করেন না।
-
লুইপা বাঙালি বলে অনুমিত; তবে কারও কারও মতে তাঁর জন্মস্থান উড়িষ্যা।
-
ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ-এর উল্লেখ অনুযায়ী, তারানাথের মতে লুই গঙ্গার ধারে বাস করতেন।
-
তিনি প্রথম জীবনে উদ্যানের (সোয়াতের) রাজার কায়স্থ বা লেখক ছিলেন; তখন তাঁর নাম ছিল সামন্ত শুভ।
-
পরে তিনি উড়িষ্যার রাজা ও মন্ত্রীর গুরু হন।
-
লুইপার জীবৎকাল: ৭৩০–৮১০ খ্রিস্টাব্দ।
-
তিনি সংস্কৃত ভাষায় চারটি গ্রন্থ রচনা করেন, যাদের মধ্যে একটি হলো অভিসময়বিভঙ্গ।
-
চর্যাপদে তাঁর দুটি পদ রয়েছে: ১নং পদ এবং ২৯নং পদ।
অন্য চর্যাপদকর্তাদের তথ্য (উল্লেখযোগ্য):
-
কুক্কুরীপা: বাংলার উত্তরখণ্ডের অধিবাসী বলে ধারণা; তবে হিন্দিভাষীরা তাঁকে কপিলাবস্তু বা বুদ্ধের জন্মস্থান নেপালের লোক বলেছেন।
-
ডোম্বীপা: ত্রিপুরা রাজ্যের রাজা।
-
ঢেণ্ডণপার: জন্মস্থান অবন্তিনগর-উজ্জয়িনী; বর্ণে তাঁতি এবং সিদ্ধা; দেবপাল-বিগ্রহ পালের সময়ে বর্তমান; জীবৎকালের ঊর্ধ্বসীমা ৮৪৫ খ্রিস্টাব্দ।
ড. আনিসুজ্জামানের উল্লেখযোগ্য তথ্য:
-
তিব্বতী ঐতিহ্যে সিদ্ধাদের পূর্বজীবনের বর্ণ বা বৃত্তির উল্লেখ আছে।
-
উদাহরণস্বরূপ:
-
লুইপা: রাজসভার লেখক
-
জয়নন্দী: রাজমন্ত্রী
-
কাহ্ন: কায়স্থ
-
বীণা: ক্ষত্রিয়
-
মহীধর: শূদ্র
-
শরবী: ব্যাধ
-
-
অন্যান্য তথ্য: ডোম্বী বিয়ে করেছেন ডোমকন্যা; কুকুরীর সহচরী পূর্বজন্মে ছিলেন কুকুরী; অনাচারের দায়ে বিরুআ বিহার থেকে বহিষ্কৃত হন।

0
Updated: 3 days ago
বাংলা একাডেমি ’আঞ্চলিক ভাষার অভিধান’- এর সম্পাদক কে?
Created: 1 month ago
A
মুহাম্মদ আবদুল হাই
B
ডক্টর মুহম্মদ শহীদুল্লাহ
C
সৈয়দ আলী আহসান
D
ড. দীনেশচন্দ্র সেন
ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ্
-
তিনি একজন শিক্ষাবিদ, সাহিত্যিক ও ভাষাতত্ত্ববিদ।
-
জন্ম: ১৮৮৫ সালের ১০ জুলাই, পশ্চিমবঙ্গের চব্বিশ পরগনা জেলার পেয়ারা গ্রামে।
-
তিনি ‘জ্ঞানতাপস’ হিসেবে পরিচিত। তাঁকে ‘চলিষ্ণু অভিধান’ বলা হয়।
-
১৯৫৫-৫৮ সাল পর্যন্ত রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা ও সংস্কৃত বিভাগের অধ্যক্ষের দায়িত্ব পালন করেন।
-
১৯৬৭ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ইমেরিটাস নিযুক্ত হন।
-
তাঁর সম্পাদনা ও প্রকাশনায় মুসলিম বাংলার প্রথম শিশুপত্রিকা আঙুর আত্মপ্রকাশ করে।
-
এছাড়া তিনি ইংরেজি মাসিক পত্রিকা দি পীস, বাংলা মাসিক সাহিত্য পত্রিকা বঙ্গভূমি এবং পাক্ষিক তকবীর সম্পাদনা করেন।
-
তিনি বাংলা একাডেমির ‘আঞ্চলিক ভাষার অভিধান’ সম্পাদনা করেন।
তাঁর রচিত অনুবাদ গ্রন্থ
-
দীওয়ানে হাফিজ
-
মহানবী (১৯৪০)
-
অমিয়শতক (১৯৪০)
-
বাণী শিকওয়াহ
-
জওয়াব-ই-শিকওয়াহ
-
রুবাইয়াত-ই-ওমর খ্যায়াম
তাঁর সংকলিত ও সম্পাদিত গ্রন্থ
-
পদ্মবতী
-
প্রাচীন ধর্মগ্রন্থে শেষ নবী
-
গল্প সংকলন
উৎস: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা, বাংলাপিডিয়া

0
Updated: 1 month ago