'হাঁসুলী বাঁকের উপকথা' কোন ধরনের উপন্যাস?
A
ঐতিহাসিক উপন্যাস
B
আঞ্চলিক উপন্যাস
C
রাজনৈতিক উপন্যাস
D
মহাকাব্যিক উপন্যাস
উত্তরের বিবরণ
‘হাঁসুলী বাঁকের উপকথা’ উপন্যাস
-
এটি তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায় রচিত একটি আঞ্চলিক উপন্যাস।
-
প্রকাশকাল: ১৯৪৭ সালে।
-
উপন্যাসে বীরভূমের কাহার সম্প্রদায়ের জীবন, তাদের সংস্কৃতি, ধর্মবিশ্বাস, আচার-আচরণ ও লোককথা আন্তরিকভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে।
-
কাহিনীর মূল ধারা: একদিকে সম্প্রদায়ের আত্মবিরোধ, পরিবর্তন ও বিলুপ্তি, অন্যদিকে প্রাচীন সমাজের সঙ্গে নতুন পরিবর্তমান জগতের সংঘাত।
আঞ্চলিক উপন্যাস:
-
কোনো বিশেষ অঞ্চলের মানুষের জীবনযাপন, তাদের হাসি-কান্না, আচরণ ও উচ্চারণের স্বতঃসিদ্ধ চিত্র তুলে ধরা উপন্যাসকে আঞ্চলিক উপন্যাস বলা হয়।
-
পরিচিত আঞ্চলিক উপন্যাসের উদাহরণ:
-
বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায় – আরণ্যক
-
তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায় – হাঁসুলি বাঁকের উপকথা
-
সতীনাথ ভাদুড়ি – ঢোঁড়াই চরিত মানস
-
দেবেশ রায় – তিস্তাপারের বৃত্তান্ত
-
আলাউদ্দীন আল আজাদ – কর্ণফুলী
-
অদ্বৈত মল্লবর্মণ – তিতাস একটি নদীর নাম
-
0
Updated: 1 month ago
কোনটি মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক উপন্যাস?
Created: 1 week ago
A
চিলেকোঠার সিপাই
B
আগুনের পরশমণি
C
একাত্তরের দিনগুলি
D
পায়ের আওয়াজ পাওয়া যায়
বাংলা সাহিত্যে মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক উপন্যাসগুলোর মধ্যে ‘আগুনের পরশমণি’ অন্যতম শ্রেষ্ঠ সৃষ্টি। এর রচয়িতা হুমায়ূন আহমেদ, যিনি ১৯৯৪ সালে উপন্যাসটি প্রকাশ করেন এবং পরে একই নামে চলচ্চিত্র নির্মাণ করে সেটিকে আরও জনপ্রিয় করে তোলেন। এই উপন্যাসে তিনি ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধকালীন বাংলাদেশের গ্রামীণ জীবনের বাস্তব চিত্র, মানুষের ভয়, ভালোবাসা ও দেশপ্রেমকে গভীর আবেগে ফুটিয়ে তুলেছেন।
উপন্যাসটির মূল প্রেক্ষাপট একটি ছোট গ্রামের পরিবারকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে। গ্রামটির মানুষের জীবনে যুদ্ধ কিভাবে প্রভাব ফেলে, তারা কিভাবে স্বাধীনতার স্বপ্নে জেগে ওঠে—সেই কাহিনিই এখানে বাস্তবভাবে প্রকাশিত হয়েছে।
-
‘আগুনের পরশমণি’ উপন্যাসের প্রধান চরিত্ররা সাধারণ মানুষ হলেও তাদের মধ্যে রয়েছে গভীর দেশপ্রেম ও আত্মত্যাগের মানসিকতা।
-
গল্পে দেখা যায়—একজন তরুণ মুক্তিযোদ্ধা গ্রামের এক পরিবারের আশ্রয় নেয়, আর এই পরিবারের জীবনে শুরু হয় নতুন এক সংগ্রাম।
-
হুমায়ূন আহমেদ যুদ্ধের নির্মমতা, মানুষের ভয়, আশা ও ত্যাগকে খুব সূক্ষ্মভাবে প্রকাশ করেছেন।
-
উপন্যাসটির ভাষা সহজ ও সাবলীল, যা পাঠককে সরাসরি চরিত্রগুলোর অনুভূতির সঙ্গে যুক্ত করে।
-
এতে ধর্ম, সংস্কার ও মানবতার মধ্যে সংঘাতের পাশাপাশি স্বাধীনতার অনুপ্রেরণাও স্পষ্টভাবে ফুটে উঠেছে।
-
লেখক শুধু যুদ্ধের বীরত্ব নয়, বরং যুদ্ধের ভেতর লুকিয়ে থাকা মানবিকতা, প্রেম ও কষ্টকেও তুলে ধরেছেন।
-
এই উপন্যাসের মাধ্যমে বোঝা যায়, মুক্তিযুদ্ধ কেবল রণক্ষেত্রের লড়াই নয়; এটি ছিল হৃদয়ের যুদ্ধ—ন্যায়, স্বাধীনতা ও অস্তিত্বের জন্য সংগ্রাম।
-
পরবর্তীতে লেখক নিজেই উপন্যাসটির ওপর ভিত্তি করে চলচ্চিত্র নির্মাণ করেন, যা মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক সিনেমাগুলোর মধ্যে অন্যতম সফল ও দর্শকপ্রিয় কাজ হিসেবে স্বীকৃতি পায়।
-
চলচ্চিত্রে মুনমুন, আবুল হায়াত, ডলি জহুরসহ আরও অনেক অভিনয়শিল্পীর বাস্তবধর্মী অভিনয় গল্পকে আরও জীবন্ত করে তোলে।
-
‘আগুনের পরশমণি’ আজও পাঠকদের কাছে শুধু একটি সাহিত্যকর্ম নয়, বরং মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে জাগিয়ে রাখার একটি প্রতীকী রচনা হিসেবে বিবেচিত।
সার্বিকভাবে বলা যায়, ‘আগুনের পরশমণি’ হলো এমন একটি উপন্যাস যা বাংলাদেশের স্বাধীনতার ইতিহাসকে সাহিত্যরূপে অমর করে রেখেছে। এটি শুধু একটি যুদ্ধের গল্প নয়, বরং মানুষের ভালোবাসা, ত্যাগ ও সাহসিকতার প্রতিচ্ছবি।
0
Updated: 1 week ago
'শঙ্খনীল কারাগার' উপন্যাসটি কার লেখা?
Created: 2 weeks ago
A
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
B
হুমায়ুন আজাদ
C
আলাউদ্দীন আল-আজাদ
D
হুমায়ূন আহমেদ
‘শঙ্খনীল কারাগার’ হুমায়ূন আহমেদের অন্যতম জনপ্রিয় উপন্যাস, যেখানে মানুষের মনের গভীর একাকিত্ব, প্রেম, বিচ্ছিন্নতা ও মানসিক টানাপোড়েনকে সূক্ষ্মভাবে চিত্রিত করা হয়েছে। উপন্যাসটি শুধু একটি প্রেমের গল্প নয়; এটি সমাজ, সম্পর্ক ও মানসিক সংকটের প্রতীকী বিশ্লেষণও বটে। লেখক অত্যন্ত সংবেদনশীল ভাষা ও সূক্ষ্ম মনস্তাত্ত্বিক বর্ণনার মাধ্যমে পাঠকের মনে গভীর ছাপ ফেলেছেন।
উপন্যাসটির কাহিনির মূল কেন্দ্রে রয়েছে এক দম্পতির জটিল সম্পর্ক, যেখানে ভালোবাসা থাকলেও যোগাযোগের অভাব ও মানসিক দূরত্ব তাদের মধ্যে এক অদৃশ্য কারাগার তৈরি করে। এই কারাগারই লেখক রূপকভাবে ‘শঙ্খনীল কারাগার’ নামে প্রকাশ করেছেন।
প্রধান বিষয়বস্তুগুলো হলো—
-
মানব মনের নিঃসঙ্গতা ও ক্লান্তি: উপন্যাসে দেখা যায়, মানুষ কত সহজে নিজের চারপাশে এক অদৃশ্য দেয়াল গড়ে তোলে, যেখানে সে নিজেই বন্দি হয়ে যায়।
-
সম্পর্কের ভাঙন ও ভুল বোঝাবুঝি: চরিত্রগুলোর মধ্যে ভালোবাসা থাকলেও পরস্পরকে বুঝতে না পারার ফলে তারা মানসিকভাবে ক্রমে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে।
-
নারীর অবস্থান ও আত্মপরিচয়ের সন্ধান: নারী চরিত্রের মাধ্যমে হুমায়ূন আহমেদ নারীর মানসিক দোলাচল, স্বাধীনতার আকাঙ্ক্ষা এবং সমাজের প্রতি তার নীরব প্রতিবাদকে তুলে ধরেছেন।
-
রূপক শিরোনামের তাৎপর্য: ‘শঙ্খনীল’ মানে মায়াময়, নরম অথচ বিষণ্ণ রঙ—যা জীবনের সৌন্দর্য ও দুঃখের সংমিশ্রণ বোঝায়; আর ‘কারাগার’ প্রতীক মানসিক বন্দিত্বের।
-
ভাষা ও বর্ণনাশৈলী: হুমায়ূন আহমেদের ভাষা সহজ, সাবলীল ও হৃদয়গ্রাহী। তাঁর লেখায় দৈনন্দিন জীবনের সাধারণ মানুষগুলো জীবন্ত হয়ে ওঠে, যা পাঠককে গল্পের ভেতরে টেনে নেয়।
-
সমসাময়িক বাস্তবতা ও সামাজিক প্রতিফলন: উপন্যাসে যে মানসিক সংকট ও দূরত্ব দেখা যায়, তা আধুনিক সমাজেও প্রযোজ্য—যেখানে প্রযুক্তি ও ব্যস্ততা সম্পর্কের উষ্ণতা কেড়ে নিচ্ছে।
এই উপন্যাস হুমায়ূন আহমেদের সাহিত্যিক জীবনেও একটি গুরুত্বপূর্ণ সংযোজন, কারণ এটি তাঁর মনস্তাত্ত্বিক লেখনির এক উৎকৃষ্ট নিদর্শন। এখানে লেখক মানুষের অন্তর্জগতের আবেগ, ভয়, ভালোবাসা ও হতাশাকে গভীরভাবে বিশ্লেষণ করেছেন।
অতএব, সঠিক উত্তর ঘ) হুমায়ূন আহমেদ, কারণ ‘শঙ্খনীল কারাগার’ তাঁরই রচনা, যা বাংলা সাহিত্যে এক অনন্য মনস্তাত্ত্বিক উপন্যাস হিসেবে স্বীকৃত।
0
Updated: 2 weeks ago
‘অপলাপ’ শব্দের অর্থ কী?
Created: 1 month ago
A
মিথ্যাচার
B
অস্বীকার
C
প্রলাপ
D
সংলাপ
‘অপলাপ’ শব্দটি আধুনিক বাংলা অভিধান, বাংলা একাডেমি অনুসারে অস্বীকার অর্থে ব্যবহৃত হয়।
-
এটি তৎসম বা সংস্কৃত উৎসের শব্দ।
-
গঠনে: অপ + √লপ্ + অ
অপলাপ (বিশেষ্য) অর্থ:
-
গোপন
-
মিথ্যা উক্তি (সত্যের অপলাপ)
-
অস্বীকার (যেমন: “তুমি একেবারে পরিণয় পর্যন্ত অপলাপ করিতেছ।” — ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর)
সূত্র:
0
Updated: 1 month ago