মুক্তিযুদ্ধের পটভূমিকায় রচিত নাটক কোনটি?
A
আমি বীরাঙ্গনা বলছি
B
জন্ম যদি তব বঙ্গে
C
যে অরণ্যে আলো নেই
D
জাহান্নম হইতে বিদায়
উত্তরের বিবরণ
নীলিমা ইব্রাহীম ও তাঁর রচনাসমূহ
-
‘যে অরণ্যে আলো নেই’: নীলিমা ইব্রাহীমের রচিত নাটক, যা মুক্তিযুদ্ধের পটভূমিকায় রচিত এবং ১৯৭৪ সালে প্রকাশিত হয়।
নীলিমা ইব্রাহীম:
-
জন্ম: ১৯২১ সালের ১১ অক্টোবর, বাগেরহাট জেলার ফকিরহাট উপজেলার মূলঘর গ্রামে।
-
পিতা: প্রফুল্লকুমার রায়চৌধুরী, মা: কুসুমকুমারী দেবী।
-
পেশা: শিক্ষাবিদ, সাহিত্যিক, সমাজকর্মী।
-
সম্মাননা: ১৯৯৬ সালে রোকেয়া পদক, ২০০০ সালে একুশে পদক।
রচিত উপন্যাস:
-
বিশ শতকের মেয়ে
-
এক পথ দুই বাঁক
-
কেয়াবন সঞ্চারিণী
-
বহ্নিবলয়
রচিত নাটক:
-
যে অরণ্যে আলো নেই
-
দুয়ে দুয়ে চার
-
রোদ জ্বলা বিকেল
-
সূর্যাস্তের পর
অন্য গ্রন্থসমূহ:
-
আত্মজীবনী: বিন্দু বিসর্গ
-
মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক প্রবন্ধ ও গবেষণা: আমি বীরাঙ্গনা বলছি
অন্যান্য মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক সাহিত্য:
-
শওকত ওসমান: গল্পগ্রন্থ জন্ম যদি তব বঙ্গে, উপন্যাস জাহান্নম হইতে বিদায়
0
Updated: 1 month ago
বাংলাদেশে নতুনধারার নাটকের পথিকৃৎ কে ?
Created: 5 days ago
A
আলাউদ্দিন আল আজাদ
B
সেলিম আল দীন
C
আব্দুল্লাহ আল মামুন
D
সৈয়দ শামসুল হক
বাংলাদেশে নতুনধারার নাটক এক নতুন উন্মোচন ঘটায়, যেখানে নাটকটির ধরন, ভাষা এবং গল্প বলার পদ্ধতিতে পরিবর্তন আনা হয়েছিল। সেলিম আল দীন বাংলাদেশের নাট্যজগতের একটি অনন্য নাম, যিনি নতুনধারার নাটকের পথিকৃৎ হিসেবে পরিচিত। তার নাটকগুলো সাধারণত সামাজিক ও রাজনৈতিক বাস্তবতা নিয়ে গড়ে উঠেছিল এবং দেশের মানুষের হৃদয়ে স্থান করে নিয়েছিল।
-
নতুনধারা নাটক: নতুনধারা নাটক মূলত এক ধরনের নাট্যধারা, যা প্রচলিত নাট্যধারা থেকে আলাদা ছিল। সেলিম আল দীন এর নাটকে দর্শকদের জন্য গভীর সামাজিক ও সাংস্কৃতিক বার্তা থাকত। তিনি কেবল নাটকের মাধ্যমে মঞ্চের সংস্কৃতিকে নয়, বরং দেশের বিভিন্ন সমস্যাকে তুলে ধরার চেষ্টা করতেন।
-
সেলিম আল দীন: সেলিম আল দীন ১৯৪৯ সালে জন্মগ্রহণ করেন এবং তিনি বাংলাদেশের নাট্যচর্চায় এক নতুন ধারা সৃষ্টি করেন। তার নাটকগুলোর মধ্যে বিভিন্ন সামাজিক সমস্যা, মানুষের মানবিক দিক, বাংলাদেশের ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি উঠে এসেছে। তিনি বাংলাদেশের গ্রামীণ জীবন, শহুরে বাস্তবতা এবং মানুষের মনস্তত্ত্বের সঙ্গে মিশে একটি নতুন নাট্যশৈলী তৈরি করেন। তার নাটকগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য নাটক যেমন "তপস্বী", "কৃষ্ণকলি", "বহমান", "হীরক রাজার দেশে" ইত্যাদি।
-
সামাজিক ও সাংস্কৃতিক প্রভাব: সেলিম আল দীনের নাটকগুলো সমাজের নানা দিক তুলে ধরত, যেখানে মানুষদের জীবনযাপন, সংগ্রাম এবং সংস্কৃতির শিকড় সম্পর্কে চিন্তা করা হতো। তিনি সমাজের গঠনমূলক পরিবর্তন চেয়েছিলেন, যা তার নাটকে স্পষ্টভাবে প্রতিফলিত হয়েছে। তার নাটকগুলো শুধু মঞ্চে নয়, সমগ্র বাংলাদেশের দর্শকদের মধ্যে নতুন চিন্তাভাবনা এবং সংস্কৃতির প্রতি ভালোবাসা তৈরি করেছিল।
-
অন্য বিকল্পরা: অন্যান্য অপশনগুলির মধ্যে আলাউদ্দিন আল আজাদ, আব্দুল্লাহ আল মামুন, এবং সৈয়দ শামসুল হকও বাংলাদেশের নাটক জগতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন। তবে তারা সকলেই সেলিম আল দীনের মত পুরোপুরি নতুনধারা নাটকের পথিকৃৎ হিসেবে পরিচিত নন। তাদের নাটকগুলো মূলত বাংলা নাটকের বিভিন্ন ধারায় অবদান রেখেছে, কিন্তু সেলিম আল দীন ছিলেন নতুনধারা নাটকের স্রষ্টা, যিনি নাটককে একটি নতুন মাত্রায় নিয়ে গিয়েছিলেন।
সেলিম আল দীনের অবদান বাংলাদেশের নাট্যাঙ্গনে চিরকাল স্মরণীয় থাকবে। তার নাটকগুলো আজও বাংলাদেশের সংস্কৃতির অংশ হিসেবে রয়ে গেছে।
0
Updated: 5 days ago
'হাত-হদাই' একটি-
Created: 1 week ago
A
কাব্যগ্রন্থ
B
উলন্যাস
C
গল্পগ্রন্থ
D
নাটক
‘হাত-হদাই’ বাংলা নাট্যসাহিত্যের একটি গুরুত্বপূর্ণ সংযোজন। এটি একটি নাটক, যেখানে সমাজ, পরিবার ও মানবজীবনের নানা দিক বাস্তবধর্মী ভাষায় উপস্থাপিত হয়েছে। নাটকটির ভাষা ও সংলাপে গ্রামীণ জীবনের সহজ সরল রূপ ফুটে উঠেছে, যা পাঠক ও দর্শক উভয়ের মনোযোগ আকর্ষণ করে।
• ‘হাত-হদাই’ নাটকটি রচনা করেছেন প্রখ্যাত নাট্যকার সেলিম আল দীন (১৯৪৯–২০০৮)। তিনি বাংলাদেশের আধুনিক নাট্যধারার অন্যতম শ্রেষ্ঠ লেখক ও ‘গণনাট্য’ আন্দোলনের অগ্রদূত হিসেবে পরিচিত। তাঁর নাটকগুলোতে বাঙালির ঐতিহ্য, লোকজ সংস্কৃতি ও সামাজিক বাস্তবতার সংমিশ্রণ দেখা যায়।
• এই নাটকটি মূলত গ্রামীণ সমাজের জীবনের টানাপোড়েন, কুসংস্কার ও মানুষের পারস্পরিক সম্পর্ক নিয়ে রচিত। লেখক এতে গ্রামের মানুষের হাসি-কান্না, প্রেম-সংঘাত ও মানসিক টানাপোড়েনকে জীবন্তভাবে উপস্থাপন করেছেন।
• নাটকটির নাম ‘হাত-হদাই’ প্রতীকী অর্থ বহন করে। এখানে ‘হাত’ ও ‘হদাই’ মানুষের পারস্পরিক নির্ভরতা, সহযোগিতা ও দ্বন্দ্বের প্রতিরূপ হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছে।
• সেলিম আল দীন তাঁর নাটকে দেশজ ভাষা ও লোকধারার শব্দচিত্র ব্যবহার করেছেন, যা তাঁর রচনাকে অন্যদের থেকে আলাদা করেছে। তিনি বাংলা নাটকে ‘দেশীয় ফর্ম’ প্রতিষ্ঠা করেন, যেখানে লোকসংগীত, পালাগান ও আঞ্চলিক ভাষার মিশ্রণ দেখা যায়।
• নাটকটি প্রথম মঞ্চস্থ হয়েছিল ঢাকার নাট্যদল ‘আরন্যক নাট্যদল’-এর মাধ্যমে, যা সেলিম আল দীনেরই প্রতিষ্ঠিত সংগঠন।
• ‘হাত-হদাই’-এর চরিত্রগুলো বাস্তব জীবনের সাধারণ মানুষ থেকে নেওয়া, যেমন কৃষক, গৃহবধূ, দিনমজুর ও স্থানীয় নেতৃবৃন্দ। এতে সমাজের শ্রেণি বৈষম্য ও মানবিক টানাপোড়েনের চিত্র ফুটে উঠেছে।
• এই নাটকের মূল উদ্দেশ্য ছিল মানুষের মানবিক বোধ ও সামাজিক দায়বদ্ধতা জাগ্রত করা। সেলিম আল দীন বিশ্বাস করতেন, নাটক কেবল বিনোদন নয়, সমাজ পরিবর্তনের মাধ্যমও হতে পারে।
• নাটকটির ভাষা, গঠন ও উপস্থাপনায় এমন বাস্তবতা ও অনুভূতি রয়েছে যা দর্শককে সমাজের আয়না দেখতে সাহায্য করে।
অতএব, ‘হাত-হদাই’ একটি নাটক, যা শুধু সাহিত্য নয়, বাংলাদেশের গ্রামীণ সমাজজীবনের গভীর বাস্তবচিত্রও তুলে ধরে। এর মাধ্যমে সেলিম আল দীন বাংলা নাট্যসাহিত্যে এক নতুন মাত্রা যুক্ত করেছেন।
0
Updated: 1 week ago
কুলীন কুলসর্বস্ব নাটকটি কার লেখা?
Created: 2 months ago
A
মাইকেল মধুসূদন দত্ত
B
দীনবন্ধু মিত্র
C
রামনারায়ণ তর্করত্ন
D
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
কুলীন কুলসর্বস্ব ও রামনারায়ণ তর্করত্ন
বাংলা নাট্যসাহিত্যের ইতিহাসে রামনারায়ণ তর্করত্নের নাম বিশেষভাবে স্মরণীয়। তিনি ১৮৫৪ সালে ‘কুলীন কুলসর্বস্ব’ নাটক রচনা করেন। এটি মঞ্চস্থ হওয়ার পর প্রচুর সাড়া ফেলে এবং নাট্যকার হিসেবে তাঁকে খ্যাতির শিখরে পৌঁছে দেয়।
-
কুলীন কুলসর্বস্বের গুরুত্ব:
এই নাটকের মাধ্যমে তিনি সমকালীন সমাজের নানা কুসংস্কার ও অমানবিক দিক তুলে ধরেছিলেন। যদিও শিল্পরীতির দিক থেকে তিনি পুরোপুরি সফল হতে পারেননি, তবু সামাজিক বাস্তবতাকে নাটকে আনার কারণে এটি বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ হয়ে ওঠে। নাটকটি দর্শকসমাজকে প্রবলভাবে আকর্ষণ করেছিল বলেই তিনি “নাটুকে নারায়ণ” নামে জনপ্রিয়তা লাভ করেন। -
পুরস্কার:
নাটকটি রচনার জন্য রামনারায়ণ রংপুরের জমিদার কালীচন্দ্র রায়চৌধুরী কর্তৃক ঘোষিত ৫০ টাকা পুরস্কার লাভ করেন। -
রসধর্ম:
নাটকে কোথাও কৌতুকরস, কোথাও করুণরস, আবার কোথাও প্রহসনধর্মী দিক ফুটে উঠেছে। ফলে নাটকটি দর্শকদের বিনোদন দেওয়ার পাশাপাশি সমাজচিত্রও স্পষ্টভাবে প্রকাশ করেছে।
রামনারায়ণ তর্করত্নের অনুবাদ নাটকসমূহ
-
অভিজ্ঞান শকুন্তলা
-
রত্নাবলী
-
মালতীমাধব
-
বেণীসংহার
মৌলিক নাটক
-
রুক্ষ্মিণীহরণ
-
কংসবধ
-
ধর্মবিজয়
প্রহসন
-
যেমন কর্ম তেমন ফল
-
উভয় সংকট
-
চক্ষুদান
উৎস: বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস — মাহবুবুল আলম
0
Updated: 2 months ago